আশরাফ আলী সোহান: এপ্রিল 2017

বুধবার, ১৯ এপ্রিল, ২০১৭

প্রধান বিচারপতি সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে নিজ ধর্মের মূর্তি স্থাপন করে নিরপেক্ষতা হারিয়েছেন : পীর সাহেব চরমোনাই

আইএবি নিউজ: বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের আমীর (পীর সাহেব চরমোনাই) মুফতি সৈয়ম মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, বাংলাদেশের মুসলমানদের হুঁশ থাকলে কখনো জাতীয় ঈদগাহের পাশের্^ ও সুপ্রীম কোর্টের সামনে মূর্তি মেনে নিবে না। প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা বাংলাদেশের সব মানুষের প্রধান বিচারপতি। তিনি সংখ্যাগরিষ্ট মুসলমানের দেশে সুপ্রীম কোর্টের সামনে তার নিজের ধর্মের মূর্তির স্থাপন করে তার নিরপেক্ষতা হারিয়েছেন। তিনি প্রধান বিচারপতি থাকার অধিকার হারিয়েছেন।

বিশে^র কোন দেশে এমনকি পাশর্^বর্তী ভারতেও আদালতের সামনে কোন মূর্তি নেই। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে সুপ্রীম কোর্টের সামনে থেকে মূর্তি সরানোর কথা বলেছেন আমরা প্রধানমন্ত্রীর কথার উপর সম্মান দেখিয়েছি। আমরা লক্ষ্য করছি প্রধানমন্ত্রী কি করেন? যদি ২১ এপ্রিলের মধ্যে সুপ্রীম কোর্টের সামনে থেকে গ্রীক মূর্তি সরানো না হয় তা হলে আগামী ২১ তারিখ ঢাকায় মহা সমাবেশ করা হবে। ঐ মহা সমাবেশ থেকে ইসলামী আন্দোলন কঠিন আন্দোলনের কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে বলে হুঁশিয়ারী দেন চরমোনাই পীর।

তিনি গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে রাঙামাটি পৌরসভা চত্বরে রাঙামাটি ইসলামী আন্দোলনের উদ্যোগে আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। ইসলামী আন্দোলনের আগামী ২১ এপ্রিল ঢাকায় মহা সমাবেশ সফল করা ও সুপ্রীম কোর্টের সামনে থেকে গ্রীক মূর্তি সরানোর দাবিতে এ সমাবেশ আয়োজন করা হয়।

ইসলামী আন্দোলন রাঙামাটি জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক জান্নাতুল ইসলাম, চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিনের সভাপতি মোঃ শফকত হোসাইন, ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শেখ মোঃ মারুফ, ইসলামী যুব আন্দোলন রাঙামাটি জেলা কমিটির আহবায়ক মাওলানা ওমর আলী, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের রাঙামাটি জেলা কমিটির সভাপতি নাসির হোসেন প্রমুখ। এ ছাড়াও ইসলামী ছাত্র আন্দোলন ও ইসলামী আন্দোলনের জেলা উপজেলার নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। সমাবেশ পরিচালনা করেন ইসলামী আন্দোলনের রাঙামাটি জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক নূর হোসেন।

প্রধান অতিথি চরমোনাই পীর আরো বলেন, স্বাধীনতার পর যারা এদেশ পরিচালনা করেছেন তারা বাংলাদেশকে বিশে^র কাছে চোরের দেশ হিসেবে প্রথম বানিয়েছেন। তাদের দিয়ে দেশের মানুষের ভাগ্যের কোন উন্নতি হয়নি। দেশের বিরুদ্ধে এবং ইসলাম বা ধর্মের বিরুদ্ধে যখন যে ষড়যন্ত্র হয়েছে তখনই ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ রাজপথে নেমে এসেছে। তিনি বলে ইসলামী আন্দোলন কখনো সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যকে পশ্রয় দেয় না। ইসলামী আন্দোলন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে আন্দোলন করতে চায় উল্লেখ করে তিনি সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতির কাছে সুপ্রীম কোর্টের সামনে থেকে মূর্তি অপসারনের অনুরোধ জানান।

এর আগে সমাবেশ মিছিল সহকারে যোগ দেন ইসলামী আন্দোলন এর বিভিন্ন উপজেলার নেতাকর্মীরা।

মঙ্গলবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১৭

মূর্তি অপসারণে টালবাহানা করলে সর্বত্র আন্দোলন গড়ে উঠবে: মুফতি ফয়জুল করীম

আইএবি নিউজ: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে স্থাপিত গ্রিক দেবীর মূর্তি অপসারণ করতেই হবে। কোনভাবে বহাল রাখার চেষ্টা করলে ধর্মপ্রাণ জনতা ফুসে উঠতে বাধ্য হবে।

প্রয়োজনে সর্বত্র আন্দোলন গড়ে উঠবে তবু মূর্তি বহাল মেনে নেয়া হবে না। মূর্তি অপসারণের ক্ষেত্রে গড়িমসি করলে সরকারের জন্য কল্যাণকর হবে না। ইসলামের আক্বীদা অনুযায়ী মূর্তি প্রতিস্থাপন ও মূর্তি মানা এবং ন্যায় বিচারের প্রতীক মনে করা সম্পূর্ণ ইসলামবিরোধী ও হারাম। কাজেই ইসলামী আক্বীদা বিশ্বাসকে সামনে রেখে মূর্তি অপসারণ করতে হবে। অন্যথায় দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল উঠলে সরকারের কিছু করার থাকবে না। তিনি এ বিষয়ে ওলামায়ে কেরামের সাথে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্র“তি বাস্তবায়নের আহ্বান জানান।

মঙ্গলবার বিকেলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় মহাসমাবেশ সফলের লক্ষ্যে প্রস্তুতি কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, যুগ্ম মহাসচিব- অধ্যাপক এটিএম হেমায়েত উদ্দিন ও মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ঢাকা দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, সহ-সংগঠনিক সম্পাদক কেএম আতিকুর রহমান, মুফতি হেমায়েতুল্লাহ, আলহাজ্ব হারুন অর রশিদ, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, মাওলানা আতাউর রহমান আরেফী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, মুফতি কেফায়েতুল্লাহ কাশফি, আলহাজ্ব কে জি মাওলা প্রমুখ।

মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, গ্রিক দেবীর মূর্তি মুসলমানদের সংস্কৃৃতির অংশ নয়। এটা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতীক। ৯২ ভাগ মুসলমানের এদেশে সাম্প্রদায়িক মূর্তি স্থাপন করে কারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায় তাদের খুঁজে বের করতে হবে। তিনি ২১ এপ্রিলের জাতীয় মহাসমাবেশ সফলে জেলাশাখাগুলোকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য জোর নির্দেশ প্রদান করেন। মহাসমাবেশ হবেই, সফল করতে হবে। তিনি বলেন, এদেশের জনগণের আবেগ উদ্দীপ্ত তৌহিদবাদী জনগণ ঈমান রক্ষার আন্দোলনে সোচ্চার। মূর্তি স্থাপন রাব্বুল আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ও রাসূল সা. চরম অসন্থষ্টির কারণ। তিনি বলেন, সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে গ্রিক দেবীর মূর্তি অবিলম্বে অপসারণ করতেই এর কোন বিকল্প সহ্য করা হবে না। আগামী ২০ এপ্রিলের মধ্যেই মূর্তি অপসারণ করতে হবে।

খালিশপুরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইশা ছাত্র আন্দোলনের দাওয়াতি সভা অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার : দাওয়াতী পক্ষ উপলক্ষে চলছে দাওয়াতী সভা। আজ খুলনার খালিশপুরের ন্যাশনাল স্কুল, প্রভাতি স্কুল, বি এন স্কুল এন্ড কলেজ এবং হাজী মুহাম্মাদ মুহাসিন কলেজ ক্যাম্পাসে ব্যাপক দাওয়াতী সভা ও সদস্য সংগ্রহ করা হয়।



এ সময় উপস্হিত ছিলেন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন খুলনা জেলা দক্ষিণের সহ-সভাপতি মুহা. ইসহাক ফরিদী, সাধারণ সম্পাদক মুহা. আব্দুল্লাহ আল নোমান, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুহা. আব্দুস সালাম জায়েফ, অর্থ সম্পাদক মুহা. মঈনুল ইসলাম, খালিশপুর থানার সভাপতি মুহা. মামুন অর রশিদ, মুহা. জামাল হোসেন, মুহা. বাইজিদ হোসেন, মুহা. আজাদ হোসেনসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে মূর্তি অপসারণে সরকারকে বাধ্য করা হবে: ইশা ছাত্র আন্দোলন

আইএবি নিউজ: ১৮ এপ্রিল’১৭ ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি জি.এম. রুহুল আমীন, সহ সভাপতি শেখ ফজলুল করীম ও সেক্রেটারি জেনারেল শেখ মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, দেশের সর্বোচ্চ বিচারালয় প্রাঙ্গণে সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিকভাবে গ্রিক দেবি থেমিসিসের মূর্তি স্থাপনের মধ্য দিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের আকিদা-বিশ্বাসে আঘাত করা হয়েছে এবং সুপ্রীম কোর্টের পবিত্র অঙ্গনকে অপবিত্র করা হয়েছে।

নেতৃদ্বয় বলেন, আদালতের নিজস্ব সমস্যার অন্ত নেই। মামলার অস্বাভাবিক জট. দীর্ঘসূত্রতা ও দুর্নীতিসহ নানা অসঙ্গতির কারণে বিচারব্যবস্থার প্রতি মানুষের মাঝে আস্থাহীনতা তৈরি হচ্ছে। প্রধান বিচারপতির উচিত সম্প্রদায় চিন্তার উর্ধ্বে এ সকল সমস্যার সমাধান করা।

নেতৃদ্বয় আরো বলেন, দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের সেন্টিমেন্টে আঘাত করে হাজার বছরের ঐতিহ্যবিরোধী কোন কিছু চাপিয়ে দেয়া কিছুতেই ন্যায়সঙ্গত হতে পারে না। অতএব ন্যায়ের স্বার্থে, জাতীয় ঐক্যের স্বার্থে এবং আদালতের পবিত্রতা রক্ষার স্বার্থে এ মূর্তি অপসারণ করতেই হবে। এ ব্যাপারে কোন টালবাহানা দেশের ছাত্রসমাজ সহ্য করবে না এবং অপসারণের বিকল্প কোন কিছু মেনে নেবে না।

বিবৃতিতে তারা আরো বলেন, মূর্তি অপসারণের দাবিতে হযরত পীর সাহেব চরমোনাই আহুত আগামী ২১ এপ্রিল’১৭ শুক্রবারে জাতীয় মহাসমাবেশ সফেেলর মধ্য দিয়ে সরকারকে মূর্তি অপসারণে বাধ্য করা হবে। বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় জাতীয় মহাসমাবেশ সফল করতে ছাত্র-জনতার প্রতি উদাত্ত আহবান জানান।

 

চৌমুহনী মদন মোহন উচ্চ বিদ্যালয়ে ইশা ছাত্র আন্দোলনের দাওয়াতি সভা অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার : কেন্দ্র ঘোষিত দাওয়াতি পক্ষের কার্যক্রম বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে চলছে নোয়াখালীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ইশা ছাত্র আন্দোলনের দাওয়াতি সভা। এর লক্ষ্য হচ্ছে শিক্ষাঙ্গনে অস্থিরতার অবসান ঘটিয়ে ছাত্র সমাজকে জাতির ভবিষ্যৎ কাণ্ডারিরূপে গড়ে তোলা।

দাওয়াতি পক্ষের ধারাবাহিক তৎপরতায় আজ (মঙ্গলবার) দেশের অন্যতম বৃহত্তম বাণিজ্যকেন্দ্র চৌমুহনীর মদন মোহন উচ্চ বিদ্যালয়ে ইশা ছাত্র আন্দোলনের দাওয়াতি সভা ও সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে। চৌমুহনী পৌর সভাপতি উসমান গনীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত দাওয়াতি সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন সংগঠনের নোয়াখালী জেলা (উত্তর) শাখার সভাপতি এইচ এম সাখাওয়াত উল্লাহ।

দায়িত্বশীল সূত্রে জানা যায়, ইশা ছাত্র আন্দোলনের দাওয়াতি তৎপরতায় ছাত্ররা আলোর সন্ধান পাচ্ছে। বহু ছাত্র অনৈতিক কাজ থেকে ফিরে আসার অঙ্গিকারে নিজেকে আবদ্ধ করছে। জাতির প্রতি তাদের দায়বদ্ধতার প্রসঙ্গে প্রত্যেকে ভালো পড়াশুনার মাধ্যমে নিজেকে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করে।

পাথরঘাটা কে.এম.পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ইশা ছাত্র আন্দোলনের দাওয়াতি সভা অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার : ছাত্র সমাজের তৃণমূলে ইসলামের মর্মবাণী গেঁথে দেওয়ার লক্ষ্যে ঘোষিত ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের দাওয়াতি পক্ষকে সামনে রেখে চলছে দেশব্যাপী প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক দাওয়াতি সভা ও সদস্য সংগ্রহ কর্মশালা। তারই ধারাবাহিকতায় আজ সকাল ৯টায় পাথরঘাটা উপজেলা আওতাধীন পাথরঘাটা কে.এম.পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সংগঠনের দাওয়াতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

দাওয়াতি সভায় ইশা ছাত্র আন্দোলন পাথরঘাটা উপজেলা (বরগুনা) শাখার সভাপতি মুহাঃ মুছাদ্দিক বিল্লাহ ছাত্রদেরকে জীবনের টার্গেট নির্ধারণ ও স্বকীয়তা ধারণ করার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। বল্গাহীন স্রোতে ভেসে জীবন বিনষ্ট করার পরিবর্তে মহাপ্রভু আল্লাহর সমীপে নিজেকে সমর্পন করার ব্যাপারে দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।এসময় শিক্ষাঙ্গনের অস্থিরতা ও চলমান সমাজ ব্যবস্থার অসঙ্গতিগুলোর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে তা নির্মূলের জন্য আদর্শিক সংগঠন ইশা ছাত্র আন্দোলনে শামিল হওয়ার আহবান জানান।

এতে সমবেত ছাত্রবৃন্দ ছাত্র আন্দোলনের কর্মপন্থায় মুগ্ধ হয়ে উচ্ছাসের সাথে সদস্য ফরম পূরণ করে।

সভায় নবীন ছাত্র বন্ধুদের মাঝে উপজেলা শাখার প্রচার সম্পাদক হাঃ মুহাঃ হাফিজুল ইসলাম সংগঠনের পরিচিতি ও স্টিকার বিতরণ করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন পৌর ও উপজেলা শাখার দ্বায়িত্বশীলবৃন্দ।

সোমবার, ১৭ এপ্রিল, ২০১৭

মূর্তি বহাল রেখে বিকল্প কোন চিন্তা ঈমানদার জনতা সহ্য করবে না: অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমাদ

আইএবি নিউজ: মূর্তি ইস্যুতে ওয়াদা খেলাফ করলে আওয়ামী লীগ আজীবনের জন্য প্রত্যাখ্যাত হবে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ।

তিনি বলেন, সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে স্থাপিত গ্রিক দেবীর মূর্তি বহাল রেখে বিকল্প যে কোন চিন্তা করলে ধর্মপ্রাণ জনতা কোনভাবেই মেনে নিবে না । সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে গ্রিক দেবীর মূর্তি অবিলম্বে অপসারণ করতেই এর কোন বিকল্প সহ্য করা হবে না।

আগামী ২০ এপ্রিলের মধ্যেই মূর্তি অপসারণ করতে হবে। গণভবনে দেশের শীর্ষ আলেমদের সামনে কৃত ওয়াদা অনুযায়ী অবিলম্বে গ্রিক দেবীর মূর্তি ভেঙ্গে দিয়ে ওয়াদা পুরণ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি তিনি আহ্বান জানান।

আজ (সোমবার) বিকেলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব- অধ্যাপক এটিএম হেমায়েত উদ্দিন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান ও মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ঢাকা দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, সহ-সংগঠনিক সম্পাদক কেএম আতিকুর রহমান, মুফতি হেমায়েতুল্লাহ, আলহাজ্ব হারুন অর রশিদ, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, মাওলানা আতাউর রহমান আরেফী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, মুফতি কেফায়েতুল্লাহ কাশফি প্রমুখ।

অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, গ্রিক দেবীর মূর্তি মুসলমানদের সংস্কৃৃতির অংশ নয়। এটা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতীক। ৯২ ভাগ মুসলমানের এদেশে সাম্প্রদায়িক মূর্তি স্থাপন করে কারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায় তাদের খুঁজে বের করতে হবে।

তিনি ২১ এপ্রিলের জাতীয় মহাসমাবেশ সফলে জেলাশাখাগুলোকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য জোর নির্দেশ প্রদান করেন।

ইশা ছাত্র আন্দোলন সিলেট বিমানবন্দর থানা সম্মেলন অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার : ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন বিমানবন্দর (সিলেট মহানগর) থানা শাখার উদ্যোগে শাখা আহবায়ক মু. রায়হান আহমেদের সভাপতিত্বে আজ ১৭ এপ্রিল'১৭ সোমবার বাদ আসর আই.এ.বি. মিলনায়তন বিমানবন্দর থানা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ইশা ছাত্র আন্দোলন সিলেট মহানগর শাখার সংগ্রামী সভাপতি ছাত্রনেতা মু. শিহাব উদ্দিন।

সম্মেলন শেষে প্রধান অতিথি ২০১৬ সেশনের কমিটি বিলুপ্ত করে ২০১৭ সেশনের কমিটি ঘোষণা করেন।

কমিটিতে আহবায়ক: মু. রায়হান আহমেদ, যুগ্ম আহবায়ক: মু. আবু সাইদ ও সদস্য সচিব:  মু. আব্দুল আজিজ মনোনীত হয়।

মালয়েশিয়া সফরে ইসলামী কৃষক-কৃষি শ্রমিক আন্দোলনের সদস্য সচিব শহিদুল ইসলাম কবির

নিজস্ব সংবাদদা : ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের অঙ্গসংগঠন ইসলামী কৃষক-কৃষি শ্রমিক আন্দোলন এর কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব শহিদুল ইসলাম কবির বর্তমানে মালয়েশিয়াতে সফরে রয়েছেন।

সফরকালীন সময়ে তিনি বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার কৃষি ও কৃষকদের সুবিধা অসুবিধাসমূহ অবহিত হয়ে বাংলাদেশের কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে প্রস্তাবনা তৈরীর লক্ষে মালয়েশিয়ার বিভিন্ন প্রদেশ সফর করে যাচ্ছেন।

ইতোমধ্যে শহিদুল ইসলাম কবির মালয়েশিয়ার ক্লাং, মালাক্কা, জহুর বারু ছফর করে এখন দারুল আমান কেডাহ প্রদেশের সুঙ্গাই পেতানী ছফর করছেন।

এখানে তিনি কৃষি ছাড়াও সাধারণ শিক্ষার সাথে ইসলামী শিক্ষার গুরুত্ব ও কারিকুলাম সম্পর্কে ধারণা নিতে শহর-গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাঙ্গালী মালয় ও মালয়েশিয়ার নাগরিকদের সাথে মতবিনিময় করে যাচ্ছেন।

শহিদুল ইসলাম কবির তার সফরের সফলতার জন্য সকলের নিকট দু'আ কামনা করেছেন।

বেগমগঞ্জ পাইলট স্কুলে ইশা ছাত্র আন্দোলনের দাওয়াতি সভা অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার : ছাত্র সমাজের তৃণমূলে ইসলামের মর্মবাণী গেঁথে দেওয়ার লক্ষ্যে ঘোষিত ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের দাওয়াতি পক্ষকে সামনে রেখে চলছে দেশব্যাপী প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক দাওয়াতি সভা ও সদস্য সংগ্রহ কর্মশালা। তারই ধারাবাহিকতায় আজ (সোমবার) সকাল ৯টায় নোয়াখালী জেলা (উত্তর) শাখাধীন বেগমগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে সংগঠনের দাওয়াতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ইশা ছাত্র আন্দোলন চৌমুহনী পৌর সভাপতি মুহাম্মদ উসমান গনীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত দাওয়াতি সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা সভাপতি এইচ এম সাখাওয়াত উল্লাহ। এতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বেগমগঞ্জ পশ্চিমের সভাপতি মুহাম্মদ ইবরাহিম, চৌমুহনী পৌর সহ-সভাপতি আতাউল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক উসমান গনী প্রমুখ।

দাওয়াতি সভায় প্রধান অতিথি ছাত্রদেরকে জীবনের টার্গেট নির্ধারণ ও স্বকীয়তা ধারণ করার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। বল্গাহীন স্রোতে ভেসে জীবন বিনষ্ট করার পরিবর্তে মহাপ্রভু আল্লাহর সমীপে নিজেকে সমর্পন করার ব্যাপারে দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।এসময় শিক্ষাঙ্গনের অস্থিরতা ও চলমান সমাজ ব্যবস্থার অসঙ্গতিগুলোর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে তা নির্মূলের জন্য আদর্শিক সংগঠন ইশা ছাত্র আন্দোলনে শামিল হওয়ার আহবান জানান। এতে সমবেত ছাত্রবৃন্দ ছাত্র আন্দোলনের কর্মপন্থায় মুগ্ধ হয়ে উচ্ছাসের সাথে সদস্য ফরম পূরণ করে।

সভায় নবীন ছাত্র বন্ধুদের সংগঠনের পরিচিতি ও স্টিকার বিতরণ করা হয়।

রবিবার, ১৬ এপ্রিল, ২০১৭

২০ এপ্রিলের মধ্যে গ্রিক মূর্তি না সরালে ২১ এপ্রিল মহাসমাবেশ থেকে কঠোর কর্মসুচী : পীর সাহেব চরমোনাই

আইএবি নিউজ: সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে গ্রিক দেবীর মূর্তি অপসারণের লক্ষ্যে করণীয় নির্ধারনে আজ (রবিবার) বেলা ১১টায় দেশের উলামায়ে কেরামের সাথে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন।

মতবিনিময় সভায় উলামায়ে কেরাম বলেন, ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশে চারুকলা ইনস্টিটিউটে গরুর গোস্তের তেহারী পাকের অপরাধে বাবুর্চিকে মারধরের ঘটনাকে কোনভাবেই ছোট করে দেখার সুযোগ নেই।

সভাপতির বক্তব্যে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, গণভবনে উলামাদের সাথে মতবিনিময়কালে গ্রীক মূর্তি অপসারণে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি ২০ এপিলের মধ্যে বাস্তবায়ন না করলে ২১ এপ্রিল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জাতীয় মহাসমাবেশ থেকে এমন কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে যে আন্দোলনের মাধ্যমে মূর্তি অপসারণ হবে এবং প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহারও অপসারণ হবে।

পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, মূর্তির সংস্কৃতি ইসলামবিরোধী সংস্কৃতি। মূর্তি ও ইসলাম সাংঘর্ষিক। ইসলাম এসেছে মূর্তি ধ্বংস করতে। যারা মূর্তির সংস্কৃতি  লালন করে তারা ঈমানদার হতে পারে না। ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশে প্রধান বিচারপতি মূর্তি স্থাপন করে নিরপক্ষেতা হারিয়েছেন। তিনি বলেন, মূর্তি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতীক। হিন্দু সম্প্রদায় তাদের মন্দিরে মূর্তি স্থাপন করে পূজাঁ করুক এতে কারো আপত্তি নেই। কেননা সুপ্রিমকোর্ট হিন্দু বা সংখ্যালঘুদের কোর্ট নয়। এটা দলমত নির্বিশেষে সকলের কোর্ট এবং বিচারপতি সকল সম্প্রদায়ের বিচারপতি। কাজেই প্রধান বিচারপতি মূর্তি স্থাপনের মাধ্যমে তার নিরপেক্ষতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে বিচারপতির চেয়ারে থাকার অধিকার হারিয়েছেন। পীর সাহেব ২১ এপ্রিলের জাতীয় মহাসমাবেশ সফলে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

আজ রবিবার বেলা ১১টা থেকে পুরানা পল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর এক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। মতবিনিময় সভায় অংশ নেন ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম, ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের আমীর ড. মাওলানা ঈসা শাহেদী, খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মাওলানা এটিএম হেমায়েত উদ্দিন, আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম, দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, প্রকৌশলী আশরাফুল আলম, ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হুসাইন, কেএম আতিকুর রহমান, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, মুফতি হেমায়েতুল্লাহ, মুফতি কেফায়েতুল্লাহ কাশফী, মাওলানা আতাউর রহমান আরেফী, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, জামিয়া সাঈদিয়া ভাটারার মুহাদ্দিস মুফতি জোবায়ের আশরাফ, বাহরুল ঊলূম ঢাকার মুহাদ্দিস মুফতি সাঈদ আহমাদ, মাওলানা নাযীর আহমদ শিবলী, বিশিষ্ট আলেম মাওলানা মাজহারুল ইসলাম রাশেদী, জামিয়া ফজলুল উলুম হাসনাবাদের মুহতামিম মুফতি ইজহারুল ইসলাম, মাওলানা আশরাফ আলী নূরী।

মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম বলেন, প্রধানমন্ত্রী মূর্তি স্থাপন জানেন না বলে জানিয়েছেন, কিন্তু আমার প্রশ্ন প্রধান বিচারপতি নিয়োগও জানেন কিনা? আসলে দেশ এখন দিল্লির প্রেসক্রিপসনে চলছে। এজন্যই চারুকলায় গরুর গোস্ত পাক হওয়াতে মুসলমান বাবুর্চিকে মারধর করা হয়েছে। এটা কোন স্বাভাবিক ঘটনা নয়, এ যেন দেশের জন্য অশনিসংকেত। দেশ কোন দিকে যাচ্ছে। ২০ এপিলের মধ্যে মূর্তি না সরালে প্রধান বিচারপতিকে সরানোর আন্দোলনও গড়ে উঠবে।

ড. ঈসা শাহেদী বলেন, মসজিদের নগরী এখন মূর্তির নগরীতে রূপ নিয়েছে। গ্রিক মূর্তি হিন্দুরাও পছন্দ করেন না। প্রধানমন্ত্রীরও পছন্দ নয়, তারপরও মূর্তি থাকবে? অবিলম্বে মূর্তি অপসারণ করতে হবে অন্যথায় সর্বত্র আন্দোলন গড়ে উঠবে। সিলেবাস সংশোধনে যেভাবে আন্দোলন গড়ে উঠেছিল মূর্তি সরাতেও পীর সাহেব চরমোনাই’র নেতৃত্বে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, কওমী সনদের স্বীকৃতি ও মূর্তি বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণায় আশা ও নিরাশার ইংগিত আছে। এই ঘোষণার ফলে বাতিল ও তাগুতি শক্তিগুলোর মাথা খারাপ হয়ে গেছে। মূর্তি ন্যায় বিচারের প্রতীক হতে পারে না।

অধ্যাপক এটিএম হেমায়েত উদ্দিন বলেন, জাতীয় ঈদগাহ’র পাশে গ্রিক দেবীর মূর্তি স্থাপন করে মুসল্লিদের নামাজ বিনষ্ট করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন রাসূলে কারীম সা.কে দুনিয়ায় পাঠিয়েছেন সত্য দীন তথা ইসলাম দিয়ে, যেন সকল মতাদর্শের উপর ইসলামকে বিজয় করা যায়। যুগে যুগে নবী ও রাসূলগণ এসেছেন মূর্তিকে ভেঙ্গে দিয়ে মানুষকে শিরকমুক্ত করার জন্য।

পবিত্র কুরআনের আলোয় উজ্জ্বল হোক আমাদের আগামী : মুফতী ফয়জুল করীম

স্টাফ রিপোর্টার : শুক্র ও শনিবার (১৪- এপ্রিল'১৭) রাজধানীর মসজিদুল আকবার ঈদগাহ (চিড়িয়াখানা রোড, মিরপুর-১) ময়দানে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন শাহ আলী থানা শাখার উদ্যোগে থানা সভাপতি মুহাম্মদ মনোয়ার হুসাইনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ মুহা: ফয়সাল আরেফীনের সঞ্চালনায় ২দিন ব্যাপী হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা'১৭ অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমীর, শায়খুল হাদীস আল্লামা মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় ছাত্র কল্যাণ সম্পাদক মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম।



প্রধান অতিথি বলেন, আজ আমাদের মাঝে কুরআনের চর্চা না থাকার কারণে জনজীবনে ধ্বস নেমেছে আমাদের বর্তমান প্রজন্ম আজ কুরআন থেকে দূরে থাকার কারণে বিভিন্ন অনৈতিক কাজ কর্মে লিপ্ত হচ্ছে, পূন্যের আশায় জঙ্গিবাদের মত ধর্মবিরোধী কাজে জড়িয়ে পড়ছে।

তিনি আরো বলেন, পবিত্র কুরআনের আলোয় উজ্জ্বল হোক আমাদের আগামী-এই শ্লোগানকে সামনে রেখে আমাদের অগ্রগতি আরো বেগবান করতে হবে।

তিনি ১ম, ২য়, ৩য় সহ মোট ১৩ জন বিজয়ীর হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাও. মকবুল হোসাইন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ শাহ আলী থানার সেক্রেটারি মাও. মিজানুর রহমান, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের সভাপতি জনাব শাহজাহান হাওলাদার সহ নগর ও থানা নেতৃবৃন্দ ।

ন্যায় ও সাম্যের সমাজ প্রতিষ্ঠা ও সমৃদ্ধশালী দেশ গঠনে ইসলামী শাসনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই: ইশা ছাত্র আন্দোলন

স্টাফ রিপোর্টার : রবিবার (১৬ এপ্রিল’১৭) ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি জি.এম. রুহুল আমীন, কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি শাইখ ফজলুল করীম মারুফ ও সেক্রেটারি জেনারেল শেখ মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম দাওয়াতি পক্ষ উপলক্ষে এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৪৬ বছর পার হলেও জনগণের স্বাধীনতার স্বপ্ন আজও স্বপ্নই থেকে গেল। স্বাধীনতার পর বারবার নেতার পরিবর্তন হলেও জনগণের কাক্সিখত মুক্তি আসেনি। এর জন্য দায়ি মানবরচিত মতবাদ ও শাসনতন্ত্র। মানবরচিত শাসনতন্ত্র পরিবর্তন ছাড়া মানুষের স্থায়ী কল্যাণ, শান্তি, মুক্তি, নিরাপত্তা ও ন্যায় বিচার সম্ভব নয়। অতএব ন্যায় ও সাম্যের সমাজ প্রতিষ্ঠা ও সমৃদ্ধশালী দেশ গঠনে ইসলামী শাসনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, আজ আমাদের জাতীয় উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ করতে জাতির মাঝে বিভাজন সৃষ্টির অপচেষ্ট চলছে। কিছু গণবিচ্ছিন্ন শেকড়হীন বাম আমাদের জতীয় ঐক্যে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছে। এদের ব্যাপারে সরকারকে ব্যবস্থা নিতে হবে।

বিবৃতিতে তারা আরো বলেন, এদেশের হাজার বছরের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মূল্যবোধ বিরোধী অপসংস্কৃতি এ জাতির ওপর চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে ছাত্র সমাজসহ দেশবাসিকে গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

নেতৃবৃন্দ ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন কর্তৃক ঘোষিত দাওয়াতি পক্ষে দেশের সর্বস্তরের জনগণের সামনে ইসলামের সুমহান আদর্শ তুলে ধরে জনগণের হৃদয় জয় করে ইসলামী শাসনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবিকে গণদাবিতে পরিণত করার লক্ষে ব্যাপকভাবে দাওয়াতি কাজ করার জন্য সংগঠনের সর্বস্তরের জনশক্তির প্রতি আহবান জানান।

এখনো পর্যন্ত সুষ্ঠুভাবেই চলছে ৭নং লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন

স্টাফ রিপোর্টার : সমুদ্র উপকূল ঘেসা পটুয়াখালীর ৭নং লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সকাল ৮টায় ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা মধ্যদিয়ে শুরু হয়েছে। সকাল থেকেই ভোটারদেরকে ফুরফুরে আমেজে ভোট দিতে দেখা গেছে। ভোটারের উপস্থিতিও ভাল। সর্বশেষ প্রাপ্ত সংবাদমতে বিচ্ছিন্ন দু'একটি ঘটনা ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠুভাবেই চলছে। যদিও নির্বাচনী প্রচারণা চলাকালীন আওয়ামী সন্ত্রাসী কর্তৃক কয়েকবার হামলার স্বীকার হয়েছেন বলে হাতপাখার প্রার্থী অভিযোগ করেছেন। এবং ভোটারদেরকে বিভিন্ন ভয়ভীতিও দেখানো হয়েছে।

এই নির্বাচনে বড় দু'টি দল ছাড়াও ইসলামী আন্দোলনের পক্ষে হাতপাখা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ লতাচাপলী ইউনিয়ন ও মহিপুর থানা সভাপতি, দেশের নন্দিত ওয়ায়েজ মাওলানা হাফিজুর রহমান সিদ্দীক ও মুফতী হাবিবুর রহমান মিসবাহ'র পিতা জনাব মোসলেম মুছল্লি মুসা। নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হলে তিনি বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন বলে আশাবাদী।

এই নির্বাচনে ৯টি ভোটকেন্দ্রে মোট ১৬০৪০ জন ভোটার রয়েছেন।

 

বিস্তারিত আসছে...

শনিবার, ১৫ এপ্রিল, ২০১৭

২০ এপ্রিলের মধ্যে গ্রীক দেবীর মূর্তি ভাঙতে হবে: মহাসচিব, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

আইএবি নিউজ: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে গ্রিক দেবীর মূর্তি অবিলম্বে অপসারণ করতে হবে এবং তা আগামী ২০ এপ্রিলের মধ্যেই মূর্তি অপসারণ করতে হবে। গণভবনে দেশের শীর্ষ আলেমদের সামনে কৃত ওয়াদা অনুযায়ী অবিলম্বে গ্রিক দেবীর মূর্তি ভেঙ্গে দিয়ে ওয়াদা পুরণ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি তিনি আহ্বান জানান। মূর্তি অপসারণ না করলে ২১ এপ্রিল রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শায়েখ চরমোনাই আহুত জাতীয় মহাসমাবেশ যে কোন মূল্যে সফল করা হবে।

শনিবার (১৫ এপ্রিল) বিকেলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক এটিএম হেমায়েত উদ্দিন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান ও মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ঢাকা দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, সহ-সংগঠনিক সম্পাদক কেএম আতিকুর রহমান, মুফতি হেমায়েতুল্লাহ, আলহাজ্ব হারুন অর রশিদ, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, মাওলানা আতাউর রহমান আরেফী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, মুফতি কেফায়েতুল্লাহ কাশফি প্রমুখ।

অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, গ্রিক দেবীর মূর্তি মুসলমানদের কোন সংস্কৃতি বা সংস্কৃৃতির অংশ নয়। এটা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতীক। ৯২ ভাগ মুসলমানের এদেশে সাম্প্রদায়িক মূর্তি স্থাপন করে কারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায় তাদের খুঁজে বের করতে হবে। তিনি অবিলম্বে গ্রিক দেবীর মূর্তির অপসারণ করার আহ্বান জানান। মহাসচিব ২১ এপ্রিলের জাতীয় মহাসমাবেশ সফলে জেলাশাখাগুলোকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য জোর নির্দেশ প্রদান করেন।

এদিকে সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে গ্রিক দেবীর মূর্তি অবিলম্বে অপসারণের লক্ষ্যে ইসলামী আন্দোলনের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম শায়েখ চরমোনাই ১৬ এপ্রিল রবিবার বেলা ১১.৩০ মি. পুরানা পল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে উলামা-মাশায়েখদের সাথে এক মতবিনিময় সভার আহ্বান করেছেন।

রাজধানীতে ইসলামী আন্দোলনের থানা সদস্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার : ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খিলগাঁও থানার সদস্য সম্মেলন খিলগাওঁস্থ অফিস মিলনায়তনে থানা ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাফেজ মাওলানা বেলাল হোসেনের সভাপতি অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন নগর সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুর রহমান। বক্তব্য রাখেন নগরনেতা অধ্যাপক ফজলুল হক মৃধা, ডা. লুৎফুর রহমান।

বংশাল থানা শাখার সদস্য সম্মেলন বংশাল থানা কার্যালয়ে থানা সভাপতি আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন নগর সেক্রেটারী মাওলানা এবিএম জাকারিয়া। বক্তব্য রাখেন নগরনেতা অধ্যাপক ফজলুল হক মৃধা, মুহা. শাহ আলম।

ধানমন্ডি থানা শাখা সদস্য সম্মেলন আইএবি মিলনায়তনে হযরত আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন নগর কৃষি ও শ্রম বিষয়ক আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম খোকন। বক্তব্য রাখেন মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, মাওলানা ইখলাস উদ্দিন মোল্লা।

সবুজবাগ থানা সদস্য সম্মেলন অফিস মিলনায়তনে মাওলানা দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন নগরনেতা মাওলানা আব্দুল কাদের। বক্তব্য রাখেন মুহা. জাকির হোসেন।

সভায় ২১ এপ্রিল সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে গ্রিক নারী মূর্তির অপসারণের দাবীতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জাতীয় মহাসমাবেশ সফলের জন্য দেশের ঈমানদার জনতার প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

গ্রিক দেবীর মূর্তি অপসারণের দাবীতে ২১ এপ্রিল যে কোন মূল্যে জাতীয় মহাসমাবেশ: ইসলামী আন্দোলন ঢা. ম. দ.

আইএবি নিউজ: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম বলেছেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় যাওয়ার পূর্বে নির্বাচনী ইশতেহারে ওয়াদা করেছিলেন, “আমরা ক্ষমতায় গেলে কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোন কাজ করব না” কিন্তু দুঃখের বিষয় হলেও সত্য যে, দেশের সর্বোচ্চ আদালতের সামনে ইসলামবিরোধী গ্রিক দেবীর মূর্তি স্থাপন করেছেন। অথচ মহান রাব্বুল আলামিন কুরআনে বলেছেন, “মূর্তির অপবিত্রতা থেকে বেঁচে থাকো” নবী করীম সা. বলেছেন, “আমি মূর্তি ও বাদ্যযন্ত্র ধ্বংস করার প্রেরিত হয়েছি” পৃথিবীতে যত নবী-রাসূল সা. পাঠিয়েছেন তাঁরা সকলেই মূর্তি বিরুদ্ধে কাজ করেছেন।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের এক শ্রেণির তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা বলছেন মূর্তি নাকি ন্যায় বিচারের প্রতীক। মূর্তির বাকশক্তি নেই, কাজেই মাটি বা পিতলের তৈরি বস্তু। অতএব মূর্তি কখনো ন্যায় বিচারের প্রতীক হতে পারে না। তিনি বলেন, মূর্তি অপসারণে প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। মূর্তি অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলতেই থাকবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী কওমী মাদরাসা সনদের স্বীকৃতি ঘোষণা দেওয়ায় তাঁর মন্ত্রী পরিষদের সদস্য তথ্য মন্ত্রী ইনু, মেননসহ কিছু নাস্তিক্যবাদী গোষ্ঠী লাগামহীন বক্তব্য বিবৃতি দিয়ে সর্বজন শ্রদ্ধেয় আলেম আল্লামা আহমদ শফী সাহেবকে নিয়ে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করছে এবং দেশকে ক্রমেই অশান্ত করে তুলছে। অবিলম্বে ইনু-মেননদের লাগাম টেনে না ধরলে দেশে যে উদ্ভুত পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে সরকারকেই বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হবে।

ইসলামী আন্দোলনের আমীর পীর সাহেব চরমোনাই ঘোষিত ২১ এপ্রিলের মহাসমাবেশ সফলের লক্ষ্যে ঢাকা মহানগর থানা-ওয়ার্ডে ব্যাপক গণসংযোগকালে নগর দক্ষিণ সভাপতি ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত কথা বলেন।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ডেমরার সারুলিয়া অফিস মিলনায়তনে আলহাজ্ব আলতাফ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সদস্য সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, বিশেষ অতিথি ছিলেন নগরনেতা ডা. শহিদুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন আলহাজ্ব এসএইচএম মোস্তফা জামান, হাফেজ ওমর ফারুক, হাফেজ ইবরাহীম খলিল। কদমতলীর দনিয়া ইউনিয়ন শাখার সদস্য সম্মেলন দনিয়া কনভেনশন সেন্টারে ইউনিয়ন সভাপতি আলহাজ্ব ওসমান গণী নবীর সভাপতিত্বে সেক্রেটারী মাঈনুদ্দিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সদস্য সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, বিশেষ অতিথি ছিলেন নগরনেতা ডা. শহিদুল ইসলাম ও মাওলানা বাছির উদ্দিন মাহমুদ।

ইশা ছাত্র আন্দোলন ১নং কাঞ্চনপুর ইউনিয়নে দাওয়াতি সভা ও কমিটি গঠন সম্পন্ন

স্টাফ রিপোর্টার : গতকাল ১৪ এপ্রিল'১৭ (শুক্রবার) ১নং কাঞ্চনপুর ইউনিয়নে (রামগঞ্জ উপজেলা) ইশা ছাত্র আন্দোলনের দাওয়াতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতি মুহা. পারভেজ হোসাইন এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মুহা. জুবায়ের হোসেন এর সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ইশা ছাত্র আন্দোলন রামগঞ্জ উপজেলার সাংগঠনিক সম্পাদক মুহা. ইয়াসিন আরাফাত।

বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুহা. পারভেজ আটিয়া, যুব নেতা আব্দুল্লাহ আল কাউছার প্রমুখ।

সভা শেষে প্রধান অতিথি ২০১৬ সেশনের কমিটি বিলুপ্ত করে ২০১৭ সেশনের ৯ সদস্য বিশিষ্ট একটি নতুন কমিটি ঘোষণা করেন।

সভাপতি মুহাম্মদ পারভেজ আলম, সহ-সভাপতি মুহাম্মদ তসলীম, সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রবিন,

সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর জব্বার, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুহাম্মদ ছাদ্দাম আহমেদ, প্রচার সম্পাদক মুহাম্মদ আরমান হোসেন, অর্থ সম্পাদক,মুহাম্মদ যুবায়ের আহমেদ, ছাত্র কল্যাণ সম্পাদক মুহাম্মদ আহমেদ রনি, সাহিত্য বি. সম্পাদক মুহাম্মদ রুবেল হোসাইন।

কিশোরগঞ্জে ইসলামী আন্দোলনের থানা দায়িত্বশীল তারবিয়াত অনুষ্ঠিত

আশরাফ আলী সোহান : গতকাল ১৪ এপ্রিল শুক্রবার সকাল ৯টা হতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার আয়োজনে জেলা দায়িত্বশীল মূল্যায়ন ও থানা দায়িত্বশীল তারবিয়াত অনুষ্ঠিত হয়।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা আলমগীর হোসাইন এর সভাপতিত্বে ও মাওলানা মহিউদ্দিন আজমীর পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ তারবিয়াত প্রদান করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সম্মানিত সহ-মহাসচিব আমিন ইসলাম। সকাল ৯.০০ টা হতে দুপর ৩.০০ পর্যন্ত তারিবয়াতে দায়িত্বশীলদের করণীয়, অফিস পরিচালনা ও নেতৃত্বদান বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ তারবিয়াত প্রদান করেন তিনি। এছাড়াও অনুষ্ঠানে থানা দায়িত্বশীলদেরকে আসন্ন ২১ এপ্রিলের জাতীয় মহাসমাবেশের প্রস্তুতি নিতে আহবান করা হয়।

জেলা দায়িত্বশীল মূল্যায়ন পর্বে জেলা দায়িত্বশীলদের কার্যক্রম, পরিকল্পনা, কতটি মিটিং এ উপস্থিত ছিলেন এসব বিষয়ে পর্যালোচনা করা হয়।

অনুষ্ঠানে জেলা দায়িত্বশীলদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা শফিকুল ইসলাম ফারুকী, দফতর সম্পাদক হাদিউল ইসলাম, সহ-দফতর সম্পাদক আশরাফ আলী সোহান, অর্থ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন জুয়েল, সহ-অর্থ সম্পাদক রিদুওয়ান আহমেদ সহ প্রমুখ।

তারবিয়াত অনুষ্ঠান শেষে জেলা দায়িত্বশীলদের নিয়ে আগামী দিনে কিভাবে কাজকে আরো বেগবান করা যায় এ বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়াও আগামী ২১ এপ্রিল মহাসমাবেশ প্রস্তুতি বিষয় আলোচনার মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।

শুক্রবার, ১৪ এপ্রিল, ২০১৭

ধর্মীয় শিক্ষার অভাবেই শিক্ষার্থীরা সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গীবাদ এবং অপসংস্কৃতির দিকে ধাবিত হচ্ছে: ইশা ছাত্র আন্দোলন

স্টাফ রিপোর্টার : ১৪ এপ্রিল রোজ শুক্রবার সকাল ৯.৩০ ঘটিকায় ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন ফতুল্লা থানা শাখা কর্তৃক আয়োজিত "শিক্ষকদের সাথে আলোচনা সভা ও স্কুল কেবিনেট সংবর্ধনা" অনুষ্ঠান পাগলা বাজার সংলগ্ন আই.এস.সি.এ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত আলোচনা সভার আলোচ্য বিষয় ছিলো "সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ দমনে আমাদের করণীয়"।

ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন ফতুল্লা থানা শাখার সভাপতি আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ হাসান এর সভাপতিত্বে উক্ত বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইশা ছাত্র আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুহা. শফিকুল ইসলাম।

প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ফতুল্লা থানা শাখার সভাপতি হযরত মাওলানা আনোয়ার হোসেন জিহাদী।

প্রধান অতিথির তার বক্তব্যে বলেন, ইসলামের নাম ব্যবহার করে কতিপয় নামধারীরা ইসলামকে বিতর্কিত করার জন্য সন্ত্রাসবাদ এবং জঙ্গীবাদকে ছড়িয়ে দিচ্ছে। কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এর শিক্ষার্থীরা ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা না পাবার কারণে অল্পতেই জঙ্গীবাদের দিকে আকৃষ্ট হচ্ছে। অভিভাবকদের এ দিকে প্রবলভাবে নজর দেয়া উচিত যেনো তাদের সন্তানরা ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা পেতে পারে। তিনি আরো বলেন, প্রকৃত ধর্মীয় শিক্ষা তথা ইসলামী শিক্ষার অভাবেই শিক্ষার্থীরা সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গীবাদ এবং অপসংস্কৃতির দিকে ধাবিত হচ্ছে।

মাওলানা জিহাদী বলেন, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন একটি মকবুল ছাত্র সংগঠন। মরহুম পীর সাহেব চরমোনাই রহ. ঘুনে ধরা ছাত্র সমাজকে দ্বীনের পথে ফিরিয়ে এনে ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠার মহান কাজকে আঞ্জাম দেয়ার উদ্দেশ্যে এই সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। সকল ছাত্রদের উচিত এই মুবারক কাফেলায় শরীক হয়ে নিজেকে ধন্য করা। তিনি বলেন, ইশা ছাত্র আন্দোলন কখনোই নাশকতা, অস্থিতিশীলতা এবং অপরাজনীতিতে বিশ্বাস করেনা।

সভাপতির বক্তব্যে আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ হাসান বলেন, জ্ঞানচর্চা ও চিন্তাশীলতায় ইশা ছাত্র আন্দোলন এগিয়ে যাচ্ছে। সচেতন নাগরিকদের নিকট ইশা ছাত্র আন্দোলন গ্রহণযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। মঙ্গল শোভাযাত্রার ন্যায় রাষ্ট্রে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন অপসংস্কৃতি রোধে ইশা ছাত্র আন্দোলন বদ্ধপরিকর। তিনি আরো বলেন, ইসলামে সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গীবাদ এবং অপসংস্কৃতির কোনো স্থান নেই। নির্বাচিত কেবিনেটদের উদ্দেশ্যেও তিনি বিভিন্ন দিকনির্দেশনামূলক আলোচনা প্রদান করেন।

অবশেষে প্রধান বক্তার দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন ফতুল্লা থানা শাখা কর্তৃক আয়োজিত "শিক্ষকদের সাথে আলোচনা সভা ও স্কুল কেবিনেট সংবর্ধনা" অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়।

পাঁচ বছর পর জনগণ আমার ঘরে গিয়ে নির্বাচন করতে অনুরোধ করবে: হাতপাখার প্রার্থী

শেখ আজিজুর রহমান মাসুম: আজ (শুক্রবার) রাত ৮টায় আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হলো লতাচাপলী ইউনিয়নের নির্বাচনী প্রচারণা। হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী জনাব মোসলেম মুসুল্লী মুছা তার বক্তব্যে বলেন, আমি নির্বাচিত হলে পাঁচ বছর পর আর ভোট চাইতে ঘরে ঘরে আসবো না। কেননা, সুশাসনের কারণে জনগণ খুশি হয়ে আমাকে আমার ঘরে গিয়ে নির্বাচন করতে অনুরোধ জানাবে ইনশাআল্লাহ। আমি নির্বাচিত হলে প্রত্যেক ওয়ার্ডে একটি করে ক্যাম্প করবো, যেখানে প্রতি মাসে একবার এলাকার সার্বিক বিষয় নিয়ে পর্যালোচনা হবে। পারস্পরিক বিরোধ বা অনাকাঙ্ক্ষিত  ঘটনার নিরসন ও সুষ্ঠু ন্যায়নিষ্ঠ বিচারকার্য সম্পন্ন করাই হবে সেই ক্যাম্পের কাজ। কিন্তু যারা স্বাধীনতার পর হতে বিভিন্ন দল হতে চেয়ারম্যান হয়ে আসছে, তাদের ভোট চাইতে হবে কেনো? বুঝা গেলো তারা যে কাজ করেছেন, তাতে জনগণ তাদের ভোট দিবে না। অতএব, এরা কখনো ইউনিয়নের জন্য কল্যাণ বয়ে আনতে পারবে না।

আজ ১৪ এপ্রিল'১৭ বাদ সন্ধ্যা হাতপাখার পথ সভা পরবর্তী জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন সংগঠনের বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা। এছাড়াও সর্বক্ষণ মাঠে আছেন প্রার্থীর তিন ছেলে নন্দিত ওয়ায়েজ মাওলানা হাফিজুর রহমান সিদ্দিক, মুফতি হাবিবুর রহমান মিসবাহ ও মাহফুজুর রহমান জাবের।

আমাদের প্রতিনিধি জানান, লতাচাপলী ইউনিয়নে হাতপাখার জোয়ার উঠেছে। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিপুল ভোটে হাতপাখার জয় হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

হাতপাখার গণজোয়ার দেখে প্রচারণায় বেশ কয়েকবার আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বাধা প্রধান করেছে।

প্রার্থীর মেজো ছেলে মুফতি হাবিবুর রহমান মিছবাহ বলেন, আওয়ামীলীগ বেশ কয়েকবার হাতপাখার নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা দিয়েছে। তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য বলছে ও হাতপাখার পক্ষে প্রচারণা চালালে তাদের দেখে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। নির্বাচনের দিন বাধা প্রদানের পুনরাবৃত্তি হতে পারে বলে তিনি আশংকা প্রকাশ করেন।

এছাড়াও এই নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম, ইশা ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি শাইখ ফজলুল করীম মারুফ, সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল্লাহ ফাহাদ, নওমুসলিম ডা. সিরাজুল ইসলাম সিরাজী সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

টেকনাফে ইসলামী আন্দোলনের জাতীয় মহাসমাবেশের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

টেকনাফ (উপজেলা) থেকে এনামুল হক মনজুর: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ টেকনাফ উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ তৈয়ব আরমানের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মাওলানা ইসমাইল কাসেমীর পরিচালনায় এক প্রস্তুতি সভা আজ ১৪ এপ্রিল (শুক্রবার) অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন জয়েন্ট সেক্রেটারি মাওলানা মুহাম্মদ এনামুল হক মনজুর, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আব্দুল খালেক জিহাদী, অর্থ সম্পাদক মাওলানা হাফেজ জসিম উদ্দিন, হাফেজ মাওলানা নুরুল হুসাইন, আলহাজ মুহাম্মদ ইসমাইল, আব্দুল মালেক সওদাগর, মুহাম্মদ জিয়াউল হক, মাওলানা রুহুল আমিন, ছাত্র নেতা হাফেজ মুহাম্মদ রফিক সহ উপজেলা নেতৃবৃন্দ।

সভায় সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে গ্রীক দেবীর মূর্তি অপসারণের দাবীতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আহুত আগামী ২১ এপ্রিলের জাতীয় মহাসমাবেশকে সফল করতে উপজেলা শাখা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। সাথে সাথে টেকনাফ থেকে সমাবেশে যোগদানের জন্য গাড়ির ব্যবস্থা করতে উপজেলা সভাপতি দায়িত্বশীলদের প্রতি নির্দেশনা প্রদান করেন। সভা শেষে সমাবেশ জাতীয় মহাসমাবেশের সফলতা কামনা করে মোনাজাতের মাধ্যমে সভার সমাপ্তি হয়।

নবীন আলেমদেরকেই গণমানুষের নেতৃত্ব দিতে হবে: অধ্যক্ষ ইউনুস আহমাদ

স্টাফ রিপোর্টার : আজ ১৪ এপ্রিল'১৭ ইং রোজ শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন যাত্রাবাড়ী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে শাখা সভাপতি এম.এম. জহিরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে ও শাখা সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহমাদের সঞ্চালনায় নবীন আলেম ও কর্মী সংবর্ধণা অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত অনুষ্টানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর মুহতারাম মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমাদ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে নবীন আলেমদেরকে সম্বোধন করে তিনি বলেন, আপনারাই নবীদের যোগ্য ওয়ারিস। আপনাদেরকে যুগ সচেতন আলেম হতে হবে। এ দেশের গণমানুষের যোগ্য নেতৃত্ব আপনাদেরকেই দিতে হবে।

উক্ত অনুষ্টানে প্রধান বক্তার বক্তৃতায় ইশা ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি শাইখ ফজলুল করীম মারুফ বলেন, ইশা ছাত্র আন্দোলন এমন একটি সংগঠন যারা ছাত্রবৃন্দকে জ্ঞানপিপাসু ও যোগ্য নেতৃত্ব সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে।

উক্ত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি মাওলানা এ.বি.এম জাকারিয়া, ছাত্র আন্দোলন ঢাকা মহানগর পূর্বের সাধারণ সম্পাদক মোহাঃ সিরাজুল ইসলাম, ইসলামী যুব আন্দোলন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এর সদস্য সচিব মুফতি মনসুর আহমাদ সাকী, ছাত্র আন্দোলন যাত্রাবাড়ী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহ-সভাপতি মোহাঃ রহমতুল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাঃ তাফাজ্জল করিম, প্রশিক্ষণ সম্পাদক জাহিদ বিন ছায়েদুল হক, অর্থ সম্পাদক নুর হুসাইন গাজী সহ নগর ও থানার নেতৃবৃন্দ।

হাতপাখার কর্মীদের উপর আবারো আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলা!

স্টাফ রিপোর্টার : ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ৭ং লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৭ং ওয়ার্ডে ওয়ার্কিংকালে হাতপাখার কর্মীরা আওয়ামী সন্ত্রাসীদের বাধার সম্মুখীন হন।

যারা হাতপাখার কর্মীদের সহযোগিতা করবে তাদের দেখে নেয়ার হুমকিও দেয় সন্ত্রাসীরা। খবর পেয়ে পরিদর্শনের জন্য প্রার্থীর মেজো ছেলে মুফতী হাবিবুর রহমান মিছবাহ ও ছোট ছেলে মাহফজুর রহমান জাবের এবং প্রার্থীর ভাতিজা ফোরকান আহমাদ সেখানে উপস্থিত হন। এসময় সেখানে উপস্থিত ছিল বাধা প্রদানকারী জলিল হাওলাদার। তার কাছে বাধার কারণ জানতে চাইলে উপরের নির্দেষে বাধা প্রদান করেছে বলে সে জানায়।

মুফতী হাবিবুর রহমান মিছবাহ জনগণের অধিকার নিয়ে কথা বললে জলিল হাওলাদার হুমকি দিয়ে বলে, আমার ক্ষমতা আছে পারলে ঠেকান! এটা বলেই স্কুলের বারান্দায় পূর্ব থেকে ওত পেতে থাকা একদল সন্ত্রাসীদের ডাক দেয়। এসময় সন্ত্রাসীরা দৌড়ে স্কুলের বাউন্ডারি ভেংগে জলিল হাওলাদারের নেতৃত্বে তাদের উপর হামলা করে। তবে প্রার্থীর ছেলে এবং ভাতিজার দৃঢ়তায় তারা পিছু হটে।

তবে তারা শংকা প্রকাশ করে বলেন যে, আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ভোটের দিনও এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটাবে এবং ভোট ডাকাতি করবে। ভোটারদের ভয়ভীতি দেখিয়ে ভোটকেন্দ্রে আসতে বাধা দিবে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সাথে সাথে প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

৫ম শ্রেণীর বাংলা বইয়ে ‘শিক্ষকের মর্যাদা’ কবিতাটি পূঃর্ণবহাল করতে হবে: জাতীয় শিক্ষক ফোরাম ঢা. ম. উ.

স্টাফ রিপোর্টার : ধর্মনিরপেক্ষতা প্রতিষ্ঠার জন্য শিক্ষা, সংস্কৃতি ও আদর্শিকভাবে জাতিকে ধর্মহীন করার পূর্ব পরিকল্পনা হিসেবে ইসলামী শিক্ষাকে সংকোচিত করা হয়েছে। এ শিক্ষানীতি বাস্তাবায়িত হলে একজন সাধারণ ধারার শিক্ষার্থী শিক্ষা জীবনের সূচনা হতে প্রকৃত ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহণ করা ছাড়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রী নিয়ে বেরিয়ে যেতে পারবে। তাই দেশ ও জাতির স্বার্থে এ-শিক্ষানীতি কোন অবস্থাতেই বাস্তবায়িত হতে পারে না।

জাতীয় শিক্ষক ফোরাম ঢাকা মহানগর উত্তরের এক পরামর্শ সভা গতকাল সন্ধ্যা ৭টায় রাজধানীর উত্তরার একটি রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত হয়। উত্তরের আহবায়ক মুফতী মাছউদুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব প্রভাষক আব্দুস সবুরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন। সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, অধ্যাপক ইউনুছ আলী, শিক্ষাবিদ ও কলামিষ্ট শাহেদ হারুনী, ড. মহিব্বুল্লাহ কাসেমী, প্রিন্সিপাল আব্দুস সালাম, প্রভাষক আব্দুর রকিব, মাও: নুরে আলম সিদ্দিকী, মুফতী মহিউদ্দিন প্রমুখ।

অধ্যাপক ইউনুছ আলী বলেন, উচ্চ শিক্ষা শিক্ষাজীবনের সর্বশেষ ও গুরুত্বপূর্ণ স্তর। এ স্তর থেকেই তৈরী হয় প্রথম  শ্রেণীর নাগরিক ও জাতির কর্ণধার। যাদের নেতৃত্বে পরিচালিত হয় দেশ, জাতি, অফিস-আদালত, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, চিকিৎসালয়, সামরিক ও বেসামরিক বাহিনীসহ দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান। এদের দ্বারাই অর্জিত হয় দেশের উন্নতি-অবনতি, সুনীতি-দূর্নীতি, সুনাম-বদনাম, সম্মান-অসম্মান, কল্যাণ-অকল্যাণ। এক কথায় দেশের ভাল-মন্দ সব কিছুই নির্ভর করে এদের কর্মকান্ডের উপর। সুতরাং এ স্তরের শিক্ষার গুরুত্ব অন্যান্য স্তরের তুলনায় অনেক বেশী। কিন্তু এ স্তরে একমাত্র ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ ব্যতীত অন্য কোন বিভাগে ধর্মীয় শিক্ষার কোন বিষয় আবশ্যিক  তো দূরের কথা ঐচ্ছিক বা অতিরিক্ত হিসেবে নেওয়ারও কোন সুযোগ নেই। উচ্চ শিক্ষা স্তরে ধর্মীয় শিক্ষার ব্যবস্থা না থাকায় শিক্ষার্থীরা বস্তুবাদী ও নীতি বিবর্জিত মানুষে পরিণত হচ্ছে। তাদের মধ্যে অনাচার-অবিচার, নীতিহীনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং কর্মজীবনে দূর্নীতিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়ছে। তাদের মধ্যে ব্যক্তি কেন্দ্রিকতা, দয়া-মায়া হীনতা, নির্মমতা-নিষ্ঠুরতা ও পশুত্ববোধ বেড়েই চলছে। তাদের মধ্যে স্নেহ-মায়া-মমতা, ভালবাসা, মহত্ত্ব ইত্যাদি নৈতিক গুণাবলী নৈই বললেই চলে। বিপরীত পক্ষে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও নৈতিকতা বিবর্জিত হওয়ার কারণে শিক্ষার সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রী ও সহকর্মীর প্রতি যৌন হয়রানি, অবাধ যৌনাচার, ধর্ষণের সেঞ্চুরী এবং এ উপলক্ষে অনুষ্ঠান করে মিঠা-মন্ডা বিতরণ, যৌন ব্যবসা ও যৌনকর্মে বাধ্য করার মত অসংখ্য ঘটনা অহরহ ঘটে চলেছে। মাদকতার ভয়াল ¯্রােতে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং জনপদ আজ ভাসছে। সর্বোপরি দেশে দূর্নীতি, অনিয়ম এবং নৈরাজ্য এখন দুরারোগ্য ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। এ সমস্যা নিরসনের উপায় হিসেবে ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীর মনে ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধ জাগ্রত করার কোনই বিকল্প নেই। এ লক্ষ্য অর্জনের জন্য উচ্চশিক্ষার সকল ক্ষেত্র ও ধারায় বিশেষ করে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শ্রেণীতে ন্যূনতম ২০০ নম্বরের ধর্মীয় ও  নৈতিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে। দেশ ও জাতির শিক্ষার মান এবং জাতির চরিত্র ও নৈতিকতা সৃষ্টি করার  ক্ষেত্রে এর কোন বিকল্প নেই। মুসলিম প্রধান দেশ মালয়েশিয়ায় শিশু শ্রেণী থেকে শিক্ষার সর্বোচ্চ স্তর পর্যন্ত ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক। ফলে মালয়েশিয়া আজ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে এবং উন্নতির চরম শিখরে আরোহন করেছে। অথচ শতকরা ৯০ ভাগ মুসলিম প্রধান দেশ বাংলাদেশে ইসলামী শিক্ষা সবচেয়ে অবহেলিত। ফলে আমরা আজ সর্বক্ষেত্রে অধঃপতিত।

ড. মহিব্বুল্লাহ বলেন, শিক্ষার উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য  হলো আমরা চাই আমাদের শিক্ষাপদ্ধতি এমন হউক যা আমাদের জীবনী শক্তিকে ক্রমেই সজাগ, জীবন্ত করে তুলবে। যে শিক্ষা শিক্ষার্থীদের দেহ-মন দুটোকেই পুষ্ট করে তাই হবে আমাদের শিক্ষা। শিক্ষার দুটি শক্তি। একটি হলো প্রাণশক্তি আপরটি হলো কর্মশক্তি। এই দুই শক্তিকে একীভূত করাই যেন আমাদের শিক্ষার উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য হয়। নি:সন্দেহে যে শিক্ষার জীবনীশক্তি নেই তা মানবিকও নয়। আশাব্যঞ্জক এই যে, জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ -এ মানবিক ও নৈতিক মূল্যবোধ সংক্রান্ত্র বক্তব্য, মন্তব্য ও সুপারিশ বহুমাত্রায় পরিলক্ষিত। তবে

জাতীয় শিক্ষানীতিতে এর শিক্ষা-দর্শন থাকবে, এতে জাতির আশা আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটবে; জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে তা প্রণীত ও গৃহীত হবে। জাতির পূর্ব অভিজ্ঞতাসমূহ এখানে ব্যবহৃত হবে, উপেক্ষিত হবে না। এসকল মানদন্ডের ভিত্তিতেই শিক্ষানীতি প্রবর্তিত হয়।

শিক্ষানীতির সমালোচনা করে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও কলামিষ্ট শাহেদ হারুনী বলেন, ইতোপূর্বেকার কুদরাত-ই-খুদা ও শামসুল হক শিক্ষা কমিশনে ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা গুরুত্ব না পাওয়ায় বরাবরই এ-জাতি সে বিষয়ে আপ

বৃহস্পতিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০১৭

লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে হাতপাখার বিশাল পথসভা ও মিছিল অনুষ্ঠিত

লতাচাপলী (পটুয়াখালী) ইউনিয়ন সংবাদদাতা : ৭নং লতাচাপলী ইউনিয়নে হাতপাখার শেষ পথসভা। পথসভাপূর্ব বিশাল মিছিল ও পথসভার এমন উপস্থিতি বলে দিচ্ছে কারা বিজয় লাভ করবে। ইউনিয়নবাসী স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে হাতপাখা নিয়ে। গণমানুষ আওয়াজ তুলেছে অন্যায়কারী বা সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করবে যেকোনো মূল্যে।

পীর সাহেব চরমোনাই মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জনাব মোসলেম মুসুল্লী মুছার সভাপতিত্বে পথসভায় বক্তব্য রাখেন নওমুসলিম ডা. সিরাজুল ইসলাম সিরাজী, মাওলানা মাহমুদুল হোসাইন অলিউল্লাহ, মুফতী হাবিবুর রহমান, মাওলানা হাফিজুর রহমান সিদ্দীক, মুফতী হাবিবুর রহমান মিছবাহ, আর.আই.এম অহিদুজ্জামান, মাওলানা এইচ.এম সাইফুল ইসলাম, মাওলানা কাজী গোলাম সরওয়ার প্রমুখ।



বিশাল মিছিলের নেতৃত্ব প্রদান করেন, প্রার্থীর মেজো ছেলে ও নন্দিত ওয়ায়েজ, মুফতী হাবিবুর রহমান মিছবাহ ও ছোট ছেলে, দারুল উলূম দেওবন্দ (ভারত) এর ছাত্র মাওলানা মাহফুজুর রহমান জাবের।

এর আগে দুপুরে গণসংযোগে যোগদান করেন ছাত্র সমাজের হৃদয়ের স্পন্দন, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি, ছাত্রনেতা শাইখ ফজলুল করীম মারুফ ও সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল্লাহ ফাহাদ, মাওলানা আনোয়ার হোসাইন চাঁদপুর, মাওলানা নজরুল ইসলাম ফরিদগঞ্জ প্রমুখ।

মঙ্গল শোভাযাত্রার নামে সাম্প্রদায়িক কর্মসূচী বর্জন করুন: প্রিন্সিপাল মাদানী

আইএবি নিউজ: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী দেশবাসীর প্রতি মঙ্গল শোভাযাত্রার নামে সাম্প্রদায়িক কর্মসূচী বর্জন করার আহবান জানান।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম-এর সভাপতিত্বে এবং নগর সেক্রেটারী মাওলানা এবিএম জাকারিয়ার সঞ্চালনায় আজ ১৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় পুরানা পল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে ২১ এপ্রিল জাতীয় মহাসমাবেশ সফল করার লক্ষে এক যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয় অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে সর্ব প্রথম ১৯৮৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে ১লা বৈশাখে মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রবর্তন করা হয়। মঙ্গল শোভাযাত্রায় বড় বড় পুতুল, হুতোম পেঁচা, হাতি, কুমির ও ঘোড়াসহ বিভিন্ন জীব-জন্তুর মুখোশ পরে প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষ একসঙ্গে অশালীন পোশাক পরে অশ্লীল ভঙ্গিতে ঢোল বাদ্যের তালে তালে নৃত্য করে সড়ক প্রদক্ষিণ করার রীতি চালু করা হয়েছে, যা ইসলামের দৃষ্টিতে সম্পূর্ণ হারাম। হিন্দু সমাজে শ্রী কৃষ্ণের জন্মদিনে মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। তারা তাদের বিশ্বাস অনুযায়ী মঙ্গলের প্রতীক হিসেবে পেঁচা, রামের বাহন হিসেবে হনুমান, দুর্গার বাহন হিসেবে সিংহের মুখোশ পরে ও দেবতার প্রতীক হিসেবে সূর্য এবং অন্যান্য জীব-জন্তুর মুখোশ পরে মঙ্গল শোভাযাত্রা করে থাকে। বাঙ্গালি সংস্কৃতির সাথে ইসলাম ধর্মের সাথে মঙ্গল শোভাযাত্রার কোন সম্পর্ক নাই। মুসলিম সন্তানরা এটা পালন করতে পারেনা।

এছাড়া বক্তব্য রাখেন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি জি এম রুহুল আমিন। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ৯২% মুসলমানের চিন্তা-চেতনা বিরোধী জাতীয় ঈদগাহের পাশে সুপ্রিমকোর্টে এর সামনে গ্রীক মূর্তি স্থাপন করে মুসলমানদের ঈমানে চরম আঘাত করেছে।

সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা ইমতিয়াজ আলম বলেন, বাংলাদেশের কোন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার সামনে কোন মূর্তি সহ্য করা হবে না। তিনি সরকার প্রধানকে উদ্দেশ্য করে বলেন আপনার ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ২১ এপ্রিলের পূর্বেই সুপ্রিমকোটের সামনে থেকে মূর্তি অপসারণ করতে হবে। যদি না করা হয় তাহলে আগামী ২১ এপ্রিল মহাসমাবেশে ঈমানদার তাওহিদী জনতা ক্ষেপে গেলে সরকারের শেষ রক্ষা হবে না।

আরও বক্তব্য রাখেন নগর সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, আলহাজ্ব আলতাফ হোসেন, অর্থ সম্পাদক মাওলানা নজরুল ইসলাম, সহ অর্থ সম্পাদক নুরুজ্জামান সরকার, সহ প্রচার সম্পাদক মাওলানা আব্দুল কাদের, আলহাজ্ব ফজলুল হক মৃধা, আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর আলম, আবুল হাসান, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন, ইসলামী যুব আন্দোলন ও ইশা ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা মহানগর নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন থানা দায়িত্বশীলসহ প্রমূখ নেতৃবৃন্দ।

মঙ্গল শোভাযাত্রা পহেলা বৈশাখে কেন?

বাংলাদেশ স্বাধীন হয় মাত্র নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধে, এর বিরূদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয় তারও কম সময়ের মধ্যে। ইঙ্গ-মার্কিন প্লান ছিল বিশ বছরের, টার্গেট খ্রিস্টরাজ্য নির্মাণের। ভারতের প্রোগ্রাম ছিল পঁচিশসালা, উদ্দেশ্য ভূটানের মতো একেবারে গিলে ফেলা। রাশিয়ার পরিকল্পনা ছিল আরো কম সময়ের, লক্ষ্য সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রগঠনের। চূড়ান্ত অভীষ্টে যদিও ছিল ভিন্নতা, তথাপি প্রাথমিক পরিকল্পনায় সবার ছিল একই চিন্তা।

যাই হোক, পহেলা বৈশাখের একাল-সেকাল অনেক দীর্ঘ। আমি একজন মুসলিম বাঙ্গালী হিসেবে আমার সোনার বাংলার পহেলা বৈশাখের কথাই বলছি। এইতো গেল কিছু দিন আগে আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছূ সংখ্যক তরুণ শিক্ষার্থী সকল বাঙ্গালীদের আনন্দের একটি জায়গা তৈরী করল।

তরুণরা পহেলা বৈশাখ ১৩৯৬ বঙ্গাব্দে (১৪ এপ্রিল,১৯৮৯ ইং) এক আনন্দঘন বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করে। তখন এই উৎসবের নাম ছিল “বৈশাখ উৎসব ১৩৯৬-আনন্দ শোভাযাত্রা” শিরোনামে। কিন্তু বছরের চাকা ঘুরতে না ঘুরতেই ১৩৯৭ বঙ্গাব্দ থেকে প্রথমবারের আনন্দ শোভাযাত্রার পরিবর্তে বর্ষবরণের এ শোভাযাত্রা “মঙ্গল শোভাযাত্রা” নামে প্রচার করা হচ্ছে সারা দেশে।

তবে দূঃখের কথা হচ্ছে, সেদিন যে বাঙ্গালী তরুণ শিক্ষার্থীদের নির্ভিক অক্লান্ত পরিশ্রমে আয়োজিত হয়েছিল “বৈশাখ উৎসব” তা একদিন “মঙ্গল শোভাযাত্রা” নাম ধারণ করবে, কোন দিন তাদের ভাবনার জগতে উদয় হয়নি। তাদের স্বপ্নের ফসল পয়লা বৈশাখে বাংলা বর্ষবরণ উৎসব একদিন দেব-দেবীর শোভাযাত্রা হিসেবে বাঙ্গালী ও বাংলাদেশের মানুষের কাছে পেশ করা হবে তার কল্পনাও তারা  করেনি।

এখন জানার বিষয় হচ্ছে, পহেলা বৈশাখে মঙ্গল শোভাযাত্রা কিভাবে যোগ হল ?

বাংলা সালের শেষ দিনকে বলা হয় চৈত্রসংক্রান্তি। এ দিনটি হিন্দুদের নিকট বিশেষ গুরূত্বপূর্ণ। হিন্দুদের বিশ্বাস, এ দিনে আত্মদান, ব্রত, উপাসনা প্রভৃতি ক্রিয়াকর্ম পূণ্যজনক। তাই তারা যুগ যুগ ধরে চৈত্র মাসের শেষ দিনটি “চরকপূজা” নামে বৈশাখের দ্বিতীয় বা তৃতীয়দিন পর্যন্ত উদযাপন করে আসছে। হতে পারে এভাবেই বৈশাখী উৎসব ও মঙ্গল শোভাযাত্রা একাকার হয়ে গেছে।

তাছাড়া, বাংলা উইকিপিডিয়াতে প্রদত্ব ভাষ্য থেকে বুঝা যায়, মঙ্গল শোভাযাত্রা ও মঙ্গল কাব্য সবই হচ্ছে হিন্দুদের ধর্মীয় অনুষঙ্গ। হিন্দুদের বিশ্বাস মতে, পহেলা বৈশাখে অশুভ শক্তিকে তাড়াতে শ্রীকৃষ্ণের জন্ম হয়েছে। তাই তারা অকল্যাণ তাড়াতে প্রতি বছর শ্রীকৃষ্ণের জন্ম দিনে মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করে ।

অন্যদিকে, মঙ্গলকাব্যে বলা হয়েছে বিষ্ণু দেবতার পত্নী  লক্ষীদেবীর বাহন হচ্ছে পেঁচা, রামের বাহন হনুমান, দূর্গার বাহন সিংহ, গণেশের বাহন ইঁদুর, স্বরসতীর বাহন হাঁস, গাভী রামের সহযাত্রী, সূর্য দেবতার প্রতীক ও ময়ূর কার্তিকের বাহন ইত্যাদি নিয়ে শরীরে দেব-দেবীর প্রতিকৃতি ধারণ করে মঙ্গল শোভাযাত্রা করে থাকে হিন্দুসমাজ। কালচক্রে এভাবেই একীভুত হয়ে পড়ে বাঙ্গালী ও হিন্দুয়ানী সংস্কৃতি।

পরিশেষে লিখে যাই, ৯৩ ভাগ মুসলমানের এ দেশে কোন অবস্থাতেই এসব অপসংস্কৃতি রাষ্ট্রীয়ভাবে পালিত হতে পারে না। কারণ আমরা মুসলমান, এ সোনার বাংলায় গাইব আমরা ইসলামের জয়গান। এ বসুমতিতে মুসলিম মিল্লাত সর্বোত্তম ও সর্বশ্রেষ্ট জাতি।

ইসলাম পূর্ব জাহালতের যুগে গোটা দুনিয়া বর্বরতার ঘন তিমিরে ছিল নিমজ্জিত। এমন সময় সভ্যতা-সংস্কৃতির আকাশে রক্তিম আভা নিয়ে উদিত হন ইসলামী সভ্যতা -সংস্কৃতির রবি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।

এ সূর্য যখন আপন মহিমায় স্বীয় দীপ্তি বিস্তার করতে লাগল তখন রজনীর তিমির আধারে উদীয়মান সকল কুসংস্কৃতির শশী-তারা স্থিমিত হয়ে গেল। ইসলামের মহিমায় সবাই বিমোহিত হয়ে তার সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহণ করে স্বস্থির নি:শ্বাস ফেলল। আল্লাহ পাকের ফরমান, তোমাদের জন্য রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর মধ্যে উত্তম আদর্শ রয়েছে। এজন্য ইসলাম ধর্মের নিজস্ব সংস্কৃতি রয়েছে। সংস্কৃতি হচ্ছে জীবনসত্তার অন্তরঙ্গ ও বহিরঙ্গের সামগ্রিক রূপ। সেটি যদি হয় মানানসই, আত্মনির্ভরশীল, পঙ্কিলতামুক্ত, তাহলে তা অনুসরণীয়।

তাই কিসে আমাদের গর্ব ? আমরা মুসলামান। বিশ্বাসী এক আল্লায়। ঘৃণায় ভরা আমাদের অন্তর মূর্তি পূজা তথা পৌত্তলিকতায়। দ্বীনের প্রাধান্য আমাদের সবকাজে। ভয় করি এক আল্লাহকে গোপন ও প্রকাশ্যে। ঈমানের দাবীকে পূরণ করতে সদা থাকি তৎপর। এতেই গর্ব। এতেই অহংকার। তাই ইসলামের পতাকা হাতে নিয়ে, মদীনার নবীর সংস্কৃতিকে ধারণ করে আমরাও শ্লোগান তুলি,

রাষ্ট্র যার তার, ইসলাম সবার।

মঙ্গল শোভাযাত্রা যদি হয় এবার ,

ইসলামী সংস্কৃতি রক্ষায় যুদ্ধ হবে আবার।

বুধবার, ১২ এপ্রিল, ২০১৭

হাতপাখার পথসভায় আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলা

লতাচাপলী (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা : গতকাল ১২ এপ্রিল'১৭ ৬নং ওয়ার্ড (লক্ষ্মীবাজার) -এ ৭নং লতাচাপলী ইউনিয়ন নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জনাব মোসলেম মুসুল্লী মুছার হাতপাখার প্রতীকের পথসভায় আওয়ামীলীগের স্থানীয় ওয়ার্ড সভাপতি আব্দুর রশীদের নেতৃত্বে কয়েকজন আওয়ামী সন্ত্রাসী অতর্কিত হামলা চালানো হয়েছে মর্মে সংবাদ পাওয়া গেছে। আমাদের সংবাদদাতা বলেন, এ সময় হাতপাখার কর্মীরা শক্ত হাতে প্রতিরোধ করলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। শোনা যায়, পরবর্তীতে হাতপাখার কর্মীদের উপর হামলা চালাতে লক্ষ্মীবাজারে নৌকার সমর্থকরা জড় হয়, কিন্তু হাতপাখার জোয়ার দেখে তারা পিছু হটে।

হাতপাখার সমর্থকরা বলেন, আমরা যে কোনো মূল্যে সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করবো এবং আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করবো ইনশাআল্লাহ।

হাতপাখার প্রার্থী বলেন, প্রয়োজনে আমরা লাশ হবো, তবুও এলাকায় সুষ্ঠু নির্বাচন করতে বাধ্য করবো ইনশাআল্লাহ।

হাতপাখা প্রার্থীর মেজো ছেলে, নন্দিত ওয়ায়েজ, মুফতী হাবিবুর রহমান মিছবাহ প্রশাসনকে বলেন, পুলিশের শ্লোগান হলো "পুলিশই জনগন জনগণই পুলিশ"। অতএব, আপনারা জনগণের পক্ষে কাজ করুন, তাতে আমাদের সহযোগিতা থাকবে ইনশাআল্লাহ। কিন্তু কোনো পক্ষ যদি হামলা করে, সন্ত্রাসী কর্মে লিপ্ত হয়, আর তাতে প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করে, তাহলে হাতপাখার কর্মীরা কঠোর হস্তে দমন করতে বাধ্য হবে। তাতে লতাচাপলীতে যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তার দায়ভার প্রশাসনকেই নিতে হবে।

এদিকে নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি ঘরে ঘরে গিয়ে আওয়ামী সন্ত্রাসী কর্তৃক ভোটারদের হুমকি-ধমকি ও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন কর্তৃক হাতপাখার পথসভায় বাধায় দেয়ায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

উল্লেখ্য, হাতপাখা প্রার্থীর তিন সুযোগ্য সন্তান ও নন্দিত ওয়াজে মাও. হাফিজুর রহমান সিদ্দীক, মুফতী হাবিবুর রহমান মিসবাহ ও দারুল উলূম দেওবন্দে অধ্যায়নরত মাও. মাহফুজুর রহমান জাবের পিতার নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেন।

বরিশালে ইশা ছাত্র অ্যান্দোলনের উপজেলা প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত

বরিশাল সংবাদদাতা : গতকাল ১২ এপ্রিল রোজ বুধবার সকাল ১০টায় ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন বরিশাল জেলা শাখার উদ্যোগে চাঁদমারি এম.সি হলে জেলা সভাপতি কে.এম শরীয়াতুল্লাহ-এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইবরাহীম হুসাইন এর সঞ্চালনায় উপজেলা প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন ইশা ছাত্র আন্দোলন- বরিশাল জেলা শাখার সাবেক সভাপতি মাওলানা নাসির উদ্দিন নাইস, সদ্য সাবেক সভাপতি এইচ এম ছানাউল্লাহ। সভায় অন্যান্য আলোচনার পাশাপাশি উপজেলার বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা ও কর্মপদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা গুরুত্বের সাথে স্থান পায়।

উপজেলা প্রতিনিধি সভায় আরো বক্তব্য রাখেন জেলা সহ-সভাপতি নূরুল করীম মহিউদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান হুসাইন, প্রশিক্ষণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আরমান হুসাইন রিয়াদ, অর্থ সম্পাদক হাসান মাহমুদ, দফতর সম্পাদক নজরুল ইসলাম, স্কুল বিষয়ক সম্পাদক সানাউল্লাহ, ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক মুইনুল ইসলাম, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক ওমর ফারুক প্রমূখ।

স্বীকৃতি ও মূর্তি অপসারণের ঘোষণায় প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন: পীর সাহেব চরমোনাই

আইএবি নিউজ: দেশের ওলামা-মাশায়েখ ও কওমী মাদরাসার ছাত্রদের দীর্ঘদিনের দাবি কওমী মাদরাসার সর্বোচ্চ ডিগ্রী দাওরায়ে হাদীস সনদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও সুপ্রিমকোর্টের সামনে থেকে মূর্তি অপসারণের ঘোষণা দেয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন মোবারকবাদ জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।

চরমোনাই পীর বলেন, দেশের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ কওমী মাদরাসা শিক্ষায় শিক্ষিত। মাদরাসা শিক্ষায় শিক্ষিত এ শ্রেণিটি উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হলেও তাদের কোন রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ছিল না। বিষয়টি নিয়ে অতীতে বিভিন্ন সরকার নোংরা রাজনীতি করেছে। কওমী ছাত্রদের তাদের অধিকার ও সম্মান থেকে বঞ্চিত করেছে। কওমী মাদরাসা শিক্ষা যে একটি প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক শিক্ষা এ বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কওমী সনদের স্বীকৃতি দিয়ে সময়োপযোগি ও ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর এ ঘোষণার দ্রুত বাস্তবায়ন কামনা করেন।

বিবৃতিতে পীর সাহেব চরমোনাই সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে স্থাপিত গ্রিক দেবীর মূর্তি অপসারণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণাকেও সাধুবাদ জানান। তিনি মূর্তি অপসারণে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।

মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল, ২০১৭

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মঙ্গল শোভাযাত্রার সিদ্ধান্ত বাতিল না করলে ১লা বৈশাখ বিকল্প কর্মসুচি নিয়ে মাঠে নামবে তৌহিদী জনতা: ইসলামী আন্দোলন ঢা. ম. দ.

আইএবি নিউজ: পহেলা বৈশাখ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মঙ্গল শোভাযাত্রার সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিল না করলে বিকল্প কর্মসুচী নিয়ে তৌহিদী জনতা মাঠে নামবে বলে হুশিয়ারী উচ্চারণ করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম। তিনি বলেন, বর্ষবরণের নামে হিন্দুয়ানী সংস্কৃতি মঙ্গল শোভাযাত্রা ৯২ ভাগ মুসলমানদের উপর চাপিয়ে দেয়ার চক্রান্ত দেশবাসী রুখে দাড়াবে। পহেলা বৈশাখ মুসলমানদের কোন উৎসব নয়। হিন্দুয়ানী সংস্কৃতি মুসলমানদের উপর চাপিয়ে দেয়ার চক্রান্ত রুখে দিতে প্রয়োজনে তৌহিদী জনতা ঈমান রক্ষায় মাঠে নেমে আসবে। তাই এধরণের ঈমানবিধ্বংসী মঙ্গল শোভাযাত্রার সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।

গতকাল (১১ এপ্রিল) বিকেলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ-এর এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। সংগঠনের সেক্রেটারী মাওলানা এবিএম জাকারিয়ার পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন নগর সহ-সভাপতি আলহাজ্ব্ আলতাফ হোসেন, ডা. শহিদুল ইসলাম, মাওলানা এইচ এম সাইফুল ইসলাম, মাওলানা আবদুল কাদির, মাওলানা ফখরুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, মাওলানা নাযীর আহম শিবলী, অধ্যাপক ফজলুল হক মৃধা, মাওলানা নজরুল ইসলাম, আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম খোকন, আবু আশিক, আলহাজ্ব ইসমাঈল হোসেন, আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর আলম, মোঃ আবুল হাসান প্রমুখ।

সভায় ২১ এপ্রিল সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে গ্রিক দেবীর মূর্তির অপসারণের দাবীতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জাতীয় মহাসমাবেশ সফলের জন্য দেশের ঈমানদার জনতার প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

দেশপ্রেমের অভাবেই নেতানেত্রীরা দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে দেশবিরোধী চুক্তি করতে দ্বিধা করে না: পীর সাহেব চরমোনাই

আইএবি নিউজ: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই) বলেছেন, ইসলাম, দেশ ও মানবতার দুর্দিন চলছে। রাজনীতি মানুষের কল্যাণের জন্য। আজ রাজনীতিই হলো প্রতিহিংসা, মারামারি, কাটাকাটির নাম। গুম, অপহরণ, হত্যা নিত্যদিনের ঘটনায় পরিণত হয়েছে। যে রাজনীতি মানুষের কল্যাণের পরিবর্তে অকল্যাণ বয়ে আনে সে রাজনীতি কোন ঈমানদার মানুষ করতে পারে না। রাজনীতিতে এখন গুণগত ও আদর্শিক পরিবর্তন প্রয়োজন। সাথে সাথে নারী নেতৃত্বের স্থায়ী অবসান হওয়া দরকার স্থায়ীভাবে।

তিনি বলেন, আমাদের দেশের নেতানেত্রীদের দেশপ্রেমের অভাবেই দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে দেশবিরোধী চুক্তি করতে দ্বিধা করে না। তারা আল্লাহর প্রতি ভরসা না করে দিল্লি ও ওয়াশিংটনের প্রতি ভরসা করে থাকে। জনগণের সেন্টিমেন্টের প্রতি কোন প্রকার তোয়াক্কা না করে দেশবিরোধী কোন চুক্তি করলে তার জবাব একদিন দিতে হবে চরমভাবে।

মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) সকালে বরিশালের চরমোনাই মাদরাসা ময়দানে ছাত্র-শিক্ষক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় চেয়ারম্যান মুফতি এছহাক মুহামম্দ আবুল খায়েরসহ অন্যান্য ওলামায়ে কেরাম উপস্থিত ছিলেন।

পীর সাহেব চরমোনাই ২১ এপ্রিল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গ্রিক মূর্তি অপসারণের দাবীতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় মহাসমাবেশ সফলের আহ্বান জানান।

২১ এপ্রিল জাতীয় মহাসমাবেশ সফল করুন: বর্ষবরণের নামে মঙ্গল শোভাযাত্রা ইসলাম বিরোধী - ইসলামী আন্দোলন ঢা. ম. উ.

আইএবি নিউজ: বর্ষবরণের নামে মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন প্রামেগঞ্জেও ছড়িয়ে দেয়ার অশুভ পরিকল্পনার তীব্র সমালোচনা করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি অধ্যক্ষ শেখ ফজলে বারী মাসউদ।

তিনি আজ বিকাল ৪টায় পল্টনস্থ নগর কার্যালয়ে আগামী ২১এপ্রিল’১৭ইং সুপ্রিমকোর্ট চত্বর থেকে গ্রীক দেবীর মূর্তি অপসারণের দাবীতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আহুত জাতীয় মহাসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তরের জরুরী সভায় সভাপতির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, বাঙালি সংস্কৃতির সার্বজনীনতার তত্ত্বের আড়ালে এসব বিধর্মীয় মূর্তির শোভাযাত্রা অনুশীলনের জন্য এ দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ তৌহীদি জনতাকে বাধ্য করার উদ্যোগ গ্রহণযোগ্য নয়। অমুসলিমদের প্রতীক ও উপমা বহন করা ইসলামে নিষিদ্ধ।

অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সেক্রেটারী মুহাম্মাদ মোশাররফ হোসেন, জয়েন্ট সেক্রেটারী মাওলানা আরিফুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মাও: সিদ্দিকুর রহমান, মুফতী মাছউদুর রহমান, প্রকৌশলী গিয়াস উদ্দিন, মুফতী ফরিদুল ইসলাম, এ্যাডভোকেট শওকত আলী হাওলাদার, ডাঃ মজিবুর রহমান, প্রমুখ।

অধ্যক্ষ মাসউদ আরো বলেন, ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় যুক্ত মঙ্গলশোভাযাত্রা সাম্প্রদায়িক। মঙ্গল  শোভাযাত্রা কোনো ক্রমেই বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জীবনধারার সঙ্গে যুক্ত নয়। কেননা মঙ্গল শোভাযাত্রার সাথে শিরক বা মহান আল্লাহর সাথে অংশীদারিত্বের বিশ্বাস জড়িত। তাই মঙ্গল শোভাযাত্রা সার্বজনীন নয়। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার উৎসবও নয়। প্রকাশ্যে মঙ্গল শোভাযাত্রা বাতিল করতে হবে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, মঙ্গল শোভাযাত্রা একটি সংখ্যালঘু হিন্দু জনগোষ্ঠীর ধর্ম ও সংস্কৃতির অংশ। মূলত দেব-দেবীকে উদ্দেশ্য করে এসব আচার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে একটি সংখ্যালঘু গোষ্ঠী কল্যাণ কামনা করে থাকে। সংখ্যালঘু হিন্দু একটি জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় বিশ্বাস মোতাবেক পেঁচা মঙ্গলের প্রতীক ও লক্ষ্মীর বাহন, ইঁদুর গণেশের বাহন, হনুমান রামের বাহন, হাঁস স্বরসতির বাহন, সিংহ দুর্গার বাহন, গাভী রামের সহযাত্রী, সূর্য দেবতার প্রতীক ও ময়ূর কার্তিকের বাহন। কেউ কেউ শরীরে দেব-দেবীর, জন্তু-জানোয়ারের প্রতিকৃতি, কালির লোহিত বরণ জিহ্বা, গণেশের মস্তক ও মনসার উল্কি এঁকে ভাড় সেজে এবং মৃদঙ্গ-মন্দিরা, খোল-করতাল বাজিয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করে। এসব প্রতীকের মাধ্যমে তারা পূজা-প্রার্থনা করেন। ইসলামে এটা হারাম।  মুসলমানের সংস্কৃতির উৎস ইসলামী জীবন দর্শনভিত্তিক মূল্যবোধ। স্থানীয় ও লোকজ ঐতিহ্যের উপাদান মুসলিম সংস্কৃতিতেও আছে। কিন্তু এর অবস্থান ইসলামী ঐতিহ্যের সীমানা অতিক্রম করে নয়। আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্য কারো কাছে মঙ্গল প্রার্থনা করা ইসলামে নিষিদ্ধ। কাজেই সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মঙ্গল শোভাযাত্রার নির্দেশ অবিলম্বে স্থগিত করতে হবে।

নেতৃবৃন্দ আগামী ২১ এপ্রিল’১৭ইং সুপ্রিমকোর্ট চত্বর থেকে গ্রীক দেবীর মূর্তি অপসারণের দাবীতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আহুত জাতীয় মহাসমাবেশ সফল করার জন্য নগরবাসীর প্রতি আহবান জানান।

 

তিস্তাসহ অমীমাংসিত সমস্যার সমাধান চান দেশবাসী : অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমাদ

আইএবি নিউজ: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাম্প্রদায়িক মঙ্গল শোভাযাত্রার সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ। এক বিবৃতিতে তিনি বর্ষ বরণের নামে মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন গ্রামে-গঞ্জেও ছড়িয়ে দেয়ার অশুভ পরিকল্পনার তীব্র সমালোচনা করেছেন।

রোবার (৯ এপ্রিল) ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, ইনু সাহেবরাও আজ ফতোয়া দিতে দ্বিধা করছে না ‘পহেলা বৈশাখ উৎসব পালন করলে মুসলমানিত্ব যায় না’ এধরণের ফতোয়া দিয়ে ইনুরা নিজেদের ঈমান বিকিয়ে দিচ্ছে এবং ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, মঙ্গল শোভাযাত্রা, পহেলা বৈশাখের উৎসব মুসলমানদের কোন উৎসব নয়। এটা সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ে উৎসব। হিন্দুদের উৎসব হিন্দুরা পালন করবে করুক। কিন্তু ৯২ ভাগ মুসলমানদেরকে চাপিয়ে দিয়ে সাম্প্রদায়িক উস্কানী কার স্বার্থে? মূলতঃ দেব-দেবীকে উদ্দেশ্য করে এসব আচার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে একটি সংখ্যালঘু গোষ্ঠী কল্যাণ কামনা করে থাকে। তারা বিভিন্ন প্রতীকের মাধ্যমে পূঁজা প্রার্থণা করেন। ইসলামে এটা হারাম। হারাম উৎসব মুসলমানদের উপর চাপিয়ে দেয়ার প্রবণতা থেকে ফিরে না আসলে সরকারতে চরম মূল্য দিতে হবে।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান ও মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, কেএম আতিকুর রহমান, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী প্রমুখ।

সভায় ২১ এপ্রিল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গ্রিক মূর্তি অপসারণ ও মঙ্গল শোভাযাত্রার সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবীতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় মহাসমাবেশ সফলের আহ্বান জানানো হয়।

নেতৃবৃন্দ বলেন, ভারতের সাথে অমীমাংসিত সমস্যার সমাধান না করে একের পর এক চুক্তি স্বাক্ষর, সামরিক ও সমঝোতা চুক্তি করে বাংলাদেশকে ভারতের করদরাজ্যে পরিণত করার চেষ্টা চলছে। এধরণের দেশবিরোধী কোন চুক্তি দেশের ঈমানদার দেশপ্রেসিক জনতা মানবে না।‏

সোমবার, ১০ এপ্রিল, ২০১৭

লতাচাপলী ইউনিয়নে হাতপাখার পথসভা অনুষ্ঠিত

শেখ আজিজুর রহমান মাসুম: ৭নং লতাচাপলী (কলাপাড়া, পটুয়াখালী) ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জনাব মুসলেম মুসল্লী মুছা সাহেবের হাতপাখা মার্কার সমর্থনে আজ ১০ এপ্রিল আলিপুর বাজারে নির্বাচনী পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।

পথসভা শেষে জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, সন্ত্রাস ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনে হাতপাখার বিকল্প নেই। তাই সন্ত্রাস ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়তে সকলকে হাতপাখায় ভোট দেওয়ার আহবান জানান।

এছাড়াও বক্তব্য রাখেন প্রখ্যাত ওয়ায়েজ মাওলানা হাফিজুর রহমান সিদ্দিক, মুফতি হাবিবুর রহমান মিছবাহ সহ ইসলামী আন্দোলনের জেলা ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

চলমান জঙ্গীবাদের সাথে ইসলামের কোন সম্পর্ক নেই: ইশা ছাত্র আন্দোলন

আইএবি নিউজ: সোমবার (১০ এপ্রিল’১৭) ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি জি.এম. রুহুল আমীন-এর সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি জেনারেল শেখ মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম-এর সঞ্চালনায় জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে “জঙ্গিবাদের স্বরূপ : কারণ ও প্রতিকার এবং আমাদের ভাবনা” শীর্ষক লোকবক্তৃতার আয়োজন করা হয়। উক্ত লোকবক্তৃতায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র শাইখ ফজলুল করীম মারুফ। প্রবন্ধের উপর আলোচনা অংশ নেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. আব্দুল লতিফ মাসুম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম ও মহানগর উত্তরের সভাপতি হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ।

বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে চলমান জঙ্গীবাদের সাথে ইসলামের কোন সম্পর্ক নেই। যারা বাংলাদেশে জঙ্গীবাদের সাথে জড়িত তারা ব্যক্তিগত জীবনে ইসলাম অনুসরণ করে না। ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য গত সাড়ে ১৫শত বছর ধরে প্রতিষ্ঠিত পন্থাও তারা অনুসরণ করছে না। তারা ইসলামী দণ্ডবিধির অপপ্রয়োগ করে ইসলাম প্রতিষ্ঠার স্বীকৃত পন্থাকে বিকৃত করে নিজেদের মন মতো করে জঙ্গীবাদী কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তাদের এই জঙ্গীবাদের লক্ষ্য উদ্দেশ্যও তারা কখনও স্পষ্ট করে বলেনি, কোন রূপরেখাও দেয়নি। তাই আমার এই জঙ্গীবাদের সাথে ইসলামের কোন সম্পর্ক খুঁজে পাচ্ছি না। একটি গোষ্ঠীর মধ্যে ইসলামের সঠিক শিক্ষা না থাকায় তারা এই ভয়ঙ্কর কার্যক্রমকে ইসলাম বলে চালিয়ে যাচ্ছে। অতএব আমরা মনে করি সুশাসনের অভাব, বাকস্বাধীনতার হরণ, কর্মসংস্থানের অভাবে বেকারত্ব, ইসলাম ধর্মীয় বিষয়াদী নিয়ে কটুক্তি এবং প্রতিবাদ করলে হামলা-মামলা, ইসলমী রাজনীতির পরিসর ছোট করে দেয়া, ইসলামী শিক্ষাকে সংকুচিত করা, ইসলামের দর্শন সম্পর্কে মানুষকে অনবহিত রাখার কারণেই দেশের বিপথগামী কিছু মানুষ সন্ত্রাসবাদের পথ বেছে নিচ্ছে। এই সন্ত্রাসবাদের কারণ ইসলাম প্রতিষ্ঠা নয়; বরং অভ্যন্তরীণ ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ।

বক্তারা আরও বলেন, আমরা বলতে চাই, সন্ত্রাসবাদ একটি সামাজিক সমস্যা। তাই সমাধানও সামাজিক পন্থা অবলম্বন করে করতে হবে এবং এ জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতা গড়ে তুলতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।

উক্ত লোকবক্তৃতায় আরো উপস্থিত ছিলেন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল মুহা. হাছিবুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক এস.এম. এমদাদুল্লাহ ফাহাদ, তথ্য গবেষণা ও প্রচার সম্পাদক মুহাম্মাদ ইলিয়াস হাসান, প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক এইচ এম কাওছার আহমেদ।

পহেলা বৈশাখে মঙ্গল শোভাযাত্রা নামক বিজাতীয় সংস্কৃতি বয়কট করুন: ইশা ছাত্র আন্দোলন সিলেট জেলা

স্টাফ রিপোর্টার : পহেলা বৈশাখ উদযাপনের নামে ইসলাম ও সমাজ বিরোধী কার্যকলাপ জাতিকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে। মঙ্গল প্রদীপ প্রজ¦লন ও মঙ্গল শোভাযাত্রা, নারী-পুরুষের সম্মিলিত নৃত্য, উন্মাদনা, গান, রং ছিটানো ইত্যাদি অনৈসলামিক কার্যকলাপ বন্ধের দাবি জানিয়েছেন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন সিলেট জেলার সভাপতি সোহেল আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের মিসবাহ।

এক যৌথ বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, মঙ্গল শোভাযাত্রা হিন্দুধর্মের একটি ধর্মীয় উৎসব। একে বাঙালি সংস্কৃতি বলে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ওপর চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে এবং ইউনেস্কোর মত একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছে বাঙালি জাতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উৎসব হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এভাবে যদি পশ্চিম বঙ্গের সংস্কৃতিকে বাঙালি সংস্কৃতি বলা হয় তবে স্বাধীন বাংলার মানচিত্রের কোন স্বাতন্ত্র্য থাকে না। আগামী পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে সরকার যেভাবে সারাদেশে মঙ্গল শোভাযাত্রা পালনের নির্দেশ দিয়েছে তা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না।

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, সিলেটের মাটি শাহজালালের পুণ্যভূমি খ্যাত। এই মাটিতে শত শত ওলি আউলিয়া শায়িত। শত শত দ্বীনি মাদরাসা প্রতিষ্ঠিত। সিলেটের মানুষ ধর্মপ্রাণ। তাই সিলেটের মাটিতে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ¦লন ও মঙ্গল শোভাযাত্রা ধর্মপ্রাণ মুসলমান মেনে নিতে পারে না। নেতৃবৃন্দ পহেলা বৈশাখে মঙ্গল শোভাযাত্রা নামক অনৈসলামিক কার্যকলাপ বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

ভারতের সাথে প্রতিরক্ষা ও সমঝোতা চুক্তি: গোলামীর জিঞ্জিরে আবদ্ধ হল বাংলাদেশ: পীর সাহেব চরমোনাই

আইএবি নিউজ: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, দেশবিরোধী চুক্তি করে অতীতে কেউ রক্ষা পায়নি, বর্তমান সরকারও রেহাই পাবে না। সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ভারতের সাথে যা করার তাই করছে। জনগণের সেন্টিমেন্ট বিরোধী কাজ করে আখের রক্ষা করতে পারবেন না।
রোববার (৯ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে পীর সাহেব চরমোনাই এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ভারত কৌশলে বাংলাদেশ থেকে সব নিয়ে যাচ্ছে কিন্তু বাংলাদেশকে তারা কিছুই দিচ্ছে না। ভারতের সাথে প্রতিরক্ষা চুক্তি দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব চরম হুমকির মুখে পড়বে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের যে সমস্যাগুলো আছে, সেগুলোর সমাধান বেশি প্রয়োজন ছিল। কিন্তু তিস্তা চুক্তি প্রসঙ্গে মমতা বলছেন, তারা বাংলাদেশে পানি দিবে না।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানি বণ্টনের ন্যায্যহিস্যা তো দূরে থাক, এসব নদীর উজানে ভারত একতরফা পানি প্রত্যাহার করে নিচ্ছে।  অপরদিকে বাংলাদেশ অংশে এই নদীগুলো মরা খালে পরিণত হচ্ছে। ২৫ সালা গোলামী চুক্তির খেসারত জাতিকে চরমভাবে দিতে হয়েছে। এখন সামরিক চুক্তি হলে চিরদিনের জন্য ভারতের গোলামী করতে হবে। কাজেই দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে শেষ করার জন্য সামরিক চুক্তির নামে গোলামী চুক্তির জিঞ্জিরে আবদ্ধ করা হলো।
পাশাপাশি পীর সাহেব চরমোনাই ২১ এপ্রিল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গ্রিক মূর্তি অপসারণের দাবীতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় মহাসমাবেশ সফলের আহ্বান জানান।

রবিবার, ৯ এপ্রিল, ২০১৭

ইসলামী কৃষক ও কৃষি শ্রমিক আন্দোলন -এর কেন্দ্রীয় আহবায়ক মুফতী ড. মাহবুবুর রহমান, সদস্য সচিব শহিদুল ইসলাম কবির

স্টাফ রিপোর্টার : কৃষি নির্ভর বাংলাদেশের কৃষক ও কৃষি শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন এর সহযোগী সংগঠন হিসেবে ইসলামী কৃষক ও কৃষি শ্রমিক আন্দোলন নামে নতুন সংগঠনের কেন্দ্রীয় আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

৬ এপ্রিল ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আহবায়ক কমিটির সদস্যদের নাম ঘোষণা করা হয়।

এতে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর সহকারী মহাসচিব মাও. আব্দুল কাদের, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মুহাম্মদ হারুন অর রশীদ, কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাও. ছিদ্দিকুর রহমান, মুফতী ড. মাহবুবুর রহমান ও শহিদুল ইসলাম কবির প্রমূখ।

আহবায়ক কমিটির সদস্যরা হলেন- আহবায়ক: মুফতী ড. মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম আহবায়ক: মাও. মঈন উদ্দিন আহমদ ও সদস্য সচিব: শহিদুল ইসলাম কবির। সদস্য : প্রিন্সিপ্যাল হুজ্জাতুল ইসলাম মাও. মামুন চৌধুরী, মাও. মাহমুদ হাসান ফিরোজ, মোঃ কবির হোসেন, মাও. আব্দুল গফ্ফার ও আলহাজ্ব নূর আহমদ।

ইশা ছাত্র আন্দোলন সিলেট জেলার মাসিক বৈঠক অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার : ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন সিলেট জেলা শাখার মাসিক বৈঠক ৯ এপ্রিল রোববার বিকেলে সিলেট বন্দরবাজারস্থ আই.এস.সি.এ. মিলানায়তনে শাখা সহ-সভাপতি ইমরান আহমদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের মিসবাহ’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিগত মাসের প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয় এবং চলিত মাসের পরিকল্পনা ও কেন্দ্র ঘোষিত দাওয়াতী পক্ষের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তবলী নেয়া হয়।

সভায় অন্যান্যের উপস্থিত ছিলেন ইশা ছাত্র আন্দোলন সিলেট জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়জুল হাসান চৌধুরী, প্রশিক্ষণ সম্পাদক আব্দুল মুক্তাদির চৌধুরী রাকিব, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাহফুজ আহমদ মাহী, অর্থ সম্পাদক আব্দুল হাকিম, দপ্তর সম্পাদক সাইদুর রহমান, কওমি মাদরাসা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, আলিয়া মাদরাসা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আলিম, কলেজ বিষয়ক সম্পাদক সাহিদুর রহমান, স্কুল বিষয়ক সম্পাদক নাঈম আহমদ, ছাত্র কল্যাণ সম্পাদক জুবায়ের আহমদ, সাহিত্য ও সাংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক শাহ আলম সাইফ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

সিলেট বিভাগীয় ইসলামী যুব আন্দোলনের যৌথ বৈঠক অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার : ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) ডা. রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ সিলেট বিভাগের সকল জেলার দায়ীত্বশীলদের নিয়ে সিলেট দলীয় কার্যালয় আজ ৯ এপ্রিল বাদ জোহর থেকে এক যৌথ  বৈঠকের আয়োজন করেন। এতে  আগামী ২০ মে ২০১৭ তাং এর মধ্যে সকল জেলায় পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠন করার বিষয় সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। ব্যাপক প্রচারের মাধ্যমে দাওয়াত এবং অর্থের বিষয়টি বেশি প্রধান্য পায়। অর্থাৎ জাতীয় কনভেনশন সফলের সকল বিষয়কে গুরুত্ব দেয়া হয়। এবং সকল জেলায় চলতি সপ্তাহের মধ্যে কমিটি গঠনের বিষয় তারিখ ঘোষণা এবং বৈঠকে একটি দিক নির্দেশনামুলক   লিখিত তথ্য  তিনি সকল জেলাকে প্রদান করেন।

এ সময় বৈঠকে উপাস্থিত ছিলেন ইসলামী যুব আন্দোলন সিলেট জেলা আহবায়ক মাও. নাজির আহমদ, হবিগঞ্জ জেলা আহবায়ক মোহা. মাহবুব আলম, সুনামগঞ্জ জেলা যুগ্ম আহবায়ক তানভির আহমদ সহ জেলা ও মহানগর নেতৃবৃন্দ।

ভারতের সাথে প্রতিরক্ষা ও সমঝোতা চুক্তি: গোলামীর জিঞ্জিরে আবদ্ধ হল বাংলাদেশ: পীর সাহেব চরমোনাই

আইএবি নিউজ: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, দেশবিরোধী চুক্তি করে অতীতে কেউ রক্ষা পায়নি, বর্তমান সরকারও রেহাই পাবে না। সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ভারতের সাথে যা করার তাই করছে। জনগণের সেন্টিমেন্ট বিরোধী কাজ করে আখের রক্ষা করতে পারবেন না।

রোববার (৯ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে পীর সাহেব চরমোনাই এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ভারত কৌশলে বাংলাদেশ থেকে সব নিয়ে যাচ্ছে কিন্তু বাংলাদেশকে তারা কিছুই দিচ্ছে না। ভারতের সাথে প্রতিরক্ষা চুক্তি দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব চরম হুমকির মুখে পড়বে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের যে সমস্যাগুলো আছে, সেগুলোর সমাধান বেশি প্রয়োজন ছিল। কিন্তু তিস্তা চুক্তি প্রসঙ্গে মমতা বলছেন, তারা বাংলাদেশে পানি দিবে না।

পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানি বণ্টনের ন্যায্যহিস্যা তো দূরে থাক, এসব নদীর উজানে ভারত একতরফা পানি প্রত্যাহার করে নিচ্ছে।  অপরদিকে বাংলাদেশ অংশে এই নদীগুলো মরা খালে পরিণত হচ্ছে। ২৫ সালা গোলামী চুক্তির খেসারত জাতিকে চরমভাবে দিতে হয়েছে। এখন সামরিক চুক্তি হলে চিরদিনের জন্য ভারতের গোলামী করতে হবে। কাজেই দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে শেষ করার জন্য সামরিক চুক্তির নামে গোলামী চুক্তির জিঞ্জিরে আবদ্ধ করা হলো।

পাশাপাশি পীর সাহেব চরমোনাই ২১ এপ্রিল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গ্রিক মূর্তি অপসারণের দাবীতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় মহাসমাবেশ সফলের আহ্বান জানান।

চট্টগ্রামের হালিশহরে ইশা ছাত্র আন্দোলনের দাওয়াতী সভা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

চট্টগ্রাম ব্যুরো :  গত ৭ এপ্রিল শুত্রুবার বিকাল ৩টায় ঐতিহাসিক হালিশহর বি.ডি.আর মাঠ প্রাঙ্গণে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর শাখার আওতাধীন হালিশহর থানা শাখার উদ্যোগে কেন্দ্র ঘোষিত দাওয়াত ও সদস্য সংগ্রহ মাস-২০১৭ইং উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও মনোজ্ঞ ইসলামী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন আইএবি চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি আলহাজ্ব জান্নাতুল ইসলাম। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগরের  মুহা. নিজাম উদ্দীন।



থানা সভাপতি মুহা. নাজমুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে উক্ত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ হালিশহর থানার সভাপতি জনাব মুহা. ফোরকান উদ্দিন। আরো উপস্থিত ছিলেন থানা, ওয়ার্ড ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীলবৃন্দ।

শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিমের উপস্থাপনায় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃিতক অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ছাত্র সমাজকে মেধাবী, সৎ, যোগ্য ও দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। তাই সুন্দর আগামীর গড়তে ছাত্র সমাজকে ইশা ছাত্র আন্দোলনের পতাকা তলে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। শেষে কলরবের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ ইসলামী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, ইব্রাহিম খলিল, মাসুম খান, রবিন শেখ, সাব্বির শেখ, ইরফানুল হক, হুজাইফা, আব্দুল আজিজ জসিম উদ্দিন, তানভীর সহ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন হালিশহর থানার ওয়ার্ড ও ইউনিটের দায়িত্বশীলবৃন্দ ।

শনিবার, ৮ এপ্রিল, ২০১৭

দারুস সালাম মাদ্রাসা শাখায় ইশা ছাত্র আন্দোলনের দাওয়াতি সভা অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার : আজ (শনিবার) বাদ আছর ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন ঢাকা মহানগর পশ্চিম শাখার দারুস সালাম থানার আওতাধীন দারুস সালাম মাদ্রাসার দাওয়াতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ইশা ছাত্র আন্দোলন ঢাকা মহানগর পশ্চিমের সদস্য মুহা: আব্দুল মুকীত।

আরো উপস্থিত ছিলেন দারুস সালাম থানার সভাপতি নাজির আহমাদ তালুকদার, মিরপুর থানা সহ-সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম।

বক্তাগণ বলেন, ছাত্র সমাজকে মেধাবী, সৎ, যোগ্য ও দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। তাই সুন্দর আগামীর স্বপ্নে ছাত্র সমাজকে ইশা ছাত্র আন্দোলনের পতাকা তলে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন নোয়াখালী জেলা উত্তরের মাসিক বৈঠক অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক :  আজ ৮ এপ্রিল রোজ শনিবার বাদ আসর থেকে ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন নোয়াখালী জেলা (উত্তর) শাখার মাসিক বৈঠক চৌমুহনীস্থ আইএবি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। শাখা সহ-সভাপতি আমীর হোসাইনের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী আবদুল্লাহ আল ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় সংগঠনের জেলা শাখার দায়িত্বশীলবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।সভায় ২১ এপ্রিল ইসলামী আন্দোলন আহুত জাতীয় মহাসমাবেশ সফলকরণ,পহেলা মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি বাস্তবায়ন,সংগঠনের নিজস্ব অফিস প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।

ইসলাম শান্তির ধর্ম, এখানে জঙ্গিবাদের কোন স্থান নেই : পীর সাহেব চরমোনাই

আইএবি নিউজ: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর ও চরমোনাই পীর মাওঃ মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন, জঙ্গিবাদ ইসলামকে কলংকিত করেছে। টুপি, দাড়ি ও লম্বা জামা গায় দিলে হুজুর হয়না। চোরও কিন্তু এই ধরনের লেবাস ধরতে পার। তাই টুপি, দাড়ি আর লম্বা জামা দেখলেই তাকে হুজুর বলা যাবে না।

শুক্রবার দুপুরে বাগের হাট শহরের খারদ্বার মাদ্রাসার মাঠে ইসলামী আইনজীবী পরিষদের সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। তিনি আরো বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলামে জঙ্গিবাদের কোন স্থান নেই। যারা ইসলামের নামে জঙ্গিবাদী ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মাধ্যমে মানুষকে খুন করছে তারা ঈমানদার হতে পারে না। আমরা কখনও এই কর্মকান্ডকে প্রশ্রয় দিব না।

ইসলামী আন্দোলন বাগেরহাট জেলা শাখার সভাপতি হাফেজ মোঃ রুহুল আমীনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আইনজীবী পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী এ্যাড. মোঃ আতিয়ার রহমান, সাধারণ সম্পাদক মোঃ লুৎফুর রহমান, সাবিল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আব্দুল মান্নান তালুকদার, বাগেরহাট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অজিয়ার রহমান পিকলু, এ্যাড. সলিমুল্লাহ সেলিম, এ্যাড. আনিছুর রহমান প্রমুখ।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাগেরহাট জেলা শাখার সেক্রেটারী প্রভাষক মাওঃ মাহমুদুল হাসান, সহ সভাপতি মাওঃ রমিজ উদ্দিন, ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক মাওঃ আঃ আজিজ, সাংগঠনিক সম্পাদক নূরুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক হাফেজ মাওঃ মাহফুজুর রহমান, ইসলামী যুব আন্দোলন বাগেরহাট জেলা শাখার আহ্বায়ক হাফেজ মাওঃ আঃ কাইয়ুম, জেলা শ্রমিক আন্দোলনের সেক্রেটারী  মাওঃ মোশারফর হোসেন, জেলা ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি মোঃ আল আমিন, সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন প্রমুখ।

বক্তারা আরো বলেন, ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশে সর্বোচ্চ আদালতের সামনে গ্রিক দেবীর মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে। অবিলম্বে এই মূর্তি অপসারণের জন্য দেশের সকল আইনজীবীকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। মূর্তি অপসারণ না হলে আপনারা ঘরে ফিরে যাবেন না।

অপরদিকে এদিন বিকালে শহরের জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে ইসলামী যুব আন্দোলন আয়োজিত সদস্য সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর ও চরমোনাই পীর মাওঃ মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করিম।

মঙ্গল শোভাযাত্রা চাপিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা গ্রহণযোগ্য নয়: জাতীয় শিক্ষক ফোরাম নারায়ণগঞ্জ মহানগর

স্টাফ রিপোর্টার : মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের আওতাধীন সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মঙ্গল শোভাযাত্রাসহ নববর্ষ পালনের যে নির্দেশ দেয়া হয়েছে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে গতকাল ৭ এপ্রিল'১৭ রোজ শুক্রবার বিকাল ৫টায় জাতীয় শিক্ষক ফোরাম নারায়ণগঞ্জ মহানগর এর উদ্যোগে মো: আব্দুল্লাহ আল ফারুক এর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মো: আব্দুল হান্নান এর সঞ্চালনায় মুসলমানদের ধর্মীয় চেতনা বিরোধী অপসংস্কৃতি চাপিয়ে দেয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সিটির সাবেক মেয়র প্রার্থী হযরত মাও. মুফতি মাসুম বিল্লাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওলামা মাশায়েখ আইমম্মা পরিষদের সম্মানিত আহবায়ক হযরত মাও. দ্বীন ইসলাম সাহেব, আই এ বি নারায়ণগঞ্জ মহানগর এর সেক্রেটারি মু. সুলতান মাহমুদ, শিক্ষা ও সংস্কৃতি বি: সম্পাদক মু. বিল্লাল হোসাইন, ইসলামী যুব আন্দোলন এর সংগ্রামী আহ্বায়ক গিয়াস উদ্দিন মো: খালিদ, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের সংগ্রামী সভাপতি মু. মামুনুর রশিদ, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের সভাপতি মু. শাহাদাত হোসাইন খান প্রমুখ।

সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, হিন্দু জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় বিশ্বাস মোতাবেক পেঁচা মঙ্গলের প্রতীক ও লক্ষ্মীর বাহন, ইঁদুর গণেশের বাহন, হনুমান রামের বাহন, হাঁস স্বরসতীর বাহন, সিংহ দূর্গার বাহন, গাভী রামের সহযাত্রী, সূর্য দেবতার প্রতীক ও ময়ূর কার্তিকের বাহন। আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্য কারো কাছে মঙ্গল প্রার্থনা করা ইসলামে নিষিদ্ধ। ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় যুক্ত মঙ্গলশোভাযাত্রা সাম্প্রদায়িক। মঙ্গল শোভাযাত্রা কোন ক্রমেই বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের জীবনধারার সঙ্গে যুক্ত নয়। তাই তিনি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এ ধরনের নির্দেশ প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়েছেন।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, বর্ষ বরণের নামে মঙ্গল শোভাযাত্রার মাধ্যমে যে অপসংস্কৃতি চাপিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে তা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। মঙ্গল শোভাযাত্রার তীব্র সমালোচনা করে তিনি বলেন, বাঙ্গালী সংস্কৃতির সার্বজনীনতার তত্ত্বের আড়ালে এসব বিধর্মীয় মূর্তির শোভাযাত্রা অনুশীলনের জন্যে এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনতাকে বাধ্য করা কোমলমতি শির্ক্ষীদের নৈতিকতা ধ্বংসের সামিল। মঙ্গল শোভাযাত্রা সংখ্যালঘু হিন্দু জনগোষ্ঠীর ধর্ম ও সংস্কৃতির অংশ। মূলতঃ তারা দেব-দেবীকে উদ্দেশ্য করে এসব আচার অনুষ্ঠান পালন করে। একটি সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর কল্যাণ কামনা করার পদ্ধতি মুসলিম জনগোষ্ঠির উপর চাপিয়ে দেয়া কোনভাবে উচিত নয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন জাতীয় শিক্ষক ফোরাম মহানগরের ও থানার দায়িত্বশীলসহ, ইসলামী যুব আন্দোলন, ইসলামী শ্রমীক আন্দোলন ও ইশা ছাত্র আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগরের বিভিন্ন স্তরের দায়িত্বশীলবৃন্দ।

শুক্রবার, ৭ এপ্রিল, ২০১৭

মঙ্গল শোভাযাত্রা চাপিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে জাতীয় শিক্ষক ফোরাম বি-বাড়িয়া জেলা শাখার মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

বি-বাড়িয়া থেকে আবু হানিফ নোমান: মঙ্গল শোভাযাত্রার নামে মুসলমানদের চেতনা বিরোধী অপসংস্কৃতি চাপিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৭ এপ্রিল'১৭ রোজ শুক্রবার বিকাল ৩টায় ব্রাহ্মনবাড়িয়া প্রেসক্লাব চত্তরে জাতীয় শিক্ষক ফোরামের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য ও জেলা আহবায়ক মাওলানা গাজী নিয়াজুল করিমের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এডভোকেট মুফতী ইহ্তেশাম বিল্লাহ আজিজীর পরিচালনায় মানবনবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানবন্ধনে বক্তব্য রাখেন জাতীয় শিক্ষক ফোরাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার যুগ্ম আহবায়ক মাওঃ সফিকুল ইসলাম আজিজী, সহকারি সদস্য সচিব, মাওঃ জালাল উদ্দিন, প্রশিক্ষণ সম্পদক মাওঃ শেখ আজিজুর রহমান, আলিয়া মাদরাসা বিষয়ক সম্পদাক মাওঃ মামুনুর রশিদ, কলেজ বিষয়ক সম্পাদক মুহাঃ সাইফুর রহমান তাশফি, স্কুল বিষয়ক সম্পদক মানিক মাষ্টার, কার্যনির্বাহী সদস্য মুহাঃ আনোয়ার হুসাইন মাষ্টার, মাওঃ শাহজাহান প্রমুখ।

দেশের স্বার্থবিরোধী কোন চুক্তি জাতি মেনে নিবে না : ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

আইএবি নিউজ: দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য ক্ষতিকর এমন কোন চুক্তি ভারতের সাথে করা যাবে না। অসচ্ছ-অস্পষ্ট কোন চুক্তি জাতি মেনে নেবে না। সামরিক বা প্রতিরক্ষা চুক্তি যে কোন নামেই হোক তা উদ্দেশ্য প্রণোদিত। স্বাধীনতার অব্যবহিত পরেই বেড়–বাড়ী সীমান্ত বিনিময়ের মাধ্যমে তিন বিঘা করিডোর বাংলাদেশকে হস্তান্তরের চুক্তি হলেও আজও তা পূর্ণাঙ্গ বাস্তাবায়িত হয়নি। ভারত আমাদের দাবী পূরণ না করলেও আমরা তাদের দাবী পূরণে বরাবরই সোচ্চার। বিনিময়ে আমরা আশার আলো দেখছিনা তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানি চুক্তিতে। সীমান্তে বাংলাদেশী হত্যা বন্ধ হয়নি আজও। নদীগুলো জীবিত রাখার মাধ্যমে এ অঞ্চলের পরিবেশ-প্রতিবেশ এবং মানুষের জীবন জীবিকা রক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর যেন ফলপ্রসু হয় এটাই জাতির প্রত্যাশা।

আজ সকাল ৯টায় পল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তরের কর্মী তারবিয়তে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমদ এসব কথা বলেন।



নগর উত্তরের সভাপতি অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত তারবিয়তে বিশেষ অতিথি ছিলেন, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, কেন্দ্রীয় সহাকারী প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুফতী হেমায়েতুল্লাহ, কেন্দ্রীয় সদস্য মুফতী দেলোয়ার হোসাইন সাকী, আলহাজ্ব আনোয়ার হোসাইন, মুহাম্মাদ মুশাররফ হোসেন, মাওলানা আরিফুল ইসলাম, হাফেজ মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান, নুরুল ইসলাম নাঈম, মুফতী মাছউদুর রহমান, প্রকৌশলী গিয়াস উদ্দিন, হাফেজ আবু হানিফ, মুফতী ফরিদুল ইসলাম, ডাঃ মজিবুর রহমান, আলহাজ্ব ফরিদ উদ্দিন দেওয়ান, মুহাম্মাদ আবুল হোসেন, মনজুরুল ইসলাম প্রমুখ।

মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মঙ্গল শোভাযাত্রা বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে। মুসলিম প্রধান দেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে অন্য ধর্মের সংস্কৃতি মঙ্গল শোভাযাত্রা কখনই বাধ্যতামূলক হতে পারে না। মুসলিম জনগোষ্ঠির চেতনাবিরোধী বিজাতীয় সংস্কৃতি চাপিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র বন্ধ করুন। সুপ্রিটকোর্ট চত্বর থেকে গ্রীকদেবীর মূর্তি অপসারণ করা না হলে আগামী ২১ মার্চ জাতীয় মহাসমাবেশের মাধ্যমে দেশব্যাপী আন্দোলনের যে দাবানল জলে উঠবে তা সরকার প্রতিহত করতে পারবে না।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যক্ষ মাসউদ বলেন, বাংলাদেশের স্কুল, কলেজের অধিকাংশ শিক্ষার্থী শুধু বাঙ্গালী নয়, মুসলমানও বটে। নতুন বছরের প্রথম দিন বাঘ-ভাল্লুক, সাপ, বিচ্ছু, কুমির ও বিভিন্ন দেব-দেবীর বড় বড় মূর্তি, ছবি নিয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রার নামে যে যাত্রা বা র‌্যালি বের করা হয়, তাতে কার কাছে নতুন বছরের মঙ্গল ও কল্যাণ কামনা করা হচ্ছে? ইসলামের বিশ্বাস মতে, আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন জীবজন্তু, বন্যপ্রাণী ও দেবদেবীর মূর্তির কাছে কল্যাণ ও মঙ্গল কামনা করলে ঈমান থাকবে না।

তিনি আরো বলেন, মুসলমানদের বিশ্বাস মতে ভাল-মন্দ, মঙ্গল-অমঙ্গল সব কিছুই আল্লাহর হুকুমেই সংঘটিত হয়ে থাকে। মুসলমানকে কল্যাণ ও মঙ্গল কামনা করতে হবে একমাত্র আল্লাহর কাছেই। সুতরাং মুসলমানদের জন্যে মঙ্গল শোভাযাত্রার সংস্কৃতি চর্চা অবশ্যই পরিত্যাজ্য।

মঙ্গল শোভাযাত্রা বাধ্যতামূলক করার প্রতিবাদে কিশোরগঞ্জে জাতীয় শিক্ষক ফোরামের মানববন্ধন

আশরাফ আলী সোহান, স্টাফ রির্পোটার : আজ ৭ এপ্রিল শুক্রবার  জাতীয় শিক্ষক ফোরাম কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে ঐতিহাসিক শহীদী মসজিদের সামনে মঙ্গল শোভাযাত্রার নামে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে হিন্দুয়ানী সংস্কৃতি চাপিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। বিকাল ৫টায় আসরের নামাযের পর জাতীয় শিক্ষক ফোরামের নেতাকর্মীরা মানববন্ধন করে। জাতীয় শিক্ষক ফোরামের কিশোরগঞ্জ জেলার আহবায়কের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রভাষক আলমগীর হোসাইন। এছড়াও বক্তব্য রাখেন শিক্ষক নেতা শফিকুল ইসলাম ফারুকী, মহিউদ্দিন আজমী, হেলাল উদ্দিন জুয়েল, কিশোরগঞ্জ গুরুদয়াল কলেজের মেধাবী ছাত্র  মাজহারুল ইসলামসহ প্রমুখ ।
মানববন্ধনে প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন  শিক্ষামন্ত্রনালয় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রজ্ঞাপন জারীর মাধ্যমে মঙ্গল শোভাযাত্রা পালন বাধ্যতা মূলক করেছে। আমি শিক্ষা মন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলতে চাই শিক্ষা মন্ত্রী নাস্তিক হতে পারে কিন্তু ৯২ পার্সেন্ট মুসলমানদের উপর হিন্দুয়ানী রীতি মঙ্গল শোভাযাত্রার নামে অপসংস্কৃতি বাধ্যতা মূলক করতে পারে না। এছাড়াও আমি সুষ্পষ্ট করে প্রধান বিচারপতিকে বলতে চাই, আপনি অন্য ধর্মের হতে পারেন কিন্তু  মুসলমানদের দেশে বিচারালয়ে মূর্তি স্থাপনের মাধ্যমে আপনার ধর্ম বিশ্বাস চাপিয়ে দিতে পারেন না। প্রধানমন্ত্রীকে হুশিয়ারি করে বলতে চাই বিচারপতি সিনহা কে নিয়ে পালাতে হলে আওয়ামীলীগকেই পালাতে হবে। ২০০১ এর কথা ভুলে যাবে না। তাই সময় থাকতে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ গ্রহণ বাধ্যতা মূলকের আদেশ বাতিল করতে হবে । সূপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে গ্রীক মূর্তি অপসারনের দাবিতে আমরা এতো দিন মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল করে এসেছি। ২১ তারিখ মহাসমাবেশে পীর সাহেব চরমোনাই আহবানে চূড়ান্ত ফলাফল দেখাবে তৌহিদী জনতা । সারা দেশ থেকে ইসলাম প্রিয় জনতা প্রস্তুতি নিচ্ছে, তাই চূড়ান্ত মূর্হুতের আগেই সূপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে মূর্তি সরিয়ে নেন ।
এছাড়াও শিক্ষক নেতাগণ বলেন যে, হাজার বছরের বাঙ্গালীর ইতিহাসে মঙ্গল শোভাযাত্রার নামে বিজাতীয় সংস্কৃতি ছিল না। তাই মুসলিম দেশে, আধুনিক বিশ্বে এমন অযৌক্তিক, গোড়ামির নামে মঙ্গর শোভাযাত্রা প্রতিহত করতে তৌহিদী জনতা প্রস্তুত। প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা মানববন্ধন করছি, পরবর্তীতে পীর সাহেব চরমোনাই এর আহবানে আমরা মাঠে নামবো ইনশাআল্লাহ।
মানববন্ধনে অংশ গ্রহণ করে ইশা ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল্লাহ মাহবুব, অর্থ সম্পাদক আবরারুল হক, দফতর সম্পাদক আবু বকর, যুব আন্দোলনের আহবায়ক মাজহারুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম সহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
মানববন্ধনে অংশ গ্রহণকারী সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে দোয়ার মাধ্যমে মানববন্ধন সমাপ্ত ঘোষনা করা হয়।

মুসলিম জনগোষ্ঠির চেতনা বিরোধী মঙ্গল শোভাযাত্রা বাতিল করতে হবে : অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমদ

আইএবি নিউজ: ধর্মনিরপেক্ষতা প্রতিষ্ঠার নামে এক দিকে দেশে দৃশ্যতঃ শিক্ষা, সংস্কৃতি ও আদর্শিকভাবে জাতিকে ধর্মহীন করার উদ্যোগ গ্রহণ করে স্কুল, কলেজ ও ইউনিভার্সিটিতে ইসলামী শিক্ষাকে সংকোচিত করা হয়েছে। অন্য দিকে সামাজিক আচার-অনুষ্ঠানসহ সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় পৌত্তলিক কালচার, বেহায়াপনা ও নগ্নপনার সংস্কৃতি চালু করে জাতীকে ধর্মহীন করার ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গল শোভাযাত্রা বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্তের মাধ্যমে আরো এক পালক যুক্ত হলো। মুসলিম প্রধান দেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে অন্য ধর্মের সংস্কৃতি মঙ্গল শোভাযাত্রা কখনই বাধ্যতামূলক হতে পারে না। অবিলম্ভে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে।

শুক্রবার (৭ এপ্রিল) বাদ জুমআ জাতীয় প্রেসক্লাব চত্তরে জাতীয় শিক্ষক ফোরাম এর দেশব্যপী কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা মহানগরের উদ্যেগে মুসলিম জনগোষ্ঠির চেতনাবিরোধী বিজাতীয় সংস্কৃতি মঙ্গল শোভাযাত্রা চাপিয়ে দেয়ার প্রতিবাদে আয়োজিত মানব বন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমদ উপরোক্ত কথা বলেন।

জাতীয় শিক্ষক ফোরাম ঢাকা মহানগর উত্তরের আহবায়ক লেকচারার মাসউদুর রহমান এর সভাপতিত্বে এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এর প্রিন্সিপাল হুমায়ন কবীর এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, আহবায়ক অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহবায়ক অধ্যাপক ফজলুল হক মৃধা, কেন্দ্রীয় সহকারী সদস্য সচিব প্রভাষক আব্দুস সবুর, ঢাকা জেলা আহবায়ক ডাঃ কামরুজ্জামান প্রমুখ।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে কেন্দ্রীয় আহবায়ক অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের স্কুল, কলেজের অধিকাংশ শিক্ষার্থী শুধু বাঙ্গালী নয়, মুসলমানও বটে। বর্ষবরণের নামে মূলতঃ মুসলমনাদের ঈমান-আক্বীদা বিরোধী ভিনদেশী হিন্দুত্ববাদি সংস্কৃতির প্রসার ঘটানোর চেষ্টা চলছে। নতুন বছরের প্রথম দিন বাঘ-ভাল্লুক, সাপ, বিচ্ছু, কুমির ও বিভিন্ন দেব-দেবীর বড় বড় মূর্তি, ছবি নিয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রার নামে যে যাত্রা বা র‌্যালি বের করা হয়, তাতে কার কাছে নতুন বছরের মঙ্গল ও কল্যাণ কামনা করা হচ্ছে? ইসলামের বিশ্বাস মতে, আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন জীবজন্তু, বন্যপ্রাণী ও দেবদেবীর মূর্তির কাছে কল্যাণ ও মঙ্গল কামনা করলে ঈমান থাকবে না।

নেতৃবৃন্দ বলেন, মুসলমানদের বিশ্বাস মতে ভাল-মন্দ, মঙ্গল-অমঙ্গল সব কিছুই আল্লাহর হুকুমেই সংঘটিত হয়ে থাকে। মুসলমানকে কল্যাণ ও মঙ্গল কামনা করতে হবে একমাত্র আল্লাহর কাছেই। সুতরাং মুসলমানদের জন্যে মঙ্গল শোভাযাত্রার সংস্কৃতি চর্চা অবশ্যই পরিত্যাজ্য।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ আরো কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পয়লা বৈশাখের নববর্ষ বরণ অনুষ্ঠানে নারী সমাজের উপর সংঘবদ্ধ যৌন-নির্যাতনের ঘটনার উল্লেখ করে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, নারী-পুরুষের উশৃংখল চলাচলের বহুমুখী ক্ষতিকর দিক রয়েছে। শুধু গত বছর নয়, এর আগেও বহুবার বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে নারী নির্যাতন ও নারীদের সম্ভ্রমহানীর মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাধ্যাতামূলক মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করার সিদ্ধান্ত বাতিল না করা হলে দেশবাসী দূর্বার গণ আন্দোলনে বাধ্য হবে।

 

ইশা ছাত্র আন্দোলন ওসমানীনগর উপজেলা শাখার বার্ষিক পরিকল্পনা বৈঠক অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার : আজ ৭ এপ্রিল'১৭ রোজ শুক্রবার বেলা ৩টায় শাখা সভাপতি আহমদ উল্লাহ আনছারীর সভাপতিত্বে স্থানীয় মিলনায়তনে বার্ষিক পরিকল্পনা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

এতে কুরআন তিলাওয়াত করেন কওমি মাদ্রাসা বিষয়ক সম্পাদক আহমদ আলী।

বৈঠকে সাংগঠনিক প্রচার-প্রসারের লক্ষে বিভিন্ন পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন ওসমানীনগর উপজেলা শাখার সেক্রেটারী জেনারেল জুনাইদ আহমদ, ইশা ছাত্র আন্দোলন ওসমানীনগর উপজেলা সহ সভাপতি মোরশেদ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান মাসুম, অর্থ সম্পাদক আরশাদ খান, আহমদ আলী, কামরুল আহমদ, জায়েদ খান, নূর ইসলাম প্রমুখ।

ইশা ছাত্র আন্দোলন কানাইঘাট পূর্ব থানা শাখার দায়িত্বশীল তারবিয়াত অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার : ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন কানাইঘাট পূর্ব থানা শাখার উদ্দ্যেগে আজ ৭ এপ্রিল'১৭ শুক্রবার বাদ আছর স্থানীয় আইএবি মিলানায়তনে শাখা আহবায়েক মুহাম্মদ আবুল কালামের সভাপতিত্বে দায়ীত্বশীল তারবিয়াত অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে তারবিয়াত প্রদান করেন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন সিলেট জেলা শাখার প্রশিক্ষণ সম্পাদক আব্দুল মুক্তাদির চৌধুরী রাকিব।

ইসলামী যুব আন্দোলনের ২০১৭-১৯ সেশনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত

নিজস্ব সংবাদদাতা : আজ ৭ এ‌প্রিল'১৭ শুক্রবার আত-ত্বরিক মিলনায়ত‌নে শপথ গ্রহণের মাধ্য‌মে ইসলামী যুব আ‌ন্দোল‌নের ১ম ৩৭ সদস্য কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ গ‌ঠিত হয়।

নব নির্বাচিত কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ করান ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মুহতারাম মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ।

উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, সহকারী মহসচিব মাওলানা আবদুল কাদের।



দা‌য়িত্বপ্রাপ্তরা হ‌লেন

সভাপ‌তি: কে এম আ‌তিকুর রহমান, সহ সভাপ‌তি: প্র‌কৌশলী মুহাম্মাদ শরীফুল ইসলাম তালুকদার, সে‌ক্রেটারী জেনা‌রেল: মাওলানা ‍মুহাম্মাদ নেছার উ‌দ্দিন, জ‌য়েন্ট সে‌ক্রেটারী জেনা‌রেল: মুহাম্মাদ ব‌শির উল্লাহ, সাংগঠ‌নিক সম্পাদক: মাওলানা নূরুল ইসলাম আল আমীন, অর্থ সম্পাদক: মুহাম্মাদ এ.আর খান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক: মুহাম্মাদ আ‌তিকুর রহমান মুজা‌হিদ, দাওয়াত ও প্র‌শিক্ষণ সম্পাদক: প্রভাষক মাওলানা মোখতার আহমাদ, দফতর সম্পাদক: মুফতী রহমতুল্লাহ বিন হা‌বিব, যুব কল্যাণ ও কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক: হা‌ফেজ মাওলানা শেখ মুহাম্মাদ নুর উন নাবী, শিক্ষা ও সংস্কৃ‌তি বিষয়ক সম্পাদক: মাওলানা হোসাইন মুহাম্মাদ কাওছার বাঙ্গালী, শিল্প ও বা‌ণিজ্য সম্পাদক: মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন, তথ্য ও গ‌বেষণা বিষয়ক সম্পাদক: মাওলানা রায়হান মুহাম্মদ ইবরা‌হিম, বিজ্ঞান ও প্রযু‌ক্তি বিষয়ক সম্পাদক: প্র‌কৌশলী ‌শেখ মুহাম্মাদ মারুফ,  প্রকাশনা সম্পাদক: মুহাম্মাদ আ‌জিজুল হক, প্রচার সম্পাদক: আ হ ম আলাউদ্দীন, ম‌হিলা ও প‌রিবার কল্যাণ সম্পাদক: মুহাম্মাদ ওসমান গ‌ণি, সমাজকল্যাণ সম্পাদক: মুহাম্মাদ ইসমাইল হো‌সেন, সংখ্যালঘু বিষয়ক সম্পাদক: হা‌ফেজ মাওলানা মুহাম্মাদ জ‌হিরুল ইসলাম, মানবা‌ধিকার বিষয়ক সম্পাদক: মাওলানা অাবদুল অাহাদ সালমান, অাইন বিষয়ক সম্পাদক: এডভোকেট আ‌নিসুর রহমান রায়হান বিশ্বাস, সাংগঠ‌নিক সম্পাদক (রাজশাহী): মুহাম্মাদ আরাফাত বিন আশরাফ, সাংগঠ‌নিক সম্পাদক (মো‌মেনশাহী) মুফত‌ি মুহাম্মাদ সিরাজুল ইসলাম, সাংগঠ‌নিক সম্পাদক (ঢাকা): মাওলানা আল আ‌মিন খ‌লিফা, সাংগঠ‌নিক সম্পাদক (কু‌মিল্লা): মাওলানা মুহাম্মাদ মো‌রশেদুল আলম, সাংগঠ‌নিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম): মুফত‌ি আবদুর রহমান গিলমান, সাংগঠ‌নিক সম্পাদক (খুলনা) : মুহাম্মাদ মাহবুব আলম, সাংগঠ‌নিক সম্পাদক (ব‌রিশাল): হাফ‌জে মাওলানা না‌সির উদ্দিন নাইস, সাংগঠ‌নিক সম্পাদক (সি‌লেট): ডা: রিয়াজুল ইসলাম, সাংগঠ‌নিক সম্পাদক (রংপুর): মুফতি আতাউর রহমান, সাংগঠ‌নিক সম্পাদক (ফ‌রিদপুর): মুফ‌তি মানসুর আহমাদ সাক‌ী,  সাংগঠ‌নিক সম্পাদক (প্রবাসী বিষয়ক) মুহাম্মাদ আল আ‌মিন খান, উপ সম্পাদক: মাওলানা ম‌ল্লিক মুহাম্মাদ ইশ‌তিয়াক আল-আ‌মিন, উপ সম্পাদক: হা‌ফেজ মাওলানা মুহাম্মাদ বদরুজ্জামান, উপ সম্পাদক: মাওলানা আরিফ বিন মে‌হের উদ্দিন, উপ সম্পাদক: মুহাম্মাদ তাজুল ইসলাম শাহীন, উপ সম্পাদক: মাওলানা আমিনুল ইসলাম ইউনুস তালুকদার।

মূর্তি স্থাপনের মাধ্যমে ভারতকে খুশি করে ক্ষমতায় টিকে থাকা যাবে না: পীর সাহেব চরমোনাই

খুলনা সংবাদদাতা : ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাঃ রেজাউল করীম (চরমোনাই পীর) বলেছেন, শতকরা ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশে সর্বোচ্চ আদালতের সামনে গ্রিক দেবীর মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে। অথচ বিধর্মীদের দেশ আমেরিকার আদালতের সামনে লেখা রয়েছে সর্বকালের সর্বযুগের শ্রেষ্ঠ আইন প্রনেতা হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)। তিনি বলেন, সর্বোচ্চ আদালতের সামনে মূর্তি স্থাপন করে দেশপ্রেমিক ইমানদার জনতার হৃদয়ে আঘাত দেওয়া হয়েছে। অবিলম্বে এই মূর্তি অপসরণ করা না হলে গোটা দেশে তীব্র আন্দোলন ছড়িয়ে পড়বে। চরমোনাই পীর বলেন আ’লীগ তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষণা করেছিল ক্ষমতায় গেলে ইসলাম বিরোধী কোন কাজ করবে না। অথচ বারবার তাদের ইসলাম বিরোধী কর্মকান্ডের প্রতিবাদে আমাদেরকে রাজপথে নামতে হয়, এটা দুঃখজনক। প্রধানমন্ত্রী নিজেকে মুসলমান বলে পরিচয় দেয়, কিন্তু মূর্তি নির্মাণ মুসলমানের কাজ নয়। গতকাল বিকেলে নগরীর বাবরী চত্বরে ইসলামী আন্দোলনের এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গনে গ্রীক দেবীর মূর্তি অপসারণ, রেলওয়ে দক্ষিণ অঞ্চল সদর দপ্তর ও বিভাগীয় সদর দপ্তর খুলনায় স্থাপন, পাইপ লাইনে খুলনায় গ্যাস সরবরাহ, গ্যাসের মূল্য কমানোর দাবিতে গুম হত্যা, সন্ত্রাস, দুর্নীতির প্রতিবাদে ও ইসলামী শাসনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষে এ জনসভার আয়োজন।

ইসলামী আন্দোলন খুলনা জেলা শাখার সভাপতি ও জনসভা বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক মাওঃ আব্দুল্লাহ ইমরানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন দলটির নায়েবে আমীর হাফেজ মাওঃ অধ্যক্ষ আব্দুল আওয়াল, যুগ্ম-মহাসচিব মাওঃ গাজী আতাউর রহমান, খুলনা নগর সভাপতি অধ্যক্ষ মাওঃ মুজ্জাম্মিল হক কাসেমী। সভা পরিচালনা করেন নগর সহ সভাপতি শেখ মুহাঃ নাসির উদ্দিন, জেলা সেক্রেটারী শেখ হাসান ওবায়দুল করীম ও মাওঃ ইমরান হুসাইন।

চরমোনাই পীর বলেন, সরকার ভারতকে খুশি করতে মূর্তি রক্ষায় ব্যস্ত। মূর্তি স্থাপনের মাধ্যমে ভারতকে খুশি করে মুসলমান দেশের ক্ষমতায় থাকা যায় না। মূর্তি বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়েছে, মূর্তি অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত মুসলমানরা ঘরে ফিরে যাবে না। প্রয়োজনে জীবন ও রক্ত দিয়ে হলেও মূর্তি অপসরণ করা হবে। তিনি আগামী ২১ এপ্রিল ঢাকায় জাতীয় মহাসমাবেশ সফল করার আহ্বান জানান।

নায়েবে আমীর অধ্যক্ষ আব্দুল আওয়াল বলেন দক্ষিণ অঞ্চলের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থান খুলনা। খুলনা শিল্প ও বন্দর নগরী এখানে সকল সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বিভাগীয় অফিস রয়েছে। ইতোমধ্যে ৯০ কোটি টাকা দিয়ে খুলনা রেলস্টেশনের আধুনিকায়ন ও বেনাপোল রেল স্টেশনের উন্নয়ন কাজ চলছে। খুলনা রেলস্টেশনের পাশে সড়ক ও নদী পথ থাকায় বিভাগীয় সদর খুলনার গুরুত্ব অনেক বেশি। অথচ রেলওয়ে দক্ষিণ অঞ্চলের সদর দপ্তর খুলনার পরিবর্তে ফরিদপুর এবং বিভাগীয় রাজবাড়ী করার প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। যা খুলনাবাসীর জন্য অপ্রত্যাশিত। তিনি বলেন, খুলনাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। একই সাথে খুলনাকে অর্থনৈতিক ভাবে পঙ্গু করা হচ্ছে। এই ষড়যন্ত্রের কোন সুযোগ দেওয়া হবে না।

জনসভায় আরো বক্তব্য রাখেন জেলা শাখার প্রধান উপদেষ্টা মাওঃ গাজী নূর আহম্মদ, মোঃ মুসা লস্কর, মাওঃ মুজ্জাফ্ফর হোসাইন,  মাওঃ আবু সাঈদ, শেখ নাসির উদ্দিন, মুফতী আমানল্লাহ, মাওঃ ইমরান হুসাইন, মাওঃ ফয়সাল মাহমুদ, জি,এম সজিব মোল্লা, ইঞ্জিনিয়ার এজাজ মানসুর হোসেন, মোঃ আবু গালীব, মুহাঃ আবুল কালাম আজাদ, মুহাঃ তরিকুল ইসলাম কাবির, আব্দল্লাহ আল মামুন, মুহাঃ আব্দুর রশিদ, মাওঃ আব্দুল জব্বার, মোল্লা রবিউল ইসলাম তুষার, মাওঃ আব্বাস আমিন, মোঃ মাসুম বিল্লাহ, মাওঃ আব্দুস সাত্তার, বীর মুক্তিযোদ্ধা জি,এম কিবরিয়া, মোঃ জসিম উদ্দিন, হাফেজ মুস্তাফিজুর রহমান, মাওঃ মনিরুল ইসলাম, ডাঃ কে, এম আল আমিন এহসান, মুফতী আব্দুর রহমান, মাওঃ মুজিবর রহমান, ডাঃ মোঃ শহিদল্লাহ, মাওঃ দ্বীন ইসলাম, মুহাঃ জাহিদুল ইসলাম, আলহাজ্ব শহিদুল ইসলাম বিশ্বাস, এড. মোঃ কামাল হোসাইন, মাওঃ সিরাজুল ইসলাম, মোঃ নুরুল হুদা সাজু, মোঃ আনিসুর রহমান, আলহাজ্ব আবু তাহের, মোঃ হযরত আলী, গাজী মিজানুর রহমান, মোঃ ওলিয়ার রহমান, মাওঃ ফরিদ আহম্মদ, মাওঃ জাহিদুর রহমান, আলহাজ্ব আব্দুর রউফ বয়াতী, শ্রমিক নেতা আলহাজ্ব জাহিদুল ইসলাম, মোঃ আনিসুর রহমান, যুব নেতা মুহাঃ ইসমাইল হোসেন, ডাঃ নাসির উদ্দিন, শিক্ষক ফোরাম নেতা অধ্যাপক আবু নেছার সিদ্দিকী, মুফতী রবিউল ইসলাম রাফে, ছাত্রনেতা কে, এম আব্বাস আলী, মুহাঃ আমিরুল ইসলাম, এম,এ হাসিব গোলদার প্রমুখ।

সমাবেশ শেষে পীর সাহেব চরমোনাই আগামী খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। মেয়র প্রার্থী হিসেবে ইসলামী আন্দোলন খুলনা নগরের সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা মুজ্জাম্মিল হক কাসেমী এবং কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে ২নং ওয়ার্ডে মোঃ বজলুর রহমান, ৩নং ওয়ার্ডে আলহাজ্ব মোঃ লুৎফর রহমান, ৪নং ওয়ার্ডে আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর মোড়ল, ৬নং ওয়ার্ডে মুহাঃ তরিকুল ইসলাম কাবির, ৭নং ওয়ার্ডে গাজী মুহাঃ মিজানুর রহমান, ৮নং ওয়ার্ডে হাফেজ শামছুল আলম, ১০নং ওয়ার্ডে মুহাঃ জামাল হোসেন, ১১নং ওয়ার্ডে মুহাঃ মতিয়ার রহমান, ১২নং ওয়ার্ড ডাঃ আজমল হোসেন, ১৫নং ওয়ার্ড বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম কিবরিয়া, ১৬নং ওয়ার্ড মুহাঃ মারুফুর রহমান, ১৭নং ওয়ার্ড মুহাঃ আব্দুর রশিদ, ১৮নং ওয়ার্ড মুহাঃ গোলাম মোস্তফা জামাল, ২১নং ওয়ার্ড মুহাঃ শামিমুল আলম মান্দার, ২২নং ওয়ার্ড মুহাঃ ইলিয়াস হোসেন, ২৩নং ওয়ার্ড আলহাজ্ব আবু তাহের, ২৫নং ওয়ার্ড মোঃ ইমরান হোসেন মিয়া, ২৬নং ওয়ার্ড মোঃ আকবার আলী পাঠান, ২৭নং ওয়ার্ড মোঃ মুজিবুর রহমান ছোটন, ২৮নং ওয়ার্ড মোঃ ফজলুল করীম, ৩০নং ওয়ার্ড মোঃ আলমগীর হোসেন, ৩১নং ওয়ার্ড মোঃ গোলাম মোস্তফা সজীব মোল্লা এর নাম ঘোষণা করেন।

