আশরাফ আলী সোহান: শান্তি ও মুক্তির একমাত্র পথ রাসূল সা.-এর আদর্শের অনুসরণ -পীর সাহেব চরমোনাই

বৃহস্পতিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৬

শান্তি ও মুক্তির একমাত্র পথ রাসূল সা.-এর আদর্শের অনুসরণ -পীর সাহেব চরমোনাই



 ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, সকলক্ষেত্রে রাসূল সা.-এর আদর্শের অনুসরণ ও অনুকরণ করতে হবে। সমাজে চলমান অশান্তি দুর করতে গিয়ে মানুষ বিভিন্ন জাগতিক মতবাদ গ্রহণ করছে। কিন্তু ইসলামে কুরআন-সুন্নাহ’র বাইরে কোন আদর্শ বা মতবাদের স্থান নেই। আর এই কারণেই অশান্তি কমছে না বরং বেড়েই চলেছে। আল্লাহপ্রদত্ত জীবনব্যবস্থাই স্থায়ী সমাধানের পথ। পীর সাহেব বলেন, চলমান নাস্তিক্যবাদী শিক্ষানীতি ও শিক্ষাআইন ও সিলেবাস বাতিল করে ইসলামী ধারার শিক্ষা বাস্তবায়ন করতে হবে। বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) দাওয়াতুন্নবী স. উপলক্ষে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত দুই দিনব্যাপী তাফসীরুল কুরআন মাহফিলে শেষদিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দাওয়াতুন্নবী সা. মাহফিল বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত তাফসীর মাহফিলে বিশেষ অতিথি ছিলেন চরমোনাই কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করীম, বাংলাদেশ কুরআন শিক্ষাবোর্ডের মহাসচিব আল্লামা নূরুল হুদা ফয়েজী পীর সাহেব কারীমপুর, অধ্যাপক হাফেজ মাওলানা এটিএম হেমায়েত উদ্দিন, ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুর রহমান ও আলহাজ্ব আলতাফ হোসেন, উত্তর সহ-সভাপতি আলহাজ্ব হারুন অর রশিদ ও আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন, দক্ষিণ সেক্রেটারী মাওলানা এবিএম জাকারিয়া ও উত্তর সেক্রেটারী মোঃ মোশাররফ হোসেন প্রমুখ। অধ্যক্ষ সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী বলেন, মানুষ নৈতিকতা হারিয়ে অনৈতিক কর্মকান্ডের দিকে ধাবিত হচ্ছে। নৈতিকতা বিবর্জিত জাতিকে ফিরিয়ে আনতে হলে রাসূল সা.-এর সুন্নাহ কায়েম করতে হবে। আর এ লক্ষ্যে নারী নেতৃত্বের অবসান ও ভ্রান্ত মতাদর্শ পরিহার করতে হবে। মুফতী সৈয়দ ফয়জুল করীম বলেন, মানুষের জৈবিক যত চাহিদা রয়েছে সবকিছুর দিকনির্দেশনা রয়েছে ইসলামে। কোন মানুষ যদি পরিপূর্ণ ইসলামী জীবনাচার মেনে চলে, সে পরিণত হয় একজন আদর্শ মানুষে। তেমনি সমাজ ও রাষ্ট্র যদি ইসলাম অনুযায়ী পরিচালিত হয়, সেই রাষ্ট্রও হবে বিশ্বের মধ্যে মডেল। তিনি সকলকে দেশ ও জাতির স্বার্থে ইসলামের সুমহান আদর্শের ছায়াতলে সমবেত হবার জন্য আহবান জানান। মাহফিলে নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশ ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশ। এদেশে সকল সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ হবে ইসলামী আদলে। পবিত্র হাইকোর্ট অঙ্গনের মূর্তির ভাস্কর্য অপসারণ করে সেখানে কুরআন ও তলোয়ার সম্বলিত ভাস্কর্য স্থাপন করতে হবে। কোন দলীয় প্রতীক (দাড়িপাল্লা) হাইকোর্ট সুপ্রীমকোর্টে ন্যায়-নীতির ধারক নয়। ন্যায় নীতির আদর্শ হচ্ছে পবিত্র কুরআন। সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা ইমতিয়াজ আলম বলেন, রাসূল সা. আদর্শ আঁকড়ে ধরতে পারলেই সর্বত্র শান্তি ফিরে আসবে। তিনি শাসকদেরকে দেশ, জনগণ ও জনগণের ধর্মীয় অধিকার রক্ষায় ইসলামের নীতিতে কাজ করার আহবান জানান।

Save

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন