আশরাফ আলী সোহান: দাওয়াতি পক্ষ (১৫-৩০ এপ্রিল-২০১৭) উপলক্ষে ইশা ছাত্র আন্দোলনের সাধারন পরিচিতি

বৃহস্পতিবার, ৬ এপ্রিল, ২০১৭

দাওয়াতি পক্ষ (১৫-৩০ এপ্রিল-২০১৭) উপলক্ষে ইশা ছাত্র আন্দোলনের সাধারন পরিচিতি


ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন (১৯৯১-২০১৬)
প্রতিষ্ঠাতা ইসলামী আন্দোলন এর সফল রূপকার, ইসলামের মুক্তিদাতা চরিত্রকে জনমানসে প্রতিষ্ঠিত করে ইসলামকে রাষ্ট্রীয় সমস্যার সমাধানে উপস্থানকারী বিপ্লবী রাহবার মাওলানা সৈয়দ ফজলুল করীম পীর সাহেব চরমোনাই (রহ.)।
প্রেক্ষাপট স্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্র পরিচালনার নীতিতে দ্বিধাদ্বন্দ্ব অর্থ ব্যবস্থার নীতি নির্ধারণে পুঁজিবাদ ও সমাজতন্ত্রের দুষ্টচক্রে পাক খাওয়া বস্তুবাদী চিন্তায় আচ্ছন্নতা, সমাজের দুর্নীতি, অন্যায়-অবিচারের ফলে দেশ যখন অশুভ কালচক্রে ঘুর্নয়মান, স্বাধীনতা হাতছাড়া হওয়ার জোগাড়; তখনই ১৯৮৭ সালে ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো। ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন তার পথচলার ৫ বছরের মধ্যে অনুধাবন করে যে, বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের একটি অংশ স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে। তারা ইসলামের নৈতিক, আদর্শিক এবং ইসলাম প্রবর্তিত রাষ্ট্র, অর্থ-সমাজ সংক্রান্ত শিক্ষা সম্পর্কে অনবগত থাকছে। আরেকটি অংশ যারা মাদরাসায় পড়ছে তারা চলমান বিশ্বব্যবস্থায় রাষ্ট্র, অর্থ ও সমাজনীতি সম্পর্কে না-ওয়াক্বিফ। ফলে বাঙালি মুসলিম সমাজকে নেতৃত্ব দেয়ার মতো কোন প্রজন্ম এদেশে গড়ে উঠছে না। এর সমাধানে এমন একটি প্রতিষ্ঠান গঠন করা প্রয়োজন যেখানে জাগতিক শিক্ষিতরা ইসলাম সম্পর্কে এবং ইসলামী শিক্ষিতরা চলমান জ্ঞান-বিজ্ঞান সম্পর্কে জানতে পারবেন। তারা আরও অনুধাবন করেন যে, মাদরাসায় পড়ুয়াগণ সমাজ সম্পর্কে উদাসীন থাকছে আর জাগতিক শিক্ষিতরা স্বার্থপরতার অশুভ চক্রে আবর্তিত হচ্ছে। অনুধাবন করেন যে, মাদরাসাসমূহে যে কোন রাজনীতি নিষিদ্ধ আর অন্য দিকে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতির নামে চলছে সন্ত্রাস। তাদের এই অনুধাবনের প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত হয় ইসলামী শাসনতান্ত্র ছাত্র আন্দোলন প্রতিষ্ঠার। যেখানে সমাজ সম্পর্কে উদাসীন শিক্ষার্থীদের সমাজ সচেতন করা হবে, আর স্বার্থপরদের শিক্ষা দেয়া হবে কল্যাণকামিতা। ছাত্র রাজনীতিতে সবই শামিল করা হবে। আবার সন্ত্রাস থেকে ছাত্র রাজনীতিকে মুক্ত করে আদর্শভিত্তিক ছাত্র রাজনীতি প্রবর্তন করা হবে। এরই প্রেক্ষিতে ১৯৯১ সালের ২৩ আগস্ট ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন প্রতিষ্ঠিত হয়।
লক্ষ্য
জাহিলিয়াতের সকল প্রকার আধিপত্যের অবসান ঘটিয়ে কুরআন-সুন্নাহ অনুযায়ী খোলাফায়ে রাশেদার নমুনায়-সাহাবায়ে কেরামের অনুসৃত পথে মানবজীবন গঠন ও সমাজের সর্বস্তরে পূর্ণ দীন বাস্তবায়ন।”
ব্যাখ্যা : জাহিলিয়াত বলতে “আল্লাহর দেয়া বিধানকে মানতে অস্বীকার করা”। আমরা জাহেলিয়াতের “আধিপত্বের” অবসান চাই। স্বমূলে “জাহেলিয়াত” এর নয়। আধিপত্য একটা নীতিগত বিষয়; বস্তগত না। সেজন্যই ইশা ছাত্র আন্দোলন ‘জাহিলিয়াত’কে বস্তুগত আক্রমনের লক্ষবস্তু বানায় না বরং নীতিগতভাবে জাহিলিয়াতের অবসান চায়। জাহেলিয়াত এর অবসানে আমাদের চলার পথ হলো- কুরআন-সুন্নাহ ও সাহবায়ে কেরামের অনুসৃত পথ। কোন অবস্থাতেই আমরা এর অন্যথা করি না। কোন প্রলোভন ভয়-ভীতি আমাদের পথচ্যূত করতে পারে নাই, পারবেও না ইনশাআল্লাহ। আমরা মানবজীবন গঠনকে অন্যতম লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি। কারণ আমরা বিশ্বাস করি, শিক্ষার্থীদের ব্যক্তি সাফল্যের সমষ্টিই জাতির সফলতা। “সমাজের সর্বস্তরে পূর্ণ দীন বাস্তবায়ন” আমাদের অন্যতম লক্ষ্য। কারণ আল্লাহর দেয়া বিধানেই সমাজের সব সমাধান বলে আমরা বিশ্বাস করি।
উদ্দেশ্য
আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জন।
লক্ষ্য অর্জনে আমাদের অনুসৃত পন্থা
ইশা ছাত্র আন্দোলন তার লক্ষ্য অর্জনের পন্থা হিসেবে গণবিপ্লবকে গ্রহণ করেছে। ইসলামের ইতিহাসের আলোকে আমরা বিশ্বাস করি, যে কোন আদর্শ প্রতিষ্ঠার একমাত্র কার্যকর পদ্ধতি হলো গণবিপ্লব, মানুষের মধ্যে চাহিদা সৃষ্টি করে মানুষের ভেতর থেকেই দাবি উত্থাপন করে মানুষের মাধ্যমেই আদর্শের বাস্তবায়ন করাই হলো গণবিপ্লব।
গণবিপ্লবের ধাপ হিসেবে আমরা যে ধাপগুলো অনুসরণ করি
* গণদাওয়াত
আমরা বিশ্বাস করি, ইসলাম রাষ্ট্র পরিচালনা নীতিতে সাম্য, সামাজিক ন্যায় বিচার ও মানবিক মর্যাদাবোধ নিশ্চিত করে। অর্থনীতিতে পুঁজিবাদের বল্গাহীন মুনাফাখোরি আর সমাজতন্ত্রের নিগ্রহমূলক কঠোরনীতি পরিবর্তে নৈতিক নিয়ন্ত্রণমূলক স্বাধীন অর্থ ব্যবস্থায় নির্দেশ দেয়। সমাজ ব্যবস্থায় ‘উম্মাহ’তথা সামষ্টিক কল্যাণ নীতি অনুসরণ করে, বিচার ব্যবস্থার জটিলতা দূর করে অপরাধ প্রতিরোধমূলক নির্দেশনা দেয়।
ইসলামের এই দাওয়াত গণমানুষকে নম্র-বিনিত, মায়াপূর্ণ ভাষায় এবং চরিত্র মাধুর্যতার মাধ্যমে পৌঁছে দেয়া গেলে মানুষ তা গ্রহণ করবেই। তাই লক্ষ্য অর্জনে আমাদের প্রথম পদক্ষেপ গণদাওয়াত।
* গণদাবী ও গণচেতনা
পুঁজিবাদ বস্তুবাদের অসারতা মুনাফাখোরি চরিত্র চলমান রাষ্ট্রযন্ত্রের ব্যর্থতা, বাক স্বাধীনতা খর্ব করা, নিরাপত্তায় ব্যর্থতা, মৌলিক অধিকার পূরণে ব্যর্থতার মোকালোয় ইসলামের কার্যকারিতা প্রমাণে আমরা সমর্থ হলে মানুষের মাঝ থেকেই ইসলামের দাবি উত্থাপিত হবেই।
গণবিপ্লব
মানুষের এই দাবি ও চেতনাকে গঠনমূলক ধারাবাহিক কর্মসূচির মাধ্যমে একটি সামগ্রিক বিপ্লবের দিকে নিয়ে যাওয়া ইশা ছাত্র আন্দোলন এর লক্ষ্য অর্জনে পন্থা।
এখানে একটা বিষয় পরিষ্কার হওয়ার প্রয়োজন। ইশা ছাত্র আন্দোলন কোনরূপ সহিংস পন্থায় বা চাপ প্রয়োগ করার পন্থায় বিশ্বাস করে না। সমসাময়িককালে খেলাফত প্রতিষ্ঠার নামে যেসব সহিংস পন্থায় চর্চা দেখা যায় ইশা ছাত্র আন্দোলন বাস্তবসম্মত কারণেই তা প্রত্যাখান করে।
ইশা ছাত্র আন্দোলন–এর বৈশিষ্ট্য
*ইসলামী আদর্শ বিবর্জিত জাহেলী সমাজব্যবস্থার পরিবর্তনের নবী রাসূলগণের (সা) উত্তরসূরী উলামায়ে কেরামের অনুপ্রেরণা, দিকনির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানে পরিচালিত একটি ছাত্র কাফেলা।
* আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে ইসলামী সমাজ গঠনের সার্বক্ষণিক জিহাদে একটি পরিপূরক শক্তি।
* রূহানিয়াত ও জিহাদের একটি সমন্বিত প্রয়াস।
* প্রচলিত ছাত্র রাজনীতি নয়; বরং একটি ঐক্যপ্রয়াসী আন্দোলনকামী শক্তি।
* প্রচলিত ছাত্র রাজনীতি নয়; বরং আমর বিল মারুফ ও নাহি আনিল মুনকারের ঈমানী দায়িত্ব পালনের একটি প্রক্রিয়া।
কর্মসূচি
১. ইলম ও তারবিয়াত
* তরুণ ছাত্রসমাজকে ইসলামী আদর্শে গড়ে তোলার লক্ষে ইসলামের সঠিক জ্ঞান অর্জনে উদ্বুদ্ধ করা।
* ইসলামী ও আধুনিক শিক্ষায় ব্যুৎপত্তি অর্জন এবং প্রচলিত ধর্মহীন শিক্ষা ও মানবরচিত সকল মতাদর্শের অসারতা অনুধাবনে উৎসাহিত করা।
* জাহিলিয়াতের সকল প্রকার চ্যালেঞ্জের মোকাবেলায় ইসলামী সমাজবিপ্লবের যোগ্য কর্মী হিসেবে গড়ে তোলার সার্বিক প্রচেষ্টা চালানো।
২. আমল ও তাযকিয়াহ
* ব্যক্তিজীবনকে ইসলামী শরীয়তের আলোকে সুন্নত তরীকায় গড়ে তোলার প্রচেষ্টা চালানো।
* সর্বাবস্থায় সকল কাজে আল্লাহ তায়ালার জিকির জারী রাখা।
* আল্লাহওয়ালা ব্যক্তিদের সোহবত লাভের মাধ্যমে আত্মশুদ্ধির প্রচেষ্টা চালানো।
* জাহেরী ও বাতেনী নেক আমল অর্জন এবং বদ আমল বর্জনের চেষ্টা করা।
৩. তাবলিগ
* সকল প্রকার তাগুতী মত ও পথ অস্বীকার করে জীবনের সর্বক্ষেত্রে আল্লাহ তায়ালার সার্বভোমত্ব ও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে শরীক হবার আহ্বান করা।
৪. তানজিম
* যে সকল তরুণ শিক্ষার্থী আন্দোলনের উদ্দেশ্যের সাথে একমত হয়ে জীবনের সর্বস্তরে কুরআন সুন্নাহর আইন তথা ইসলামী শাসনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে শরীক হতে আগ্রহী তাদেরকে সংগঠনের অধীনে সংঘবদ্ধ করা।
* শিক্ষাঙ্গন সর্বত্র ছাত্রসমাজের মাঝে সংগঠন গড়ে তোলার মাধ্যমে আন্দোলনের সম্প্রসারণ ঘটানো।
৫. ইনকিলাব (বিপ্লব)
* শিক্ষাঙ্গনের সমস্যাবলী চিহ্নিত করে শান্তিপূর্ণ উপায়ে তা দূরীকরণের জন্য ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস চালানো।
* ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নির্দেশিথ ও অনুমোদিত কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা।
* সকল প্রকার ইসলামবিরোধী কার্যকলাপের অবসান ঘটিয়ে সমাজ ও রাষ্ট্রের স্থায়ী শান্তি এবং মানবতার সার্বিক মুক্তির লক্ষে দুর্বার গণআন্দোলনের মাধ্যমে ইসলামী বিপ্লব সাধনের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো।
অর্জন
* ভোগবাদে মত্ত তরুণ সমাজকে মানব সৃষ্টির উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে উদ্বুদ্ধ করেছি।
* পাশ্চাত্য জীবন দর্শনে বিভ্রান্ত লাখো তরুনকে আমরা সুন্নাহ এর পথে পরিচালিত করেছি।
* দেশের মুসলিম শিক্ষার্থীরা স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে জাগতিক জীবনের কার্যকরি শিক্ষা অর্জন করলেও সমাজ, রাষ্ট্র, অর্থনীতি সম্পর্কে ইসলামের শিক্ষা না থাকায় তারা মুসলিম জনগোষ্ঠীর চাহিদা বুঝতে ব্যর্থ। ফলে দেশে সৎ-দেশপ্রেমিক যোগ্য নেতৃত্বের অভাববোধ, সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতি, স্বার্থপরতা, অন্যায় জেকে বসে সমাজের প্রতিস্তরে। আমরা জাগতিক শিক্ষায় শিক্ষিতদের বিশাল এক অংশকে ইসলামের চেতনায় উদ্ভুদ্ধ করে সমাজের যোগ্য নেতৃত্ব হিসেবে গড়ে তুলেছি।
* কওমিয়া মাদরাসাসমূহ জাতির ধর্মীয়, আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব তৈরির বাসনা থেকেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমরা কওমি শিক্ষার্থীদের মাঝে আকাবিরে দেওবন্দের সংগ্রামী চেতনা পুনর্জাগরিত করতে সক্ষম হয়েছি।
* বাংলাদেশি তারুণ্য নিজস্ব ইতিহাস-ঐতিহ্যকে ভুলে ভিনদেশি সংস্কৃতিক অনুকরণে লিপ্ত হয়েছিলো। ভিনদেশি পণ্যের সস্থা বাজারে পরিণত হয়েছিলো। আমরা তারুণ্যেকে তার নিজস্ব বাঙালি ও মুসলিম ইতিহাস ঐতিহ্যকে স্বরণ করে দিয়েছি।
* আজকাল ক্যাম্পাসসমূহে মাদক প্রগতিশীলতার প্রতীক, ধুমপান স্মাটনেসের প্রতীক। এর মোকাবলা আমরা ক্যম্পাসে মাদকমুক্ত শেকড় সন্ধানী একদল তরুনের কাফেলা তৈরি করতে পেরেছি।
* ছাত্র রাজনীতির অর্থ (আজকাল) ক্ষমতা লিপ্সু সংগঠনের লেজুড়বৃত্তি, দলান্ধাতা, কর্মী পালনের নামে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজী মাদকের ব্যবসা আমরা ছাত্র রাজনীতির এই ধারায় পরিবর্তন এনেছি।
* একাত্তর পূর্ব ও পরবর্তি ছাত্র রাজনীতির অর্থই হলো মাদক, মাস্তানী, হল দখল, চাঁদাবাজী আর হত্যার রাজনীতি। আমরা প্রতিষ্ঠার পর থেকেই আদর্শিক, জ্ঞানভিত্তিক সুস্থধারার ছাত্র রাজনীতির প্রবর্তন করেছি। আজ দেশে আদর্শিক রাজনীতির এক দিকপাল আমরা।
* ইশা ছাত্র আন্দোলন দেশের একমাত্র শতভাগ ছাত্রদের নেতৃত্বে পরিচালিত সংগঠন।
* দেশের ত্রিধারার শিক্ষাব্যবস্থার প্রতিটি ধারা থেকে শিক্ষার্থীর সমাবেশ ঘটাতে পেরেছি আমরা।
* আদর্শে অবিচলতা যেকোন আন্দোলন এর অপরিহার্য বিষয়। আমরা আজ আদর্শের ওপর দৃঢ় থাকার এক অনন্য দৃষ্টান্ত।
* শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যায় গত ২৫ বছরে গণআন্দোলন গড়ে তুলেছি আমরা।
* শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে কাজ করেছি আমরা।
* ইসলাম বিরোধী চক্রান্তে ক্ষেভে ফেটে পড়া জনতাকে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদী ইসলামী হুকুমতের পথ দেখিয়েছে আমরা।
* ইসলামের দর্শনগত, রাজনৈতিক ও আধ্যাত্মিক বিষয়কে জনতার সামনে ফুটিয়ে তুলেছি আমরা।
ইশা ছাত্র আন্দোলন কর্ম সফলতা
* দেশের ৬৪টি প্রশাসনিক জেলা ৫৬০টি থানা, ৫০০টি উপজেলা সহ সহস্রাধিক ইউনিয়নে ইশা ছাত্র আন্দোলন তার সাংগঠনিক কাজ সৃষ্টি করতে পেরেছে।
* কাজের সুবিধার্থে আমরা দেশের গুরুত্বপূর্ণ জেলা মহানগর সমূহে ১৯টি সাংগঠনিক জেলা তৈরি করে কাজ করছি।
* দেশের সকল সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইশা ছাত্র আন্দোলন কাজ করে যাচ্ছে।
* দেশের সকল সরকারি কলেজে আমাদের সংগঠন বিস্তৃতি ঘটিয়েছে।
* মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আমাদের কাজ চলমান।
* দেশের প্রায় সফল কওমিয়া মাদরাসায় সংগঠনকে মজবুত স্থানে পৌছে দিতে পেরেছি।
* আলিয়া মাদরাসাসমূহে আমাদের কাজের শক্তিশালী ধারা অব্যহত।
* আমরা হাজার হাজার ধর্মীয় নেতা তৈরি করেছি যারা সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইসলামের সামগ্রিক ব্যাখ্যা করে জনমানুষকে ইসলামের দিকে আহবান করছে।
* সমাজ, রাষ্ট্র, ব্যবসা-বাণিজ্য-প্রশাসন সকল ক্ষেত্রই পরার্থতার শিক্ষায় উদ্ভুদ্ধ একজদল মানুষ তৈরি করতে পেরেছি যারা জনকল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন