
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঘোষিত শান্তিপূর্ণ লংমার্চ ছিলো রোহিঙ্গা মুসলমানদের জন্য মানবতার পক্ষে একটি বিবেক জাগানিয়া আন্দোলন। এটি কোন রাজনৈতিক ইস্যু ছিল না। অথচ প্রসাশনের অনুমতি থাকা সত্বেও সেদিন লংমার্চে কেন বাধা দেয়া হলো আমরা তার জবাব চাই। সরকারের এ আচরণ মুসলিম বিদ্বেষ হিসেবেই গন্য হবে। এর জন্য আমরা নিন্দা ও ধিক্কার জানাই। তিনি আরো বলেন, আপনি একজন মা। সে হিসেবে এবং সর্বোপরি একজন মুসলিম হিসেবে রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানো আপনার কর্তব্য। যা আপনার এবং জাতীর জন্যও মঙ্গল জনক।

সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ শান্তিতে বিশ্বাসী। আমরা আইনকে শ্রদ্ধা করি। বিনা কারণে পূর্বঘোষিত কর্মসূচিতে বাধার জবাব আমরা দিতে জানি। আমীরের নির্দেশে পালন করেছি মাত্র। অন্যথায় প্রশাসনের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যেত না। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের পাশে দাড়ানো আমাদের ঈমানী দায়িত্ব। যেখানে একজন মুসলিম রাষ্ট্র প্রধান হিসেবে মায়নমার সরকারকে চাপ প্রয়োগ করার কথা, সেখানে উলটো তাদের পক্ষাবলম্বন করেছে। আমরা সরকারের এহেন এ আচরণে শংকিত। আসলেই বাংলাদেশ মুসলিম প্রধান রাষ্ট্র কিনা! সভাপতি আনোয়ার হোসেন জিহাদী সাহেব আরো বলেন, আপনি রোহিঙ্গাদের পাশে দাড়ান, তাদের আশ্রয়ের স্থায়ী ব্যবস্থা করুন। আমরা তাদের খাবারের খরচ বহন করবো। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক আদালতে সূচির বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধীর মামলা দায়ের করুন।
সমাবেশ শেষে পঞ্চবটি থেকে বিশাল মিছিল ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সামনে গিয়ে দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন