আলহামদুলিল্লাহ, তাগুত বাতিলশক্তির পাহাড়সম বাঁধা মাড়িয়ে, নানা পথ ও মতের এতো ইসলামী সংগঠনের মাঝে সকল বৈরী পরিবেশ উপেক্ষা করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ রাষ্ট্রিয়ভাবে ইসলামকে বিজয়ী আর্দশ হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এগিয়ে চলছে সম্মুখ পানে। রাজনীতির পিচ্ছিল বন্ধুর পথে এককভাবে এগিয়ে যাওয়া আর সম্ভাবনা সৃষ্টি করা যদিও কঠিন তবুও আল্লাহ তা’আলার অশেষ মেহেরবানিতে সর্বস্তরের নেতাকর্মী সদস্যের মেধা, শ্রম, সময় আর কষ্টার্জিত অর্থের বিনিময়ে আন্দোলনের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে।
এধারা অব্যাহত রাখতে, আরো ধৈর্য ও ত্যাগের কোরবানী বাড়িয়ে দিতে হলে সর্বস্তরের নেতাকর্মী ও সদস্যদের মাঝে রুহানিয়াত ও জিহাদের সমন্বিত প্রয়াসের ধারাও অব্যহত রাখতে হবে। তাইতো আত্মশুদ্ধির ও দীন বিজয়ে শায়েখ হযরত পীর সাহেব চরমোনাই রহ. রেখে গেছেন মহৌষধের অমূল্য প্রেসক্রিপশন। পাঁচ ঔষধ, তিন সবক ও তিন শর্তের এ প্রেসক্রিপশনকে সর্বাবস্থায় আঁকড়ে ধরতে হবে। তবেই কাঙ্খিত বিজয় ইনশা আল্লাহ সুনিশ্চিত হবে।
উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশে ইসলামী সাহিত্যের রূপকার, বিশিষ্ট লেখক, সম্পাদক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন মাওলানা মহিউদ্দিন খাঁন রহ.। তিনি তার লেখনীতে পরিস্কার ভাবে হযরত পীর সাহেব চরমোনাই রহ. সম্পর্কে উল্লেখ করেছেন, ”আপোষহীন সংগ্রামী চেতনাই ছিল পীর সাহেব চরমোনাই বৈশিষ্ট্য। তাঁকে তিনি হযরত সৈয়দ আহমদ শহীদ রহ.- এর সাথে তুলনা করে বলেছেন, জিহাদ ও রুহানিয়াত (তাসাউফ)-এর একটিকে অন্যটির পরিপূরক রুপে গ্রহণ করেছেন পীর সাহেব চরমোনাই। আর এটাই ছিল হযরত সৈয়দ আহম্মদ শহীদ রহ.- এর অনুসৃত নীতি। তাঁর অনুসারিদের মধ্যেও এই বিশেষত্ব সুস্পষ্ট। পীর সাহেবের মূল জামায়াতের নাম বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি।আপোষহীন সংগ্রামী চেতনাই ছিল পীর সাহেব চরমোনাইর বৈশিষ্ট আর তাঁর অনুসারীদের মধ্যেও এই বিশেষত্ব সুস্পষ্ট। তাই আশা করা যায় যে, তাঁর সৃষ্ট সংগ্রামী কাফেলা একদিন সাফল্যের মঞ্জিলে অবশ্যই উপনীত হবে ইনশা আল্লাহ।"
ওয়ালা তাহিনু ওয়ালা তাহজানু ওয়া আনতুমুল আয়ালাওনা ইনকুনতুম মু’মিনীন।” ইনশা আল্লাহ বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত যদি আমরা মু’মিন হতে পারি ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন