কেন চরমোনাই মাহফিলে যাবেন?
আমাদের সৌভাগ্য যে মুসলিম বিশ্বের সর্ববৃহৎ ইসলামী মহাসম্মেলনের দুইটিই এদেশে। প্রমটি টঙ্গির তুরাগ নদীর তীরে অনুষ্ঠিত ইজতেমা। আর দ্বিতীয়টি বরিশালের কীর্তনখোলা নদীর তীরে অনুষ্ঠিত চরমোনাই বার্ষিক মাহফিল।
চরমোনাই মাহফিলের বিশেষত্ব
চরমোনাইর বার্ষিক মাহফিল বছরে দুবার ফাল্গুন ও অগ্রহায়ণে অনুষ্ঠিত হয়। ফাল্গুনের মাহফিলটি চারটি ময়দানে আয়োজন করা হয়, এবার প্রথম পাঁচটি ময়দানে আয়োজন করা হবে। দেশের সমগ্র অঞ্চল থেকে ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে মুসল্লিদের আগমন ঘটে। ফাল্গুনের মাহফিল লক্ষ লক্ষ মুসল্লিদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয়, অথচ সেখানে আইন শৃঙ্খলার জন্য কোন প্রশাসনিক ফোর্সের প্রয়োজন হয় না, যা নজিরবিহীন। চরমোনাই বার্ষিক মাহফিল আমার দেখা একমাত্র জায়গা যেখানে মাহফিল বাস্তবায়ন কমিটির সকল সেক্টরের নিজস্ব পরিচালনা কমিটি রয়েছে। স্বেচ্ছাসেবকগণ সর্বক্ষণ মাহফিলের সেবা নিশ্চিত করে থাকেন। প্রথামিক চিকিৎসার জন্য রয়েছে অভিজ্ঞ ডাক্তার দ্বারা পরিচালিত ২০০ শয্যাা বিশিষ্ট হাসপাতাল, জরুরী প্রয়োজনে রয়েছে এম্বুল্যান্স। মাহফিলের লাইট, মাইক পরিচালনার জন্য রয়েছে অভিজ্ঞ টিম। সার্বক্ষনিক অনালাইন নিউজ আপডেটট করতে রয়েছে চরমোনাই মিডিয়া সেল। সরাসরি মাহফিলের বয়ান লাইভ করতে রয়েছে চরমোনাই ভিএস (www.chormonai.vs.net)। হারানো মাল বা ব্যক্তি ফিরে পাওয়ার জন্য রয়েছে হারানো ক্যাম্প। মাহফিলের আওতাভূক্ত দোকানদারগণ যেনো অস্বাস্থ্যকর খাবার বা হারাম পন্য বিক্রয় করতে না পারে সেজন্য রয়েছে স্পেশালটিম। মাহফিলে অপরাধ বা চুরি দমনের জন্য রয়েছে নিরাপত্তা বিভাগ এবং অস্থায়ী কারাগার। আর এসকল কাজগুলো পরিচালনা করে থাকেন বাংলাদেশ মুজাহদি কমিটি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, ইশা ছাত্র আন্দোলন, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের দায়িত্বশীল ও কর্মীগণ।
শরিয়ত মোতাবেক পরিচালিত
চরমোনাইর মাহফিল সম্পূর্ণ শরিয়ত মোতাবেক পরিচালতি হয়ে থাকে। সেখানে দেশ ও বিদেশের বরেণ্য ওলামায়ে কেরামগণ বয়ান করে থাকেন। কোন প্রকার বিদ'য়াতী বা শরিয়ত পরিপন্থি কাজ সেখানে করা হয় না। মাহফিলে নারীদের কোন অনুমতি নেই। তবে স্থানীয় কোন আত্মীয়ের বাড়ি থাকলে সেটা ভিন্ন ব্যাপার।
বরকতী ময়দান
চরমোনাইর মাহফিল একটি বরকতী ময়দান। আমার মতো বাংলাদেশের লাখো তরুণ তার প্রমাণ। সেখানে হাজারও পথভ্রষ্ট পেয়েছে সঠিক পথের দিশা। সে ময়দান মুখরিত হয় আল্লাহ পাকের জিকিরের দ্বারা। লাখো আল্লাহ পাকের আশেক বান্দাদের চোখের পানি সে ময়দানকে আল্লাহ হেদায়েতের জরিয়া হিসাবে কবুল করে নিয়েছেন। এ ময়দান শুধু আত্মশুদ্ধির ময়দান নয়, এ ময়দান বাতিলের বিরুদ্ধে জিহাদের ময়দানও।
পরিশেষে একটা কথাই বলব, চরমোনাই দাওয়াত বা প্রশংসা করার জন্য নয়, শুধুমাত্র রাসূল সা. একটি হাদীসের উপর আমল করার জন্য দাওয়াত দিলাম, "বাল্লিগু আন্নি, ওলাও আয়াত" অর্থাৎ একটি মাত্র আয়াত হলেও অন্যের কাছে পৌঁছে দাও। যারা চরমোনাইর বিরোধিতা করেন, তাদের বলব একবারে জন্য চরমোনাইর মাহফিলে আসুন, তারপর বিরোধিতা করুন। অনেকে মনে করতে পারেন চরমোনাইর দালালী করছি, কিন্তু না কসম খোদার আপনিও এসে দেখুন এ ময়দানের বরকত কি! তখন আপনিও উপলব্ধি করতে পারবেন।
সাব্বির আহমাদ
স্নাতক, সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ
সাংগঠনিক সম্পাদক: আএইবি, সোনারগাঁও পৌরসভা
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
-
অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন: বর্তমান দেশের জাতীয় রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্লাটফর্মের নাম ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। যাকে একটি উজ্বল সম্ভ...
-
আসবো আবার ফিরে ------------------------------------------------------------------------ - মুহিব খান কারবালা হতে পলাশী পেরিয়ে শাপলার পা...
-
চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক পলোগ্রান্ড ময়দানে বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি চট্টগ্রাম জেলা আয়োজিত চরমোনাইয়ের নমুনায় তিন দিনব্যাপী বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন