বিজয়ের ৪৫ বছরেও পরাজিত স্বাধীনতা -ইসলামী যুব আন্দোলন বি-বাড়িয়া
আজ ইসলামী যুব আন্দোলন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জেলা যুব আন্দোলনের আহবায়ক মুফতি আশরাফুল ইসলাম বেলালের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব হাফেজ মাওলানা
সামছ্ আল ইসলাম ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় বিকাল ৩ টায় কাজীপাড়াস্থ সৈয়দবাড়িতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বামুকের ছদর আলহাজ্ব সৈয়দ আনোয়ার আহাম্মদ লিটন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, আজ গর্বিত বিজয়ের ৪৫ বছর পূর্ণ হয়েছে। বিজয়ের ৪৫ বছর পর আজ এদেশের মানুষ এমন একটি জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে যখন সবার
মাঝেই নতুন করে প্রশ্ন জাগছে কী ছিল জাতির স্বাধীনতার স্বপ্ন আর কী ছিল মহান মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য! পাকিস্তনিরা শাসন করেছিল দুই দশক আর স্বাধীনতার পর স্বজাতিরা এদেশ শাসন করেছে চার দশক ধরে। পাকিস্তানি জালেম শাসকগোষ্ঠী আর স্বজাতির কাঙ্ক্ষিত শাসকশ্রেণীর মধ্যে মৌলিক তফাৎটা কোথায় দুঃখজনক হলেও আজ দেশবাসী খুঁজে পাচ্ছে না। তিনি আরো বলেন, পাক-শাসকশ্রেণী নাগরিকদের সঙ্গে যে আচরণ করেছে বিগত ৪৫ বছরে স্বাধীন বাংলাদেশের
শাসকগোষ্ঠীও নাগরিক সমাজের সঙ্গে তাঁদের চেয়ে উন্নত কোনো আচরণ করেনি। বরং কিছু কিছু ক্ষেত্রে পাক-শাসকদেরও এদেশের শাসকরা হার মানিয়েছে। বিজয়ের ৪৫ বছরেও পরাজিত স্বাধীনতা।
বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সেক্রেটারি মুহাম্মদ ওবায়দুল হক।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি শোষকশ্রেণী আগুন দিয়ে মানুষের বাড়ি-ঘর পুড়িয়েছিল। স্বাধীন বাংলাদেশে এখনো মানুষের বাড়ি-
ঘর, ব্যবসা-বাণিজ্য, দোকানপাট আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।পেট্রোল ঢেলে জীবন্ত মানুষকে হত্যা করা হয়। পাকিস্তান আমলে যেমন সংখ্যালঘু সম্প্রদায় নিরাপদ ছিলনা বর্তমান স্বাধীন দেশেও সংখ্যালঘুরা
নিরাপদ নয়। কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা আজও অর্জিত হয়নি।
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদ বলেন, ১৯৭১ সালে দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে বহু ত্যাগ আর জীবনের বিনিময়ে
পাকিস্তানি জলেমদের কবল থেকে বিজয় ছিনিয়ে এনেছিল আমাদের মত বাংলার দামাল মুক্তিসেনারা। যখন দেখি আমাদের জীবনের বিনিময়ে কেনা স্বাধীন বাংলাদেশ দুর্ণীতিতে ৫বার বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের খেতাব অর্জন করেছে তখন একজন দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধা যে কি পরিমান লজ্জাবোধ করে তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। এ অবস্থার পরিবর্তনে নতুন একটি দেশপ্রেমিক আদর্শিক শক্তিকে জেগে ওঠতে হবে প্রতারণা লুটপাট আর বেইনসাফির বৃত্ত ভাঙ্গতে হবে। ইসলামী যুব আন্দোলনই হয়ে উঠুক সেই দেশপ্রেমিক আদর্শিক শক্তি।
উক্ত আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা বেলাল হোসাইন।
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
-
ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন (১৯৯১-২০১৬) প্রতিষ্ঠাতা ইসলামী আন্দোলন এর সফল রূপকার, ইসলামের মুক্তিদাতা চরিত্রকে জনমানসে প্রত...
-
স্টাফ রিপোর্টার : ছাত্র সমাজের তৃণমূলে ইসলামের মর্মবাণী গেঁথে দেওয়ার লক্ষ্যে ঘোষিত ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের দাওয়াতি পক্ষকে সামনে ...
-
সিলেবাসের বাংলা বই থেকে গণ-মানুষের বোধ-বিশ^াস ও ধর্মীয় চেতনাবিরোধী বিতর্কিত গল্প কবিতা ও প্রবন্ধ বাদ দিয়ে নতুন বছরের প্রথম দিনে সারা দেশের ছ...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন