আশরাফ আলী সোহান: সুপ্রিমকোর্টের ইতিহাসে মূর্তি ছিল না; মসজিদের নগরীকে মূর্তির নগরী বানাতে দেয়া হবে না : মুফতী ফয়জুল করীম

শুক্রবার, ২০ জানুয়ারী, ২০১৭

সুপ্রিমকোর্টের ইতিহাসে মূর্তি ছিল না; মসজিদের নগরীকে মূর্তির নগরী বানাতে দেয়া হবে না : মুফতী ফয়জুল করীম

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, বিশ্বব্যাপী রাজধানী ঢাকাকে বলা হয় মসজিদের নগরী হিসেবে চিনে। আজকে মসজিদের নগরীকে মূর্তির নগরী হিসেবে পরিচিত করতে একটি নাস্তিক্যবাদী মহল উঠেপড়ে লেগেছে। বাঙ্গালী জাতিসত্ত্বা ও চেতনাবোধকে ধ্বংস করতে মূর্তিপূজারীরা মরিয়া হয়ে উঠেছে।

তিনি বলেন, আজকে আমরা গভীরভাবে লক্ষ্য করে দেখছি মসজিদের নগরী এই ঢাকাকে সরকারের ভিতরের একটি কুচক্রি মহল মূর্তির নগরী বানাতে মরিয়া হয়ে উঠছে। পাঠ্য বইয়ে হিন্দু ও নাস্তিক্যবাদী বিতর্কিত বিষয় সংযোজনকারী আর এই মূর্তি সংস্কৃতির হোতারা একই সূত্রে গাঁথা। তারাই বার বার একের পর এক ষড়যন্ত্রমূলক কৃর্তি-কলাপ করে জনগণ ও সরকারকে বিভ্রান্ত করছে। সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

মুফতী ফয়জুল করীম বলেন, বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে মূর্তি বা ভাস্কর্য নেই। এটা ৯২ ভাগ মুসলমানেরর চিন্তাচেতনারও পরিপন্থি। দীর্ঘদিন পর্যন্ত সুপ্রিমকোর্টের ইতিহাসে মূর্তি ছিল না, হঠাৎ করে কে বা কারা মূর্তি সংস্কৃতির আমদানি করা হচ্ছে। এভাবে কারা  মুসলমানদেরকে মূর্তি পূজার দিকে নিয়ে যেতে চায়। ইসলামের ইতিহাসে মূর্তি নেই। বরং ইসলাম এসেছে মূর্তি ধ্বংস করতে। কাজেই পৌত্তলিকতার দিকে কারা আমাদেরকে নিয়ে যেতে চায়, ওই চিহ্নিত মহলটিকে খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর কাজলায় মারকাজুত তাকওয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের উদ্যোগে আয়োজিত ইসলামী মহাসম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম একথা বলেন। সম্মেলনে দেশের বরেণ্য উলামায়ে কেরাম বক্তব্য রাখেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন