আশরাফ আলী সোহান: সামরিক চুক্তির মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা বিকিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র হচ্ছে : অধ্যক্ষ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী

মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ, ২০১৭

সামরিক চুক্তির মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা বিকিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র হচ্ছে : অধ্যক্ষ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী

আইএবি নিউজ: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী বলেছেন, ক্ষমতাসীন সরকার দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে ভারতের স্বার্থ রক্ষায় সামরিক চুক্তি করতে মরিয়া হয়ে উঠছে। স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিসর্জন দিয়ে করা কোনো চুক্তি দেশের মানুষ মেনে নেবে না। তিনি বলেন, দেশপ্রেমিক ঈমানদার জনতার সেন্টিমেন্ট বিরোধী যে কোন চুক্তি ভারতের সাথে করলে দেশবাসী স্বাধীনতা যুদ্ধের ন্যায় গর্জে উঠতে বাধ্য হবে। সামরিক চুক্তি দেশের জন্য আজীবন অকল্যাণই বয়ে আনবে। সামরিক চুক্তি হলে সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরীণ সকল পরিকল্পনা, রণ কৌশল ভারত জেনে গেলে ভবিষ্যৎে যুদ্ধ কার সাথে হবে? কাজেই সামরিক চুক্তি করা থেকে বিরত থাকতে হবে। ভারতের সাথে সকল অমিমাংসিত বিষয়গুলোর সমাধান আগে প্রয়োজন। এরপর নতুন কোন চুক্তি করতে হলে দেশবাসীর মতামত গ্রহণ করে চুক্তি করতে হবে। রাতের আধারে ভারতে সাথে কোন চুক্তি দেশপ্রেমিক জনতা মেনে নেবে না। দেশবাসী দীর্ঘ দিনের অমিমাংসিত তিস্তা চুক্তির বাস্তবায়ন চায়। সরকার গঙ্গা নদীর পানি বণ্টন চুক্তি পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়ন করতে পারেনি, ৫৪টি নদীর পানি নিয়েও চুক্তি করতে পারেনি। অন্যদিকে পানিসম্পদ মন্ত্রীর মুখে আমরা শুনতে পাই-তিস্তা নদীর পানি চুক্তি হবে কি- না তা নিয়ে তিনি সন্দিহান। তাহলে কোন্ চুক্তি হবে?

গতকাল (সোমবার) বিকেলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর এক জরুরী সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। এতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের রাজনৈতিক উপদেষ্টা অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মাওলানা এটিএম হেমায়েত উদ্দিন ও মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, কেএম আতিকুর রহমান, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা নেছার উদ্দিন, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী প্রমুখ।

অধ্যক্ষ মাদানী আরো বলেন, দেশের স্বাধীনতা বিকিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র অব্যাহত। বড় দেশের সঙ্গে যখন কোনো সামরিক-প্রতিরক্ষা চুক্তি করা হয় তখন সেই বড় দেশই আরও শক্তিশালী হয়। দুর্বল দেশ শক্তিশালী হতে পারে না। আরো দুর্বল বা নতজানু হয়। তিনি বলেন, সরকারকে দেশের মানুষের মনের ভাষা বুঝতে হবে। তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় নিরীহ-নিরাপরাধ মানুষকে কোনভাবেই হয়রানী করলে ঈমানদার জনতা মেনে নেবে না। তিনি বলেন, ইসলামী শিক্ষা বাধ্যতামূলক করলে জঙ্গিবাদ আর থাকবে না। কেননা ইসলাম সন্ত্রাস বা চরমপন্থা সমর্থন করে না।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন