আশরাফ আলী সোহান: জানুয়ারী 2017

মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০১৭

শহীদ সাইদুল ইসলামের স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

আইএবি নিউজ: ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন সিলেট জেলা ও মহানগর শাখার উদ্যোগে সাবেক প্রশিক্ষণ সম্পাদক মরহুম হাফিজ শহীদ সাইদুল ইসলামের স্মারণে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল আজ ৩১ জানুয়ারী মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় সংগঠনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সংগঠনের মহানগর সভাপতি মু. মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে ও জেলা সাধারণ সম্পাদক মু. শিহাব উদ্দিনের পরিচালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সিলেট মহানগর সভাপতি মুফতী ফখর উদ্দিন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইশা ছাত্র আন্দোলনের জেলা সভাপতি মু. সোহেল আহমদ। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা সহ-সভাপতি ইমরান আহমদ, মহানগর সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন, জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক আবু তাহের মিছবাহ, দপ্তর সম্পাদক মঞ্জুর আহমদ নোমান, কলেজ বিষয়ক সম্পাদক ওলিউর রহমান, স্কুল বিষয়ক সম্পাদক ফয়জুল হাসান চৌধুরী, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মুকিত, ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, মহানগর প্রশিক্ষণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, অর্থ সম্পাদক শরফ উদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন, বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়ক সম্পাদক আল আমিন প্রমুখ।

মরহুম হাফিজ শহীদ সাইদুল ইসলামের রূহের মাগফেরাত কামন করে অনুষ্ঠান শেষ হয়।

সোমবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০১৭

মূর্তি অপসারণের দাবীতে ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল শুক্রবার

আইএবি নিউজ: সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে গ্রীক দেবীর মূর্তি অপসারণ, বিতর্কিত নাস্তিক্যবাদি শিক্ষানীতি ও শিক্ষা আইন অবিলম্বে বাতিলের দাবীতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরের উদ্যোগে আগামী ৩রা ফেব্রুয়ারি'১৭ রোজ শুক্রবার বাদ জুমা রাজধানীর বাইতুল মোকাররম উত্তর গেইটে "বিক্ষোভ মিছিল" অনুষ্ঠিত হবে ইনশাআল্লাহ।

নেতৃত্ব দিবেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মুহতারাম আমীর আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই)।

ঈমানের দাবীতে উক্ত কর্মসূচী সফলের লক্ষ্যে সকলকে যথাসময়ে অংশগ্রহণ করার জন্য আহবান করা যাচ্ছে।

খুলনায় যুব আন্দোলনের জরুরী সভা অনুষ্ঠিত

আইএবি নিউজ: ইসলামী যুব আন্দোলন খুলনা মহানগর কমিটির এক জরুরি সভা আজ বাদ আছর মহানগর কার্যলয়ে মহানগর আহবায়ক মোঃ ইসমাইল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভা পরিচালনা করেন যুব আন্দোলনের নগর সদস্য সচিব মোঃ তরিকুল ইসলাম কবির ।

সভায় আগামী ১লা ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি-২০১৭ ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসাবে "সদস্য সংগ্রহ পক্ষ" পালিত হবে । ১লা ফেব্রুয়ারি বিকাল ৩টায় মহানগর কার্যলয়ে ইসলামী যুব আন্দোলন খুলনা মহানগর শাখার "সদস্য সংগ্রহ পক্ষ" এর উদ্ভোধন করবেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির আলহাজ্ব হাফেজ মাওলানা অধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল সাহেব। সভায় ইসলামী যুব আন্দোলন এর সকল থানা ও ওয়ার্ড শাখার দায়িত্বশীলদের ১লা ফেব্রুয়ারির সদস্য সংগ্রহ পক্ষ সফলের আহ্বান জানানো হয়।

সভায় বক্তব্য রাখেন মোঃ ইমরান হোসেন মিয়া, মিরাজ আল সাদি, এডঃ কামাল হোসেন, মুহাঃ মাহমুদুল হক তানভীর, মাওঃ ফরিদ উদ্দিন আজহার, মোঃ হাফিজুর রহমান, মোঃ জুনাইদ মাহমুদ প্রমুখ।

কুমিল্লার চান্দিনায় ইসলামী আন্দোলন ও অঙ্গ-সংগঠনের উপজেলা কার্যালয় উদ্বোধন

আইএবি নিউজ ডেক্স: আজ ৩০ জানুয়ারী সকাল ১১ টায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চান্দিনা উপজেলা শাখার স্থায়ী অফিস উদ্বোধন করা হয়েছে।  চান্দিনা পশ্চিম বাজারস্থ অগ্রনী ব্যাংকের সাথে অফিস কার্যালয়টি নেওয়া হয়েছে। কার্যালয় উদ্বোধন উপলক্ষে আলোচনা ও দোয়ার আয়োজন করা হয়। উক্ত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ত করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চান্দিনা উপজেলা শাখার সভাপতি আবুল কালাম কাসেমী। প্রধান অতিথী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কাজী রফিকুল ইসলাম, সভাপতি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কুমিল্লা পশ্চিম জেলা শাখা। বিশেষ অতিথী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এইচএম সাইফুল ইসলাম, সহকারী সাংগঠনিক সম্পাদক - ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিন। আরো উপস্থিত ছিলেন মুফতি সাদিক মাহমুদ বিন নুরী, সহ-সভাপতি আইএবি চান্দিনা উপজেলা শাখা, খাইরুল ইসলাম ফরাজী, সদর-চান্দিনা উপজেলা শাখা মুজাহিদ কমিটি, সাদেক হোসেন খোকা, সেক্রেটারী- বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি চান্দিনা উপজেলা শাখা, এইচএম রাশেদুল ইসলাম- সেক্রেটারী ইশা কুমিল্লা জেলা পশ্চিম, মোস্তফা কামাল ফরাজী- সাবেক সহসভাপতি ইশা চান্দিনা উপজেলা শাখা। এছারাও আরো উপস্থিত ছিলেন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন চান্দিনা উপজেলা শাখার সভাপতি- জি.এম. সাইফুল ইসলাম, সহসভাপতি- জোবায়ের খাঁন ফরাজী আহবান, এছারাও ইসলামী আন্দোলন, ইশা ছাত্র আন্দোলন, ইসলামী শ্রমীক আন্দোলন এর বিভিন্ন পর্যায়ের দায়ীত্বশীল গন উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা শেষে দোয়া ও মুনাজাতের মাধ্যমে সভার সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়। মুনাজত পরিচালনা করেন জনাব মাওলানা শাহ ইলিয়াস সিদ্দীকি--পীর সাহেব বদরপুর।

রবিবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০১৭

দেশ ও জাতি গঠনে ইসলামী আন্দোলনের দায়িত্বশীলদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে : পীর সাহেব চরমোনাই

আইএবি নিউজ: অদ্য ২৯ জানুয়ারি'১৭ মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় চন্দনা চৌরাস্তা সংলগ্ন ময়মনসিংহ রোডে টেকনগপাড়াস্থিত সৈকত কনভেনশন হলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ গাজীপুর মহানগর শাখার উদ্যোগে নগর সভাপতি আলহাজ্ব মুহাম্মদ ফাইজুদ্দিন এর সভাপতিত্বে ওয়ার্ড প্রতিনিধি সম্মেলন'১৭ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলনের মুহতারাম আমীর আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই)

পীর সাহেব চরমোনই তার বক্তব্যে বলেন, ৯২ ভাগ মুসলমানের এই বাংলাদেশে সর্বত্রই আজ হিন্দুত্ববাদ-নাস্তিক্যবাদীদের দোর্দন্ড প্রতাপ চলছে। প্রশাসনের ছত্রছায়ায় ওদের আদর্শ ও সংস্কৃতি বাস্তবায়নের অপচেষ্টা চলছে। যার ফলে ইসলামী শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ধর্মীয় রীতি-নীতি বিরোধী আয়োজন উদ্বেগজনক হারে বেড়ে গিয়েছে। দুর্নীতি দুঃশাসন ও অপসংস্কৃতির সয়লাবে দেশ-জাতি আজ চরম বিপর্যস্তকর অবস্থায় কালাতিপাত করছে। হত্যা, ধর্ষণ, ছিনতাই ও গুম- নির্যাতনের কারণে জনগণ দিশেহারা হয়ে পরেছে। এ নাজুক পরিস্থিতিতে ইসলামী আন্দোলনের দায়িত্বশীল-কর্মী সকলকে ইসলাম, দেশ ও মানবতার পক্ষে ত্যাগের দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে; সাংগঠনিক কাজে আরো তৎপর হতে হবে।

তিনি সরকারকে অবিলম্বে সুপ্রিমকোর্ট চত্তর থেকে গ্রীক দেবীর মূর্তি অপসারণ করার উদাত্ত আহবান জানান। অন্যথায় আপামর মুসলিম জনতাকে সঙ্গে নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র গণ আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে হুশিয়ারী দেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য পেশ করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইশা ছাত্র আন্দোলনের নব নির্বাচিত কেন্দ্রীয় সভাপতি জি.এম রুহুল আমীন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, আন্দোনের গাজিপুর জেলা সভাপতি আলহাজ্ব হাফেজ মাওলানা মুহাঃ নাসির উদ্দিন।

সম্মেলনে আরো বক্তব্য পেশ করেন, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ গাজীপুর জেলা শাখার আহবায়ক আলহাজ্ব মাওলানা হাবিবুর রহমান মিয়াজি, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন গাজীপুর মহানগর আহবায়ক শ্রমিক নেতা ইকবাল হোসেন হাওলাদার, ইসলামী যুব আন্দোলন গাজীপুর মহানগরের আহবায়ক আলহাজ্ব মাওলানা এম.এ সরকার, ইশা ছাত্র আন্দোলন গাজীপুর জেলা সভাপতি এইচ.এম আব্দুল ওয়াহিদ প্রমুখ।

এসএসসি/দাখিল পরীক্ষার্থীদের জন্য দোয়া অনুষ্ঠান

অাজ ২৯ জানুয়ারি'১৭ রবিবার বেলা ৩টায় ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র অান্দোলন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলাধীন

লাকসাম পৌরসভা শাখার অায়োজনে এসএসসি/দাখিল পরীক্ষার্থীদের নিয়ে দোয়ার আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে সারা দেশের সকল পরীক্ষার্থীদের জন্য

দোয়া করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছাত্রদের উদ্দেশ্যে নসিহত পেশ করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য অালহাজ্ব সেলিম মাহমুদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী যুব অান্দোলন কুমিল্লা জেলা দক্ষিণের অাহবায়ক মোরশেদুল অালম। উক্ত দোয়া অনুষ্ঠানে অারো উপস্থিত ছিলেন জেলা সহ-সভাপতি ইস্রাফিল মাহমুদ, প্রশিক্ষণ সম্পাদক অাহছান উল্লাহসহ অন্যান্য দায়িত্বশীলবৃন্দ।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র অান্দোলন লাকসাম পৌরসভা শাখা সভাপতি মোঃ মহিউদ্দীন।

অবিলম্বে মূর্তি অপসারণ ও সর্বনাশা ভারতীয় টিভি চ্যানেল বন্ধ করতে হবে : মুফতী ফয়জুল করীম

আইএবি নিউজ: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে লেডি জাষ্টিজ-এর মূর্তি স্থাপনকে পশ্চিমা সংস্কৃতি হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেছেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ খ্রিষ্টান অধ্যুষিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিমকোর্টের সামনে সর্বোচ্চ প্রণেতা হিসেবে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সা.-এর নাম লিপিবদ্ধ থাকলেও বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের সুপ্রিমকোর্টের সামনে গ্রীক দেবী লেডি জাস্টিস-এর মুর্তি স্থাপন করে মুসলিম সাংস্কৃতিক চেতনা ধ্বংসের চেষ্টা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সংস্কৃতির মানে হচ্ছে আত্মপরিচয়। মানুষের বিশ্বাস, আচরণ ও জ্ঞানের সমন্বিত প্যাটার্নকে বলা হয় সংস্কৃতি। ভাষা, সাহিত্য, ধর্ম ও বিশ্বাস, রীতি-নীতি, সামাজিক মুল্যবোধ, উৎসব, শিল্পকর্ম ও আইন-কানুন প্রভৃতি সবকিছু নিয়েই সংস্কৃতি। লেডি জাষ্টিজ-এর মূর্তি স্থাপন বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনগণের সাংস্কৃতিক কোন অনুষঙ্গেরই অংশ নয়।

তিনি অবিলম্বে সুপ্রিমকোর্টের সামনে থেকে মূর্তি অপসারণের দাবি জানিয়ে বলেন, অন্যথায় জান-মাল দিয়ে হলেও ঈমান রক্ষায় ইসলামী জনতা গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে বাধ্য হবে, যা সরকারের জন্য শুভ হবে না।

মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক আইন ২০০৬ অনুযায়ী ভারতীয় টিভি চ্যানেলসহ সকল অশ্লীল বিদেশী চ্যানেল নিষিদ্ধ হওয়ার যোগ্য। কেনান এসকল ধারাগুলোতে উল্লেখ আছে হিংসাত্মক, সন্ত্রাস, বিদ্বেষ ও অপরাধ সম্বলিত কোন অনুষ্ঠান করা যাবে না। বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, শিক্ষা ও সংস্কৃতি, সামাজিক, ও ধর্মীয় মূল্যবোধ ও জতীয় সংহতি এবং রাষ্ট্রীয় ভাবমূর্তি পরিপন্থি কোন অনুষ্ঠান প্রচার করা যাবে না। অথচ উল্লেখিত শর্তসমূহ পরিপূর্ণ লঙ্গণ করে অনুমোদনহীন বর্তমান অশ্লীল ভারতীয় চ্যানেলসমূহ প্রচারিত হচ্ছে। কাজেই এগুলো বন্ধ করতে হবে।

আজ বিকেলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পুরানা পল্টনস্থ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক জরুরী সভায় তিনি একথা বলেন।

মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাজনৈতিক উপদেষ্টা অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব- অধ্যাপক মাওলানা এটিএম হেমায়েত উদ্দিন, সহকারি মহাসচিব আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কেএম আতিকুর রহমান. নগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, সহ-প্রচার সম্পাদক মাওলানা নেছার উদ্দিন, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী প্রমুখ।

শনিবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০১৭

মঙ্গল শোভাযাত্রা দেশব্যাপী ছড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা বরদাস্ত করা হবে না : পীর সাহেব চরমোনাই

আইএবি নিউজ: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই) পহেলা বৈশাখে মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন গ্রামে-গঞ্জেও ছড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনার তীব্র সমালোচনা করে বলেছেন, বাঙ্গালী সংস্কৃতির সার্বজনীনতার তত্ত্বের আড়ালে এসব বিধর্মীয় প্রথা অনুশীলনের জন্যে এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ তৌহিদী জনতাকে বাধ্য করার উদ্যোগ গ্রহণযোগ্য নয়। কেননা অমুসলিমদের প্রতীক ও উপমা ব্যবহার করে কল্যাণ কামনা করা মুসলিম সমাজে প্রচলিত নয়। মঙ্গল শোভাযাত্রা একটি সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ধর্ম ও সংস্কৃতির অংশ। মূলতঃ দেব-দেবীকে উদ্দেশ্য করে এসব আচার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে একটি সংখ্যালঘু গোষ্ঠী কল্যাণ কামনা করে থাকে।

এক বিবৃতিতে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, এই মঙ্গল শোভাযাত্রায় থাকে বিচিত্র রকম পশুপাখীর মুখোশ পরিহিত নর-নারী। এরা বাঘ বিড়ালের মুখে চিংড়ি, মাছ, সন্তানতুল্য ছোট মাছ, হাঁস, পাখা মেলা ময়ূর, লক্ষ্মী পেঁচা, হরিণ শাবকের মাধ্যমে বাঙ্গালীর আবহমান ঐতিহ্যকে তুলে ধরার দাবি করে। যেসব পশু-পাখি নিয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রা করা হয়, তা ও এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের ধর্মীয় বিশ্বাস ও সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্যের পরিপন্থী। কেননা সংখ্যালঘু একটি জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় বিশ্বাস মোতাবেক পেঁচা মঙ্গলের প্রতীক ও লক্ষ্মীর বাহন, ইঁদুর গণেশের বাহন, হনুমান রামের বাহন, হাঁস স্বরসতীর বাহন, সিংহ দূর্গার বাহন, গাভী রামের সহযাত্রী, সূর্য দেবতার প্রতীক ও ময়ূর কার্তিকের বাহন। কেউ কেউ শরীরে দেব-দেবীর, জন্তু-জানোয়ারের প্রতিকৃতি, কালির লোহিত বরণ জিহ্বা, গণেসের মস্তক ও মনসার উল্কি একে ভাড় সেজে এবং মৃদঙ্গ-মন্দিরা, খোল-করতাল বাজিয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করে। এদেশে একটি সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর ধর্ম হচ্ছে প্রতীকবাদী। প্রতীকের মাধ্যমে তারা পূজা-প্রার্থণা করেন। ইসলামে এটা সম্ভব নয়। তাই মঙ্গল শোভাযাত্রায় যেসব প্রতীক উপস্থিত করা হয়, মুসলমানদের কাছে তা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।

তিনি বলেন, পশু-পাখিকে সমৃদ্ধি ও কল্যাণের প্রতীক হিসেবে মনে করা একজন তৌহিদবাদী মুসলমানের পক্ষে কোনক্রমেই সম্ভব নয়। মুসলমানরা বিশ্বাস করে সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কেবলমাত্র আল্লাহর কাছ থেকেই আসতে পারে। এ-জন্যে তারা তাঁর কাছে মুনাজাত করে। মুসলমানের সংস্কৃতির উৎস ইসলামী জীবন দর্শন ভিত্তিক মূল্যবোধ। তৌহিদ এর বুনিয়াদ। স্থানীয় ও লোকজ ঐতিহ্যের উপাদান মুসলিম সংস্কৃতিতে ও আছে, কিন্তু এর অবস্থান ইসলামী ঐতিহ্যের সীমানা অতিক্রম করে নয়। আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্য কারো কাছে মঙ্গল প্রার্থণা করা ইসলামে নিষিদ্ধ। মঙ্গল শোভাযাত্রার মাধ্যমে কল্যাণ চাওয়া মুসলিম সংস্কৃতির অংশ নয়।

তিনি হিজরী সনের পরিবর্তিত রূপ বাংলা সনের পহেলা বৈশাখকে আমাদের প্রধান সামাজিক উৎসব হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন যে, এই উৎসব নিজস্ব গুরুত্বে জাতীয় জীবনে বিশেষ চেতনার দ্যোতক। কিন্তু মঙ্গলশোভাযাত্রা, মঙ্গলঘট, মঙ্গল প্রদীপ, মাঙ্গলিক প্রতীক অঙ্কন, চৈত্র সংক্রান্তি, পান্তা ইলিশ, উলুধ্বনী, রাখি বন্ধন, ধুতি পরিধান সিঁদুরের ব্যবহার, হোলি খেলা, অজাÍ ষ্টাইলে নাভিমূল অনাবৃত রেখে শাড়ি পরিধান প্রভৃতি আমদানী করা বিশেষ ধর্মীয় কুসংষ্কারাচ্ছন্ন আচার-রীতির আগ্রাসনে পহেলা বৈশাখের চেতনাকে বিজাতীয়মুখি করা হচ্ছে। এই আগ্রাসন পরিচালিত হচ্ছে আমাদের নিজস্ব সংষ্কৃতির স্বাভাবিক বিবর্তনকে বাধাগ্রস্ত করে একটি স্বাধীন জাতির স্বাতন্ত্রবোধকে ধ্বংস করার জন্যে বিভিন্ন প্রথা পদ্ধতি চালু করার মাধ্যমে। তিনি বলেন, গণতন্ত্রের দৃষ্টিতে অধিকাংশ মানুষের সংস্কৃতি ও মূল্যবোধকেই সার্বজনীনতার মর্যাদা দেয়া যেতে পারে।

তিনি বলেন, ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় যুক্ত মঙ্গলশোভাযাত্রা সাম্প্রদায়িক। মঙ্গল শোভাযাত্রা কোন ক্রমেই বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জীবনধারার সঙ্গে যুক্ত নয়। কেননা মঙ্গল শোভাযাত্রার সাথে শিরক বা মহান আল্লাহর সাথে অংশীদারিত্বের ধারণা জড়িত। তাই মঙ্গল শোভাযাত্রা সার্বজনীন নয়। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার উৎসবও নয়।

পীর সাহেব চরমোনাই পরিশেষে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাতিসংঘ, বিশ্বব্যাংক, আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, বিশ্ববাণিজ্য সংস্থা, জি-এইট প্রভৃতি একযোগে পরিকল্পিতভাবে মুসলিম দেশগুলোর শিক্ষা-সংস্কৃতিকে তাদের ইচ্ছা ও পরিকল্পনা অনুযায়ী ঢেলে সাজাচ্ছে। বাংলাদেশকেও তারা তাদের উদ্দেশ্যসাধনের যন্ত্রে পরিণত করে চলছে। তাদের ই ঘৃণ্য ভূমিকার গ্রাস থেকে আত্মরক্ষার করে চলার জন্যে নিজেদের আত্মশক্তির বিকাশ ঘটাতে হবে।

ইশা ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সম্মেলনে আইএবি নিউজের প্রচারণায় উৎফুল্ল ছাত্রজনতা



আইএবি নিউজ: ২৭ জানুয়ারি ইশা ছাত্র আন্দোলনে কেন্দ্রীয় সম্মেলন-২০১৭ অনুষ্ঠানে সারা দেশ থেকে হাজারো ছাত্র একত্রিত হয়েছিল রাজধানীর কাজী বশির মিলনায়তনে। সেদিন আইএবি নিউজের প্রচারণায় ভিজিটিং কার্ড বিলি করা হয়। এতে অংশ নেন ইসলামী যুব আন্দোলন কিশোরগঞ্জ জেলা সভাপতি মাজহারুল ইসলাম। আরো অংশ নেয় আবরার, আবু বকর, মোবারক হোসাইন, মুস্তাফিজ, মামুনসহ আরো অনেকে। এসময় আইএবি নিউজের ভিজিটিং কার্ড বিলিতে উৎসুখ ছাত্র জনতার ভীর ছিল চোখে পড়ার মত। তাদের উৎসাহ-উদ্দীপনা আমাদেরকে অভিভূত ও অনুপ্রাণিত করেছে।

উল্লেখ্য, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও তার সহযোগী সকল সংগঠনের সংবাদ নির্ভর একমাত্র নিউজ পোর্টাল www.iabnews.net সাইটের যাত্রা মাত্র এক মাস হলেও ইতোমধ্যে সারা দেশে অনলাইন ইউজার ও পাঠক মহলে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। আমরা পাঠকদের চাহিদা ও চাওয়া-পাওয়াকে সামনে রেখেই এগিয়ে যেতে চাই। আমাদের সাইটে নিয়মিত ভিজিট করুন। সংবাদগুলো শেয়ার, কমেন্ট ও লাইক করে ইসলামী বিপ্লবকে তরান্বিত করতে এগিয়ে আসুন।

ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর মুবাল্লিগ সম্মেলন অনুষ্ঠিত

আজ শনিবার (২৮ জানুয়ারি’১৭) ঢাকায় ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে নব কেন্দ্রীয় সভাপতি জি.এম রুহুল আমীন-এর সভাপতিত্বে এবং নব সেক্রেটারি জেনারেল শেখ মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম-এর সঞ্চালনায় সংগঠনের সর্বোচ্চ স্তর মুবাল্লিগদের নিয়ে “মুবাল্লিগ সম্মেলন” অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই)। উপস্থিত ছিলেন নব সহ-সভাপতি শেখ ফজলুল করীম মারুফ, সদ্য সাবেক ছাত্রনেতা এস.এম. আজিজুল হক, মুহাম্মাদ হাছিবুল ইসলাম, আ হ ম আলাউদ্দীন, এস.এম এমদাদুল্লাহ ফাহাদ, এইচ এম কাওসার আহমাদ, মুহাম্মাদ নোমান আহমাদ, মুহাম্মাদ মাহবুব আলম, নূরুল করীম আকরাম, মুহাম্মাদ ইলিয়াস হাসান, মুহাম্মাদ মুস্তাকিম বিল্লাহ্, মুহাম্মাদ শরিফুল ইসলাম, এ.কে.এম আব্দুজ্জাহের আরেফী, মাহমুদুল হাসান ও মজলিসে শুরার নেতৃবৃন্দ।

শুক্রবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০১৭

শনিবার মুগদায় কলরবের সঙ্গীতায়োজন

২৮ জানুয়ারি শনিবার রাজধানীর মুগদায় ইসলামি সঙ্গীত নিয়ে ব্যতিক্রমী আয়োজনে থাকবে কলরব। বাদ আছর থেকে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে করলবের শিল্পীরা গানে গানে ভরিয়ে তুলবে সঙ্গীতপ্রেমীদের মন।

মুগদার জামিয়াতুস সালাম ঢাকা মদিনাবাগ মাদরাসা ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে আয়োজিত বার্ষিক ওয়াজ ও দোয়া মাহফিলে এ সঙ্গীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

মাহফিলে প্রধান আলোচক হিসেবে বয়ান পেশ করবেন গুলশাল কেন্দ্রীয় আজাদ মসজিদের খতিব ও যাত্রাবাড়ী মাদরাসার মহা পরিচালক মুহিউসসুন্নাহ আল্লামা মাহমুদুল হাসান।

মুগদা ওয়াসারোডে হজরত আবু বকর রা. মসজিদ ও পাগলচাঁন হোটেলের পশ্চিম দিকের মাঠে এ মাহফিল ও সঙ্গীতানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।

ইসলামি সঙ্গীতে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জনকারী কলরব শিল্পীগোষ্ঠীর শিল্পীদের মধ্যে উপস্থিত থাকবেন মুহাম্মদ বদরুজ্জামান, আমিনুল ইসলাম মামুন, ইয়াসিন হায়দার, আবু রায়হান, ইকবাল মাহমুদ, মাহফুজুল হক, সানিম মাহমুদসহ আরো অনেকে।

শিল্পীরা দুই ঘণ্টাব্যাপী হামদ নাত ও ইসলামি সঙ্গতসহ বিভিন্ন দেশাত্মবোধক সঙ্গীত পরিবেশন করবেন।

মান্ডা-মুগদা ইমাম উলামা পরিষদের সভাপতি মাওলানা তোফাজ্জুল হোসাইন এর সভাপতিত্বে এবং জামিয়াতুস সালাম মদিনাবাগ মাদরাসার মুহতামিম মুফতি হুমায়ুন আইয়ুব এর পরিচালনায় মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন (আইপিইউ) এর প্রেসিডেন্ট সাবের হোসেন চৌধুরী এমপি।

অনুষ্ঠান উদ্বোধন করবেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।

এছাড়াও মাহফিলে গুরুত্বপূর্ণ বয়ান পেশ করবেন শায়খ জাকারিয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের মহাপরিচালক মুফতি মিযানুর রহমান সাঈদ, জামিয়া ইসলামিয়া আযমিয়া দারুল উলুম বনশ্রী রামপুরার সিনিয়র মুহাদ্দিস মাওলানা মুহাম্মদ যাইনুল আবিদীন, বায়তুল আমিন জামে মসজিদ মালিবাগের খতিব শায়খুল হাদিস আল্লামা হাম্মাদুল্লাহ রাহমানী, মদিনাবাগ জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আবদুর রহমান এবং চৌধুরীপাড়ার মসজিদ ই নূরের খতিব মাওলানা খুরশেদ আলম কাসেমী।

মহতি এ আয়োজনে ধর্মপ্রাণ মানুষকে উপস্থিত থাকতে বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছেন মাদরাসার মুহতামিম মুফতি হুমায়ুন আইয়ুব।

সিলেটে ইসলামী যুব আন্দোলনের ওয়ার্ড কমিটি গঠন

ইসলামী যুব আন্দোলনের ওয়ার্ড কমিটি গঠন উপলক্ষে আজ ২৭ জানুয়ারী শুক্রবার বাদ জুম্মা সিলেট বন্দরবাজারস্থ দলীয় কার্যালয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

১৪নং ওয়ার্ড যুব আন্দোলনের আহ্বায়ক মো. জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ আনিসুর রহমানের পরিচালনায় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রিয় আহবায়ক কমিটির সদস্য ডা. রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন যুব আন্দোলনের জেলা আহ্বায়ক মো. নজির হোসেন, সাংগঠনিক মো. আব্দুল্লাহ, মাওলানা ইব্রাহিম খলিল, মো. সামছুল আলম দিপু, মাওলানা বাশারুল হক প্রমুখ।

সভায় সর্বসম্মতিক্রমে মো. জাকির হোসেনকে আহ্বায়ক ও মো. আবুল হোসেনকে সদস্য সচিব করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট ইসলামী যুব আন্দোলন সিলেট মহানগরী ১৪নং ওয়ার্ড আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন- যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রেজাউল করিম লিটন, মো. আনিসুর রহমান, মো. আবু তাহের, যুগ্ম সদস্য সচিব মো. শাহিন আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আলাউদ্দিন, সদস্য- মো. মাছুম আহমদ, মো. আখলিছুর রহমান, মো. শাহিন আলম, মো. মাহবুব হোসেন, মো. মুজাহিদুল ইসলাম, মো. জহিরুল ইসলাম, আব্দুর রহমান, মো. জহির হোসেন, মো. রবিউল ইসলাম, মো. শামসুন নূর, মো. তাজুল ইসলাম, মো. সোহাগ আহমদ, মো. আল আমিন, মো. সামছুল হক।

মানবতার সার্বিক কল্যাণ, সুশাসন ও বৈষম্যহীন উন্নয়ন নিশ্চিত করতে ইসলামী শাসনতন্ত্রই একমাত্র পন্থা-পীর সাহেব চরমোনাই



ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সম্মেলন-১৭ অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, বিশ্ব রাজনীতির কথা আপনারা জানেন। গোটা পৃথিবীতে আজ মুসলমানরা নির্যাতিত। ইতিহাসের চরম অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে বিশ্ব রাজনীতি চলছে। মার্কিন বার্ষিক গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “আগামী বিশ্ব হবে সংঘাতের বিশ্ব।” মুসলিম শক্তিগুলো আজ পরস্পর সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে। অবৈধ রাষ্ট্র ইজরাইল মুসলিম রাষ্ট্র ফিলিস্তিনকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করেছে। মধ্যপ্রাচকে আমেরিকা-রাশিয়া পরস্পরের শক্তি প্রদর্শনের ক্ষেত্র বানিয়েছে। জাতিসংঘ এক্ষেত্রে অশুভ শক্তিগুলোর মন্ত্রণালয়ে পরিণত হয়েছে। এই জাতিসংঘ মুসলমানদের স্বার্থ রক্ষায় কখনো আন্তরিকতা প্রদর্শন করে নি। এমতাবস্থায় মুসলিম জাতি সংঘগঠন আজ সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে।

পীর সাহেব চরমোনাই আরো বলেন, আমাদের বাংলাদেশ আজ ভালো নেই। প্রায় ১০ বছর ধরে প্রকৃত ভোটাধিকার নেই। জোর জবরদস্তি সরকার রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত। বাংলাদেশে বাকস্বাধীনতার চূড়ান্ত অবদমন হয়েছে। ভিন্ন মতকে মেরে কেটে-জেলে পুড়ে দমন করা হচ্ছে। মিছিল-মিটিং সমাবেশ পর্যন্ত নির্বিঘ্নে করা যায় না। কথা বলা যায় না, লেখা যায় না। জনগণের প্রতি রাষ্ট্র দায়িত্ববোধহীন। জনতার কাছে প্রশাসনের কোন জবাবদিহিতা নেই। জনপ্রশাসন জনতার সেবক হওয়ার পরিবর্তে কর্তার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। অনিয়ম ও দুর্নীতির সয়লাব চলছে। আইন-শৃংক্সখলা বাহিনী দলীয় পেটুয়া বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। সরকার দলীয় সাংসদ পর্যন্ত নিহত হচ্ছে। অপরদিকে আইন-শৃংখলা বাহিনী জঙ্গীবাদ দমনের নামে বিনা বিচারে মানুষ হত্যা করছে। দেশের এই পরিস্থিতি কোনভাবেই ভবিষ্যতের জন্য শুভ নয়। মানবতার সার্বিক কল্যাণ, সুশাসন ও বৈষম্যহীন উন্নয়ন নিশ্চিত করতে ইসলামী শাসনতন্ত্রই একমাত্র পন্থা।



পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, মুসলিম প্রধান বাংলাদেশের বিচারালয়ে গ্রিক দেবীর মূর্তি স্থাপন করা হচ্ছে। আমরা এর কোনো অর্থ খুজে পাই না। গ্রিক দেবী থেমিসের কী প্রাসঙ্গীকতা আছে আমাদের দেশে? বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থা কি থেমিসের আদর্শে পরিচালিত হবে? হাজার বছরের মুসলিম ইতিহাস-ঐতিহ্যের দেশ, বাংলাদেশকে গ্রিক থেকে দেবী ধার করতে হবে কেন? এই মুর্তি অবিল¤ে^ অপসারণ করতে হবে। অন্যথায়, দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও আমজনতার মূল্যবোধ রক্ষায় আমরা কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো।

পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, বিজাতীয় অপসংস্কৃতির মাধ্যমে দেশের যুব সমাজকে ধ্বংসের দিকে ধাবিত করা হচ্ছে। ভারতীয় টিভি চ্যানেলের আগ্রাসনে আমাদের সমাজ ও পরিবারের ভ্রাতৃত্বের বন্ধন আজ হুমকির মুখে। এ সকল চ্যানেল বন্ধ করা সচেতন জনগণের প্রাণের দাবিতে পরিণত হয়েছে। মঙ্গল শোভাযাত্রার নামে মুর্তির সংস্কৃতিকে বাঙালি সংস্কৃতি বলে চালিয়ে দেয়া হচ্ছে। যা বাঙালি মুসলমানরা সহ্য করবে না। এ সকল অপসাংস্কৃতিক কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে।

আজ শুক্রবার রাজধানীর গুলিস্তান কাজী বশির মিলনায়নে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন কর্তৃক আয়োজিত কেন্দ্রীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আজকের সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত হাজার হাজার সদস্য-নেতা-কর্মী অংশ নেন। সকাল ৯টা থেকে সম্মেলন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ফজরের পর থেকেই দায়িত্বশীল এবং নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকেন।

কেন্দ্রীয় সভাপতি নূরুল ইসলাম আল-আমীন এর সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি জেনারেল শেখ ফজলুল করীম মারুফ-এর সঞ্চালনায় কেন্দ্রীয় সম্মেলনে বিশেষ মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী, আল্লামা নূরুল হুদা ফয়েজী, সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম, নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুল আউয়াল, মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মাওলানা এটিএম হেমায়েত উদ্দিন, মাওলানা নেয়ামতুল্লাহ আল-ফরিদী, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, সহকারী মহাসচিব আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম, মাওলানা আবদুল কাদের, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. আব্দুল লতিফ মাসুম, দারুল মা’আরিফ-এর সহকারী মহাপরিচালক আল্লামা জসিম উদ্দিন নদভী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মাওলানা হুসাইনুল বান্না, মাসিক মদিনার সম্পাদক মাওলানা বদরুদ্দীন খান, ইসলামী যুব আন্দোলন এর কেন্দ্রীয় আহবায়ক কে.এম আতিকুর রহমান, ইশা ছাত্র আন্দোলন-এর সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা আহমাদ আবদুল কাইয়ুম, অধ্যক্ষ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মুহাম্মাদ বরকত উল্লাহ লতিফ, মাওলানা আরিফুল ইসলাম, সর্বদলীয় ইসলামী ছাত্র ঐক্য, জাতীয় ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, শিক্ষার সিলেবাস থেকে যেই সব গল্প কবিতা পড়ে বছরের পর বছর দেশের ধর্ম-বর্ণ নির্বেশেষে সকলে শিক্ষিত হয়েছে সেই সব গল্প কবিতা সরকারের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা চক্রান্তকারীরা সরিয়ে দিয়েছিলো। জনতার আন্দোলনের মুখে সরকার যখন আবারও সে সব গল্প কবিতা পাঠ্যসূচিতে সংযোজন করেছে তখন বাম-সেক্যুলার জনবিচ্ছিন্ন গুটি কয়েকটি মাথা মোটা আমাদের ঐক্যবদ্ধ সমাজকে ভেঙ্গে ফেলার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। এরা বাঙ্গালীদের মাঝে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাস্প ছড়াচ্ছে। অশ্লীল রকম বাড়াবাড়ি শুরু করেছে। আমরা সাবধান করে দিতে চাই। যারা এদেশের মানুষের মাঝে বিভেদ ও সাম্প্রদায়িকতা তৈরি করতে চায়, সিলেবাস বদলাতে চায় বাংলার জনতা তাদের সহ্য করবে না। তাদের ঠাঁই বাংলার জমিনে হবে না। তিনি বলেন বিতর্কিত শিক্ষানীতি ২০১০ ও শিক্ষাআইন ২০১৬ বাতিল করে এদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও অধিকাংশ জনগণের মূল্যবোধের আলোকে শিক্ষাব্যবস্থা প্রণয়ন করতে হবে।

পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমারের মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে মেরে ফেলা হচ্ছে। মা-বাবার সামনে মেয়েকে, ভাইয়ের সামনে বোনকে ধর্ষণ করা হচ্ছে। এই ইস্যুতেও সরকার আমাদের লংমার্চে বাধা দিয়েছে। বিস্ময়ের ব্যাপার হলো, মুসলিম দেশগুলোর জোট ওআইসি কোন পদক্ষেপ নেয় নি। বিশ্ব রাজনীতির মোড়লরাও এই বর্বরতার বিরুদ্ধে কোন অবস্থান গ্রহণ করে নি। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে দেয়া না হলে এবং নির্যাতন বন্ধ না হলে আমরা দেশবাসীকে সাথে নিয়ে আগামীতে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলব, ইনশাআল্লাহ।

বক্তব্য শেষে তিনি ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর চলমান কমিটি বিলুপ্ত করে ২০১৭ সেশনের জন্য নতুন কমিটি ঘোষণা করেন। নবগঠিত কমিটির কেন্দ্রীয় সভাপতি জি.এম রুহুল আমীন, কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি শেখ ফজলুল করীম মারুফ এবং সেক্রেটারি জেনারেল শেখ মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম মনোনীত হন।

Save

Save

Save

বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০১৭

রাজধানীতে ইশা ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সম্মেলন চলছে

সকাল ৯টা থেকে রাজধানীর গুলিস্থানস্থ কাজি বশির মিলনায়তনে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সম্মেলন শুরু হয়েছে। জুম'আর পূর্বেই ইসলামী আন্দালন বাংলাদেশের মুহতারাম আমীর প্রধান অতিথির বক্তব্য দিবেন এবং ইশা ছাত্র আন্দোলন-এর চলমান কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত করে ২০১৭ সেশনের জন্য নতুন কমিটি ঘোষণা করবেন।

বাদ জুমা বক্তব্য রাখবেন সাবেক, বর্তমান, জাতীয় নেতৃবৃন্দ ও শিক্ষাবিদ। বাদ মাগরিব থেকে কেরাত মাহফিল, আবৃত্তি প্রহর এবং সাংস্কৃতিক প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হবে।



ইশা ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সম্মেলনে কেন্দ্রীয় সভাপতি নূরুল ইসলাম আল-আমিনের সভাপতিত্ববে ইশা ছাত্র আন্দোলনের সাবেক ও বর্তমান দায়িত্বশীল ছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইসলামী ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মাসুদ খান, খেলাফত ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভপাতি হাফেজ মুহাম্মাদ আল-আমিন।

সম্মেলনস্থল কানায় কানায় পরিপূর্ণ হলে আগত ছাত্রদেরকে বাহিরেও বসতে দেখা যায়।

বিস্তারিত আসছে....

সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে মূর্তি স্থাপন মুসলিম সাংস্কৃতিক চেতনা ধ্বংসের চেষ্টা : পীর সাহেব চরমোনাই

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম ভাস্কর্যের নামে সুপ্রিমকোর্টে লেডি জাষ্টিজের মূর্তি স্থাপনকে পশ্চিমা সংস্কৃতি হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেছেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ খ্রিষ্টান অধ্যুষিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিমকোর্টের সামনে সর্বোচ্চ আইনদাতা হিসেবে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সা.এর নাম স্থাপিত হলেও বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের সুপ্রিমকোর্টের সামনে গ্রীক দেবী লেডি জাস্টিজের মুর্তি স্থাপন করে মুসলিম সাংস্কৃতিক চেতনা ধ্বংসের চেষ্টা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সংস্কৃতির মানে হচ্ছে আত্মপরিচয়। মানুষের বিশ্বাস, আচরণ ও জ্ঞানের সমন্বিত প্যাটার্নকে বলা হয় সংস্কৃতি। ভাষা, সাহিত্য, ধর্ম ও বিশ্বাস, রীতি-নীতি, সামাজিক মুল্যবোধ, উৎসব, শিল্পকর্ম ও আইন-কানুন প্রভৃতি সবকিছু নিয়েই সংস্কৃতি। লেডি জাষ্টিজ-এর মূর্তি স্থাপন বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনগণের সাংস্কৃতিক কোন অনুষঙ্গেরই অংশ নয়।

পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, মুসলিম সংস্কৃতিতে হিরো কাল্ট বা বীরপূজার প্রচলন নেই। তিনি বলেন, শিল্প-সংস্কৃতির যে উপাদান মুসলমানের তৌহিদের বা একত্বের পরিপন্থি মুসলমানরা তা প্রত্যাখ্যান করেছে।

তিনি আরো বলেন, উৎসব হোক বা স্মৃতি রক্ষা হোক, নিজস্ব প্রথা-পদ্ধতি, নিয়ম-নীতি বা রীতি-রেওয়াজের অনুশীলন কাম্য। কেননা এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের রয়েছে স্বতন্ত্র সাংস্কৃতিক চেতনা। রয়েছে একটি সমৃদ্ধ সংস্কৃতি। মূর্তি বাংলাদেশের ৯২ ভাগ মুসলমানের সংস্কৃতি নয়। তাই অবিলম্বে সুপ্রিমকোর্ট চত্ত্বরে স্থাপিত মূর্তি অপসারণ করতেই হবে। অন্যথায় ঈমান রক্ষার তাগিদে ঈমানদার জনতা কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবে।

রাজধানীর মোহাম্মাদপুরে সুন্নাত মাহফিল

রাজধানীর মোহাম্মাদপুরের ঐতিহাসিক শহীদপার্ক টাউনহল মাঠে ২ দিনব্যাপী (২৬ ও ২৭ জানুয়ারী'১৭) সুন্নাতের মাহফিল-এর আয়োজন করা হয়েছে।

উক্ত মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ নসিহত পেশ করবেন নায়েবে আমীরুল মুজাহিদীন শাইখুল হাদীস আল্লামা মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম দা.বা.।

সভাপতিত্ব করবেন বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার মুহতারাম সিনিয়র সহ-সভাপতি শাইখুল হাদীস আল্লামা আশরাফ আলী দাঃ বাঃ।

উক্ত মাহফিলে আপনারা সকলে আমন্ত্রিত।

বুধবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০১৭

চাঁদপুরে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারী'১৭ মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় চাঁদপুর হাসান আলী হাইস্কুল মাঠে পীর সাহেব চরমোনাইর শুভাগমন উপলক্ষে বিশাল সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে ২৩ জানুয়ারি'১৭ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চাঁদপুর জেলা শাখার উদ্যোগে ও জেলা সভাপতি মাও. নুরুল আমীনের সভাপতিত্বে যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সংগঠনের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা মকবুল হোসাইন, জেলার উপদেষ্টা সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল আজিজ। বক্তব্য রাখেন সহ সভাপতি মাওলানা মুজ্জাম্মিলুল হক, জেলা সেক্রেটারী শেখ মোঃ জয়নাল আবেদীন, জেলা যুব আন্দোলন আহবায়ক কে.এম ইয়াসিন রাশেদসানী, যুগ্ম আহবায়ক হা. মাও. নাসির উদ্দীন, শ্রমিক আন্দোলন জেলা সাধারণ সম্পাদক মুহা. আবুল বাশার, ছাত্র আন্দোলন জেলা সভাপতি মুহা. রিয়াজুর রহমান, মাওলানা নুরুদ্দীন, মাওলানা আতাউল্লাহ মহসিন, আলমগীর দিদার সহ সকল থানা শাখার সভাপতি ও সেক্রেটারিবৃন্দ।

সভায় সমাবেশ সফল করতে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সুন্দরবনকে রক্ষার জন্য রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করতে হবে : পীর সাহেব চরমোনাই

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, দেশের সৌন্দর্য ধ্বংস করে সরকার সুন্দরবন ধ্বংস করতে ভারতকে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র করতে দিচ্ছে। বাঁশখালীতে মানুষ হত্যা করতে চীনকে, রূপপুরে ভয়াবহ দুষণকারী পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র রাশিয়া ও বঙ্গোপসাগরে যুক্তরাষ্ট্রকে এলএনজি টার্মিনাল করতে দিচ্ছে। দেশের প্রাণ-প্রকৃতি ও জীবন ধ্বংস করে কিছু বিদেশী মুনাফাখোরের হাতে আল্লাহ প্রদত্ত দেশের সম্পদ তুলে দিচ্ছে। এসকল দেশবিরোধী চুক্তি বাতিল করতে হবে।

এক বিবৃতিতে পীর সাহেব চরমোনাই গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, জনগণের মতামতের প্রতি বিন্দুমাত্র সম্মানবোধ না দেখিয়ে এবং জনমত উপেক্ষা করে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে সরকারের একগুঁয়েমী মনোভাব দুঃখজনক। তিনি সরকারের উপদেষ্টাদের কানকথা না শোনে দেশের স্বার্থে কাজ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মিত হলে যে ক্ষতি হবে, সেকথা দেশের জনগণসহ অনেকেই প্রধানমন্ত্রীকে বোঝাতে চেয়েছেন।

তিনি বলেন, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ হলে বাংলাদেশ একটি ভয়াবহ রাষ্ট্রে পরিণত হবে। এছাড়া অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে নানা সমস্যা দেখা দেবে। অনেক জীববৈচিত্র্যে ভরপুর সুন্দরবন আমাদের প্রাকৃতিকভাবে রক্ষা করছে। জাতীয় স্বার্থে সুন্দরবনের ক্ষতি দেশের কোনো মানুষ চায় না। এটা কোনো দলীয় বিষয় নয়, জাতীয় স্বার্থে বিবেচনায় এ ধরণের প্রকল্প থেকে সরকারের সরে আসা উচিত। রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রও রামপাল বিদ্যুতের মত ক্ষতিকারক প্রকল্প। কাজেই রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্র স্থাপন চুক্তিও বাতিল করতে হবে।

মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০১৭

দলীয় প্রভাবমুক্ত নির্বাচন কমিশন সকল দলের প্রত্যাশা : পীর সাহেব চরমোনাই

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই) দলীয় প্রভাবমুক্ত নির্দলীয় ও আল্লাহভীরু লোক দিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠেনের দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ৫ জানুয়ারির মত কোন নির্বাচন জাতি দেখতে চায় না। এজন্য অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের স্বার্থে নিবন্ধিত দলগুলোর সাথে সংলাপের প্রস্তাবনার আলোকে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে।

মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠন এবং পেশী শক্তি, কালো টাকা, দলীয় প্রভাবমুক্ত ও স্বচ্ছ নির্বাচন পদ্ধতির নিমিত্তে একটি আইনি কাঠামো প্রণয়নও করতে হবে। গতানুগতিক এবং অতীতের নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি যেন না হয়, সেজন্য রাষ্ট্রপতিকে জোরহস্তে পদক্ষেপ নিতে হবে।

সোমবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০১৭

সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে গ্রীস দেবীর মূর্তি অবিলম্বে অপসারণ করতে হবে : অধ্যাপক এটিএম হেমায়েত উদ্দিন

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক এটিএম হেমায়েত উদ্দিন দেশের সর্বোচ্চ আদালত প্রাঙ্গণে স্থাপিত গ্রীস দেবীর মূর্তি অবিলম্বে অপসারণের দাবি জানিয়ে বলেছেন, দেশের ৯২ ভাগ মুসলমানের চিন্তাচেতনা বিরোধী গ্রীস মূর্তি স্থাপন করে নতুন করে জটিলতা সৃষ্টি করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, মুসলিম বিরোধী চিন্তা চেতনা অনুযায়ী গ্রীস দেবীর মূর্তির স্থাপন করে দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য একটি মহল উঠেপড়ে লেগেছে। তিনি বলেন, যুগে যুগে নবী ও রাসূল এসেছেন মূর্তিকে ভেঙ্গে দিয়ে মানুষকে শিরকমুক্ত করার জন্য। বাংলাদেশের ইতিহাসে অতীতেও সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে কোন মূর্তি ছিল না। হঠাৎ করে কে বা কারা দেশকে অকার্যকর করার জন্য মূর্তি স্থাপন করলো তা খুঁজে বের করতে হবে এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশে এধরণের মূর্তি স্থাপন করার অর্থই হলো গায়েপড়ে ঝগড়া সৃষ্টি করে ঘোলাপানিতে মাছ শিকার করা। অবিলম্বে এই মূর্তি সরাতে হবে। অন্যথায় সর্বত্র আন্দোলন গড়ে উঠলে সরকারের আখের রক্ষা হবে না।

২২ জানুয়ারি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পুরানা পল্টনস্থ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় তিনি একথা বলেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম মহাসচিব- মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রকৌশলী আশরাফুল আলম, নগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, সহ-প্রচার সম্পাদক মাওলানা নেছার উদ্দিন, মাওলানা আতাউর রহমান আরেফী, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী প্রমুখ।

ক্ষমতা নয় আমাদের লক্ষ্য ইসলাম প্রতিষ্ঠা : পীর সাহেব চরমোনাই

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই) বলেছেন, ক্ষমতা নয়, আমাদের লক্ষ্য ইসলাম প্রতিষ্ঠা। তিনি উলামায়ে কেরামকে ইসলাম প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বর্তমান শাসন ব্যবস্থা আইয়্যামে জাহেলিয়াতকেও হার মানিয়েছে। ঈমান-আমল নিয়ে বেচে থাকাই কঠিন হয়ে পড়েছে। ৯২ শতাংশ মুসলমানের দেশের সংবিধানে আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস থাকবে না তা হতে পারে না। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের দেশে নেতানেত্রীদের নামে কটুক্তি করলে বিচার হয়। আর আমাদের প্রাণের চেয়ে প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সা.-এর বিরুদ্ধে কটুক্তি করলে, ইসলাম ও কুরআন নিয়ে কটুক্তি করলে বিচার হয় না বা বিচারের আইন নেই এর লজ্জাজনক অবস্থা মুসলমানদের জন্য আর কি হতে পারে?

পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, সরকার ঘুষ ও দুর্নীতিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে। সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের বক্তব্যে তা ক্রমেই ফুটে উঠেছে। অপরদিকে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের তাণ্ডবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো যেনো মিনি ক্যান্টমেন্টে পরিণত হয়েছে। সরকার দলীয় সোনার ছেলেদের লেখাপড়ার প্রয়োজন নেই। এখন তারা টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজিতে ব্যস্ত।

তিনি বলেন, ইসলামী শক্তিগুলো শতধা বিভক্তির কারণে এবং তাগুতি শক্তির ক্রীড়নকের কারণে তাগুতি ও আল্লাহদ্রোহী শক্তিগুলো আমাদের মাথার উপরে জেঁকে বসেছে। নীতি ও আদর্শ জলাঞ্জলী দিয়ে অনেকে ইসলামের বিজয় করতে চান। তাগুতের সাথে সংমিশ্রণ করে এবং নারী নেতৃত্বের দ্বারা ইসলাম বিজয়ের ইতিহাস নেই। দেশের যে দূরাবস্থা চলছে তাতে উলামায়ে কেরামগণকে নীতি ও আদর্শের প্রশ্নে আপোসহীন থাকতে হবে। প্রচলিত আদর্শ বিবর্জিত রাজনীতির করালগ্রাস থেকে ফিরে এসে আদর্শ রাজনীতি প্রবর্তন এবং রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তনে হযরত উলামায়ে কেরামকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ও নির্দেশনা দিতে হবে।

রবিবার, ২২ জানুয়ারী, ২০১৭

মূর্তি অপসারণের দাবিতে মিছিল করতে না দেয়ায় ইসলামী আন্দোলনের নিন্দা

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম ও উত্তর সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে গ্রিক দেবীর মূর্তি অপসারণ এবং শিক্ষানীতি নিয়ে নাস্তিক্যবাদী চক্রান্তের প্রতিবাদে নিয়মতান্ত্রিকভাবে বিক্ষোভ মিছিল করার জন্য ডিএমপি কমিশনারের কাছে দরখাস্ত করার পরও অনুমতি না দিয়ে সরকার নাগরিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

গতকাল এক বিবৃতিতে তারা এ কথা বলেন। তারা আরো বলেন, পুলিশ জানিয়েছে মিছিল করার অনুমতি দেয়ার অধিকার তাদের নেই। এভাবে মূর্তির বিরুদ্ধে মিছিল করতে না দিয়ে সরকার ৯২ ভাগ মুসলমানকে পৌত্তলিকতার দিকে নিয়ে যেতে চায়। নেতৃদ্বয় বলেন, ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণসহ মোড়ে মোড়ে স্থাপিত সব মূর্তি ভেঙে দিতে হবে। মূর্তি বাংলাদেশ ও মুসলমানের সংস্কৃতি নয়। এটা ভারতের সংস্কৃতি। ইসলাম এসেছে মূর্তিকে ভেঙে দিয়ে একত্ববাদ প্রতিষ্ঠার জন্য। কাজেই মুসলমানদের চিন্তাচেতনা বিনাশী মূর্তির সংস্কৃতি থেকে সরকারকে বের হয়ে আসতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের ইতিহাসে মূর্তি নেই এবং সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে অতীতে কোনো মূর্তি ছিল না। কিন্তু হঠাৎ করে কিভাবে এবং কারা এই গ্রীক মূর্তি স্থাপন করে বাংলাদেশে নতুন করে সাম্প্রদায়িক হাঙ্গামা লাগাতে চায় তাদের খুঁজে বের করতে হবে এবং কঠোর শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে। অন্যথায় সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে উঠবে।

শনিবার, ২১ জানুয়ারী, ২০১৭

জেলা জোন ভিত্তিক আএইবি’র প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

মনির হোসাইন, কুমিল্লা প্রতিনিধি : অাজ শনিবার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কুমিল্লা (পূর্ব) জেলা শাখার ব্যাবস্খাপনায় জেলা সভাপতি মাওঃ মোঃ তৈয়ব সাহেবের সভাপতিত্বে জেলার জোন ভিত্তিক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশগ্রহণ করেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কুমিল্লা পূর্ব, পশ্চিম, মহানগর, শহীদবাড়িয়া [বি,বাড়িয়া] এবং চাঁদপুর জেলা শাখার দায়িত্বশীলগণ। সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এই পাঁচটি শাখার দায়িত্বশিলদের নিয়ে জোন ভিত্তিক তারবিয়ত অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত কর্মশালায় বিভাগ ওয়ারি দায়িত্বশিলদের প্রতিবেদন নেয়া হয় এবং পর্যালোচনা করা হয়। এছাড়াও কুরআন, হাদিস অধ্যয়নের প্রতি গুরুত্বরোপ করে বলা হয় নিজেদের যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করতে হলে কুরআন হাদিস অধ্যয়নের বিকল্প নেই। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলে, ইসলামী অান্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সহকারী-মহাসচিব আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম। অারো ছিলেন, জোন জিম্মাদার আলহাজ সেলিম মাহমূদ, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য ইসলামী অান্দোলন বাংলাদেশ এবং জোন ভিত্তিক জেলা নেতৃবৃন্দ।

Save

Save

সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণসহ সারা দেশের মূর্তি অপসারণ করতে হবে : ইসলামী আন্দোলন ঢাকা মহনগর

সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে গ্রীক দেবী মূর্তি স্থাপন এদেশের ৯২ ভাগ মুসলমানের আক্বিদা বিশ্বাস পরিপন্থী। তাই এদেশের তাওহিদী জনতা এটা আদৌ মেনে নিতে পারে না। মূর্তি স্থাপন, বিতর্কিত শিক্ষানীতিসহ ইসলামবিরোধী বিভিন্ন কার্যকলাপে মনে হচ্ছে সরকার বিশেষ এজেন্ডা বাস্তবায়নের মাধ্যমে এদেশকে ইসলাম ও মুসলমান শূন্য করার মিশনে নেমেছে। এদেশের মুসলমানদের বুকের এক বিন্দু রক্ত থাকতে তাদের মনোবাসনা বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবে না। জীবন বাজী রেখে হলেও ঈমানদার মুসলিম জনতা তা প্রতিহত করবেই। যারা ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপনের চক্রান্তে লিপ্ত, তারা মূলত দেশকে অস্থিতিশীল করে দেশকে ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে নিয়ে যেতে চায়। কারণ মূর্তি স্থাপনের মাধ্যমে সরকার ও দেশ আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত হবে। আর যারা আল্লাহর অনুগ্রহ থেকে দূরে সরে যায়, তারা টিকে থাকতে পারে না। ইতিহাস তাই প্রমাণ করে। ইতিপূর্বে বিভিন্ন দেশে যে সব শাসক মূর্তি স্থাপন করেছেন তাদের পরিণতি হয়েছে বড়ই ভয়াবহ। তাই এদেশের কোটি কোটি মানুষের ঈমানের দাবী দেশের স্বার্থে সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণসহ সারা দেশ থেকে মূর্তি অপসারণ করে সরকার শুভ বুদ্ধির পরিচয় দেবে। তা না হলে এদেশের তাওহিদী জনতা রাজপথে নেমে আসবে এবং মূর্তি অপসারণ করেই ঘরে ফিরবে।

আজ ২১ জানুয়ারী’১৭ শনিবার পল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে সকাল দশটা থেকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তর নেতৃবৃন্দ ও থানা দায়িত্বশীলদের ত্রৈমাসিক যৌথ অনুষ্ঠানে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।

নগর উত্তরের সভাপতি অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সহ সভাপতি আলহাজ আনোয়ার হোসেন, সেক্রেটারী মোহাম্মাদ মোশাররফ হোসেন, জয়েন্ট সেক্রেটারী সাবেক ছাত্র নেতা মোঃ আরিফুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল ইসলাম নাঈম, প্রচার সম্পাদক মুফতী জহির ইবনে মুসলিম, সহ প্রচার সম্পাদক মুফতী মাছউদুর রহমান, দফতর সম্পাদক প্রকৌশলী  গিয়াস উদ্দিন, অর্থ সম্পাদক নাজমুল হক, প্রশিক্ষণ সম্পাদক, হাফেজ মাওলানা শফিুকল ইসলাম, সহ প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা মাহমুদুল হাসান, ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক মুফতী ফরিদুল ইসলাম,  ডা, মুজিবুর রহমান, আলহাজ্ব ফরিদ উদ্দিন দেওয়ান, আলহাজ্ব মোঃ আলাউদ্দিন, মাওলানা  জাকারিয়া প্রমুখ।



নেতৃবৃন্দ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মিয়ানমারে মুসলমানদের উপর চলছে অবর্ণনীয় নির্মম নির্যাতন। তাই এব্যাপারে সরকারকে আরো কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে, এটা দেশবাসীর প্রাণের দাবী। বিতর্কিত শিক্ষানীতি এখনো বাতিল করা হয়নি। এ শিক্ষানীতির মাধ্যমে আদৌ আদর্শ ও সুনাগরিক গড়ে উঠতে পারে না। এতেকরে ক্রমে এদেশ মুসলিম শূন্য হবে। তৈরী হবে দেশ ও মুসলিম বিদ্বেষী নবপ্রজন্ম, যা কখনো আমরা মেনে নিতে পারি না। তাই বিতর্কিত শিক্ষানীতি বাতিল করে আদর্শ শিক্ষা সিলেবাস প্রণয়ন করতে হবে।

শুক্রবার, ২০ জানুয়ারী, ২০১৭

মূর্তি অপসারণ না করলে ওলামায় কেরাম ও তাওহিদী জনতাকে নিয়ে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে : পীর সাহেব চরমোনাই

পীর সাহেব চরমোনাই দেশের সর্বেচ্চ আদালত সুপ্রীম কোর্ট প্রাঙ্গনে গ্রীস দেবীর ভাস্কর্য স্থাপনের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, ইসলাম বিরোধী এ সিদ্ধান্ত থেকে সরকার সরে না আসলে ওলামায়েকেরাম ও তাওহিদী জনতাকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। গতকাল শুক্রবার জামিয়া রশিদীয়া গোয়ালখালী মাদ্রাসা ময়দানে ইসলামী আন্দোলনের ওলামা ও সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, ক্বওমী মাদ্রাসার স্বীকৃতির দাবিতে এদেশের সকল ওলামায়েকেরাম এখন এক বিন্দুতে ঐক্যবদ্ধ। স্বীকৃতি নিয়ে যদি সরকার তালবাহানা বা নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেন তাহলে কঠিন আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। পাঠ্য পুস্তকের সংশোধন করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে চরমোনাই পীর বলেন, আন্দোলনের মুখে সরকার সিলেবাস সংশোধন করতে বাধ্য হয়েছে। তবে ধর্ম বিরোধী শিক্ষা আইন ও শিক্ষা নীতিমালা এখনও বাতিল করা হয়নি পীর সাহেব চরমোনাই প্রধানমন্ত্রীকে বলেন অবিলম্বে বিতর্কিত শিক্ষা আইন ও শিক্ষা নীতিমালা বাতিল করুন। নাস্তিক মুরতাদরা পাঠ্যপুস্তক সিলেবাসে কোন পরিবর্তনের চেষ্টা করলে দেশের ৯২ ভাগ মুসলমানদের সঙ্গে নিয়ে তার দাঁত ভাঙা জবাব দেয়া হবে। মানবতার দিক বিবেচনা করে মিয়ানমারে নির্যাতিত মুসলমানদের বাংলাদেশে প্রবেশের সুযোগ করে দিতে এবং সেদেশের সরকারের বিরুদ্ধে জাতীয় সংসদে বিল উত্থাপনের জন্য চরমোনাই পীর বাংলাদেশ সরকারের প্রতি দাবি জানান।

ইসলামী আন্দোলন মহানগর ও জেলা শাখা আয়োজিত ওলামা ও সুধী সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন দলের নগর সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা মুজ্জাম্মিল হক। নগর সেক্রেটারী মুফতি আমানুল্লাহ ও জেলা সেক্রেটারী শেখ হাসান ওবায়দুল করীমের পরিচালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর আলহাজ্ব হাফেজ মাওলানা আব্দুল আওয়াল ও যুগ্ম-মহাসচিব অধ্যপক মাহাবুবুর রহমান। এতে উপস্থিত ছিলেন শেখ মোঃ নাসির উদ্দিন, মোঃ মুসা লস্কর, জিএম সজিব মোল্লা, মোঃ তরিকুল ইসলাম কাবির, জিএম কিবরিয়া, আব্বাস আমিন, মুফতি রবিউল ইসলাম রাফে, মুফতি মাহাবুবুর রহমান, মাওলানা আঃ রশীদ, মুফতি গোলামুর রহমান, মাওঃ সিরাজুল ইসলাম, মুফতি ইলিয়াস জাহানাবাদি, মুফতি আরিফ বিল্লাহ, মুফতি নাজমুস সায়াদাত, মাওলানা ওসমান গনী, মুফতি মোস্তফা কামাল কাসেমী, মাওলানা আঃ আজিজ, মাওলানা কারামত আলী, মাওলানা আঃ মান্নান, মুফতি আঃ আজিজ, মুফতি ওয়াদুদ আলী, মাওঃ আবুল হাসান, শ্রমিক নেতা আবুল কালাম আজাদ, ছাত্রনেতা কে এম আব্বাস আলী, মোঃ আমিরুল ইসলাম, এসকে নাজমুল হাসান, মুহাম্মাদ ইসহাক ফরিদী, মোঃ আব্দুল্লাহ আল-নোমান ও এসএম শাহীন হোসেন প্রমুখ।

সরকার শ্রমিকের শিক্ষা, চিকিৎসা, বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে ব্যর্থ হয়েছে : পীর সাহেব চরমোনাই

আইএবি নিউজ: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর আমীর আলহাজ্ব মাওলানা মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই) বলেছেন, শ্রমিকরা আজ তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে অর্ধাহারে-অনাহারে জীবন যাপন করছে। সরকার তাদের শিক্ষা, চিকিৎসা, বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। আজ শ্রমিকরা মজুরী, বোনাসসহ ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত। একই সঙ্গে দ্রব্য মূল্যের উর্ধ্বগতির কারণে শ্রমিকরা আজ দিশেহারা। তাই অনতিবিলম্বে শ্রমিকদের মজুরী কমিশন ঘোষণা করার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।

বন্ধ মিল কলকারখানা চালু, রুগ্ন শিল্পকে সচল, সকল সেক্টরের শ্রমিকদের মজুরী কমিশন ঘোষণা ও বাস্তবায়ন, ২০ শতাংশ মহার্ঘভাতার এরিয়া প্রদান, পাট শিল্প কলকারখানার পিস রেট শ্রমিক, ও ব্যাটারী চালিত ইজিবাইক শ্রমিকসহ সকল সেক্টরের শ্রমিকদের সমস্যার সমাধান এবং ইসলামী শ্রমনীতি বাস্তবায়নের লক্ষে গতকাল জুম্মাবাদ ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন জেলা উত্তর ও দক্ষিণ শাখার উদ্যোগে শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের জেলা দক্ষিণের সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ জাহিদুল ইসলাম এবং পরিচালনা করেন জেলা উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সোহরাব হোসেন ও দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর আলহাজ্ব হাফেজ মাওলানা আব্দুল আউওয়াল। প্রধান বক্তা ছিলেন ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোঃ আশরাফ আলী আকন। সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন মোঃ আবু তাহের, মোঃ খলিলুর রহমান, ডাঃ কেএম আল আমীন এহসান, অধ্যক্ষ মুজ্জাম্মিল হক, মাওলানা আব্দুল্লাহ ইমরান, ইঞ্জিনিয়ার রজব আলী, মুফতি মাহাবুবুর রহমান, শেখ জামিল আহম্মেদ, শেখ মোঃ নাসির উদ্দিন, মুসা লস্কর, মুফতি আমানউল্লাহ, শেখ হাসান ওবায়দুল করিম, গোলাম মোস্তফা সজিব মোল্লা, এস এম আনিসুর রহমান, হাফেজ হুমায়ুন কবির, মাওলানা দ্বীন ইসলাম, মোঃ জাহিদুল ইসলাম, মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন, মোঃ ইমরান হুসাইন, ইঞ্জিনিয়ার এজাজ মনসুর, মোঃ নুরুল হুদা সাজু, মোঃ লুৎফর রহমান নকিব, মোঃ মোশারেফ হোসেন মুসা, মাওলানা মফিদুল ইসলাম, মোঃ আব্দুস সালাম, গাজী মোঃ মুরাদ হোসেন, মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদার, ইমদাদুল হক টুটুল, কেএম রশিদ আহম্মেদ, মোঃ ইব্রাহিম খান, মোঃ খালেক আকন, মোঃ আজাদ, মোঃ নজরুল ইসলাম, গোলাম মোস্তফা মোঃ মাহাবুবুর রহমান, মোঃ আলতাফ হোসেন, সেলিম আকন, গফ্ফার মল্লিক, দেলোয়ার হোসেন, মোঃ আল আমিন, মোঃ ফারুক প্রমুখ

প্রেসক্লাব সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ইশা ছাত্র আন্দোলনের ফুলেল শুভেচ্ছা

আইএবি নিউজ: চাঁদপুর প্রেসক্লাব সভাপতি শরীফ চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক জিএম শাহীনকে ফুলেল শুভেচচ্ছা জানান ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন  চাঁদপুর জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ।

গতকাল সন্ধ্যায় চাঁদপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ফুল দিয়ে তাদেরকে বরণ করে নেয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি মুহাম্মাদ রিয়াজুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মাদ নেছার  উদ্দিন, প্রচার সম্পাদক মোঃ মহসিন হোসেন, অর্থ সম্পাদক মোঃ মহিউদ্দীন মিয়াজী, দফতর সম্পাদক মহসিন ঢালী, তুষারসহ অন্যান নেতৃবৃন্দ।

এ সময় তারা প্রেসক্লাবের নবগঠিত  কমিটির সাথে কুশল বিনিময় করেন।

ইসলামী শ্রমনীতি বাস্তবায়নে পীর সাহেব চরমোনাইর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হোন : ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন

২০ জানুয়ারি শুক্রবার বাদ মাগরিব থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন ঢাকা মহানগর পূর্বের আওতাধীন গেন্ডারিয়া থানা শাখার তারবিয়াত অনুষ্ঠিত হয়। তারবিয়াত অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, শ্রমিকগণ আল্লাহর বন্ধু। নবী করীম স. শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় যে নীতিমালা প্রণয়ন করেছেন তা বাস্তবায়নে পীর সাহেব চরমোনাইর নেতৃত্বে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। দাওয়াতের মাধ্যমে শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ করে ইসলামী শ্রমনীতি বাস্তবায়নে আমাদের কঠিন ভূমিকা পালন করতে হবে। শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় আমাদের সোচ্চার থাকতে হবে। শ্রমিক এবং মালিকদের সম্পর্ক হবে অত্যন্ত নিবিড় ও সৌহার্দপূর্ণ। উন্নয়ন ও উৎপাদনের মাধ্যমে শ্রমিকরাই এ দেশকে সমৃদ্ধশালী করেছে সুতরাং তাদেরকে বাদ দিয়ে তাদেরকে বঞ্চিত রেখে দেশ আগাতে পারে না।

তারবিয়াতে প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন এর কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুফতী মোস্তফা কামাল, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন এর কেন্দ্রীয় সহ সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর পূর্বের সভাপতি আলহাজ্জ মাওলানা আল-আমিন সাইফী এবং কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক এইচ এম ওমর ফারুক।

থানা সভাপতি আলহাজ্জ আব্দুর রহিম এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান জাহিদ এর পরিচালনায় তারবিয়াত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন থানা ও ওয়ার্ড নেতৃবৃন্দ।

সুস্থ ধারার রাজনীতি চর্চাকারী ছাত্ররাই আগামী দিনে দেশকে শক্ত হাতে নেতৃত্ব দিবে : মাওলানা নজির আহমাদ

ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন নোয়াখালী জেলা (উত্তর) শাখার উদ্যোগে আজ ২০ জানুয়ারি বার্ষিক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শাখা সভাপতি মু. সাখাওয়াত উল্লাহর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মু. তাজুল ইসলাম মাসুমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নোয়াখালী জেলা সভাপতি ও আল্লামা শাহ আহমাদ শফি দাঃবাঃ এর খলিফা হাফেয মাওলানা নজির আহমাদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নোয়াখালী জেলা সহ-সভাপতি মাওলানা মাহমুদুর রহমান, ইশা ছাত্র আন্দোলনের সাবেক কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নোয়াখালী জেলা সেক্রেটারি মাওলানা কামাল উদ্দিন, আন্দোলনের জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মাসউদুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নোয়াখালী জেলা শাখার ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক হাফেয মাওলানা কাউসার আহমাদ, ছাত্র আন্দোলনের সাবেক কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আবদুর রহীম, শ্রমিক নেতা ডা. আবদুল্লাহ আল ফারুক সহ ইসলামী আন্দোলনের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা নজির আহমাদ বলেন, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন একটি ব্যতিক্রমধর্মী গতিশীল সংগঠন। এই সংগঠনে যেকোন স্রোতধারা থেকে আসা ছাত্ররা নববী আদর্শে গড়ে উঠে, যা যুগ যুগ ধরে পরীক্ষিত। পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন সেক্টরের জন্য এই সংগঠন তৈরী করছে দেশপ্রেমিক নিষ্ঠাবান সুনাগরিক। গড়ে তুলছে ছাত্রাবস্থা থেকে দেশকে নিয়ে ভাবার মত একদল সৈনিক। যারা সুস্থধারার ছাত্র রাজনীতি করে, মূলত তারাই দেশকে শক্ত হাতে নেতৃত্ব দিতে পারে। জাতির শত্রু মিত্র যাচাই করে দেশকে এগিয়ে নিতে পারে।

 

তিনি ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য আত্মশুদ্ধির ব্যাপারে কোন প্রকার ছাড় না দিতে নেতৃবৃন্দের প্রতি আহবান জানান এবং এ ধরণের মতবিনিময় সভা ছাত্র আন্দোলনকে সঠিকভাবে এগিয়ে যাওয়ার অন্যতম গাইডলাইন হিসেবে উল্লেখ করে আয়োজকদের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

সুপ্রিমকোর্টের ইতিহাসে মূর্তি ছিল না; মসজিদের নগরীকে মূর্তির নগরী বানাতে দেয়া হবে না : মুফতী ফয়জুল করীম

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, বিশ্বব্যাপী রাজধানী ঢাকাকে বলা হয় মসজিদের নগরী হিসেবে চিনে। আজকে মসজিদের নগরীকে মূর্তির নগরী হিসেবে পরিচিত করতে একটি নাস্তিক্যবাদী মহল উঠেপড়ে লেগেছে। বাঙ্গালী জাতিসত্ত্বা ও চেতনাবোধকে ধ্বংস করতে মূর্তিপূজারীরা মরিয়া হয়ে উঠেছে।

তিনি বলেন, আজকে আমরা গভীরভাবে লক্ষ্য করে দেখছি মসজিদের নগরী এই ঢাকাকে সরকারের ভিতরের একটি কুচক্রি মহল মূর্তির নগরী বানাতে মরিয়া হয়ে উঠছে। পাঠ্য বইয়ে হিন্দু ও নাস্তিক্যবাদী বিতর্কিত বিষয় সংযোজনকারী আর এই মূর্তি সংস্কৃতির হোতারা একই সূত্রে গাঁথা। তারাই বার বার একের পর এক ষড়যন্ত্রমূলক কৃর্তি-কলাপ করে জনগণ ও সরকারকে বিভ্রান্ত করছে। সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

মুফতী ফয়জুল করীম বলেন, বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে মূর্তি বা ভাস্কর্য নেই। এটা ৯২ ভাগ মুসলমানেরর চিন্তাচেতনারও পরিপন্থি। দীর্ঘদিন পর্যন্ত সুপ্রিমকোর্টের ইতিহাসে মূর্তি ছিল না, হঠাৎ করে কে বা কারা মূর্তি সংস্কৃতির আমদানি করা হচ্ছে। এভাবে কারা  মুসলমানদেরকে মূর্তি পূজার দিকে নিয়ে যেতে চায়। ইসলামের ইতিহাসে মূর্তি নেই। বরং ইসলাম এসেছে মূর্তি ধ্বংস করতে। কাজেই পৌত্তলিকতার দিকে কারা আমাদেরকে নিয়ে যেতে চায়, ওই চিহ্নিত মহলটিকে খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর কাজলায় মারকাজুত তাকওয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের উদ্যোগে আয়োজিত ইসলামী মহাসম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম একথা বলেন। সম্মেলনে দেশের বরেণ্য উলামায়ে কেরাম বক্তব্য রাখেন।

ইশা ছাত্র আন্দোলন হালিশহর শাখার অায়োজনে এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার্থীদের জন্য দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

আজ শুক্রবার সকাল ৯ টায় চট্টগ্রাম হালিশহর বি-ব্লক বাইতুল করিম কমপ্লেক্সে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন হালিশহর থানা শাখা সভাপতি মোহাম্মদ নাজমুল ইসলামের সভাপতিত্বে ওয়ার্ড ও প্রতিষ্ঠান প্রতিনিধি সম্মেলন এবং এস.এস.সি পরীক্ষার্থী দের জন্য দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

দোয়া মাহফিল প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন সহ সভাপতি মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন। বিষেশ অথিতি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন দ্বীমাসিক নবডাক’র সহকারী সম্পাদক হাবিব বিন আজাদ ও সৃজন কোচিং সেন্টারের পরিচালক সাইফুল ইসলাম রাহাত।

আরো উপস্থিত ছিলেন মাহমুদুল হাসান, ফরহাদ হাসান, আব্দুর রহীম, মাসুদ খাঁন ও শাহাদত হোসেন রশিদী প্রমুখ।

অনুষ্ঠান শেষে পরিক্ষার্থীদের সফলতা কামনায় দোয়া করা হয়। এবং উপস্থিত ছাত্রদেরকে পরিক্ষার প্রয়োজনীয় আসবাব উপহার দেওয়া হয়।

ইসলামী যুব আন্দোলন সিলেট জেলার মাসিক বৈঠক অনুষ্ঠিত

আইএবি নিউজ, সিলেট প্রতিনিধি : ইসলামী যুব আন্দোলন সিলেট জেলা শাখার উদ্যোগে নগরীর বন্দরবাজারস্থ দলীয় কার্যালয়ে মাসিক পরিকল্পনা বৈঠক আজ ২০ জানুয়ারী শুক্রবার বেলা ১০টায় অনুষ্ঠিত হয়।
সদস্য সাংগঠনিক মোঃ আব্দুল্লাহর সভাপতিত্বে ও সদস্য আবুল কাশেমের পরিচালনায় মাসিক পরিকল্পনা বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় আহবায়ক কমিটির সদস্য ডাঃ রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যুগ্ম সদস্য মোঃ সিদ্দিকুর রহমান, সদস্য মাওলানা মতিউর রহমান, মোঃ মনির হোসাইন। সভায় উপস্থিত ছিলেন সদস্য- মোঃ সরওয়ার হোসেন, আব্দুল আজিজ (নওমুসলিম), রুবেল সরদার, ইনামুল ইসলাম স্বপ্ন, মোঃ মনির হোসেন সহ জেলা কমিটির সদস্যবৃন্দ।
সভায় কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সিদ্ধান্তসমূহ হচ্ছে- ইসলামী যুব আন্দোলনের সদস্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে ফরম বিতরণ করা, তারবিয়্যাতী বৈঠক করার পরিকল্পনা, মহানগর কমিটি গঠনের বিষয়ে পরিকল্পনা, থানা ও ওয়ার্ড কমিটি গঠনের বিষয়ে পরিকল্পনা সহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
সভায় জেলা শাখার সদস্য সচিব অসুস্থ রাশেদুল ইসলামের আশু আরোগ্য কামান করে দোয়া করা হয়।

মালয়েশিয়া সফরে গেলেন ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমাদ



ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুহতারাম মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ গতকাল ১৯ জানুয়ারী রাতে ৫ দিনের সফরে মালয়েশিয়া গেছেন।
সেখানে তিনি প্রতিদিন একাধিক সেমিনার, আলোচন সভা, ওয়াজ মাহফিল ও বিশিষ্ট জনদের সাথে একান্ত সাক্ষাতে মিলিত হবেন।
মুহতারাম মহাসচিব আগামী ২৪ জানুয়ারী দেশে প্রত্যাবর্তন করবেন, ইনশাআল্লাহ।

আজ ২০ জানুয়ারী পাহাং প্রদেশে হুজুরের প্রথম মাহফিল। এ উপলক্ষে পাহাং এর প্রবাসী বাংলাদেশীরা ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করে।

বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০১৭

ইসলামী শ্রমনীতি বাস্তবায়ন ছাড়া শ্রমিকদের অধিকার আদায় সম্ভব নয় : ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন

আইএবি নিউজ: আজ ২০ জানুয়ারি'১৭ রোজ শুক্রবার ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন ডেমরা থানার অফিস উদ্বোধন হয়। উদ্বোধনি অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ইসলামী শ্রমনীতি যতদিন বাস্তবায়ন হবে না ততোদিন শ্রমিকদের প্রকৃত অধিকার আদায় সম্ভব নয়।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন এর কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুফতী মোস্তফা কামাল, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন এর কেন্দ্রীয় সহ সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর পূর্বের সভাপতি আলহাজ্জ মাওলানা আল-আমিন সাইফী। থানা সভাপতি আলহাজ্জ আব্দুর রহমান এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মুহা: মোস্তাফিজুর রহমান এর পরিচালনায় উক্ত উদ্বোধনি অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ঢকা মহানগর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহ সভাপতি আলহাজ্জ আলতাফ হোসেন, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন এর কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি মুহা: হারুনুর রশীদ, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক এইচ এম ওমর ফারুকসহ মহানগর ও থানা নেতৃবৃন্দ।

জ্বালানী তেলের মূল্য বৃদ্ধির চক্রান্ত রুখে দাড়ান : ইসলামী আন্দোলন

বিশ্ববাজারে যখন তেলের দাম যখন কমছে সেই সময় বাংলাদেশে জ্বালানী তেলের মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করবে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি আলহাজ্ব মাওলানা ইমতিয়াজ আলম।

বোধবার (১৭জানুয়ারি) ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, জ্বালানী তেলের মূল্য বৃদ্ধির চক্রান্ত দেশবাসী রুখে দাড়াবে। তেলের দাম বাড়ালে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতা হারিয়ে ফেলবে। জনগণের জীবন যাপন আরো কঠিন হয়ে পড়বে। কৃষি ও শিল্প উন্নয়নে বাধাগ্রস্থ হয়ে এর ব্যাপক প্রভাব পড়বে। কাজেই বার বার তেলের দাম বাড়ানোর পরিকল্পনা থেকে সরে আসতে হবে। এধরণের পরিকল্পনা থেকে সরে না আসলে দেশবাসী জীবন বাঁচানোর তাগিদে রাস্তায় নেমে আসলে সরকারের জন্য কল্যাণকর হবে না ।

সেক্রেটারী মাওলানা এবিএম জাকারিয়ার পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, আলহাজ্ব আলতাফ হোসেন, জয়েন্ট সেক্রেটারী আলহাজ্ব আব্দুল আঊয়াল, নগর সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা বাছির উদ্দিন মাহমুদ, আলহাজ্ব ইসমাঈল হোসেন প্রমুখ।

মাওলানা ইমতিয়াজ আলম বলেন, বিশ্ববাজারে যখন তেলের দাম কম সেই মুহুর্তে বাংলাদেশে তেলের দাম বৃদ্ধির চক্রান্ত কোনক্রমেই মেনে নেয়া যায় না।

 

ইশা ছাত্র আন্দোলন চাঁসক শাখার শীতবস্ত্র বিতরণ

আইএবি নিউজ: ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন চাঁদপুর সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ শাখার উদ্যেগে বুধবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় শহরের বিপনীবাগ আই. এ. বি কার্যালয়ে অসহায় শীতার্তের মাঝে শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন চাঁদপুর সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ শাখার সভাপতি মুহাম্মাদ মহসিন হোসেন এর সভাপতিত্বে এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মাদ নেছার উদ্দীনের পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চাঁদপুর জেলা শাখার জয়েন্ট সেক্রেটারি মাওলানা ইয়াসিন রাশেদসানী।

তিনি বলেন, ‘শীতার্তদের কষ্ট লাঘবে গরীবদের সাহায্যে সরকার ও বিত্তশালীদের এগিয়ে আসতে হবে। প্রচন্ড শীতের প্রকোপে অসহায়-দুস্থ ও ঘরহীন ভাসমান মানুষের জীবন আজ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তাদের পাশে দাঁড়ানো সরকারের রাষ্ট্রীয় কর্তব্য ও বিত্তশালীদের ঈমানি, মানবিক ও সামাজিক দায়িত্ব।’

তিনি আরো বলেন, ‘ন্যায় ও ইনসাফপূর্ণ সরকার প্রতিষ্ঠিত থাকলে রাষ্ট্রই শীতার্ত মানুষের ঘরে ঘরে সাহায্য পৌঁছিয়ে দিত। গরীবরা সাহায্যের জন্য মানুষের কাছে হাত পাততে হতো না। তাই আত্ম-মানবতার মুক্তি ও কল্যানে দারিদ্রমুক্ত ইনসাফপূর্ণ সমাজ বিনির্মাণে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি মুহাম্মাদ রিয়াজুর রহমান।

অন্যানের মাঝে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন চাঁদপুর জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক মোঃআবুল বাসার, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সদর উপজেলার সেক্রেটারি মাওলানা মুহাম্মাদ নুরউদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোকতার হোসেন, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন চাঁদপুর সরকারি কলেজ শাখার প্রশিক্ষণ সম্পাদক মোঃ আনোয়ার হোসেন, ছাত্র কল্যান বিষয়ক সম্পাদক মোঃ মনজুর গাজী সহ কলেজ শাখার অন্যান নেতৃবৃন্দ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাঃ নির্মোহ ইতিহাস

দেশে উচ্চশিক্ষা বিস্তারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান অনস্বীকার্য। এ দেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ, ভাষা আন্দোলন প্রভৃতি ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্র, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহণ ছিল স্বতঃস্ফূর্ত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পেছনে আছে এক দশকের দীর্ঘ ইতিহাস; যেখানে ক্রিয়াশীল ছিল একটি চেতনা, একটি অনুপ্রেরণা। নতুন প্রজন্মের সামনে সেই ইতিহাস তুলে ধরার জন্য আলোচ্য নিবন্ধের অবতারণা।

দিন তারিখের হিসাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১৯২১ সালের ১লা জুলাই প্রতিষ্ঠিত হলেও মূলতঃ এর সূত্রপাত হয় ১৯০৬ সালে। স্যার সৈয়দ আহমাদ খানের (১৮১৭-১৮৯৮) মৃত্যুর পর আলীগড় আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় গঠিত ‘মোহামেডান এডুকেশনাল কনফারেন্সে’র ঢাকার শাহবাগে ২৭-৩১শে ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ২০তম অধিবেশনে নবাব স্যার সলিমুল্লাহ, নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, ব্যারিস্টার আফতাব আহমাদ প্রমুখ মুসলিম নেতৃবৃন্দের প্রচেষ্টায় ১৯০৬ সালের ৩০শে ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠা লাভ করে ‘নিখিল ভারত মুসলিম লীগ’। পূর্ববঙ্গের অনগ্রসর মুসলিম জনসমাজ যাতে উচ্চশিক্ষার সুযোগ পায় সে লক্ষ্যে উক্ত সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এ কনফারেন্স থেকে সর্বপ্রথম ঢাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবী উত্থাপন করেন।

ইংরেজ আমলের প্রথম দিকে অভিমানে পিছিয়ে থাকলেও ‘শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড’ এ প্রবাদকে সামনে রেখে বাংলার মুসলমানরা পরে আন্দোলন শুরু করেছিল। তাদের অতীত ইতিহাস ছিল জ্ঞানের আলোয় সমুজ্জ্বল। বিশেষতঃ ইউরোপ যখন অজ্ঞতার অন্ধকারে সমাচ্ছন্ন ছিল, তখন মুসলমানরা সুদূর স্পেনে ইসলামের পতাকা সমুন্নত করেছিল এবং জ্বালিয়ে দিয়েছিল জ্ঞানের দীপশিখা। ফলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল কর্ডোভা ও গ্রানাডার মত জগদ্বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও মুসলমানরা যথেষ্ট ত্যাগ করেছেন ও অসীম ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছেন। ব্রিটিশদের ইচ্ছা থাকলেও বর্ণ-হিন্দুদের বিরোধিতার কারণে পূর্ব বাংলা সকল সুযোগ-সুবিধা হতে বঞ্চিত হতে থাকে। কারণ এ অঞ্চলের জনগণের বেশিরভাগ ছিল মুসলমান। কিন্তু মুসলমানদের ধর্মীয় চেতনার ফলে সকল ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত নস্যাৎ করে দিয়ে স্বীয় দাবী আদায়ে তারা সক্ষম হয়েছিলেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা থেকে শুরু করে যাদের প্রচেষ্টায় এ প্রতিষ্ঠানটি ‘প্রাচ্যের অক্সফোর্ড’ হিসাবে খ্যাতি লাভ করেছিল সে ইতিহাস জাতি আজ ভুলতে বসেছে। বিশেষতঃ এ সময়ে মুসলিম চেতনা কতটুকু ভূমিকা রেখেছিল তা তৎকালীন ইতিহাস থেকে তুলে ধরার চেষ্টা করব। যে কয়জন মুসলিম মনীষী এক্ষেত্রে অনন্য অবদান  রেখেছিলেন তাঁদের মধ্যে নবাব স্যার সলিমুল্লাহ, নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী, শেরে বাংলা এ.কে. ফজলুল হক অন্যতম।

একথা ঐতিহাসিকভাবে সত্য যে, নিতান্ত প্রশাসনিক সুবিধার্থে তৎকালীন দখলদার ইংরেজ সরকার বিশাল বঙ্গদেশ দুইভাগে বিভক্ত করে। তবে এ বিভাগের পিছনে তাদের একটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ক্রিয়াশীল ছিল। আর তা হল ‘ভাগ কর ও শাসন কর’ (Divide and rule policy)। তৎকালীন বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যা নিয়ে গঠিত ‘বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি’ বা বঙ্গপ্রদেশ ছিল এ উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ প্রদেশ। এ প্রদেশের লোকসংখ্যা ছিল সমগ্র উপমহাদেশের এক-তৃতীয়াংশ। একজন মাত্র শাসকের (ছোটলাট) পক্ষে এতবড় প্রদেশ শাসন করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। তাই প্রায় দেড়শ’ বছর পর প্রশাসনিক কাজের সুবিধার্থে ‘বাংলা-বিহার-উড়িষ্যা’ প্রদেশকে দু’ভাগে বিভক্ত করে বাংলার পূর্বাঞ্চল (আজকের বাংলাদেশ)-কে আসামের সাথে যুক্ত হয়ে ঢাকাকে রাজধানী করে ‘পূর্ববঙ্গ ও আসাম’ নামে একটি স্বতন্ত্র প্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গ (বর্ধমান ও প্রেসিডেন্সি বিভাগ)-কে বিহার ও উড়িষ্যার সাথে যুক্ত হয়ে কলকাতাকে রাজধানী করে অপর একটি প্রদেশ- ‘বাংলা প্রদেশ’ গঠন করা হয়। ‘পূর্ববঙ্গ ও আসাম’ প্রদেশের আয়তন ১,০৬,৫০৪ বর্গমাইল, জনসংখ্যা প্রায় ৩ কোটি ১০ লক্ষ। এর মধ্যে ১ কোটি ৮০ লক্ষ মুসলমান, ১ কোটি ২০ লক্ষ হিন্দু এবং বাকি বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী। [1] অপরদিকে ‘বাংলা প্রদেশ’-এর আয়তন ১,৪১,৫৮০ বর্গমাইল এবং জনসংখ্যা ৫ কোটি ৪০ লক্ষ। এদের মধ্যে ৪ কোটি ২০ লক্ষ হিন্দু, ৯০ লক্ষ মুসলমান এবং বাকি অন্যান্য ধর্মাবলম্বী।[2]

একথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, ‘ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী’ উপমহাদেশে শাসন প্রতিষ্ঠিত করলেও মুসলমানদের ইসলামী চেতনা বিনষ্ট করতে পারেনি। এক সময় ভারত বর্ষের রাজনৈতিক ঐক্য রক্ষার জন্য মিঃ গান্ধী বলেছিলেন, We are first Indian, then we are Hindu or Muslim. ‘আমরা প্রথমে ভারতীয় অতঃপর হিন্দু অথবা মুসলিম’। এর উত্তরে কায়েদে আযম মুহাম্মাদ আলী জিন্নাহ (১৮৭৬-১৯৪৮) দ্বার্থহীনভাবে বলেছিলেন, We are first Muslim, then we are Indian. ‘আমরা প্রথমে মুসলিম অতঃপর ভারতীয়’।

মুসলমানদের মৌলিক চেতনা হলো তাদের আক্বীদার বিপ্লব। নির্ভেজাল আক্বীদা সম্পন্ন মুসলিমকে তার ঈমানী চেতনা থেকে দূরে রাখা বা চেতনা নির্মূল করা আদৌ সম্ভব নয়। এ ব্যাপারে বিরুদ্ধবাদীরা অনেক ভূমিকা পালন করেছে।

বঙ্গভঙ্গের ফলাফল ছিল সুদূর প্রসারী। পূর্ব বাংলার জনগণের কাছে বঙ্গভঙ্গ ছিল অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। পূর্ব বাংলার জনগণ বিশেষ করে মুসলিম জনগোষ্ঠী এটাকে সমর্থনের কারণ ছিল ঢাকা কেন্দ্রিক নতুন প্রদেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনগণের জন্য শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিকাশের ক্ষেত্রে নতুন নতুন সুযোগ  সৃষ্টি হবে। সাথে সাথে বাণিজ্য তথা অর্থনীতি, যোগাযোগসহ সকল ক্ষেত্রে অগ্রগতি সাধিত হবে। সবচেয়ে বেশী প্রাধান্য পেয়েছিল শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রভূত সুযোগ সৃষ্টির সম্ভাবনা।

অবিভক্ত বঙ্গদেশে ১৯০৫ সালে যে ৪৫টি কলেজ ছিল তার ৩০টি ছিল পশ্চিমবঙ্গে। বাকী ১৫টি ছিল পূর্ববঙ্গ ও আসামে। যদিও জনসংখ্যা এখানেই বেশি ছিল। অপরদিকে শুধু কলকাতায় ছিল ১৩টি কলেজ এবং ৭টি মেডিকেল ও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ। এসব বঞ্চিত পরিবেশ থেকে উত্তরণের আকাঙ্ক্ষায় পূর্ববঙ্গের মুসলমানরা বঙ্গভঙ্গকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে গ্রহণ করে।

বঙ্গভঙ্গের ফলে পূর্ব বাংলায় অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির যে সূচনা হয়, কলকাতা কেন্দ্রিক ভদ্র হিন্দু সমাজ তা মেনে নিতে পারেনি। বিশেষ করে শিক্ষা ক্ষেত্রে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন সূচিত হয়েছিল। এক্ষেত্রে এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯০৬ সাল থেকে ১৯১১ সাল পর্যন্ত পূর্ব বাংলা ও আসামের কলেজ পর্যায়ে মুসলিম ছাত্র সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ৬,৯৯,০৫১ জন থেকে ৯,৩৬,৬৫৩ জন হয় এবং শিক্ষা খাতে বাজেট বৃদ্ধি পেয়ে ৪৭,৮১,৮৩৩ টাকা থেকে ৭৩,০৫,২৬০ টাকায় উন্নীত হয়’।[3]

কিন্তু বঙ্গ দেশের অখন্ডতা রক্ষার দাবীতে রবীন্দ্রনাথসহ হিন্দু নেতা, লেখক ও বুদ্ধিজীবীরা বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে প্রবল গণ-আন্দোলন গড়ে তোলেন। যা অতি অল্প সময়ের ব্যবধানে বৃটিশ বিরোধী স্বদেশী আন্দোলনের রূপ পরিগ্রহ করে। [4] ১৯০৫ সালের ১০ই জুলাই বঙ্গভঙ্গ পরিকল্পনা প্রকাশিত হওয়ার দু’দিন পরেই কৃষ্ণকুমার মিত্র সম্পাদিত ‘সঞ্জীবনী’ পত্রিকা ১৯০৫ সালের ১৩ই জুলাই সম্পাদকীয় নিবন্ধে ইংরেজ সরকারের বিরুদ্ধে সামগ্রিক ‘বয়কট’ যুদ্ধ ঘোষণা করা হয়। ‘হিতবাদী’ পত্রিকায় বলা হয়, বিগত ১৫০ বছরের মধ্যে বাঙ্গালী জাতির সম্মুখে এরূপ বিপর্যয় কখনও আসেনি। ‘সন্ধ্যা’ পত্রিকায় বলা হয়, বাঙ্গালী জাতিকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যেই বঙ্গভঙ্গের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।[5] শুধু নেতৃবৃন্দ ও বুদ্ধিজীবীরাই নয়, ব্যবসায়িক স্বার্থ বিপন্ন হবার আশঙ্কায় ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিরা পর্যন্ত এর চরম বিরোধিতা করেন। তারা বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে আন্দোলন অব্যাহত রাখার জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ প্রদান করেন।

সেকারণে শেরে বাংলা একেফজলুল হক (১৮৭৩-১৯৬২) এক সময় বলেছিলেন, Politics of Bengal is in reality economics of Bengal. ‘বাংলার অর্থনীতিই হল বাংলার আসল রাজনীতি’।[6]

১৯০৫ সালের ১৬ই অক্টোবর ‘বঙ্গভঙ্গ’ কার্যকর করার দিন থেকেই কলকাতার হিন্দু নেতৃবৃন্দ এবং কংগ্রেস সদস্যরা ‘স্বদেশী আন্দোলন’-এর নামে ‘বঙ্গভঙ্গ রদ’ আন্দোলন শুরু করেন এবং দুর্বার গতিতে ঝাঁপিয়ে পড়েন।[7]

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, রজনী কান্ত সেন, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়, হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় প্রভৃতি রচিত স্বদেশী গান বাংলার আকাশ-বাতাস মুখরিত করে তুলেছিল। এই উদ্দেশ্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি’ গানটি রচনা করেন, যা বর্তমানে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত।[8]

মোটকথা বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলন যে প্রবল রূপ ধারণ করেছিল এবং যে চরিত্র পরিগ্রহ করেছিল, সে পরিস্থিতিকে উপেক্ষা করা বৃটিশ সরকারের পক্ষে সম্ভব ছিল না। দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাসের ‘অনুশীলন সমিতি’ বঙ্গভঙ্গকে কেন্দ্র করে পুরোপুরি সন্ত্রাসবাদী আন্দোলনে রূপ নেয়।[9] পরিস্থিতির ভয়াবহতা লক্ষ্য করে ইংরেজ সরকার অবশেষে ১৯১১ সালের ১২ই ডিসেম্বর বঙ্গভঙ্গ রদ করার সিদ্ধান্ত নেয়।[10] যা ১৯১২ সালের জানুয়ারী মাস হতে কার্যকর হয়।[11] এর ফলে বঙ্গদেশের অখন্ডতায় বিশ্বাসী জনগণ যেমন আনন্দ-উল্লাসে ফেটে পড়ে, তেমনি বঙ্গভঙ্গের সমর্থনপুষ্ট মুসলিম জনগোষ্ঠী ক্ষোভে ফেটে পড়ে। এমত পরিস্থিতিতে বাঙ্গালী মুসলিমরা যে আশার আলো দেখেছিল তা দপ করে নির্বাপিত হয়ে যায়।

‘বঙ্গভঙ্গ রদ’ হলে মুসলিম নেতৃবৃন্দ চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। ভারতের বর্ণ-হিন্দুদের আন্দোলনে এটি আরও মারাত্মক আকার ধারণ করে। তখন ঢাকার নবাব সলিমুল্লাহ এবং ময়মনসিংহের সৈয়দ নবাব আলী চৌধুরী আগা খানের ‘দাবীপত্রে’ ‘বঙ্গভঙ্গ স্থায়ী’ করার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার জোর প্রচেষ্টা চালানো হয়। কিন্তু আগা খান বিষয়টি গুরুত্ব দেননি, বরং তিনি এর বিরোধিতা করেছিলেন। ‘বঙ্গভঙ্গ রদ’ করার কারণে বাংলার মুসলমান তথা সর্বশ্রেণীর জনগণের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়টি ক্ষুণ্ণ হয়। বিশেষ করে তারা সামাজিক, রাজনৈতিক ও আর্থিকভাবে দারুণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ বিষয়টি গভর্ণর জেনারেল লর্ড কার্জন বুঝলেও আগা খান বুঝতে চাইলেন না। অবশ্য এর পিছনে বর্ণ-হিন্দুদের বিরোধিতাও ছিল মূল কারণ। তাঁরা আগা খাঁর বিরোধিতাকেই বেশী প্রাধান্য দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে প্রণব কুমার চট্টোপাধ্যায় বলেন, এ সম্পর্কে উল্লেখযোগ্য যে, বাঙ্গালী মুসলমান নেতৃবৃন্দ, বিশেষত ঢাকার নবাব সলিমুল্লাহ ও সৈয়দ নবাব আলী চৌধুরী এই দাবীপত্রে বঙ্গভঙ্গের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আগা খাঁর বিরোধিতায় তা সম্ভব হয়নি।[12] একথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, যখন মুসলমান জনগণ তাদের নিজেদের বিষয়ে দাবী উত্থাপন করেছে, তখনই অমুসলিমরা চরম বিরোধিতা করেছে।

বঙ্গভঙ্গ রদ হওয়ার পর পূর্ব বাংলার বিক্ষুব্ধ ও বিমর্ষ মুসলমানদের মধ্যে সৃষ্ট অসন্তোষ প্রশমনের জন্য তৎকালীন বড়লাট লর্ড হার্ডিঞ্জ পূর্ববঙ্গ সফরের কর্মসূচী গ্রহণ করেন। তদনুযায়ী তিনি ১৯১২ সালের ৩১শে জানুয়ারী ঢাকা সফরে আসেন। ঐ দিনই নবাব স্যার সলিমুল্লাহ, নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী ও এ কে ফজলুল হক প্রমুখ মুসলিম নেতাদের একটি প্রতিনিধি দল তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করে ঢাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার অনুরোধ জানান। এই অনুরোধের প্রেক্ষিতে তিনি ঢাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন।[13] উক্ত ঘোষণার পর একই বছর মে মাসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে বিস্তারিত সুপারিশ পেশ করার জন্য ‘নাথান কমিশন’ (১৯১২) নামে একটি কমিশন গঠন করা হয়।[14]

ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্ব হরাস পাবে, চাষা ও যবনরা শিক্ষিত হবে এই আশঙ্কায় পশ্চিমবঙ্গের হিন্দু বুদ্ধিজীবীরা এর চরম বিরোধিতা শুরু করে। রবীন্দ্রনাথসহ সকল বাঙ্গালী হিন্দু নেতা ও বুদ্ধিজীবি ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার চরম বিরোধী ছিলেন। এমনকি পূর্ববঙ্গের হিন্দুরাও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে ছিল। এ লক্ষ্যে জনমত সৃষ্টির জন্য ১৯১২ সালের ১১ই ফেব্রুয়ারী ফরিদপুর ও ময়মনসিংহে, ২৩শে মার্চ দিনাজপুরে, ২৪শে মার্চ রংপুরে, ২৬শে মার্চ রাজশাহীতে, ২৮শে মার্চ কুমিল্লা ও মেদিনীপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিরোধী সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসব জনসভায় সভাপতি ও আলোচক ছিলেন হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ।[15] সবচেয়ে মজার ব্যাপার হ’ল ১৯১২ সালের ২৮শে মার্চ কলকাতার গড়ের মাঠে ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে হিন্দুরা যে প্রতিবাদ সভা ডাকে, সে সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।[16]

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় বিরোধিতার ক্ষেত্রে সবচেয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ভিসি স্যার আশুতোষ মুখার্জী, যিনি ছিলেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাইঝি জামাই। তাঁর নেতৃত্বে তৎকালীন ভাইসরয় লর্ড হার্ডিঞ্জকে ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন না করার জন্য ১৮ বার স্মারকলিপি দিয়ে প্রচন্ড চাপ সৃষ্টি করা হয়।[17] সে সময়ে অনেক হিন্দু কটাক্ষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে বলত ‘মক্কা বিশ্ববিদ্যালয়’। স্যার আশুতোষ মুখার্জীর স্মারকলিপির জবাবে লর্ড হার্ডিঞ্জ দ্বর্থহীন কণ্ঠে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হবেই। কি মূল্যের বিনিময়ে আপনি প্রতিবাদলিপি প্রত্যাহার করতে রাযী আছেন বলুন। তখন স্যার আশুতোষ মুখার্জী কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অতিরিক্ত ৪টি প্রফেসরের পদ সৃষ্টির বদৌলতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা বন্ধ করেন।[18] কিন্তু অন্যান্য মহল তাদের বিরোধিতা অব্যাহত রাখে।

এসব বাধা-বিপত্তির মাঝেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া থেমে থাকেনি। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ এবং তৎপ্রেক্ষিতে বিশ্বব্যাপী সৃষ্ট অর্থনৈতিক মন্দার অজুহাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কাজ বিলম্বিত হয়। অতঃপর ১৯১৭ সালের ২০শে মার্চ সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী ভারতীয় আইনসভায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবী পুনরায় উত্থাপন করেন এবং অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা বিল পাসের দাবী জানান। আইনসভার পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিল-এর খসড়া প্রস্ত্তত রয়েছে, তবে যুদ্ধ সঙ্কটের মধ্যে সরকার এ বিলে হাত দিতে চান না। যুদ্ধ শেষে যথাসময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে। অতঃপর একই বছর ‘কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন’ পূর্বের ‘নাথান কমিশন’ রিপোর্ট অনুমোদন করে। এ রিপোর্টের ভিত্তিতে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ’ পাস হয়। অবশেষে সকল প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে দীর্ঘ নয় বছর পর ১৯২১ সালে বহুল প্রত্যাশিত ও অনেক সংগ্রামের ফসল ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠা লাভ করে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সূচনালগ্নে এর পরিধি কেমন ছিল এবং বর্তমান পরিধি কি রূপ সেটা নিম্নে উল্লেখ করা হল।-

১৯২১ সালের ১লা জুলাই ৬০০ একর জমির উপরে আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। এ সময় ৩টি অনুষদ ও ১২টি বিভাগ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হয়। অনুষদ ৩টি হল কলা, বিজ্ঞান ও আইন। এ অনুষদের অন্তর্গত বিভাগগুলো হল : (১) ইংরেজী (২) সংস্কৃত ও বাংলা (৩) আরবী ও ইসলামিক স্টাডিজ (৪) ফার্সী ও উর্দূ (৫) ইতিহাস (৬) অর্থনীতি ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান (৭) দর্শন (৮) গণিত (৯) পদার্থ বিদ্যা (১০) রসায়ন (১১) আইন এবং (১২) শিক্ষা। এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংখ্যা ছিল সর্বমোট ৬০ জন। এর মধ্যে ২৮ জন ছিলেন কলা অনুষদের, ১৭ জন বিজ্ঞানের এবং ১৫ জন আইনের।[19] ছাত্র-ছাত্রী ছিল ৮৭৭ জন ও আবাসিক হল ছিল ৩টি।

বর্তমানে এর অনুষদ ১৩টি এবং বিভাগ ৭০টি। ইন্সটিটিউট ১১টি, গবেষণা কেন্দ্র ৩৯টি। ক্যাম্পাস ২৩টি। ছাত্র-ছাত্রী ৩৩,৫০০ জন। ছাত্র-ছাত্রীদের থাকার জন্য হল ও হোস্টেল ২১টি। এর মধ্যে ছাত্রদের ১৬টি ও ছাত্রীদের ৫টি। শিক্ষক ১৮০৫ জন। একাডেমিক স্টাফ ১৮১৭ জন এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারী ৩৪০৮ জন। এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে বিশ্বের বিখ্যাত ১০০ নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে তুলনীয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অনেক ত্যাগ, সংগ্রাম ও আন্দোলনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ‘প্রাচ্যের অক্সফোর্ড’ খ্যাত এ বিশ্ববিদ্যালয় আজ বাংলার মুসলমানদের উচ্চশিক্ষার এক অনন্য প্রতিষ্ঠান। এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় নওয়াব স্যার সলিমুল্লাহ, নওয়াব আলী চৌধুরী, শেরে বাংলা এ.কে ফজলুল হক প্রমুখ ব্যক্তিত্বের অবদান সবিশেষ গুরুত্বের দাবীদার। তাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও প্রচেষ্টা না থাকলে হয়তো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হ’তে পারত না। জাতি তাঁদের কৃতিত্বের কথা আজীবন স্মরণ রাখবে। এসব ব্যক্তিত্ব মূল যে প্রেরণা নিয়ে কাজ করেছিলেন তা ছিল তাঁদের মুসলিম চেতনা।

মুসলিম উম্মাহ’র ঐক্য ও ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় আব্দুল হাফিজ মক্কি রহ. এর অবদান অবিস্মরণীয় : অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমাদ

আইএবি নিউজ: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, বিশ্ববরেণ্য আলেমেদীন আল্লামা আব্দুল হাফিজ মক্কীর ইন্তেকালে বিশ্ববাসী একজন অভিভাবককে হারালো। তিনি বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ’র ঐক্যের প্রতিক ছিলেন। সর্বদা ভ্রাতৃত্ব ও সৌহার্দ প্রতিষ্ঠায় তিনি অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করে গেছেন। তাঁর ইন্তেকালে বিশ্ববাসী একজন বিশ্বমুসলিম নেতা, আলেম, শায়খকে হারালো। যার অভাব আজীবন অনুভুত হবে।

আজ বিকেলে পুরানা পল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে আল্লামা শায়খ জাকারিয়া রহ. এর সর্বশেষ খলিফা বিশ্ববরেণ্য আলেমেদীন আল্লামা আব্দুল হাফিজ মক্কীর ইন্তেকালে এক দোয়া মাহফিল পূর্ব আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মাওলানা এটিএম হেমায়েত উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত দোয়া মাহফিলে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, মাওলানা আতাউর রহমান আরেফী, আলহাজ্ব হারুন অর রশিদ, জনাব মোঃ মোশাররফ হোসেন, শ্রমিকনেতা হারুনুর রশিদ, শহিদুল ইসলাম কবিরসহ ছাত্র নেতৃবৃন্দ।

আলোচনা শেষে মরহুম আব্দুল হাফিজ মক্কীর রূহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মুনাজাত পরিচালন করেন প্রধান অতিথি অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ।

বস্তুবাদী সংগঠন ছাত্রজনতাকে ক্ষমতার সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করছে : পীর সাহেব চরমোনাই

আইবি নিউজ: আজ ১৯ জানুয়ারি’১৭ বৃহস্পতিবার ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন খুলনা জেলা শাখার উদ্যোগে জামিয়া রশিদিয়া গোয়ালখালী মাদরাসা ময়দানে খুলনা জেলা উত্তরের সভাপতি এইচ. এম তরিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং মোহাম্মদ ইসাহাক ফরিদি ও নাজমুল হাসান এর পরিচালনায় ছাত্র গণজমায়েত অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত ছাত্র গণজমায়েতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই)। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি নুরুল ইসলাম আল-আমীন।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, অন্যান্য সংগঠনগুলো ছাত্র জনতাকে ক্ষমতার সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করে কিন্তু ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন একমাত্র দেশ, মানবতা ও ইসলামের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।

উক্ত ছাত্র গণজমায়েতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর নায়েবে আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল আউয়াল, প্রেসিডিয়াম সদস্য ডা. মোখতার হোসাইন, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন আলহাজ্ব মাওলানা মুজ্জাম্মিল হক, শেখ নাসির উদ্দিন, মুসা লস্কর, শেখ হাসান ওবায়দুল করিম, মুফতি আমানুল্লাহ, আলহাজ্ব জাহিদুল ইসলাম, জিএম. সজীব মোল্লা, এস.এম তরিকুল ইসলাম কাবির, মুফতি আব্দুর রহমান, আব্দুল্লাহ আল মামুন, যুব নেতা ইমরান হোসেন মিয়া, এবং ছাত্র নেতা কে.এম আব্বাস আলী, এস.এম নুর ইসলাম, শেখ আমিরুল ইসলাম, এম.এ হাসিব গোলদার প্রমুখ।

ইশা ছাত্র অান্দোলন নাঙ্গলকোট উপজেলা শাখায় ইউনিয়ন প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত



অাজ ১৯ জানুয়ারি'১৭ বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র অান্দোলন (কুমিল্লা জেলার) নাঙ্গলকোট উপজেলা শাখার  সভাপতি মোঃ মনির হোসাইনের সভাপতিত্বে ইউনিয়ন দায়িত্বশিলদের নিয়ে "ইউনিয়ন প্রতিনিধি সভা" অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় অংশ গ্রহণ করেন  ইউনিয়নের দায়িত্বশীলবৃন্দ। আলোচনায় উপজেলা এবং প্রতিটি ইউনিয়নের শাখার সাংগঠনিক কার্যক্রম সম্পর্কে পর্যালোচনা হয় এবং অাগামী '২৭ জানুয়ারি' কেন্দ্রীয় সম্মেলনকে সফল করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।



 

 

 

 

 

সভায় অারো উপস্থিত ছিলেন, সহ-সভাপতি মোঃ নুরুন্নবী, সাংগঠনিকসম্পাদক মোঃ অাবু জাফর, অর্থ সম্পাদক হাঃ মোঃ ওবায়দুল্লাহ, প্রচার সম্পাদক মোঃ রবিউল হোসেন, কাওমী মাদ্রাসা বিষয়ক সম্পাদক মোহা. দিদারুল অালম সহ বিভিন্ন ইউনিয়ন দায়িত্বশীল বৃন্দ। ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠার দৃঢ় শপথ নিয়ে আলোচার সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়


Save

বুধবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০১৭

দেশে সুশাসন ফিরিয়ে আনতে যুবকদেরকেই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে : পীর সাহেব চরমোনাই

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই  বলেন, ইসলামের প্রথম যুগে মক্কার কাফিরদের রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করে ইসলামকে বিজয়ী আদর্শ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিল যুবকরা। তাই বাংলাদেশের প্রতিটি স্তরে জেকে বসা জাহেলিয়াত ও দুঃশাসন দূর করে সুদিন ফিরিয়ে আনতে যুব সমাজকেই দায়িত্ব কাধে তুলে নিতে হবে।

বুধবার ১৮ই জানুয়ারি সকাল ১০টায় খুলনা প্রেস ক্লাবে ইসলামী যুব আন্দোলন খুলনা জেলা ও মহানগর দায়িত্বশীলদের পরিচিতি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ইসলামী যুব আন্দোলন খুলনা মহানগর এর আহ্বায়ক মোঃ ইসমাইল হোসেন এর সভাপতিত্বে ও জেলার সদস্য সচিব মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন এর পরিচালনায় পরিচিতি অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামী যুব আন্দোলন এর কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কে এম আতিকুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর নায়েবে আমীর মাও. অধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর এর সভাপতি মাও. অধ্যক্ষ মুজ্জাম্মিল হক, ইসলামী যুব আন্দোলন খুলনা জেলার  আহ্বায়ক মোঃ এজাজ মানসুর, ইসলামী যুব আন্দোলন খুলনা মহানগর এর সদস্য সচিব মোঃ তরিকুল ইসলাম কাবির, ইসলামী যুব আন্দোলন খুলনা জেলার প্রচার সম্পাদক মোঃ জাহিদুল ইসলাম, রূপসা থানার সদস্য সচিব মাও. হারুন অর রশিদ। আরো উপস্থিত ছিলেন শেখ নাসির উদ্দিন, মুফতি আমানুল্লাহ, হাসান ওবায়দুল করিম, শ্রমিকনেতা আবুল কালাম আজাদ, ছাত্র নেতা মোঃ তরিকুল ইসলাম, আব্বাস আলী, মোঃ নুরুল ইসলাম  প্রমুখ।

পীর সাহেব চরমোনাই আরো বলেন, শিক্ষানীতি নিয়ে নাস্তিক্যবাদ গোষ্ঠী নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। এ নিয়ে কোনো ধরনের ষড়যন্ত্রের চেষ্টা করলে তার পরিণাম ভাল হবে না।

বালাগঞ্জে ইসলামী আন্দোলনের যৌথ বৈঠক অনুষ্ঠিত

আজ ১৮ জানুয়ারী রোজ বুধবার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বালাগঞ্জ উপজেলা শাখার উদ্যোগে সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়ে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন বালাগঞ্জ উপজেলা ও ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বালাগঞ্জ উপজেলার নেতৃবৃন্দদের নিয়ে এক যৌথ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

সংগঠনের আহবায়ক মাওলানা এজাজ আহমদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক দিলওয়ার হুসাইনের সঞ্চালনায় দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি বালাগঞ্জ উপজেলা শাখার ছদর মাওলানা মুজাহিদ আহমদ।

বৈঠকে সংগঠনের অগ্রগতি, প্রচার ও সম্প্রসারণের জন্য বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এছাড়া বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি বালাগঞ্জ উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মাওঃ কামাল উদ্দিন, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন বালাগঞ্জ উপজেলা সভাপতি মাহফুজ আহমদ মাহী, সহ-সভাপতি ফাহাদ আহমদ নোমান, সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ কানন আহমদ, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বালাগঞ্জ উপজেলা সভাপতি শাহার আহমদ, সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন প্রমুখ।

পাঠ্যবই বিতর্ক: সাম্প্রদায়িক কারা?

সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যাচ্ছে স্যেকুলাররা একটি শব্দ নিয়ে বেশি মাতামাতি করছে। অার তাহলো "সাম্প্রদায়িক" শব্দ।
তারা বলতে চাচ্ছে পাঠ্যপুস্তুকে নাকি 'সাম্প্রদায়িকতা' প্রতিফলিত হচ্ছে। অাসলে তারা এখানে 'সাম্প্রদায়িকতা' বলতে ইসলাম ধর্মকে বুঝাতে চাচ্ছে।
তারা যে বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক করতে চাচ্ছে তাহলো 'ও'-তে= "ওড়না" বিতর্ক। এটা নাকি একটি সাম্প্রদায়িক শব্দ।
এ বিষয়ে পরেই বিস্তারিত বলতেছি।

এখন অাসুন অামরা "সাম্প্রদায়িক" বলতে কি বুঝি? এবং তারা কিবুঝাতে চাচ্ছে।

দের ভাষাতেই সাম্প্রদায়িক নামে হলো একটি "সম্প্রদায়"। যেমন:-
-মুসলিম সম্প্রদায়।
-হিন্দু সম্প্রদায়।
-বৌদ্ধ সম্প্রদায়।
-খ্রিষ্ট সম্প্রদায়।
অারো অারো যারা অাছে..।

অর্থাৎ, অামি মুসলমান, অামি 'মুসলিম সম্প্রদায়'। অাপনি হিন্দু, অাপনি 'হিন্দু সম্প্রদায় '। অাপনি বৌদ্ধ, অাপনি 'বৌদ্ধ সম্প্রদায় '....।

যে সমস্ত শব্দ বা ভাষা দ্বারা ইসলামকে বুঝানো হয় বা যে সমস্ত ভাষা এবং শব্দের মাধ্যমে ইসলামী ভাবাদর্শ বুঝা যায় তারা সেগুলোকে "ইসলামীক সাম্প্রদায়িক শব্দ" বলে অাখ্যায়িত করছে। তার মানে অামরাও বলতে পারি যে সমস্ত শব্দ বা ভাষা দ্বারা হিন্দু সম্প্রদায়কে বুঝায়, সেগুলোও "হিন্দু সাম্প্রদায়িক শব্দ"।

এখন অাসি তারা পাঠ্যবইয়ের যে বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক করছে সেটি হলো, 'ও' বর্ণে -"ওড়না চাই"। এটাকে তারা বলতেছে "সাম্প্রদায়িক শব্দ"। অর্থাৎ, তারা বলতেছে ছোট ছোট শিশুদের কেন নারী-পুরুষের ভেদাভেদ বুঝাতে হবে "ওড়না" দিয়ে। ওড়না হলো নারীদের পোশাক। এবং তারা অারো বুঝাতে চাচ্ছে এটি নাকি ইসলামের পোশাক।(যদিও 'ওড়না' ইসলামীক পোশাক না, ইসলামী পোশাক হেজাব)
অতএব, এটি একটি "সাম্প্রদায়িকতা"।

এখন অামরা তথাকথিত সেই স্যেকুলারদের কাছেই প্রশ্ন রাখতে চাই তোমরা কি শুধু ঐ বইয়ে 'ও' বর্ণটাই দেখেছো?
ঐ একই বইতে অারো কিছু বর্ণ অাছে যেমন:-

[caption id="attachment_2742" align="alignright" width="297"] পাঠ্যবইয়ের কয়েকটি পৃষ্ঠা তুলে ধরা হলো।[/caption]

'ঋ' তে- "ঋষি ঐ বসে অাছে"।
'এ' তে- "একতারা বাজে"।
'জ' তে- "জল নামে"।
'ত' তে- "তবলা বাজাই"।
'র' তে- "রথ টানি"।
এই শব্দগুলো কোন সম্প্রদায়ের?
এগুলো কি হিন্দু "সাম্প্রদায়িক শব্দ" নয়?
এতগুলো শব্দ যদি হিন্দু "সাম্প্রদায়িক শব্দ" হয়। তাহলে মাত্র একটি 'ও' বর্ণ দিয়ে "ওড়না চাই" শব্দ কেন ইসলামী "সাম্প্রদায়িক" হবে?
যদি সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে বিতর্ক করতেই হয়। তাহলে অাগে হিন্দু সাম্প্রদায়িক শব্দগুলো নিয়েই বিতর্ক করতে হবে। কিন্তু সেদিকে তাদের কোন নজর নেই।

ইসলামপন্থীরা পর্যন্ত এই সকল বিষয়ে কোন আপত্তি তোলেনি। আমরা স্যেকুলারদের সমস্যা তো বুঝতে পারি, স্যেকুলার পোশাকের আড়ালে ইসলাম বিদ্বেষের অনেক পুরোনো অসুখ, এটা সারার নয়। অাসলে তারা সাম্প্রদায়িকতার নামে ইসলামের মূল ধারাকে ব্যাহত করতে চাচ্ছে। যেটা তাদের পক্ষে কখনোই সম্ভব হবে না। অাসলে তারা "সাম্প্রদায়িকতা" বলতে ইসলামীকেই বুঝাতে চাচ্ছে। অামরা অারো দেখি যে, “ বিবিসির আকবর হোসেন লিখেছেন, "পাঠ্য-পুস্তক নিয়ে যে বিতর্ক হচ্ছে তার দু'টো দিক রয়েছে। প্রথমত: বইতে ভুল এবং দ্বিতীয়ত: এমন কিছু ধর্মীয় বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে যেটি শুধু মুসলমানদের জন্যই প্রযোজ্য।" আকবর হোসেন কি একটু জবাব দেবেন, এটা চতুর্থ শ্রেনীর বাংলা বইয়ে অন্নদাশঙ্কর রায়ের ভজনের "নেমন্তন্ন" দেয়া হচ্ছে, যেখানে প্রসাদ খাওয়া হবে। মিলাদের দাওয়াত নয়, যেখানে তবারক বিতরণ করা হবে। ভজন, প্রসাদ ভোজন এগুলো কাদের জন্য প্রযোজ্য?
নাকি হিন্দু অভিজ্ঞতা থেকে যেসব শব্দ বাংলা ভাষায় ঢুকবে সেগুলো স্যেকুলার আর মুসলিম ঐতিহ্য থেকে যেসমস্ত বাক্য বাংলা ভাষায় ঢূকবে সেগুলোকে “সাম্প্রদায়িক” বলতে হবে? ঘৃণা সাজাতে হবে? বলাই বাহুল্য, ইসলামপন্থীরা এই কবিতা নিয়ে আপত্তি তোলেনি। ভেবে দেখুন, এই অখাদ্য ঘৃণাজীবি স্যেকুলারদের চাইতে ইসলামপন্থীরা কতটা উদার। ”
মুনশি দা ভালোই উত্তর দিয়েছেন এখানে ।  উনার পোষ্টটি একটু দীর্ঘ তাই এখানে কপি করলাম না তবে লিংকে গিয়ে পড়ুন সত্যিই অনেক মজা পাবেন । http://goo.gl/tZScFY

এরমকভাবে অারো অনেকগুলো বিষয় অাছে। যেগুলো বিশ্লেষণ করতে গেলে দেখা যাবে "মুসলিম সাম্প্রদায়িকতা" থেকে হিন্দুসহ অন্যান্য "সাম্প্রদায়িকতা" প্রাধান্য পেয়েছে।

এবার একটু বিবেচনা করে বলুন, অাসল সাম্প্রদায়িক কারা? এবং বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি কারা বিনষ্ট করছে? মুসলমানরা যদি সাম্প্রদায়িক গুষ্ঠি হতো তাহলে অন্য কোন সম্প্রদায়ের কোন বিষয় বা লেখাই পাঠ্যপুস্তকে প্রবেশ করতে পারতো না।

তাই স্যেকুলারিষ্টদের বলি বেশি বাড়াবাড়ি করলে কিন্তু অাখের ঘোচানোর সময় পাবে না।
অামাদের একটা গ্রাম্য প্রবাদ অাছে, "বেশি খাইতে গেলে অল্পের লাগ পায়না।"

লেখক : মনির হোসাইন

সাংগঠনিক সম্পাদক

ইশা ছাত্র অান্দোলন, কুমিল্লা জেলা দক্ষিণ।

 

 

 

Save

Save

মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০১৭

মসজিদের নগরীকে মূর্তির নগরী বানাতে দেয়া হবে না : ইসলামী আন্দোলন ঢাকা মহনগর উত্তর

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাকে বলা হয় মসজিদের নগরী। এটাই আমাদের ইতিহাস, এটাই আমাদের ঐতিহ্য। বাঙ্গালী জাতিসত্ত্বা ও চেতনাবোধ তাই। কিন্তু আজকে আমরা গভীরভাবে লক্ষ্য করে দেখছি মসজিদের নগরী এই ঢাকাকে সরকারের ভিতরের একটি কুচক্রি মহল মূর্তির নগরী বানাতে মড়িয়া হয়ে উঠছে। পাঠ্য বইয়ে হিন্দু ও নাস্তিক্যবাদী বিতর্কিত বিষয় সংযোজনকারী আর এই মূর্তী সংস্কৃতির হোতারা একই সূত্রে গাঁথা। তারাই বার বার একের পর এক ষড়যন্ত্রমূলক কৃর্তি-কলাপ করে জনগণ ও সরকারকে বিভ্রান্ত করছে। সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরের উদ্যোগে আগামী ২১ জানুয়ারী’১৭ইং এর বিক্ষোভ মিছিল বাস্তবায়ন উপলক্ষ্যে আজ ১৬ জানুয়ারী’১৭ইং বিকাল চারটায় নগর কার্যালয়ে আয়োজিত যৌথ সভায় নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত কথা বলেন। উত্তরের সভাপতি অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, নগর উত্তর সেক্রেটারী মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, জয়েন্ট সেক্রেটারী সাবেক ছাত্র নেতা আরিফুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান, সহ প্রচার সম্পাদক মুফতী মাছউদুর রহমান, সহ দফতর সম্পাদক প্রকৌশলী গিয়াস উদ্দিন, হাফেজ হানিফ প্রমুখ।

নেতৃবৃৃন্দ আরো বলেন, সরকার গায়ে পড়ে ঝগড়া বাঁধায়। নতুন বছরের শুরুতে একেবারে পায়ে পাঁড়া দিয়ে ঝগড়ায় লিপ্ত হয়েছে। যখন পাঠ্যবইয়ের বিতর্কিত বিষয়গুলো পরিবর্তন করে নতুন বই প্রকাশ করায় দেশে একটি স্থিতিশীল ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে। ঠিক সে সময়ে সুপ্রিমকোর্ট চত্তরে নারীর মূর্তী, রাজধানী ঢাকার মোড়ে মোড়ে ভাস্কর্যের নামে মূর্তী স্থাপন করে দেশকে আবার অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করছে। দেশবাসীকে মূর্তীসংস্কৃতি চর্চার দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। যা দেশীয় সংস্কৃতি ওজাতিসত্ত্বা বোধ বিরোধী। আমরা সুপ্রিমকোর্ট চত্তরের মূর্তীসহ রাজধাণীর মোড়ে মোড়ে স্থাপিত সকল মূর্তী ও ভাস্কর্য অনতিবিলম্ভে অপসারণ করার জোর দাবী জানাই। তা না হলে দেশবাসীকে সাথে নিয়ে দুর্বার গণ আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। জনতার আন্দোলনের তীব্রতায় মূর্তীসংস্কৃতির ধারক-বাহকরা পালাতে বাধ্য হবে। নেতৃদ্বয় বাংলাদেশের সরকার মিয়ানমারের সরকারের সাথে দ্বিপাক্ষিক, কূটনৈতিক আলোচনা করে বাংলাদেশে আগত রোহিঙ্গাদের স্থায়ী সমাধান করার জন্য সরকারের প্রতি উদাত্ত্ব আহবান জানান।

আব্দুল হাফিজ মক্কী রহ. -এর জানাযায় অংশ নিতে সৌদি আরব যাচ্ছেন চরমোনাই পীর সাহেবের প্রতিনিধি

শায়খ জাকারিয়া রহ. এর সর্বশেষ খলিফা, বর্তমান জামানার অন্যতম শ্রেষ্ঠ বুজুর্গ, সৌদি নাগরিক, শায়খ মালিক আব্দুল হাফিজ মক্কী সাহেব রহ.-এর নামাজে জানাযায় শরীক হওয়া ও তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুহতারাম আমীর হযরত পীর সাহেব চরমোনাইর প্রতিনিধি হিসেবে আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য পীর সাহেব চরমোনাই রহ.-এর মেজ সাহেবজাদা প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী সৌদিআরব গমণ করবেন।

গত বছর চরমোনাই বার্ষিক মাহফিলে আব্দুল হাফিজ মক্কী রহ. আগমন করেছিলেন এবং বয়ান রেখেছিলেন।

সোমবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০১৭

ইসলামী যুব আন্দোলন খুলনার পরিচিতি সভা সফলের লক্ষ্যে থানায় প্রস্তুতি সভা

ইসলামী যুব আন্দোলন খুলনা জেলা ও মহানগর এর ১৮ জানুয়ারি প্রেস ক্লাবে পরিচিতি সভা সফলের লক্ষ্যে সোমবার বিভিন্ন থানায় প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত। পরিচিতি সভায় প্রধান অতিথি থাকবেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর আমীর চরমোনাই মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করিম ।

খালিশপুর থানা আহবায়ক মাওলানা নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে থানা কার্যালয়ে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামী যুব নগর যুগ্ম আহবায়ক ইমরান হোসেন মিয়া, বিশেষ অতিথি নগর সদস্য সচিব তরিকুল ইসলাম কাবির, মিরাজ আল সাদি, মেহেদী হাসান মাওলানা হাফিজুর রহমান, হা. শামসুল আলম, আবুল কাশেম, ইঞ্জিনিয়ার শওকাত। সোনাডাঙ্গা থানা আহবায়ক মুহা. আব্দুর রশিদ এর সভাপতিত্বে থানা কার্যালয়ে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামী যুব নগর যুগ্ম আহবায়ক ইমরান হোসেন মিয়া, নগর সদস্য সচিব তরিকুল ইসলাম কাবির। উপস্থিত ছিলেন মাহমুদুল হক তানভীর, মিরাজ আল সাদি, এম .নাজমুল হক, মুফতী আঃ রহমান, আনিসুর রহমান, মাস্টার মইনুদ্দিন ভুইয়া।

দৌলতপুর থানা আহবায়ক মুহা. মফিজ বিন আরিফ এর সভাপতিত্বে অস্থায়ী কার্যালয়ে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামী যুব নগর যুগ্ম আহবায়ক ইমরান হোসেন মিয়া, সদস্য সচিব তরিকুল ইসলাম কাবির, মিরাজ আল সাদি, লুৎফর রহমান, মাহাতাব উদ্দিন, আলফাত লিটন, হাসানুজ্জামান।

খানজাহান আলী থানা আহবায়ক মোঃ আজাদ মোল্লা এর সভাপতিত্বে থানা কার্যালয়ে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামী যুব নগর যুগ্ম আহবায়ক ইমরান হোসেন মিয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন নগর সদস্য সচিব তরিকুল ইসলাম কাবির। উপস্থিত ছিলেন মাস্টার মইনুদ্দিন।

ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সমন্বয়ে পাঠ্য সিলেবাস হতে হবে, নাস্তিক্যবাদী চেতনায় নয় : গাজী আতাউর রহমান

আইএবি নিউজ ডেক্স: বার বার বলা হচ্ছে যে, বাঙ্গালী সংস্কৃতির আলোকে দেশ চলবে। মনে রাখতে হবে, বাঙ্গালীর একক কোন সংস্কৃতি নেই। বাঙ্গালী মুসলিমদের সংস্কৃতি আর বাঙ্গালী হিন্দুদের সংস্কৃতি সম্পূর্ণ আলাদা। কুরবানী করা মুসলিম সংস্কৃতি, আর পুজা করা হিন্দু সংস্কৃতি। কিন্তু বাঙ্গালীর স্বতন্ত্র কোন সংস্কৃতি নেই।

এই জাতির চেতনাও দুটি। একটি ইসলামী চেতনা অন্যটি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। পাঠ্য সিলেবাসও হতে হবে এদুটির সমন্বয়েে। কোন নাস্তিক্যবাদি চেতনার স্থান এদেশে হবে না।

গতকাল ১৫ জানুয়ারী'১৭ বিতর্কিত শিক্ষানীতি, প্রস্তাবিত শিক্ষাআইন ও মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিম নির্যাতন বন্ধে বিশ্ব জনমত গঠনের লক্ষে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বরিশাল বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত বিভাগীয় মহাসমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এতে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ -এর আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই।

মূর্তি অপসারণের দাবিতে ২১ জানুয়ারি বিক্ষোভ মিছিল করবে ইসলামী আন্দোলন

আইএবি নিউজ ডেক্স: সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে মূর্তি অপসারনের দাবিতে ২১ জানুয়ারি বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি আলহাজ্ব মাওলানা ইমতিয়াজ আলম শ্যামপুর থানা শাখার দাওয়াতী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, দেশের সর্বোচ্চ আদালতের সামনে মূর্তি স্থাপনের মাধ্যমে মুসলমানদেরকে মূর্তি পূঁজার দিকে নিয়ে যাওয়ার চক্রান্ত চলছে। মূর্তি ইসলামী সংস্কৃতি বিরোধী আর মূর্তিপূজা ইসলামে হারাম। তিনি বলেন, অবিলম্বে এ মূর্তি অপসারণ না করলে সারা দেশে তৌহিদী জনতা তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলবে। তাই এখনো সময় আছে এই ধরনের ইসলাম বিরোধী কর্মকাণ্ড থেকে সংশ্লিস্ট বিভাগকে সরে আসতে হবে।

তিনি আরো বলেন, আমরা বারবার বলে আসছি মূর্তি বা ভাস্কর্য অমুসলিমদের সংস্কৃতি, কোনো অজুহাতেই এটা মুসলমানদের সংস্কৃতি হতে পারে না। ইসলাম এসেছে মূর্তি বা ভাস্কর্য প্রতিহত করে একত্ববাদ প্রতিষ্ঠার জন্য। কিন্তু মুসলমানের দেশে রাস্তার মোড়ে কিংবা গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ইসলামী চেতনা বিরোধী ভাস্কর্য্যর নামে কোন মূর্তি স্থাপন মেনে নেওয়া হবে না। গ্রীস দেবীর মূর্তির ভাস্কর্য একহাতে তলোয়ার অন্যহাতে পাল্লা দিয়ে ইসলাম বিরোধী যে কর্মকাণ্ডের সূচনা করা হচ্ছে তা কোনভাবেই বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবে না। মুসলমানের বাংলাদেশে কোন ভাবেই তা হতে পারেনা বা পারবে না। দেশের ৯২ ভাগ মুসলমান এর চেতনা বিরোধী এই কর্মকাণ্ড প্রতিহত করার জন্য ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আর ঘরে বসে থাকবে না।

তিনি সংশ্লিস্ট বিভাগকে হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, একথা ভূলে গেলে চলবে না বিমানবন্দরে মূর্তিস্থাপনের চক্রান্ত ঈমানদার জনতা আন্দোলনের মাধ্যমে রুখে দিয়েছিল। সুপ্রিমকোর্ট চত্ত্বরের মূর্তি অপসারণ করতেই হবে। মূর্তি বা ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে দেশবাসী সোচ্চার হয়ে এই অপশক্তিকে রূখে দেবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি সকলকে এবিষয়ে সোচ্চার ভুমিকা পালনের আহবান জানান।

সেভেন স্টার মাকের্ট মিলনায়তনে থানা সভাপতি মাওলানা আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী আলহাজ্ব বেলাল হোসাইন আরিফের পরিচালনায় দাওয়াতী সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন, মুহাম্মদ হুমায়ূন কবির প্রমুখ।

সভায় সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে গ্রীস দেবীর মূর্তি অপসারণের দাবিতে ২১ জানুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাব চত্তরে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলে ঈমানদার তৌহিদী জনতাকে হাজির হবার আহ্বান জানান।

 

 

Save

রবিবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০১৭

বরিশাল বিভাগীয় মহাসমাবেশে লাখো জনতার ঢল: মুসলমানের চিন্তা-চেতনা বিরোধী কোন শিক্ষানীতি দেশবাসী মানবে না -পীর সাহেব চরমোনাই

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, সংশোধিত সিলেবাস ও শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে নাস্তিক্যবাদী গোষ্ঠী নতুনভাবে চক্রান্ত শুরু করেছে। নাস্তিক্যবাদীদের যে কোন চক্রান্ত কঠোরহস্তে দমন করতে হবে। ৯২ ভাগ মুসলমানের চিন্তা চেতনা ভুলুন্ঠিত করে গুটিকয়েক নাস্তিক-মুরতাদদের মনোবাসনা অনুযায়ী শিক্ষানীতি প্রণয়ন করার অপরিণামদর্শি খেলায় মেতে উঠেছে।

পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, হিন্দু ধর্মের ছেলে মেয়েরা হিন্দু ধর্মীয় বিষয়াদী পড়বে, এতে কারো আপত্তি নেই। কিন্তু মুসলমান ছেলে মেয়েদের জন্য হিন্দু ধর্মীয় বিষয়াদী যেভাবে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, তা কোন বিবেকবান মানুষ মেনে নিতে পারে না। বিষয়টি অবশ্যই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও উস্কানীমূলক। এই উস্কানীমূলক জঘন্য কাজ যারা করেছে ক্ষমতাসীনরা তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা না নিলে শুধু সরকারকেই নয়, গোটা জাতিকে এর মাশুল দিতে হবে।

রবিবার (১৫ জানুয়ারি’১৭) বিকেলে বরিশালের পার্কে অনুষ্ঠিত ইসলাম ধর্মবিরোধী শিক্ষাআইন ও শিক্ষানীতি বাতিলের দাবি, সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে স্থাপিত মূর্তি অপসারণের দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বরিশাল জেলা ও মহানগর আয়োজিত বিভাগীয় মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

বরিশাল মহানগর সভাপতি মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মহাসমাবেশে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, রাজনৈতিক উপদেষ্টা অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক এটিএম হেমায়েত উদ্দিন, সহ-প্রচার সম্পাদক মাওলানা নেছার উদ্দীন, দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, মুফতি এছহাক মুহাম্মদ আবুল খায়ের, মুফতি সৈয়দ জিয়াউল করীম প্রমুখ।

পীর সাহেব বলেন, ৮ ভাগ মানুষের জন্য পৃথক সিলেবাস হতে পারে, কিন্তু তাদের চিন্তা চেতনার সিলেবাসে ৯২ ভাগ মুসলমানের সন্তানদের পড়ানোর খায়েশ পুরণ করার চেষ্টা করলে মেনে নেয়া হবে না। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভেতরে নাস্তিক্যবাদী একটি চক্র প্রবেশ করে স্কুলের পাঠ্যপুস্তকে হিন্দুত্ববাদী ও নাস্তিব্যবাদী গল্প কবিতা সংযোজন করেছিল। এদেশের ইসলামপ্রিয় জনতা এর বিরুদ্ধে রাজপথে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলায় এবছরের পাঠ্যপুস্তকে বেশকিছু আপত্তিকর গল্প কবিতা বাদ দেয়া হয়। কিন্তু সম্প্রতি বিভিন্ন বক্তৃতা ও টেলিভিশনের টকশোতে একশ্রেণীর বুদ্ধিজীবী এই পরিবর্তনের বিরুদ্ধে কথা বলছে, এমনকি ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে নানারকম ধর্মীয় উস্কানি দিচ্ছে। তিনি এসব বুদ্ধিজীবীদের সতর্ক করে দিয়ে বলেন, বাংলাদেশে বসে আমেরিকা ও ভারতের চিন্তাচেতনায় যারা কথা বলেন, তাদের এদেশে থাকার প্রয়োজন নেই। তিনি সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, পাঠ্যসূচি পরিবর্তনকে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানরা স্বাগত জানিয়েছে, তাই গুটিকয়েক ব্যক্তির কথা না শুনে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের পক্ষেই থাকুন।

বরিশালের পার্কে লাখো জনতার উপস্থিতিতে পীর সাহেব চরমোনাই এ ঘোষণা দেয়ার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন, ইশা ছাত্র আন্দোলন, ইসলামী যুব আন্দোলন, জাতীয় শিক্ষক ফোরাম, ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ ও ইসলামী আইনজীবী পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, ওলামায়ে কেরাম, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষাবিদ ও সাংবাদিকগণ।

পীর সাহেব বলেন, দেশকে ১৯৪৭- এর পূর্বাবস্থায় নিয়ে যাওয়ার যড়যন্ত্র চলছে। আমরা আজ আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে শংকিত। আমাদের স্বাধীন জাতিসত্ত্বা আজ হুমকির মুখে। আমাদের ধর্ম-বিশ্বাস ও আমাদের স্বকীয় সংস্কৃতি ধ্বংস করার জন্য গভীর চক্রান্ত শুরু হয়েছে। জাতীয় শিক্ষনীতি ২০১০ ও শিক্ষা আইন ২০১৬ সেই ষড়যন্ত্রেরই অবিচ্ছেদ্য অংশ। আমরা এর প্রতিবাদ করেছিলাম। সরকার আমাদের আপত্তি তোয়াক্কা না করে একতরফাভাবে জাতীয় শিক্ষানীতি অনুমোদন করেছে। সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে মূর্তি স্থাপন প্রসঙ্গে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, দেশের ৯২ ভাগ মুসলমানের চিন্তার চেতনার পরিপন্থি গ্রীস দেবীর মূর্তি স্থাপন করে মুসলমানদের মূর্তি পূজার দিকে ধাবিত করতে চায় সরকার। তিনি বলেন, যে কোন ভাস্কর্য সে দেশের সংস্কৃতিকে বুঝিয়ে থাকে। কিন্তু গ্রীস দেবীর ভাস্কর্য কি মুসলমানদের সংস্কৃতি? এটা কোন সম্প্রদায়ের সংস্কৃতি হলেও মুসলমানের এর সথে কোন সম্পর্ক নাই।



তিনি বলেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন রাসূলে কারীম সা.কে দুনিয়ায় পাঠিয়েছেন সত্য দীন তথা ইসলাম দিয়ে, যেন সকল মতাদর্শের উপর বিজয় করার জন্য। যুগে যুগে নবী ও রাসূল এসেছেন মূর্তিকে ভেঙ্গে দেয়ার জন্য। দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে মূর্তি স্থাপন বিরানব্বই ভাগ মুসলমানের চিন্তা-চেতনা পরিপন্থি। অবিলম্বে এ মূর্তি অপসারণ করতে হবে। অন্যথায় ঈমানদার জনতা কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবে।

তিনি বলেন, গ্রীস দেবীর মূর্তির ভাস্কর্য একহাতে তলোয়ার অন্যহাতে পাল্লা। এটা মুসলমানের বাংলাদেশে হতে পারে না। তিনি বলেন, মূর্তি প্রতিস্থাপন করে বিশেষ মহলকে খুশি করার চেষ্টা করা হলেও দেশের ৯২ ভাগ মুসলমান মূর্তির বিরুদ্ধে। এটা অপসারণ না করলে বিমানবন্দরের মতো জনগণ কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবে। তিনি দেশবাসীকে মূর্তি বা ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভুমিকা পালনের দাবি জানান।

সভাপতির বক্তব্যে মুফতী সৈয়দ ফয়জুল করীম বলেন, দেশে আস্তিক ও নাস্তিকের লড়াই শুরু হয়েছে। ইসলাম বিনাশী শিক্ষাআইন, শিক্ষানীতি ও বিতর্কিত সিলেবাস বাতিলে দেশের ঈমানদার জনতা জীবন ও রক্ত দিতে প্রস্তুত আছে। ইসলাম মুসলমানদের ঈমানে আঘাত এসেছে। হিন্দুত্ববাদী ও নাস্তিক্যবাদী শিক্ষানীতি, শিক্ষা আইন ও হিন্দুত্ববাদী সিলেবাস বাতিলের এই আন্দোলন শুধু পীর সাহেবের নয়, সকল মুসলমানের। কাজেই সকলকে আন্দোলনে নামতে হবে। তিনি বলেন, ইসলামের উপর আঘাত শুরু হয়েছে। এই আঘাত প্রতিহত করতে হবে।

তিনি বলেন, কারা তৈরী করেছে এই সিলেবাস? এই সর্বনাশা সিলেবাসতো আওয়ামীলীগেরও চেতনা বিরোধী। আওয়ামীলীগের মুসলমান ভাইয়েরা তাদের সন্তানদেরকে কিছুতেই হিন্দুয়ানী বা নাস্তিক্যবাদী শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলবে বলে আমার বিশ্বাস হয় না।

অধ্যক্ষ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেন, নাস্তিক্যবাদের পৃষ্ঠপোষক শিক্ষামন্ত্রী। তাকে পদত্যাগ করতে হবে। কোন নাস্তিক-মুরতাদের জানাজা এদেশে হবে না।

অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, এই শিক্ষানীতি কোন দেশ প্রেমিক মুসলমান মেনে নিতে পারে না। সরকার এই জঘন্য শিক্ষানীতি বাস্তবায়নে জাতীয় শিক্ষা আইন ২০১৬ পাশ করার উদ্যোগ নিয়েছে। আমরা আজকের এই মহাসমাবেশ থেকে প্রস্তাবিত শিক্ষা আইন প্রত্যাখ্যান করছি। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ জাতি বিধ্বংসী ষড়যন্ত্রের এই শিক্ষাআইন প্রত্যাখ্যান করবে।

অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন বলেন, আমাদের জাতিসত্ত্বা ধ্বংস করে হিন্দুত্ববাদের নিয়ে যাওয়ার অপরিনামদর্শি খেলা বন্ধ করতে হবে।

মহাসমাবেশ বিকেলে হওয়ার কথা থাকলেও জোহরের নামাজের পরই বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে লাখ লাখ জনতার উপচেপড়া ভীড় বরিশাল শহরজুড়ে শুরু হয়। মহাসমাবেশ চলাকালে একের পর এক মিছিল আসতে থাকে। সমাবেশ শেষে জনতা ফেরার পথে মিছিলে মিছিলে পুরো বরিশাল আন্দোলনের শহরে পরিণত হয়। বিতর্কিত শিক্ষা আইন, শিক্ষানীতি ও ধর্মনিনাশী সিলেবাসের বিরুদ্ধে মিছিলে মিছিলে জনতার ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকে।

চরমোনাই তাবলিগবিরোধী নয়; আমরা কাউকে নিরুৎসাহিতও করি না: ফজলে বারী মাসউদ

চরমোনাই ও তাবলিগ। বাংলাদেশে দীনি খেদমতের দুটি বৃহৎ ধারা। কিন্তু অভিযোগ আছে, তারা পরস্পর থেকে বিমুখ। বিশেষত বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত বিশ্ব ইজতেমায়ও অংশগ্রহণ করেন না চরমোনাই তরিকার অনুসারীগণ। কিন্তু এ অভিযোগ কতোটা বাস্তব? আদৌ কী এ অভিযোগের কোনো ভিত্তি আছে? নাকি গালগল্পে তা ছড়িয়ে পড়েছে সমাজে? আর যদি অভিযোগ সত্য হয়, তাহলে তা কেনো? এসব প্রশ্ন নিয়ে আওয়ার ইসলাম মুখোমুখি হয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ঢাকা মহানগর উত্তর-এর সভাপতি ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদের। তার সঙ্গে কথা বলেন আতাউর রহমান খসরু

আওয়ার ইসলাম : চরমোনাই তরিকা ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সম্পর্কে প্রচলিত আছে, তারা তাবলিগবিমুখ। তারা ইজতেমাসহ তাবলিগি অনুষ্ঠান-আয়োজনগুলো এড়িয়ে চলেন। বিষয়টা নিয়ে কিছু বলুন?

ফজলে বারী মাসউদ : বিষয়টি পুরোপুরি অবাস্তব। চরমোনাইয়ের মরহুম পীর হজরত মাওলানা ফজলুল করীম রহ. টঙ্গি বিশ্ব ইজতিমা একাধিকবার গিয়েছেন। তিনি নিজে এবং সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় প্রতিনিধি দল পাঠিয়ে তাবলিগের মুরুব্বিদের কাছে প্রস্তাবনা পাঠিয়েছেন যে, আপনারা চরমোনই মাহফিলে এসে আম বয়ান পেশ করুন আবার আমাদের পক্ষ থেকেও কাউকে আপনাদের ওখানে আলোচনার সুযোগ করে দিন। তাহলে মানুষের মাঝে যে ভুল ধারণা আছে তা থাকবে না। কিন্তু দুঃখজনক বাস্তবতা হলো হজরতের জীবদ্দশায় তাবলিগের মুরুব্বিদের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে নূন্যতম আগ্রহও দেখা যায় নি। তারপরও তিনি নিজে এ ব্যাপারে চরমোনাই তরিকা ও ইসলামী আন্দোলনের অবস্থান স্পষ্ট করে গেছেন।

তিনি বলতেন, চরমোনাই ও তাগলিগ একই গাছের দুই ফুল। উভয় তরিকার সূতিকাগার দারুল উলুম দেওবন্দ। দারুল উলুম দেওবন্দের দুই কৃতি সন্তান হজরত মাওলানা ইলিয়াস কান্ধলভি রহ. ও মুফতি রশিদ আহমদ গাঙ্গুহি রহ. এর হাত ধরে তাবলিগ ও চিশতিয়া সাবেরিয়া তরিকার প্রচলন হয়েছে উপমহাদেশে। তাই আমি প্রচলিত কথাগুলোর সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করি।

আওয়ার ইসলাম : তাহলে তাবলিগি অনুষ্ঠান-আয়োজনে আপনারা অংশগ্রহণ করেন না কেনো?
ফজলে বারী মাসউদ : দাওয়াত ও তাবলিগের প্রচলিত পদ্ধতি ও ইসলামী আন্দোলন দুটিই দীনি খেদমতের স্বকীয় দুটি ধারা। প্রত্যেক ধারাই আপন আঙ্গিকে দীনের খেদমত করে যাচ্ছে। নিজস্ব কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। তাই তারা পরস্পরের অনুষ্ঠান ও আয়োজনে খুব বেশি অংশগ্রহণ করে না বা তার খুব বেশি সুযোগও নেই। অংশগ্রহণের বিষয়টি ইসলামী আন্দোলনের ব্যাপারে যেমন সত্য, তেমনি তাবলিগি ভাইদের ব্যাপারেও সত্য। তারাও তো আমাদের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন না।

মূল বিষয় হলো, আমরা কাউকে তাদের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণে নিরুৎসাহিত করি না; বিরোধিতার তো প্রশ্নই ওঠে না। বরং উৎসাহিত করা হয়। কেবল তবলিগই নয়; বরং সঠিক ধারার ইসলামের সকল কাজে সহযোগিতা করতে হজরত পীর সাহেব হুজুরের এর স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে সংগঠনভূক্ত সকলের প্রতি।

আওয়ার ইসলাম : তাবলিগ সম্পর্কে আপনাদের মৌলিক দৃষ্টিভঙ্গি বা মূল্যায়ন কী?
ফজলে বারী মাসউদ : আমরা মনে করি, দাওয়াত ও তাবলিগ আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাতের অনুসারী একটি দল। দীনের সব শাখায় তারা কাজ না করলেও এ কাফেলার মাধ্যমে ইসলামের মৌলিক কিছু কাজের সাথে মানুষ সম্পৃক্ত হচ্ছে। এটা অবশ্যই ইতিবাচক।

আওয়ার ইসলাম : সাম্প্রতিক সময়ে দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে প্রকাশিত ফতোয়া সম্পর্কে আপনার বা আপনাদের মূল্যায়ন কী?
ফজলে বারী মাসউদ : দীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দারুল উলুম দেওবন্দ মুসলিম উম্মাহর সর্বজন গ্রহণযোগ্য একটি দীনি প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপাল, প্রধান মুফতি, শায়খুল হাদিসসহ বড় বড় ওলামায়ে কিরাম মাওলানা সা’দ সাহেবকে যেসব বিষয়ে সতর্ক করেছেন, সেসব বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করা আবশ্যক বলেই আমরা মনে করি। আল্লাহ না করুন, নতুবা বৃহৎ এই দীনি কাফেলার পথ হারানোর ভয় রয়েছে।

আওয়ার ইসলাম : দাওয়াত ও তাবলিগের ব্যাপারে আজ যে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে তার কারণ কী মনে করেন আপনি?
ফজলে বারী মাসউদ : এখানে একাধিক কারণ থাকতে পারে। যেমন, উলামায়ে কেরামের ব্যাপক অংশগ্রহণের অভাবেই এমনটি হচ্ছে। দাওয়াত ও তাবলিগের কাজের যতোটা বিস্তৃতি ঘটেছে তাতে উলামায়ে কেরামের অংশগ্রহণ ততোটা বাড়ে নি। আবার দীর্ঘকাল একমুখী খেদমত করার কারণেও এই বিতর্কের সৃষ্টি হতে পারে। কারণ মানুষ যখন একটি কাজে ডুবে থাকে, তখন সে পার্শ্বিক চিন্তা-চেতনার শিকার হয়। আল্লাহ ভালো জানেন।

আওয়ার ইসলাম : ইজতেমাকে কীভাবে মূল্যায়ন করেন?
ফজলে বারী মাসউদ : ইজতেমাকে আমি দীনি খেদমতের অংশ মনে করি। এর মাধ্যমে মানুষ দীনি বিষয়ে জানার সুযোগ পান। বহু মানুষ দীনি কাজের জন্য প্রস্তুত হন। যাদের পক্ষে সম্ভব ইজতেমায় অংশগ্রহণ করা উচিৎ।

আওয়ার ইসলাম : আওয়ার ইসলামকে সময় দেয়ায় আপনাকে ধন্যবাদ।
ফজলে বারী মাসউদ : আমাকে কথার সুযোগ দেয়ায় আপনাকে, আওয়ার ইসলাম পরিবার এবং তার সব পাঠককে ধন্যবাদ।

সূত্র : ourislam24.com

ইসলামী রাজনীতির অজানা ইতিহাস (১৯৯১-২০০১)

১৯৯১ সালের নির্বাচনের পূর্ব মুহূর্তে দেশের ইসলামী সংগঠন সমূহের ঐক্যবদ্ধ প্লাটফরম হিসাবে ইসলামী ঐক্যজোটের আবির্ভাব ঘটে। ১৯৯১ এবং ১৯৯৬ এর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইসলামী ঐক্যজোট এককভাবে নির্বাচন করে। ১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগ সরকার গঠন করার পর ইসলামী ঐক্যজোট আওয়ামীলীগ সরকারের ইসলাম বিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোর ভূমিকা অবলম্বন করে। বিভিন্ন ইস্যুতে বিক্ষোভ ও আন্দোলন করে। এক পর্যায়ে তৎকালীন প্রধান বিরোধী দল বিএনপি, জামায়াত, জাতীয় পার্টি ও ইসলামী ঐক্যজোটসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোকে আওয়ামীলীগ সরকারের বিরুদ্ধে যুগপৎ আন্দোলনের প্রস্তাব দেয়। প্রস্তাবের জবাব স্বরূপ ইসলামী ঐক্যজোট ৮টি শর্ত পেশ করে বিএনপিকে জানায় যে, এসকল শর্ত বিএনপি মানলেই কেবল তাদের সাথে যুগপৎ আন্দোলন হতে পারে। শর্ত সমূহ হলঃ

১. সরকার বিরোধী আন্দোলনে জাতীয়ভিত্তিক কর্মসূচী ঘোষণার পূর্বে সকল দল ও জোটের লিয়াজোঁ কমিটির ঐকমত্যের ভিত্তিতে কর্মসূচী নির্ধারণ।

২. ধর্মদ্রোহিতা ও ধর্ম অবমাননার বিরুদ্ধে আইন প্রণয়ন।

৩. জাতীয় সাধারণ নির্বাচনে আন্দোলনরত দলগুলোর মাঝে যৌক্তিক শরীকানার ভিত্তিতে নির্বাচনী সমঝোতা। নাস্তিক, মুরতাদ, অপসংস্কৃতির ধারক ও বাহক বুদ্ধিজীবীদেরকে কোনোভাবে সমর্থন করা যাবে না।

৪. ইসলামী শক্তি তথা ওলামা-মাশায়েখকে স্বাধীনতা বিরোধী মৌলবাদী, রাজাকার বলে বিষোদগার না করা।

৫. আন্দোলনরত কোন দল এককভাবে বা পারস্পরিক সমর্থনের ভিত্তিতে ক্ষমতাসীন হলে, আইন-কানুন, প্রশাসন, শিক্ষা, অর্থনীতি ও সংস্কৃতি ইসলামী জীবন বিধানের আলোকে গড়ে তোলা।

৬. শিখা চিরন্তন বন্ধ করা।

৭. ডঃ কুদরত-ই-খুদা শিক্ষানীতি বাতিল করা।

৮. হযরত মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সর্বশেষ নবী ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবীরূপে অস্বীকারকারী কাদিয়ানী সম্প্রদায়কে অমুসলিম ঘোষণা এবং এনজিওগুলোর অপতৎপরতাসহ ইসলাম বিরোধী কর্মকাণ্ড সম্পর্কে সুস্পষ্ট বক্তব্য প্রদান করা।

এমতাবস্থায় ১৯৯৮ সালের ডিসেম্বর মাসে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় পার্টি এবং ইসলামী ঐক্যজোট এর কয়েকটি শরীকদল ৪ দফার ভিত্তিতে যুগপৎ আন্দোলনের জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়।

যে ৪ দফার ভিত্তিতে যুগপৎ আন্দোলনের জন্য ঐক্য গড়ে ওঠে তা হলঃ-

১. ভোটারদের আইডি কার্ড প্রদান।

২. নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন।

৩. গ্রেফতার কৃত সকল রাজবন্দীর মুক্তি।

৪. প্রধান নির্বাচন কমিশনার আবু হেনার পদত্যাগ।

উল্লেখ্য যে, ১৯৯১ সালে যখন ইসলামী ঐক্যজোট গঠিত হয়, তখন এর সংবিধানে ছিল যে, ইসলামী ঐক্যজোট সকল শরীকের সাথে আলোচনা ও মজলিসে শূরার সিদ্ধান্ত ব্যতীত এককভাবে আন্দোলনের কোন পদক্ষেপ নিতে পারবে না। কিন্তু ১৯৯৮ সালে যুগপৎ আন্দোলনে যোগ দেয়ার পূর্বে ঐক্যজোটের সর্ববৃহৎ শরীকদল ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের সাথে যোগাযোগ ও পরামর্শ এবং মজলিসে শূরার সিদ্ধান্ত ছাড়াই কয়েকটি শরীকদল ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তেই যুগপৎ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে। যুগপৎ আন্দোলনে যোগ দেয়ার পর তারা ইশা আন্দোলন এবং এর আমীর হযরত পীর সাহেব চরমোনাই (রহঃ) কে যুগপৎ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করার জন্য আহ্বান করেন।

পীর সাহেব চরমোনাই (রহঃ) কয়েকটি কারণে তাদের এ আহ্বানে অসম্মতি জ্ঞাপন করেন। কারণ সমূহ হলঃ-

১. ইসলামী ঐক্যজোটের শরীকগণ জোটের নীতি আদর্শ ও মজলিসে শূরার সিদ্ধান্ত ছাড়াই ব্যক্তি বিশেষের ঘোষণায় যুগপৎ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে জোটের নীতি আদর্শ বিরোধী কাজ করেছেন।

২. এ যুগপৎ আন্দোলন মূলতঃ বিএনপি, নেত্রীর অধীনেই পরিচালিত হবে এবং জোটের প্রধান নেত্রী খালেদা জিয়াই থাকবেন। আর নারী নেতৃত্বের অধীনে আন্দোলন করা শরীয়াত সমর্থিত নয়।

৩. এ যুগপৎ আন্দোলনে জামায়াতে ইসলামী রয়েছে, যে দলের ব্যাপারে হকপন্থী ওলামা-মাশায়েখের মতামত হল এটা সহীহ্ ইসলামী দল নয়।

৪. যে চার দফার ভিত্তিতে যুগপৎ আন্দোলনের ঐক্য হয়েছে, এর কোন একটি দফাও ইসলামের পক্ষে নেই। ফলে এ ঐক্য দ্বারা ইসলামের কোন কল্যাণ বা স্বার্থ হাছিল হবে না, বরং চার দফার প্রথম দফাটিই শরীয়াত বিরোধী। কারণ, আইডি কার্ড তৈরির জন্য ছবি বা ফটো তুলতে হবে। আর মহিলা ভোটারদের ফটো বেগানা পুরুষদের দৃষ্টিগোচর হলে তা অবশ্যই শরীয়াত বিরোধী, হারাম।

এ সকল কারণে নীতি আদর্শের প্রতীক হযরত পীর সাহেব চরমোনাই (রহঃ) যুগপৎ আন্দোলনে যোগ দিতে অস্বীকৃতি জানান। কিন্তু, বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও ইসলামী ঐক্য জোটের নেতৃবৃন্দ বারংবার তার সাথে যোগাযোগ করে তাঁকে যুগপৎ আন্দোলনে অংশ গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ জানালে তিনি ৪ দফা পেশ করে বলেন যে, একমাত্র ইসলামী শাসন ব্যবস্থা কায়েম করার লক্ষ্যে এবং ইসলামের স্বার্থেই তিনি যুগপৎ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করতে সম্মত আছেন। ১৯৯৯ সালের ৮ জানুয়ারী হযরত পীর সাহেব চরমোনাই (রহঃ) এক সাংবাদিক সম্মেলনে ঐক্যের তিন দফা ভিত্তি এবং আন্দোলনের ৪ দফা শর্ত পেশ করেন।

ঐক্যের তিন দফা ভিত্তি হলঃ-

১. জনগণ নয়, আল্লাহ্ই সকল ক্ষমতার উৎস,

২. ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠা এবং

৩. খোদাভীরু নেতৃত্ব।

অর্থাৎ, খোদাভীরু পুরুষ নেতৃত্বের অধীনে ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আল্লাহ্কে সকল ক্ষমতার উৎস মেনে নিয়েই জোট গঠন করতে হবে।

আর যুগপৎ আন্দোলনের চার দফা হলঃ-

১. অনৈসলামিক ব্যর্থ সরকারের পদত্যাগ।

২. খোলাফায়ে রাশেদার নমুনায় ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠা।

৩. নারী নেতৃত্বের অবসান ও আল্লাহ্ভীরু নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা।

৪. দ্বীনদার ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠান।

দুঃখজনক হলেও সত্য যে, হযরত পীর সাহেব চরমোনাই (রহঃ) এর দাবী এবং দফাসমূহ যুগপৎ আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের নিকট উপস্থাপন করার পর ইসলামী দলের কোন কোন নেতাও এসকল দফার ভিত্তিতে যুগপৎ আন্দোলন করতে অসম্মতি জানায়। শেষতক পীর সাহেব চরমোনাই (রহঃ) যুগপৎ আন্দোলনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকেন।

ইতোমধ্যে ইসলামী ঐক্যজোট নেতৃবৃন্দ এবং দেশের শীর্ষস্থানীয় ওলামা-মাশায়েখের উপস্থিতিতে লালবাগ মাদ্রাসায় এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত বৈঠকে আল্লামা আজীযুল হক সাহেব, মুফতী আমীনী ও পীর সাহেব চরমোনাই (রহঃ) উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের মূল বিষয় ছিল, ইসলামবিরোধী আওয়ামী লীগ সরকারের উৎখাতে বর্তমান পরিবেশ পরিস্থিতিতে মওদূদী জামায়াতের সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নারী নেতৃত্বের অধীনে যুগপৎ আন্দোলন করা শরীয়াত সম্মত কিনা? বৈঠকে সিদ্ধান্ত হল, এ ব্যাপারে তাঁরা দেশের শীর্ষস্থানীয় মুফতী ও ফক্বীহদের থেকে ফতোয়া চাইবেন। উক্ত বৈঠক থেকে হযরত পীর সাহেব চরমোনাই (রহঃ), শাইখুল হাদীছ আযীযুল হক সাহেব, মুফতী আমীনী, মাওলানা মুহিউদ্দীন খান সাহেব প্রমুখের দস্তখত সম্পন্ন একটি চিঠি বসুন্ধরা ইসলামী রিচার্স সেন্টারের মহাপরিচালক আল্লামা মুফতী আবদুর রহমান সাহেবের নিকট প্রেরণ করা হল। এ চিঠিতে তাকে অনুরোধ করা হয়, তিনি যেন দেশের শীর্ষস্থানীয় মুফতীদের থেকে একটি সম্মেলন আহ্বান করে এ ব্যাপারে ফতোয়া তলব করেন যে, বর্তমান প্রেক্ষাপটে মওদূদী জামায়াতের সাথে নারী নেতৃত্বের অধীনে যুগপৎ আন্দোলন করা বৈধ কিনা? পত্র পেয়ে মুফতী আবদুর রহমান সাহেব দেশের শীর্ষস্থানীয় মুফতীদেরকে ডেকে একটি সম্মেলন আহ্বান করলেন। এ সম্মেলনে মুফতী আবদুর রহমান, মুফতী মীযানুর রহমান, মুফতী মনসূরুল হকসহ দেশবরেণ্য অর্ধশতাধিক মুফতী উপস্থিত হন। এ সম্মেলনে মুফতীগণ দেশের সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনা ও প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে নারী নেতৃত্বের অধীনে মওদূদী জামায়াতের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে যুগপৎ আন্দোলন করা অবৈধ বলে ফতোয়া প্রদান করেন। মুফতীদের ফতোয়া হযরত পীর সাহেব চরমোনাই মেনে নিলেও ইসলামী ঐক্যজোটের অন্যান্য শরীকরা যুগপৎ আন্দোলন অব্যাহত রাখেন।

উল্লেখ্য যে, মুফতীদের ফতোয়া প্রদানের পর ২০০০ সালের প্রথম দিকে ইসলামী রেঁনেসার অগ্রদূত এশিয়া মহাদেশের সর্বজন শ্রদ্ধেয় বুযুর্গ আল্লামা হযরত মাওলানা মুফতী আশেকে এলাহী বুলন্দশহরী মুহাজেরে মাদানী (রহঃ) পবিত্র মদীনা শরীফ থেকে, আল্লামা হযরত মাওলানা আহাম্মদ শফী (দা:বা:)-  মহাপরিচালক হাটহাজারী মাদ্রাসা, আল্লামা মুফতী আবদুর রহমান- মহাপরিচালক, বসুন্ধরা ইসলামিক রিচার্স সেন্টার এবং আল্লামা ওবায়দুল হক সাহেব- খতীব, বাইতুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ প্রমুখ পত্র প্রেরণ করে মওদূদী জামায়াতের সাথে নারী নেতৃত্বের অধীনে যুগপৎ আন্দোলন না করার জন্য ইসলামী ঐক্যজোট নেতৃবৃন্দকে আহ্বান জানান।

মওদূদী জামায়াতের সাথে নারী নেতৃত্বের অধীনে যুগপৎ আন্দোলনে অংশ গ্রহণ না করায় চরমোনাইর পীর সাহেব (রহঃ) কে আল্লামা আহাম্মদ শফী, আল্লামা মুফতী আবদুর রহমান, মুফতী মনসূরুল হক, মুফতী মীযানুর রহমান, আল্লামা হারুন ইসলামাবাদী (রহঃ)- মহাপরিচালক পটিয়া মাদ্রাসা, শাইখুল হাদীছ আল্লামা নুরুল ইসলাম আদীব, আল্লামা মুহাম্মাদ তৈয়েব- মুহতামিম জিরী মাদ্রাসা, আল্লামা হযরত মুহিব্বুল্লাহ- মহাপরিচালক বাবুনগর মাদ্রাসা, আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী, আল্লামা এছহাক গাজী (রহঃ)- পটিয়া মাদ্রাসা, মাওলানা আমজাদ হোসাইন- পীর সাহেব কুশাবাড়ীয়া, মাওলানা আবুল বাশার- পীর সাহেব শাহতলী, মাওলানা ফজলুর রহমান- পীর সাহেব কুমিল্লা, হাটহাজারী মাদ্রাসার প্রখ্যাত মুহাদ্দিছ আল্লামা খালেদ, হাটহাজারী মাদ্রাসার শাইখুল হাদীছ আল্লামা আবদুল আযীয (রহঃ), হাটহাজারী মাদ্রাসার আল্লামা মুফতী আহ্মাদুল হক, আল্লামা নূরুল ইসলাম অলীপুরী, ব্রাহ্মনবাড়িয়ার বড় হুযূর আল্লামা সিরাজুল ইসলাম (রহঃ), হযরত মাওলানা মুফতী হাবীবুর রহমান- ফেনী, মাওলানা গোলাম মোস্তফা খান, মাওলানা নোমান ফয়েজী- মেখল মাদ্রাসা, মুফতী আল্লামা আবদুল গাফ্ফার সাহেব- ভারত, পাকিস্তানের আল্লামা তাকী ওছমানী, করাচীর আরেফ বিল্লাহ শাইখ হাকীম আখতার সাহেব, মসজিদে নববীর ইমাম আল্লামা আবদুর রহমান হোজায়ফীসহ বিশ্ববরেণ্য ওলামা-মাশায়েখগণ হক্বের অনুসারী আখ্যায়িত করে তাঁর ভূয়সী প্রশংসা করেন।

আরো আশ্চর্যের ব্যাপার হল, চারদলীয় জোটে অংশগ্রহণকারী এবং যুগপৎ আন্দোলনের অংশীদার ইসলামী ঐক্যজোট নেতৃবৃন্দ যারা সেদিন আওয়ামীলীগকে ইসলামের বড় শত্রু এবং বিএনপিকে ইসলামের ছোট শত্রু আখ্যা দিয়ে মন্দের ভালো হিসাবে বিএনপি নেত্রীর নেতৃত্বে আন্দোলন করেছেন এবং পীর সাহেব চরমোনাইকে ঐক্য বিরোধী, ভারতের দালাল, আওয়ামী লীগের দালাল বলে গালি দিয়েছেন, বিষোদগার করেছেন, আজ তারাই আবার বিএনপি ক্ষমতা ছাড়ার পর চারদলীয় জোট থেকে বের হয়ে আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনার গুণকীর্তন করছেন। যারা সেদিন পীর সাহেব চরমোনাইর ব্যাপারে বিষোদগার করেছিলেন, তারাই আজ শেখ হাসিনার সাথে ঐক্য গড়ে তুলে বলছেন- আমরা এতদিন আওয়ামী লীগকে ইসলামের দুশমন মনে করতাম, আসলে আমাদের সে ধারণা ভুল ছিল। কারণ, শেখ হাসিনার কার্যালয়ে বাইতুল্লাহ শরীফের ছবি টানানো রয়েছে। তিনি সকালে ঘুম থেকে ওঠে ফজরের নামায আদায় এবং পবিত্র কুরআন মাজীদ তেলাওয়াত করে কাজ কর্মে বের হন। তার ঘরে কুরআন মাজীদ শোভা পাচ্ছে। তার পিতা শেখ মুজিব ইসলামের জন্য অনেক কিছু করেছেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন করেছেন ইত্যাদি।

বড়ই দুঃখ লাগে আকাবিরে দেওবন্দের অনুসারী দাবীদার এসব ওলামা হযরতদের দ্বিমুখী নীতির কারণে। অথচ, হযরত পীর সাহেব চরমোনাই (রহঃ) কখনোই আওয়ামী লীগকে সমর্থন তো দূরের কথা, আওয়ামী লীগকে সমর্থন করাও তিনি কোন মুসলমানের জন্য বৈধ মনে করতেন না। আর এ প্রসঙ্গে জামায়াতীদের ভূমিকা আলোচনা করা অপ্রয়োজন মনে করি। কারণ, হকপন্থী ওলামা-মাশায়েখের মতে জামায়াত কোন সহীহ্ ইসলামী দল নয়। তবে তাদের উচিত ছিল, পীর সাহেব চরমোনাইকে ভারতের দালাল, আওয়ামী লীগের দালাল বলার আগে তাদের অতীত ইতিহাসের দিকে ফিরে তাকানো। কারণ, তারাই তো একদিন কেয়ারটেকার সরকারের ইস্যুতে বিএনপির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে আওয়ামী লীগের সাথে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করেছিল। সেদিন গোলাম আযম, নিজামী, সাঈদীরা শেখ হাসিনার পাশের চেয়ারে বসে চা-চক্র, ইফতার মাহফিল করে আনন্দ ও সুখবোধ করেছিল। শেখ হাসিনাকে তারা সেদিন আমাদের নেত্রী সম্বোধন করেও পুলকিত ছিল। সেদিন তারা কাদের দালাল ছিলেন ?

যাই হোক, পীর সাহেব চরমোনাই মুফতীদের ফতোয়ার ওপরে অটল-অবিচল থাকায় যুগপৎ আন্দোলনে অংশ গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করেন। এরপর চারদলীয় জোটের পক্ষ থেকে হুসেইন মুহাম্মাদ এরশাদ বরিশালে লঞ্চ লংমার্চ উপলক্ষে চরমোনাই দরবারে গিয়ে হুজুরকে অনুরোধ করেন জোটে অন্তর্ভুক্তির ব্যাপারে। কিন্তু, হুজুরের সাফ জবাব, তিনি ইসলামের কোন স্বার্থ ছাড়া চারদলীয় জোটে যাবেন না। ইতোমধ্যে চারদলীয় জোটের আন্দোলন তীব্রতর হয়ে উঠলে এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগ সরকার এরশাদকে গ্রেফতার করে। এরপর ২০০০ সালের শুরুতেই হাইকোর্টের ফতোয়া বিরোধী রায় বাতিলের দাবীতে দেশে ইসলামী শক্তির পক্ষ থেকে কঠোর আন্দোলন শুরু হলে শাইখুল হাদীছ, মুফতী আমীনীসহ শত শত আলিম, নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় আন্দোলনের এক পর্যায়ে বি-বাড়িয়ায় পুলিশের গুলিতে ৯ জন শহীদ হন। দেশের এ নাজুক মুহূর্তে আন্দোলনের নেতৃত্ব প্রদান করেন পীর সাহেব চরমোনাই। তিনি চারদলীয় জোটের অন্তর্ভুক্ত বন্দী ওলামাদের মুক্তির দাবীতে দেশে গণআন্দোলন গড়ে তুলে উদারতার পরিচয় দেন। তীব্র আন্দোলনের মুখে সরকার, শাইখুল হাদীছ, মুফতী আমীনী, মুফতী ইযহারসহ কতিপয় আলিম, নেতা-কর্মীকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। জেল থেকে মুক্তি লাভ করার পর হুসেইন মুহাম্মাদ এরশাদ চারদলীয় জোট থেকে বের হয়ে যান, তবে নাজিউর রহমান মঞ্জুর নেতৃত্বে জাতীয় পার্টির একাংশ জোটে থেকে যায়।

ইতোমধ্যে ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘনিয়ে আসে। নির্বাচনের পূর্ব মুহূর্তে পুনরায় চারদলীয় জোট থেকে নেতৃবৃন্দ পীর সাহেব চরমোনাইর সাথে সাক্ষাত করে তাঁকে জোটবদ্ধ নির্বাচনের জন্য আহ্বান করেন। এ সময় পীর সাহেব (রহঃ) ৮ দফা ঘোষণা করে এ ৮ দফার ভিত্তিতে চারদলের সাথে নির্বাচনী ঐক্য গড়ে তোলার প্রস্তাব দেন।

হযরত পীর সাহেব ঘোষিত ৮ দফা হলঃ-

১. কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোন আইন পাস না করা এবং বিদ্যমান কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী আইন পর্যায়ক্রমে সংশোধন করা, সেই সাথে সাংবিধানিক ভাবে এ গ্যারান্টি ক্লজ থাকা।

২. জাতীয় শরীয়াহ বোর্ড ও বিচার বিভাগে পৃথক শরীয়াহ বেঞ্চ গঠন করা এবং আল্লাহ্-রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও শরীয়াতের বিরুদ্ধে কটুক্তিকারীদের শাস্তির বিধান করা।

৩. আদর্শ ও দেশপ্রেমিক নাগরিক গড়ার লক্ষ্যে শিক্ষার সর্বস্তরে প্রয়োজনীয় দ্বীনী শিক্ষা বাধ্যতামূলক রাখা। নতুন প্রজন্মের নৈতিকতা রক্ষাকল্পে চরিত্র বিধ্বংসী অপসংস্কৃতি বন্ধ করা।

৪. ভিক্ষুকদেরকে সরকারীভাবে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা এবং কর্মক্ষম ভিক্ষুকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা।

৫. মস্তানী-দুর্নীতি একটি জাতীয় গযব। এ গযব থেকে বাঁচার জন্য সন্ত্রাস ও দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়া। এ লক্ষ্যে সন্ত্রাসী ও দুর্নীতিবাজদের আশ্রয়-প্রশ্রয় না দিয়ে তাদের সংশোধনের ব্যবস্থা করা, সংশোধন না হলে তাদের মূলোৎপাটন করা।

৬. বেকারত্ব একটি জাতীয় বোঝা ও অনগ্রসরতার প্রতীক। এ বোঝা থেকে মুক্তি পাওয়ার লক্ষ্যে ব্যাপক শিল্পায়ন ও শিল্পোৎপাদন বৃদ্ধি করে বেকারত্ব দূর করার কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা। কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, সার ঔষধ ও বীজের দাম কমানো এবং গরীব কৃষকদের মাঝে সহজ শর্তে ঋণ প্রদান করা।

৭. নারী সমাজের যথাযথ সম্মান ও অধিকার প্রতিষ্ঠা। সংখ্যালঘুদের সকল ধর্মীয়, নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারের নিশ্চয়তা বিধান। শ্রমিকের ন্যায্য মজুরী ও অধিকারের নিশ্চয়তা, সকল পর্যায়ে সরকারী কর্মচারী-কর্মকতাদের সততা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে সম্মানজনক বেতন-ভাতা, আনুসঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা প্রদান ও পদোন্নতির ব্যবস্থা করা।

৮. দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তা বিধান কল্পে সশস্ত্র বাহিনীকে শক্তিশালী করা।

হযরত পীর সাহেব চরমোনাই (রহঃ) ইসলাম বিরোধী আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করার লক্ষ্যে উক্ত ৮ দফার ভিত্তিতে নির্বাচনী ঐক্য করার জন্য বিএনপি ও চার দলীয় জোটকে আহ্বান করেন। বিএনপির সিনিয়র নেতাদের সাথে পীর সাহেব চরমোনাইর কয়েক দফা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রথমে বিএনপি'র পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা এ মুহূর্তে ৮ দফা বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করতে পারবে না, তবে তারা ক্ষমতায় গেলে এগুলো বাস্তবায়নের চিন্তা ভাবনা করবে। এতে পীর সাহেব হুজুর সম্মত না হওয়ায় তারা হযরত পীর সাহেবকে প্রস্তাব করেন যে, ক্ষমতায় গেলে তার দল থেকে মন্ত্রী বানানো হবে এবং পীর সাহেব হুজুরের নিকট জানতে চায়, তাকে নির্বাচনে কয়টি আসন দিতে হবে। হযরত পীর সাহেব উত্তরে বলেন, আমি মন্ত্রীত্ব এবং সীট চাই না, আমি চাই ইসলাম। তিনি আরো বলেন, আমাদের মূল দাবী ক্ষমতা নয়, আমাদের মূল দাবী হচ্ছে ইসলামের স্বার্থ। আপনারা ক্ষমতায় গেলে ইসলামের দাবীগুলো বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করলে আমরা আপনাদের সাথে নির্বাচনী জোটে অংশ নিতে পারি। শেষ পর্যন্ত বিএনপি হযরত পীর সাহেবের শর্ত মেনে নিতে রাজী হয়। কিন্তু, পরবর্তীকালে একদল ক্ষমতালোভী আলেমের নিঃশর্ত সমর্থন ও চক্রান্তের ফলে পীর সাহেব চরমোনাই ও বিএনপি'র নির্বাচনী ঐক্য তৎপরতা ব্যাহত হয়।

এরপর পীর সাহেব চরমোনাই ঘোষিত ৮ দফাকে হুসেইন মুহাম্মাদ এরশাদ সমর্থন করে তার সাথে জোট করার প্রস্তাব দেন। হুজুর এরশাদকে কয়েকটি শর্ত দিয়ে বলেন, এগুলো মানলে তিনি এরশাদের সাথে ঐক্য করবেন। শর্তগুলো হলঃ

১. পীর সাহেব চরমোনাই (রহঃ) কে এরশাদের নেতা মানতে হবে এবং পীর সাহেবের নেতৃত্বে এ জোট গঠিত হবে।

২. বেগম রওশন এরশাদকে জাতীয় পার্টির নেত্রী বা নেতৃস্থানীয় পদে রাখা যাবে না। বড় জোর সে জাতীয় পার্টির কর্মী থাকতে পারবে।

৩. জোটের কোন সভা সম্মেলনে প্রয়োজন ব্যতীত রওশন এরশাদ বা মহিলা জাতীয় পার্টির কোন নেত্রী-কর্মী আসতে পারবে না। আসার প্রয়োজন হলে সম্পূর্ণ শরীয়া মোতাবেক পর্দার সাথে আসতে হবে বোরকা পরিধান করে।

৪. জোটের কর্মসূচীতে হাততালি পরিহার করে মারহাবা ধ্বনি উচ্চারণ করতে হবে। কারণ, হাততালি হল অনৈসলামিক এবং বিজাতীয় সংস্কৃতি।

হুসেইন মুহাম্মাদ এরশাদ এ সকল শর্ত মেনে নিয়ে পূর্বের অন্যায় অপরাধের জন্য তওবা করে বাকী জীবনটা ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের জিহাদে অতিবাহিত করার অঙ্গীকার করেন। এরপর দেশে ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে পীর সাহেব চরমোনাইর (রহঃ) নেতৃত্বে ১২ জুলাই ২০০১ সালে ঢাকার একটি অভিজাত হোটেলে জনাকীর্ণ সাংবাদিক সম্মেলনে ইসলামী জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নামক জোটের আত্মপ্রকাশ ঘটে। সম্মেলনে জোটের ঘোষণাপত্র পাঠ করেন হযরত পীর সাহেব চরমোনাই (রহঃ)। পরবর্তীতে পীর সাহেব চরমোনাই ঘোষিত ৮ দফা এবং তার নেতৃত্ব মেনে নিয়ে এ জোটে এডভোকেট জমির আলীর মুসলিম লীগ, শেখ শওকত হোসেন নীলুর পিএনপি, (প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী দল) এবং শফিউল আলম প্রধানের জাগপা (জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি) শরীক হয়। ২০০১ সালের নির্বাচনে জোট ১৪ টি আসন লাভ করে।

ইসলামী জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনের সময় কথা ছিল, এ ফ্রন্ট কেবল নির্বাচন কেন্দ্রিক হবে না। এ ফ্রন্ট হবে দীর্ঘস্থায়ী। দেশে ইসলামী হুকুমত কায়েম না হওয়া পর্যন্ত এ ফ্রন্ট একত্রে কাজ করে যাবে। কিন্তু হুসেইন মুহাম্মাদ এরশাদ নির্বাচনের পর পরই ফ্রন্টের বিভিন্ন শর্ত ভঙ্গ করে ফ্রন্ট থেকে বের হয়ে যান। ফলে নির্বাচনের পর ফ্রন্টের অস্তিত্ব আর অবশিষ্ট থাকেনি।

এখানে একটি বিষয় আলোচনা করা দরকার যে, হযরত পীর সাহেব চরমোনাই (রহঃ) চারদলীয় জোটে না গিয়ে এরশাদকে নিয়ে ফ্রন্ট গঠন করায় কেউ কেউ হযরত পীর সাহেব সম্পর্কে অপবাদ দিয়ে অভিযোগ করেন যে, পীর সাহেব ওলামাদের চার দলীয় ঐক্যজোটে না গিয়ে লম্পট চরিত্রের এরশাদের সাথে জোট করলেন কিভাবে।

এর জবাবে বলব, নিরপেক্ষভাবে কেউ চিন্তা করলে বুঝতে পারবে যে, হযরত পীর সাহেব চরমোনাই (রহঃ) এরশাদের সাথে ঐক্যফ্রন্ট গঠন করে কোন অন্যায়-অপরাধ করেননি বা অভিযোগ উত্থাপন করার মত কোন কাজ করেননি। কারণ, প্রথমতঃ চার দলীয় জোটের প্রতি দেশের অধিকাংশ হকপন্থী ওলামা-মাশায়েখের সমর্থন ছিল না। পীর সাহেব (রহঃ) চারদলীয় জোটে না যাওয়ায় তাঁরা হক্বের অনুসারী আখ্যা দিয়ে তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। দ্বিতীয়তঃ চারদলীয় জোটে যে কয়জন আলিম অংশগ্রহণ করেছিলেন, তারা ব্যক্তিস্বার্থেই গিয়েছেন। ইসলামের কোন স্বার্থ বা কল্যাণে যাননি। এদের কেউ কেউ ১৯৯৬ এর নির্বাচন পূর্বে (তাদের ধারণা মতে ইসলামের খাদেম) বিএনপির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে ভারত ও আওয়ামীলীগের দালালী করেছেন। আবার কেউ কেউ ২০০৬ সালে চারদলীয় জোট থেকে বের হয়ে শেখ হাসিনার যুগপৎ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করার জন্য ৪ দফা পেশ করেছিলেন, যার প্রতিটি দফা ছিল ইসলামী স্বার্থ ও ইসলামী হুকুমতের অনুকূলে। এর কোন দফাই চারদলীয় জোট মেনে নেয়নি।

চতুর্থতঃ ২০০১ সালের নির্বাচনের পূর্বে হযরত পীর সাহেব চরমোনাই (রহঃ) চারদলীয় জোটের সাথে একত্রে নির্বাচন করার লক্ষ্যে তাদের নিকট ৮ দফা পেশ করেছেন, যেগুলো ছিল ইসলাম, দেশ ও জাতির জন্য কল্যাণমূলক। অথচ, চারদলীয় জোট তা মেনে নিয়ে নির্বাচনী ঐক্য করতে আগ্রহী হয়নি। পঞ্চমতঃ পীর সাহেব হুজুর জোট করার জন্য কখনো এরশাদের দরবারে ধরণা দেননি, বরং এরশাদ নিজেই পীর সাহেব হুজুর ঘোষিত ৮ দফা সমর্থন করে তাঁর কাছে এসেছেন জোটবদ্ধ হওয়ার জন্য। ষষ্ঠতঃ এরশাদ ছিলেন একজন পুরুষ। নারীর সাথে বেপর্দা হয়ে সভা, সমাবেশ, সম্মেলন করতে হয়নি। সপ্তমতঃ ঐক্যফ্রন্ট করার সময় পীর সাহেব হুজুর এরশাদকে নেতা মেনে নেননি বা তার নেতৃত্ব কবূল করেননি, বরং এক্ষেত্রে এরশাদই হযরত পীর সাহেবের নেতৃত্ব কবূল করে তাঁকে নেতা ও মুরব্বী মেনে নিয়েছিলেন, পীর সাহেব হুযূর নেতৃত্ব প্রদান করেছিলেন। অথচ চারদলীয় জোটের মূল নেত্রী ছিলেন খালেদা জিয়া। যে কোন ব্যাপারে অপরাপর নেতাদের ওপরে খালেদা জিয়ার সিদ্ধান্তই ছিল চূড়ান্ত। খালেদা জিয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের বিপরীতে নিজামী-আমীনীর সিদ্ধান্ত ছিল খড়-কুটা তুল্য। সুতরাং চার দলীয় জোটের আন্দোলন ছিল নারী নেতৃত্বের অধীনে, যা ছিল শরীয়াতের খেলাফ। অষ্টমতঃ এরশাদ ঐক্যফ্রন্টে আসার পূর্বে অতীত জীবনের অন্যায়ের জন্য তওবা করে বাকী জীবনটা ইসলামী হুকুমত কায়েমের প্রচেষ্টায় অতিবাহিত করার জন্য হযরত পীর সাহেবের নিকট অঙ্গীকারাবদ্ধ হন। ঐক্যফ্রন্ট গঠনের পর বিভিন্ন সভা-সমাবেশে এইচ, এম, এরশাদ দেশে ইসলামী শাসন কায়েম করে জাহেলিয়াত মুক্ত করার ঘোষণা দেন।

এসব বিষয় বিবেচনা করলে নিরপেক্ষভাবে ও নির্দ্বিধায় বলা যায় যে, পীর সাহেব চরমোনাই (রহঃ) ইসলামের স্বার্থবিহীন ও নারী নেতৃত্বের অধীন চারদলীয় জোটে না গিয়ে এবং ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করে বীর পুরুষোচিত কাজ করেছেন।

স্মরণযোগ্য যে, হযরত মাওলানা শাহ আহাম্মদুল্লাহ আশরাফ সাহেবের নেতৃত্বাধীন খেলাফত আন্দোলন, আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসউদ এর নেতৃত্বে জমিয়াতে ওলামায়ে ইসলামের একাংশ, হাফেজ হাবীবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন ইসলামী ঐক্য আন্দোলন, ইসলামিক পার্টি, বাংলাদেশ মুসলিম পার্টিসহ আরো অন্যান্য সংগঠনও নারী নেতৃত্বাধীন যুগপৎ আন্দোলনের ঘোর বিরোধী ছিল।