আশরাফ আলী সোহান: রাঙ্গাবালীর উপনির্বাচনে ত্রিমুখী লড়াইয়ে ইসলামী আন্দোলন

রবিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

রাঙ্গাবালীর উপনির্বাচনে ত্রিমুখী লড়াইয়ে ইসলামী আন্দোলন

দলীয় প্রতীকে আসন্ন উপজেলা পরিষদ উপনির্বানে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও ইসলামী আন্দোলনের মনোনীত তিন প্রার্থীর লড়াই হবে ত্রিমুখী। এরমধ্যে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও পটুয়াখালী আব্দুল করিম মৃধা কলেজের অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন (নৌকা), বিএনপির মনোনীত উপজেলা বিএনপির উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর হোসেন আকন (ধানের শীষ) ও ইসলামী আন্দোলনের মনোনীত উপজেলা ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি আমির হোসেন মোল্লা (হাতপাখা)। ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অবাধ-সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীর মধ্যে ভোটের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। ভোটারদের প্রত্যাশা অবাধ, সুষ্ঠ, নিরাপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলার উন্নয়নে সৎ-শিক্ষিত প্রার্থীকে তারা ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন।
ইসলামী আন্দোলনের মনোনীত প্রার্থী আমির হোসেন মোল্লা জানান, সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হলে আমরা জয়লাভের আশাবাদি। বিএনপির মনোনীত প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেন আকন জানান, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন হলে আমি প্রায় ৬০% এর উপারে ভোট পাবো। সাধারণ মানুষ আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলে আমি নিজেকে তাদের সেবা সব সময় নিয়োজিত রাখব। এলাকার উন্নয়নে কাজ করব।

আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন জানান, বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিগতায় আশা করছি উপজেলাবাসী আমাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবে। আমি নির্বাচিত হলে উপজেলার রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন ধরণের উন্নয়ন মূলক কাজ করব। সাধারণ মানুষের অধিকার নিশ্চিত করব। এমনকি এখন আমি যেরকম আছি, নির্বাচিত হলেও সেইরকম থাকব। আমার কোন ধরণের পরির্বতন হবে না।

এ ব্যাপারে শনিবার বেলা ১২ টায় সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বে) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে তিন প্রার্থীই বৈধ হয়েছেন। তবে এখন ঘরোয়া পরিবেশে প্রার্থীরা বৈঠক করতে পারলেও আগামী ১৮ ফ্রেব্রুয়ারীর পর ছাড়া জনসম্মূখ্যে বৈঠক কিংবা প্রচার-প্রচারণা করতে পারবে না। তবে এখন পর্যন্ত কোন প্রার্থীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লংঘনের অভিযোগ পাইনি।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২ জুলাই সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রায়াত আহসান কবির চাঁন দীর্ঘদিন ফুসফুসে লিভার জটিলতাসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুতে চেয়ারম্যান পদটি শূণ্য হয়ে যাওয়ায় উপনির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসির এ সিদ্ধান্তে গত ১ ফেব্রুয়ারী ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৬ মার্চ দলীয় প্রতীকে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। একারণে গত ৯ ফেব্রুয়ারী সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তার কাছে প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। দাখিলকৃত মনোনয়নপত্র রির্টানিং কর্মকর্তা কর্তৃক গত ১০ ফেব্রুয়ারী বাছাই করা হয় এবং প্রার্থীতা প্রত্যাহারে শেষ দিন আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি ধার্য করা হয়েছে।
সূত্র: দৈনিক নয়াদিগন্ত

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন