আইএবি নিউজ: বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের আমীর (পীর সাহেব চরমোনাই) মুফতি সৈয়ম মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, বাংলাদেশের মুসলমানদের হুঁশ থাকলে কখনো জাতীয় ঈদগাহের পাশের্^ ও সুপ্রীম কোর্টের সামনে মূর্তি মেনে নিবে না। প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা বাংলাদেশের সব মানুষের প্রধান বিচারপতি। তিনি সংখ্যাগরিষ্ট মুসলমানের দেশে সুপ্রীম কোর্টের সামনে তার নিজের ধর্মের মূর্তির স্থাপন করে তার নিরপেক্ষতা হারিয়েছেন। তিনি প্রধান বিচারপতি থাকার অধিকার হারিয়েছেন।
বিশে^র কোন দেশে এমনকি পাশর্^বর্তী ভারতেও আদালতের সামনে কোন মূর্তি নেই। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে সুপ্রীম কোর্টের সামনে থেকে মূর্তি সরানোর কথা বলেছেন আমরা প্রধানমন্ত্রীর কথার উপর সম্মান দেখিয়েছি। আমরা লক্ষ্য করছি প্রধানমন্ত্রী কি করেন? যদি ২১ এপ্রিলের মধ্যে সুপ্রীম কোর্টের সামনে থেকে গ্রীক মূর্তি সরানো না হয় তা হলে আগামী ২১ তারিখ ঢাকায় মহা সমাবেশ করা হবে। ঐ মহা সমাবেশ থেকে ইসলামী আন্দোলন কঠিন আন্দোলনের কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে বলে হুঁশিয়ারী দেন চরমোনাই পীর।
তিনি গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে রাঙামাটি পৌরসভা চত্বরে রাঙামাটি ইসলামী আন্দোলনের উদ্যোগে আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। ইসলামী আন্দোলনের আগামী ২১ এপ্রিল ঢাকায় মহা সমাবেশ সফল করা ও সুপ্রীম কোর্টের সামনে থেকে গ্রীক মূর্তি সরানোর দাবিতে এ সমাবেশ আয়োজন করা হয়।
ইসলামী আন্দোলন রাঙামাটি জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক জান্নাতুল ইসলাম, চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিনের সভাপতি মোঃ শফকত হোসাইন, ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শেখ মোঃ মারুফ, ইসলামী যুব আন্দোলন রাঙামাটি জেলা কমিটির আহবায়ক মাওলানা ওমর আলী, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের রাঙামাটি জেলা কমিটির সভাপতি নাসির হোসেন প্রমুখ। এ ছাড়াও ইসলামী ছাত্র আন্দোলন ও ইসলামী আন্দোলনের জেলা উপজেলার নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। সমাবেশ পরিচালনা করেন ইসলামী আন্দোলনের রাঙামাটি জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক নূর হোসেন।
প্রধান অতিথি চরমোনাই পীর আরো বলেন, স্বাধীনতার পর যারা এদেশ পরিচালনা করেছেন তারা বাংলাদেশকে বিশে^র কাছে চোরের দেশ হিসেবে প্রথম বানিয়েছেন। তাদের দিয়ে দেশের মানুষের ভাগ্যের কোন উন্নতি হয়নি। দেশের বিরুদ্ধে এবং ইসলাম বা ধর্মের বিরুদ্ধে যখন যে ষড়যন্ত্র হয়েছে তখনই ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ রাজপথে নেমে এসেছে। তিনি বলে ইসলামী আন্দোলন কখনো সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যকে পশ্রয় দেয় না। ইসলামী আন্দোলন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে আন্দোলন করতে চায় উল্লেখ করে তিনি সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতির কাছে সুপ্রীম কোর্টের সামনে থেকে মূর্তি অপসারনের অনুরোধ জানান।
এর আগে সমাবেশ মিছিল সহকারে যোগ দেন ইসলামী আন্দোলন এর বিভিন্ন উপজেলার নেতাকর্মীরা।
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
-
অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন: বর্তমান দেশের জাতীয় রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্লাটফর্মের নাম ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। যাকে একটি উজ্বল সম্ভ...
-
আসবো আবার ফিরে ------------------------------------------------------------------------ - মুহিব খান কারবালা হতে পলাশী পেরিয়ে শাপলার পা...
-
চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক পলোগ্রান্ড ময়দানে বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি চট্টগ্রাম জেলা আয়োজিত চরমোনাইয়ের নমুনায় তিন দিনব্যাপী বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন