সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে স্থাপিত মূর্তিকে ন্যায় বিচারের প্রতীক আখ্যায়িত করে তা অপসারণের আন্দোলনকে সমালোচনা করে দেয়া সংস্কৃতিমন্ত্রীর বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, ন্যায় বিচারের প্রতীক মূর্তি হতে পারে না। আল্লাহ ও তার নাযিল করা কুরআন হচ্ছে ন্যায় বিচারের প্রতীক। আল্লাহ ন্যায় বিচারের সকল পদ্ধতি পবিত্র কুরআনে লিপিবদ্ধ করেছেন। কারণ মূর্তির বাক শক্তি ও বোধ শক্তি নেই। কাজেই মূর্তির বিরুদ্ধে আন্দোলনকে স্বাধীনতা বিরোধী আখ্যা দেয়া কোনভাবেই মেনে নেয়া হবে না। মূর্তিকে ন্যায় বিচারের প্রতীক মনে করলে ঈমান থাকবে না, সে মুশরিক হয়ে যাবে।
মহাসচিব বলেন, মূর্তি মুসলমানের কোন সংস্কৃতি নয়, এটা হিন্দুয়ানী সংস্কৃতি। ইসলামী দৃষ্টিকোন থেকে মূর্তি বানানো বা সংরক্ষণ ও সম্মান করা হারাম। ইসলাম এসেছে মূর্তি ভাঙ্গার জন্যই। কাজেই ৯২ ভাগ মুসলমানের চিন্তাচেতনা বিরোধী মূর্তি স্থাপন কোনভাবেই মেনে নেয়া হবে না। অবিলম্বে মূর্তি অপসারণ না করলে সর্বত্র আন্দোলন গড়ে উঠবে।
তিনি বলেন, এদেশে সব ধর্মের লোক বাস করে বলে মন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন তার প্রতিবাদ করে মহাসচিব বলেন, যার যার ধর্ম পালনে কোন মুসলমান বাধা দেয়নি। কাজেই ৯২ ভাগ মুসলমানদের চিন্তাচেতনা বিরোধী মূর্তি চাপিয়ে দেয়া যাবে না। ন্যায় বিচারের প্রতীক হিসেবে মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে তাহলে কি অতীতে ন্যায় বিচার হয়নি। মূর্তির প্রতি কারো ভালোবাস থাকলে সে ব্যক্তিগতভাবে তার ঘরে কিংবা তার নিজস্ব আঙ্গীনায় স্থাপন করলে কারো কোন আপত্তি থাকার কথা নয়।
তিনি পাঠ্যসুচি পরিবর্তনে মন্ত্রীর আপত্তির প্রতিবাদ করে বলেন, সিলেবাস হওয়া উচিত বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর চিন্তাচেতনা অনুযায়ী। কিন্তু কারা রাতের আধারে সিলেবাসে মাধ্যমে হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠা করতে সিলেবাস পরিবর্তন করেছিল তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। হিন্দুধর্মের লোকেরা হিন্দুধর্ম, খ্রিষ্টানধর্মের লোকেরা খ্রিষ্টধর্ম এবং বৌদ্ধধর্মের লোকের বৌদ্ধধর্মের ভিষয়াদি শিখবে এতে কারো আপত্তি নেই। কিন্তু ৯২ ভাগ মুসলমানদের উপর তা চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে মেনে নেয়া হবে না। কাজেই সংস্কৃতিমন্ত্রীকে মনে রাখতে হবে তার সরকার দেশবাসীর কাছে নির্বাচনী ইশতেহারে শরীয়াহ বিরোধী আইন করবে না বলেই ক্ষমতায় এসেছে। এখন শরীয়াহ বিরোধী কাজ করে তার সপক্ষে সাফাই গেয়ে নিজের ঈমান বিসর্জন দিবেন না। অবিলম্বে তওবা করে প্রকৃত ঈমানদার হোন, অন্যথায় মূর্তির বিরুদ্ধে আন্দোলন চলছে, অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত চলবে।
সূত্র: ইনসাফ
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
-
আইএবি নিউজ: অদ্য ২৯ জানুয়ারি'১৭ মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় চন্দনা চৌরাস্তা সংলগ্ন ময়মনসিংহ রোডে টেকনগপাড়াস্থিত সৈকত কনভেনশন হলে ইসলামী আন্দ...
-
Ashraf Ali Sohan - Musical artist, Writer, Web Developer, and young Entrepreneur from Bangladesh Ashraf Ali Sohan Is a Bangladeshi Islamic s...
-
ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন (১৯৯১-২০১৬) প্রতিষ্ঠাতা ইসলামী আন্দোলন এর সফল রূপকার, ইসলামের মুক্তিদাতা চরিত্রকে জনমানসে প্রত...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন