আইএবি নিউজ: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা জেলা নেতৃবৃন্দ বলেছেন, বাংলাদেশের গণ-মানুষের আস্থার প্রতীক সর্বোচ্চ বিচারালয় সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে গ্রীক দেবি থেমিসের মূর্তি স্থাপন করে দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমান জনগোষ্ঠীর অন্তরে চরমভাবে আঘাত করা হয়েছে। সর্বোচ্চ বিচারালয়ে গ্রীক দেবির মূর্তি স্থাপনের ফলে দেশের বৃহত্তর ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগায় ইতিমধ্যেই দেশব্যাপী ব্যাপক প্রতিবাদ-বিক্ষোভ হয়েছে। ধর্মপ্রাণ মুসলিম নাগরিকদের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে হঠাৎ করে কেন গ্রীক দেবির মূর্তি স্থাপনের প্রয়োজন দেখা দিল, তা দেশবাসীর বোধগম্য নয়। সর্বোচ্চ আদালত থেকে ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্যে কি আদালত প্রাঙ্গণে দেবি মূর্তি স্থাপন খুবই জরুরী? তাহলে বিগত দিনে মূর্তি বিহীন আদালত থেকে কি মানুষ ন্যায় বিচার পায়নি? দেবি মূর্তির প্রতি হয়তো ব্যক্তিগতভাবে আপনার বা অন্য কারো ভক্তি বা অনুরাগ থাকতে পারে; কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট গোটা জাতির আস্থার কেন্দ্রস্থল। এখানে কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে গিয়ে জাতির বৃহত্তর অংশের চেতনা ও অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার এখতিয়ার কারো নেই।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে যেখানে গ্রীক দেবির মূর্তিটি স্থাপন করা হয়েছে এর পাশেই রয়েছে জাতীয় ঈদগাহ। এ দেশের মুসলিম জাতির সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান পবিত্র ঈদের প্রধান জামায়াত এখানেই অনুষ্ঠিত হয়। একটি বিজাতীয় দেবি মূর্তিকে পাশে নিয়ে এদেশের মুসলমানরা পবিত্র ঈদের প্রধান জামায়াতে নামাজ আদায় করবে- তা কল্পনাও করা যায় না। নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, যারা সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে এবং জাতীয় ঈদগাহের পাশে গ্রীক দেবির মূর্তি স্থাপন করেছে তারা অবশ্যই একটি অবিবেচকের কাজ করেছে। যে কারণে দেশব্যাপী আজ গণ-মানুষের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। দেশের প্রধান বিচারপতি এবং সর্বোচ্চ আদালতের অভিভাবক হিসেবে আপনি এর দায় কিছুতেই এড়াতে পারেন না। তারা বলেন, অনতিবিলম্বে সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে গ্রীক দেবির মূর্তি অপসারণের কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করে সর্বোচ্চ আদালত এবং প্রধান বিচারপতির ভাবমর্যাদা সুরক্ষা করবেন বলে আমরা প্রত্যাশা করি।
আজ ১২ ফেব্র“য়ারি ২০১৭ রবিবার বেলা ১১টায় সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে গ্রীক দেবীর মূর্তি অপসারণের দাবিতে দেশব্যাপী ঘোষিত কর্মসুচির অংশ হিসেবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা জেলা শাখার উদ্যোগে ঢাকা জেলা প্রশাসকের বরাবর স্মারকলিপি পেশ করা হয়। ঢাকা জেলার সেক্রেটারী হাজী শাহাদাত হোসেন-এর নেতৃত্বে স্মারকলিপি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, সহ-সভাপতি আলহাজ্ব হাফেজ জয়নুল আবেদীন, জয়েন্ট সেক্রেটারী ডা. কামরুজ্জামান, আলহাজ্ব সুলতান আহমদ খান, মাওলানা নূর হোসাইন, মাওলানা আশরাফ আলী নূরী, মাওলানা বিল্লাল হোসাইন ও ছাত্রনেতা জোবায়ের বিন মিজান।
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
-
অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন: বর্তমান দেশের জাতীয় রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্লাটফর্মের নাম ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। যাকে একটি উজ্বল সম্ভ...
-
আসবো আবার ফিরে ------------------------------------------------------------------------ - মুহিব খান কারবালা হতে পলাশী পেরিয়ে শাপলার পা...
-
চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক পলোগ্রান্ড ময়দানে বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি চট্টগ্রাম জেলা আয়োজিত চরমোনাইয়ের নমুনায় তিন দিনব্যাপী বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন