আশরাফ আলী সোহান: অক্টোবর 2015

বুধবার, ২৮ অক্টোবর, ২০১৫

এ কেমন বর্বরতা??

জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের নামে যারা বাংলাদেশে রাজনীতি করে তাদের সাথে আমাদের বিরোধ অতি সামান্য। এবং সাম্প্রতিক। তারা যে পথে ইসলামী রাজনীতির কল্যান আছে বলে মনে করেন আমরা সেটাকে কল্যান বলে মনে করি না। পথচলা নিয়ে এই সামান্য বিরোধ ছাড়া জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সাথে আমাদের অমিলের চেয়ে মিলই বেশী।
তাই আমরা জমিয়তের সমালোচনায় যাই না। যদি কখনো আমাদের পথচলাকে সঠিক প্রমান করতে গিয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে তাদের কথা চলে আসে তখন আমরা সন্মান-শ্রদ্ধার সাথে কথা বলি। আমরা বিশ্বাস করি এই সামান্য পথচলা নিয়ে মতোবিরোধকে বড় করে দেখানোর কিছু নাই।
কিন্তু আমরা অবাক হয়ে শুনি, আমাদেরকে অতি জঘন্য ভাষায় অভিহিত করা হয়।অতি খারাপ উপমায় উপমিত করা হয়। আমাদের আকাবিরগন যাদের মোকাবিলায় জান-প্রান লড়াই করে গেছেন আমাদেরকে সেই “জামাতের“ সাথে বা তার চেয়ে খারাপ বলে বোঝাতে চান।
বিষয়গুলো আমরা জানি আর আল্লাহর কাছে তাদের জন্যে এবং আমাদের জন্যে দোয়া করি।
তাদের পরিচালনাধীনে কিছু মাদ্রাসা আছে। বাংলাদেশের সব প্রতিষ্ঠানের মতো সেখানেও ছাত্র আন্দোলন আছে। কিন্তু আমরা আমদের সেই কর্মীদেরকে নির্দেশনা দিয়ে রেখেছি যে, মাদ্রাসার নিয়ম-কানুন মেনে, ওস্তাদদের সন্মান বজায়ে রেখে কাজ করে যেতে হবে। আমাদের কর্মীরা সেভাবেই করে যাচ্ছে আল-হামদুলিল্লাহ।
গত চার-পাচ দিন আগে বারিধারা মাদ্রাসায় আমাদের তিনজন কর্মীর পরিচয় উস্তাদরা জেনে যান। এসব ক্ষেত্রে স্বাভাবিক যা হয় তাহলো নাম কেটে দেয়া। বিষয়টা সমর্থন যোগ্য না হলেও আমরা সেটা নিয়ে আর বাড়াবাড়ি করি না। নাম কেটে দিলে আমরা তাদেরকে নিয়ে এসে অন্য মাদ্রাসায় ভর্তি করে দেই।
কিন্তু এই তিনজনের সাথে যা করা হয়েছে তা চরম বর্বরতা। নৃশংসতা। নিষ্ঠুরতা। এই তিনজন ছাত্রকে মাদ্রাসায় দুই দফায় প্রচন্ড মারধোর করা হয়েছে। নির্মমভাবে একেরপরে এক লাঠি পেটা করা হয়েছে। আটকে রাখা হয়েছে। আমরা যখন সেই ছেলেদের দেখেছি তখন মারের ;দাগ দেখে আমরা আৎকে উঠেছি।
এটা কেমন বর্বরতা? মতের ভিন্নতার করনে একজন মানুষকে এভাবে মারা যায়? তাও একটা মাদ্রাসায়? একটা ইসলামী দলের পরিচয়ে?
আমরা কেবল চোখের পানি ফেলেছি আর মহান আল্লাহর দরবারে বিচার দিয়েছি। আমাদের শক্তি আর সামর্থ বিবেচনায় অনেক কিছুই করা যেতো কিন্তু আমরা ভেবেছি, কার বিরুদ্ধে আমি ব্যবস্থা নিবো? এ যে আমারই স্বজাতী ভাই, এ যে একজন ইসলামী আন্দোলনের কর্মী!!
তাই আমরা দুনিয়াবী কোন ব্যবস্থায় যাই নাই্, মহান আল্লাহর কাছে এর বিচারের ভার দিয়েছি। আর আল্লাহ যে সব চেযে বড় বিচারক তা কে না জানে?
---- শেখ ফজলুল করীম মারুফ