বৃহস্পতিবার, ৬ এপ্রিল, ২০১৭

হিন্দুয়ানী বর্ষবরণের সংস্কৃতি মুসলমানদের চাপিয়ে দেয়ার চক্রান্ত রুখে দিতে হবে: মাও. ইমতিয়াজ আলম

আইএবি নিউজ: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম বলেছেন, বর্ষবরণের নামে হিন্দুয়ানী সংস্কৃতি মঙ্গল শোভাযাত্রা ৯২ ভাগ মুসলমানদের উপর চাপিয়ে দেয়ার চক্রান্ত দেশবাসী রুখে দাড়াবে।

তিনি বলেন, এসকল অশুভ পরিকল্পনা মুসলমানের সংস্কৃতির উৎস ইসলামী জীবন দর্শন ভিত্তিক মূল্যবোধের পরিপন্থি। স্থানীয় ও লোকজ ঐতিহ্যের উপাদান মুসলিম সংস্কৃতিতেও আছে। প্রকাশ্যে মঙ্গল শোভাযাত্রা বাতিল করতে হবে। তিনি বলেন, ১৪ এপ্রিল বর্ষবরণের নামে সারা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে মঙ্গল শোভাযাত্রা বাধ্যতামূলক আয়োজনে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নেয়া সিদ্ধান্ত দেশের ৯২ ভাগ মুসলমান মানবে না। অবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে।

আজ (বৃহস্পতিবার) বিকেলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের এক জরুরী সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। সংগঠনের সেক্রেটারী মাওলানা এবিএম জাকারিয়ার পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন নগর সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুর রহমান ও আলহাজ্ব্ আলতাফ হোসেন, আলহাজ্ব আব্দুল আউয়াল, ডা. শহিদুল ইসলাম, মাওলানা শেখ নুরুন্নাবী, মাওলানা আবদুল কাদির, মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, মাওলানা ফখরুল ইসলাম, মাওলানা নজরুল ইসলাম প্রমুখ।

ইশা ছাত্র আন্দোলন উমরপুর ইউ,পি শাখা'র কমিটি পুনর্গঠন সম্পন্ন

আইএবি নিউজ ডেক্স:  ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন ওসমানী নগর উপজেলাধীন ১নং উমরপুর ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে আজ ৬ এপ্রিল'১৭ বেলা ২ টায় শাখা সভাপতি তাজুল ইসলাম বদরুল-এর সভাপতিত্বে স্থানীয় এক মিলনায়তনে কমিটি গঠন ও বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইশা ছাত্র আন্দোলন ওসমানীননগর উপজেলা সভাপতি আহমদ উল্লাহ আনছারী। প্রধান অতিথি তার বক্তব্য শেষে ইশা ছাত্র আন্দোলন উমরপুর ইউ,পি শাখার ২০১৭ সেশনের কমিটি ঘোষণা করেন। সভাপতি: তাজুল ইসলাম বদরুল। সহ সভাপতি: মু. হাবিবুর রহমান। সাধারণ সম্পাদক: মু. আরশাদ খান। মুনাজাতের মাধ্যমে সম্মেলন সমাপ্ত হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি: তাং ০৬/০৪/১৭ইং

দাওয়াতি পক্ষ (১৫-৩০ এপ্রিল-২০১৭) উপলক্ষে ইশা ছাত্র আন্দোলনের সাধারন পরিচিতি


ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন (১৯৯১-২০১৬)
প্রতিষ্ঠাতা ইসলামী আন্দোলন এর সফল রূপকার, ইসলামের মুক্তিদাতা চরিত্রকে জনমানসে প্রতিষ্ঠিত করে ইসলামকে রাষ্ট্রীয় সমস্যার সমাধানে উপস্থানকারী বিপ্লবী রাহবার মাওলানা সৈয়দ ফজলুল করীম পীর সাহেব চরমোনাই (রহ.)।
প্রেক্ষাপট স্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্র পরিচালনার নীতিতে দ্বিধাদ্বন্দ্ব অর্থ ব্যবস্থার নীতি নির্ধারণে পুঁজিবাদ ও সমাজতন্ত্রের দুষ্টচক্রে পাক খাওয়া বস্তুবাদী চিন্তায় আচ্ছন্নতা, সমাজের দুর্নীতি, অন্যায়-অবিচারের ফলে দেশ যখন অশুভ কালচক্রে ঘুর্নয়মান, স্বাধীনতা হাতছাড়া হওয়ার জোগাড়; তখনই ১৯৮৭ সালে ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো। ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন তার পথচলার ৫ বছরের মধ্যে অনুধাবন করে যে, বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের একটি অংশ স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে। তারা ইসলামের নৈতিক, আদর্শিক এবং ইসলাম প্রবর্তিত রাষ্ট্র, অর্থ-সমাজ সংক্রান্ত শিক্ষা সম্পর্কে অনবগত থাকছে। আরেকটি অংশ যারা মাদরাসায় পড়ছে তারা চলমান বিশ্বব্যবস্থায় রাষ্ট্র, অর্থ ও সমাজনীতি সম্পর্কে না-ওয়াক্বিফ। ফলে বাঙালি মুসলিম সমাজকে নেতৃত্ব দেয়ার মতো কোন প্রজন্ম এদেশে গড়ে উঠছে না। এর সমাধানে এমন একটি প্রতিষ্ঠান গঠন করা প্রয়োজন যেখানে জাগতিক শিক্ষিতরা ইসলাম সম্পর্কে এবং ইসলামী শিক্ষিতরা চলমান জ্ঞান-বিজ্ঞান সম্পর্কে জানতে পারবেন। তারা আরও অনুধাবন করেন যে, মাদরাসায় পড়ুয়াগণ সমাজ সম্পর্কে উদাসীন থাকছে আর জাগতিক শিক্ষিতরা স্বার্থপরতার অশুভ চক্রে আবর্তিত হচ্ছে। অনুধাবন করেন যে, মাদরাসাসমূহে যে কোন রাজনীতি নিষিদ্ধ আর অন্য দিকে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতির নামে চলছে সন্ত্রাস। তাদের এই অনুধাবনের প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত হয় ইসলামী শাসনতান্ত্র ছাত্র আন্দোলন প্রতিষ্ঠার। যেখানে সমাজ সম্পর্কে উদাসীন শিক্ষার্থীদের সমাজ সচেতন করা হবে, আর স্বার্থপরদের শিক্ষা দেয়া হবে কল্যাণকামিতা। ছাত্র রাজনীতিতে সবই শামিল করা হবে। আবার সন্ত্রাস থেকে ছাত্র রাজনীতিকে মুক্ত করে আদর্শভিত্তিক ছাত্র রাজনীতি প্রবর্তন করা হবে। এরই প্রেক্ষিতে ১৯৯১ সালের ২৩ আগস্ট ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন প্রতিষ্ঠিত হয়।
লক্ষ্য
জাহিলিয়াতের সকল প্রকার আধিপত্যের অবসান ঘটিয়ে কুরআন-সুন্নাহ অনুযায়ী খোলাফায়ে রাশেদার নমুনায়-সাহাবায়ে কেরামের অনুসৃত পথে মানবজীবন গঠন ও সমাজের সর্বস্তরে পূর্ণ দীন বাস্তবায়ন।”
ব্যাখ্যা : জাহিলিয়াত বলতে “আল্লাহর দেয়া বিধানকে মানতে অস্বীকার করা”। আমরা জাহেলিয়াতের “আধিপত্বের” অবসান চাই। স্বমূলে “জাহেলিয়াত” এর নয়। আধিপত্য একটা নীতিগত বিষয়; বস্তগত না। সেজন্যই ইশা ছাত্র আন্দোলন ‘জাহিলিয়াত’কে বস্তুগত আক্রমনের লক্ষবস্তু বানায় না বরং নীতিগতভাবে জাহিলিয়াতের অবসান চায়। জাহেলিয়াত এর অবসানে আমাদের চলার পথ হলো- কুরআন-সুন্নাহ ও সাহবায়ে কেরামের অনুসৃত পথ। কোন অবস্থাতেই আমরা এর অন্যথা করি না। কোন প্রলোভন ভয়-ভীতি আমাদের পথচ্যূত করতে পারে নাই, পারবেও না ইনশাআল্লাহ। আমরা মানবজীবন গঠনকে অন্যতম লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি। কারণ আমরা বিশ্বাস করি, শিক্ষার্থীদের ব্যক্তি সাফল্যের সমষ্টিই জাতির সফলতা। “সমাজের সর্বস্তরে পূর্ণ দীন বাস্তবায়ন” আমাদের অন্যতম লক্ষ্য। কারণ আল্লাহর দেয়া বিধানেই সমাজের সব সমাধান বলে আমরা বিশ্বাস করি।
উদ্দেশ্য
আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জন।
লক্ষ্য অর্জনে আমাদের অনুসৃত পন্থা
ইশা ছাত্র আন্দোলন তার লক্ষ্য অর্জনের পন্থা হিসেবে গণবিপ্লবকে গ্রহণ করেছে। ইসলামের ইতিহাসের আলোকে আমরা বিশ্বাস করি, যে কোন আদর্শ প্রতিষ্ঠার একমাত্র কার্যকর পদ্ধতি হলো গণবিপ্লব, মানুষের মধ্যে চাহিদা সৃষ্টি করে মানুষের ভেতর থেকেই দাবি উত্থাপন করে মানুষের মাধ্যমেই আদর্শের বাস্তবায়ন করাই হলো গণবিপ্লব।
গণবিপ্লবের ধাপ হিসেবে আমরা যে ধাপগুলো অনুসরণ করি
* গণদাওয়াত
আমরা বিশ্বাস করি, ইসলাম রাষ্ট্র পরিচালনা নীতিতে সাম্য, সামাজিক ন্যায় বিচার ও মানবিক মর্যাদাবোধ নিশ্চিত করে। অর্থনীতিতে পুঁজিবাদের বল্গাহীন মুনাফাখোরি আর সমাজতন্ত্রের নিগ্রহমূলক কঠোরনীতি পরিবর্তে নৈতিক নিয়ন্ত্রণমূলক স্বাধীন অর্থ ব্যবস্থায় নির্দেশ দেয়। সমাজ ব্যবস্থায় ‘উম্মাহ’তথা সামষ্টিক কল্যাণ নীতি অনুসরণ করে, বিচার ব্যবস্থার জটিলতা দূর করে অপরাধ প্রতিরোধমূলক নির্দেশনা দেয়।
ইসলামের এই দাওয়াত গণমানুষকে নম্র-বিনিত, মায়াপূর্ণ ভাষায় এবং চরিত্র মাধুর্যতার মাধ্যমে পৌঁছে দেয়া গেলে মানুষ তা গ্রহণ করবেই। তাই লক্ষ্য অর্জনে আমাদের প্রথম পদক্ষেপ গণদাওয়াত।
* গণদাবী ও গণচেতনা
পুঁজিবাদ বস্তুবাদের অসারতা মুনাফাখোরি চরিত্র চলমান রাষ্ট্রযন্ত্রের ব্যর্থতা, বাক স্বাধীনতা খর্ব করা, নিরাপত্তায় ব্যর্থতা, মৌলিক অধিকার পূরণে ব্যর্থতার মোকালোয় ইসলামের কার্যকারিতা প্রমাণে আমরা সমর্থ হলে মানুষের মাঝ থেকেই ইসলামের দাবি উত্থাপিত হবেই।
গণবিপ্লব
মানুষের এই দাবি ও চেতনাকে গঠনমূলক ধারাবাহিক কর্মসূচির মাধ্যমে একটি সামগ্রিক বিপ্লবের দিকে নিয়ে যাওয়া ইশা ছাত্র আন্দোলন এর লক্ষ্য অর্জনে পন্থা।
এখানে একটা বিষয় পরিষ্কার হওয়ার প্রয়োজন। ইশা ছাত্র আন্দোলন কোনরূপ সহিংস পন্থায় বা চাপ প্রয়োগ করার পন্থায় বিশ্বাস করে না। সমসাময়িককালে খেলাফত প্রতিষ্ঠার নামে যেসব সহিংস পন্থায় চর্চা দেখা যায় ইশা ছাত্র আন্দোলন বাস্তবসম্মত কারণেই তা প্রত্যাখান করে।
ইশা ছাত্র আন্দোলন–এর বৈশিষ্ট্য
*ইসলামী আদর্শ বিবর্জিত জাহেলী সমাজব্যবস্থার পরিবর্তনের নবী রাসূলগণের (সা) উত্তরসূরী উলামায়ে কেরামের অনুপ্রেরণা, দিকনির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানে পরিচালিত একটি ছাত্র কাফেলা।
* আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে ইসলামী সমাজ গঠনের সার্বক্ষণিক জিহাদে একটি পরিপূরক শক্তি।
* রূহানিয়াত ও জিহাদের একটি সমন্বিত প্রয়াস।
* প্রচলিত ছাত্র রাজনীতি নয়; বরং একটি ঐক্যপ্রয়াসী আন্দোলনকামী শক্তি।
* প্রচলিত ছাত্র রাজনীতি নয়; বরং আমর বিল মারুফ ও নাহি আনিল মুনকারের ঈমানী দায়িত্ব পালনের একটি প্রক্রিয়া।
কর্মসূচি
১. ইলম ও তারবিয়াত
* তরুণ ছাত্রসমাজকে ইসলামী আদর্শে গড়ে তোলার লক্ষে ইসলামের সঠিক জ্ঞান অর্জনে উদ্বুদ্ধ করা।
* ইসলামী ও আধুনিক শিক্ষায় ব্যুৎপত্তি অর্জন এবং প্রচলিত ধর্মহীন শিক্ষা ও মানবরচিত সকল মতাদর্শের অসারতা অনুধাবনে উৎসাহিত করা।
* জাহিলিয়াতের সকল প্রকার চ্যালেঞ্জের মোকাবেলায় ইসলামী সমাজবিপ্লবের যোগ্য কর্মী হিসেবে গড়ে তোলার সার্বিক প্রচেষ্টা চালানো।
২. আমল ও তাযকিয়াহ
* ব্যক্তিজীবনকে ইসলামী শরীয়তের আলোকে সুন্নত তরীকায় গড়ে তোলার প্রচেষ্টা চালানো।
* সর্বাবস্থায় সকল কাজে আল্লাহ তায়ালার জিকির জারী রাখা।
* আল্লাহওয়ালা ব্যক্তিদের সোহবত লাভের মাধ্যমে আত্মশুদ্ধির প্রচেষ্টা চালানো।
* জাহেরী ও বাতেনী নেক আমল অর্জন এবং বদ আমল বর্জনের চেষ্টা করা।
৩. তাবলিগ
* সকল প্রকার তাগুতী মত ও পথ অস্বীকার করে জীবনের সর্বক্ষেত্রে আল্লাহ তায়ালার সার্বভোমত্ব ও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে শরীক হবার আহ্বান করা।
৪. তানজিম
* যে সকল তরুণ শিক্ষার্থী আন্দোলনের উদ্দেশ্যের সাথে একমত হয়ে জীবনের সর্বস্তরে কুরআন সুন্নাহর আইন তথা ইসলামী শাসনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে শরীক হতে আগ্রহী তাদেরকে সংগঠনের অধীনে সংঘবদ্ধ করা।
* শিক্ষাঙ্গন সর্বত্র ছাত্রসমাজের মাঝে সংগঠন গড়ে তোলার মাধ্যমে আন্দোলনের সম্প্রসারণ ঘটানো।
৫. ইনকিলাব (বিপ্লব)
* শিক্ষাঙ্গনের সমস্যাবলী চিহ্নিত করে শান্তিপূর্ণ উপায়ে তা দূরীকরণের জন্য ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস চালানো।
* ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নির্দেশিথ ও অনুমোদিত কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা।
* সকল প্রকার ইসলামবিরোধী কার্যকলাপের অবসান ঘটিয়ে সমাজ ও রাষ্ট্রের স্থায়ী শান্তি এবং মানবতার সার্বিক মুক্তির লক্ষে দুর্বার গণআন্দোলনের মাধ্যমে ইসলামী বিপ্লব সাধনের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো।
অর্জন
* ভোগবাদে মত্ত তরুণ সমাজকে মানব সৃষ্টির উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে উদ্বুদ্ধ করেছি।
* পাশ্চাত্য জীবন দর্শনে বিভ্রান্ত লাখো তরুনকে আমরা সুন্নাহ এর পথে পরিচালিত করেছি।
* দেশের মুসলিম শিক্ষার্থীরা স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে জাগতিক জীবনের কার্যকরি শিক্ষা অর্জন করলেও সমাজ, রাষ্ট্র, অর্থনীতি সম্পর্কে ইসলামের শিক্ষা না থাকায় তারা মুসলিম জনগোষ্ঠীর চাহিদা বুঝতে ব্যর্থ। ফলে দেশে সৎ-দেশপ্রেমিক যোগ্য নেতৃত্বের অভাববোধ, সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতি, স্বার্থপরতা, অন্যায় জেকে বসে সমাজের প্রতিস্তরে। আমরা জাগতিক শিক্ষায় শিক্ষিতদের বিশাল এক অংশকে ইসলামের চেতনায় উদ্ভুদ্ধ করে সমাজের যোগ্য নেতৃত্ব হিসেবে গড়ে তুলেছি।
* কওমিয়া মাদরাসাসমূহ জাতির ধর্মীয়, আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব তৈরির বাসনা থেকেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমরা কওমি শিক্ষার্থীদের মাঝে আকাবিরে দেওবন্দের সংগ্রামী চেতনা পুনর্জাগরিত করতে সক্ষম হয়েছি।
* বাংলাদেশি তারুণ্য নিজস্ব ইতিহাস-ঐতিহ্যকে ভুলে ভিনদেশি সংস্কৃতিক অনুকরণে লিপ্ত হয়েছিলো। ভিনদেশি পণ্যের সস্থা বাজারে পরিণত হয়েছিলো। আমরা তারুণ্যেকে তার নিজস্ব বাঙালি ও মুসলিম ইতিহাস ঐতিহ্যকে স্বরণ করে দিয়েছি।
* আজকাল ক্যাম্পাসসমূহে মাদক প্রগতিশীলতার প্রতীক, ধুমপান স্মাটনেসের প্রতীক। এর মোকাবলা আমরা ক্যম্পাসে মাদকমুক্ত শেকড় সন্ধানী একদল তরুনের কাফেলা তৈরি করতে পেরেছি।
* ছাত্র রাজনীতির অর্থ (আজকাল) ক্ষমতা লিপ্সু সংগঠনের লেজুড়বৃত্তি, দলান্ধাতা, কর্মী পালনের নামে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজী মাদকের ব্যবসা আমরা ছাত্র রাজনীতির এই ধারায় পরিবর্তন এনেছি।
* একাত্তর পূর্ব ও পরবর্তি ছাত্র রাজনীতির অর্থই হলো মাদক, মাস্তানী, হল দখল, চাঁদাবাজী আর হত্যার রাজনীতি। আমরা প্রতিষ্ঠার পর থেকেই আদর্শিক, জ্ঞানভিত্তিক সুস্থধারার ছাত্র রাজনীতির প্রবর্তন করেছি। আজ দেশে আদর্শিক রাজনীতির এক দিকপাল আমরা।
* ইশা ছাত্র আন্দোলন দেশের একমাত্র শতভাগ ছাত্রদের নেতৃত্বে পরিচালিত সংগঠন।
* দেশের ত্রিধারার শিক্ষাব্যবস্থার প্রতিটি ধারা থেকে শিক্ষার্থীর সমাবেশ ঘটাতে পেরেছি আমরা।
* আদর্শে অবিচলতা যেকোন আন্দোলন এর অপরিহার্য বিষয়। আমরা আজ আদর্শের ওপর দৃঢ় থাকার এক অনন্য দৃষ্টান্ত।
* শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যায় গত ২৫ বছরে গণআন্দোলন গড়ে তুলেছি আমরা।
* শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে কাজ করেছি আমরা।
* ইসলাম বিরোধী চক্রান্তে ক্ষেভে ফেটে পড়া জনতাকে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদী ইসলামী হুকুমতের পথ দেখিয়েছে আমরা।
* ইসলামের দর্শনগত, রাজনৈতিক ও আধ্যাত্মিক বিষয়কে জনতার সামনে ফুটিয়ে তুলেছি আমরা।
ইশা ছাত্র আন্দোলন কর্ম সফলতা
* দেশের ৬৪টি প্রশাসনিক জেলা ৫৬০টি থানা, ৫০০টি উপজেলা সহ সহস্রাধিক ইউনিয়নে ইশা ছাত্র আন্দোলন তার সাংগঠনিক কাজ সৃষ্টি করতে পেরেছে।
* কাজের সুবিধার্থে আমরা দেশের গুরুত্বপূর্ণ জেলা মহানগর সমূহে ১৯টি সাংগঠনিক জেলা তৈরি করে কাজ করছি।
* দেশের সকল সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইশা ছাত্র আন্দোলন কাজ করে যাচ্ছে।
* দেশের সকল সরকারি কলেজে আমাদের সংগঠন বিস্তৃতি ঘটিয়েছে।
* মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আমাদের কাজ চলমান।
* দেশের প্রায় সফল কওমিয়া মাদরাসায় সংগঠনকে মজবুত স্থানে পৌছে দিতে পেরেছি।
* আলিয়া মাদরাসাসমূহে আমাদের কাজের শক্তিশালী ধারা অব্যহত।
* আমরা হাজার হাজার ধর্মীয় নেতা তৈরি করেছি যারা সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইসলামের সামগ্রিক ব্যাখ্যা করে জনমানুষকে ইসলামের দিকে আহবান করছে।
* সমাজ, রাষ্ট্র, ব্যবসা-বাণিজ্য-প্রশাসন সকল ক্ষেত্রই পরার্থতার শিক্ষায় উদ্ভুদ্ধ একজদল মানুষ তৈরি করতে পেরেছি যারা জনকল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে।