আশরাফ আলী সোহান: সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে মূর্তি স্থাপন মুসলিম সাংস্কৃতিক চেতনা ধ্বংসের চেষ্টা : পীর সাহেব চরমোনাই

বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০১৭

সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে মূর্তি স্থাপন মুসলিম সাংস্কৃতিক চেতনা ধ্বংসের চেষ্টা : পীর সাহেব চরমোনাই

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম ভাস্কর্যের নামে সুপ্রিমকোর্টে লেডি জাষ্টিজের মূর্তি স্থাপনকে পশ্চিমা সংস্কৃতি হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেছেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ খ্রিষ্টান অধ্যুষিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিমকোর্টের সামনে সর্বোচ্চ আইনদাতা হিসেবে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সা.এর নাম স্থাপিত হলেও বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের সুপ্রিমকোর্টের সামনে গ্রীক দেবী লেডি জাস্টিজের মুর্তি স্থাপন করে মুসলিম সাংস্কৃতিক চেতনা ধ্বংসের চেষ্টা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সংস্কৃতির মানে হচ্ছে আত্মপরিচয়। মানুষের বিশ্বাস, আচরণ ও জ্ঞানের সমন্বিত প্যাটার্নকে বলা হয় সংস্কৃতি। ভাষা, সাহিত্য, ধর্ম ও বিশ্বাস, রীতি-নীতি, সামাজিক মুল্যবোধ, উৎসব, শিল্পকর্ম ও আইন-কানুন প্রভৃতি সবকিছু নিয়েই সংস্কৃতি। লেডি জাষ্টিজ-এর মূর্তি স্থাপন বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনগণের সাংস্কৃতিক কোন অনুষঙ্গেরই অংশ নয়।

পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, মুসলিম সংস্কৃতিতে হিরো কাল্ট বা বীরপূজার প্রচলন নেই। তিনি বলেন, শিল্প-সংস্কৃতির যে উপাদান মুসলমানের তৌহিদের বা একত্বের পরিপন্থি মুসলমানরা তা প্রত্যাখ্যান করেছে।

তিনি আরো বলেন, উৎসব হোক বা স্মৃতি রক্ষা হোক, নিজস্ব প্রথা-পদ্ধতি, নিয়ম-নীতি বা রীতি-রেওয়াজের অনুশীলন কাম্য। কেননা এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের রয়েছে স্বতন্ত্র সাংস্কৃতিক চেতনা। রয়েছে একটি সমৃদ্ধ সংস্কৃতি। মূর্তি বাংলাদেশের ৯২ ভাগ মুসলমানের সংস্কৃতি নয়। তাই অবিলম্বে সুপ্রিমকোর্ট চত্ত্বরে স্থাপিত মূর্তি অপসারণ করতেই হবে। অন্যথায় ঈমান রক্ষার তাগিদে ঈমানদার জনতা কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন