আশরাফ আলী সোহান: জঙ্গীবাদের নামে ইসলাম, মানবতা ও দেশবিরোধী অশুভ চক্রকে সম্মিলিতভাবে প্রতিহিত করতে হবে: ইঞ্জিনিয়ার গিয়াস উদ্দিন

মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ, ২০১৭

জঙ্গীবাদের নামে ইসলাম, মানবতা ও দেশবিরোধী অশুভ চক্রকে সম্মিলিতভাবে প্রতিহিত করতে হবে: ইঞ্জিনিয়ার গিয়াস উদ্দিন

স্টাফ রিপোর্টার : করুণ ও সংকটময় পরিস্থিতির মধ্যদিয়ে জীবনযাপন করছে স্বাধীন বাংলাদেশের শান্তিপ্রিয় জনগণ। প্রশাসন থেকে নিয়ে সাধারণ জনগণ সকলের উচিৎ অন্যায়-অবিচার, হিংসাত্মক রাজনীতি, জুলুম-নির্যাতন, ক্ষমতার অপ-ব্যবহার সহ সকল নাটকীয়তা পরিহার করে বিপথগামী জঙ্গী তথা ইসলামের শত্রু, দেশের শত্রু, মহান স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের শত্রুদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলা।

সামাজিক প্রতিরোধের নামে বিরোধী মত বা দলের নেতাকর্মীদের দমন করা নয়। জাতীয় সমস্যার সমাধানে সকলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করা এখন অতীব প্রয়োজন।

রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন না করলে কি হয় তা এখন পরিষ্কার। কিছুদিন পূর্বেও র‌্যাব-পুলিশের বিভিন্ন অভিযানকে দেশের জনগণের একটি বড় অংশ বিতর্কিত তথা নাটক হিসেবে বলতে দ্বিধা করে নাই। সিলেটের আতিয়ায় সশস্ত্র বাহিনীর অভিযান নিয়েও ছিল জনমনে নানান প্রশ্ন। অথচ আমার দেশের গোয়েন্দা অফিসার আজ মৃত্যু সজ্জায়। নিরীহ জনগণ নিহত হবার পাশাপাশি আহত অনেকে। সারাদেশের জনগণের মনে আজ চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।

এটা আজ সুস্পষ্ট যে, ইসলাম, দেশ ও মানবতার শত্রুদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ দৃষ্টিভঙ্গী  নিয়ে কাজ করা শতভাগ জরুরী হয়ে পড়েছে।

গতকাল ২৬ শে মার্চ (রবিবার) মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তরের আওতাধীন আদাবর থানা শাখার উদ্যোগে শাখা সভাপতি মাওলানা আবু সাঈদের সভাপতিত্বে থানা কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নগর সহকারী দফতর সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মাদ গিয়াস উদ্দিন উপরোক্ত কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা চাইনা এদেশ ফিলিস্তিন, ইরাক, আফগান, সিরিয়া, কাশ্মীরের মত পরিণতি ভোগ করুক। ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলামকে কলুষিত করতেই “আল্লাহু আকবার” পবিত্র শব্দ ব্যবহার করে বিপথগামীরা একের পর এক তাণ্ডব চালাচ্ছ।

সরকার ও প্রশাসনের প্রতি আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, আসুন দয়া করে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হাতে হাত রেখে ঐক্যবদ্ধভাবে গণ-প্রতিরোধ গড়ে তুলি। বিপথগামী জঙ্গীদের মূল উৎস যেকোন মূল্যে খুঁজে বের করতে হবে। অস্ত্রের যোগানদাতা কে বা কারা তা উৎঘাটন করতে হবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আদাবর থানা ও ওয়ার্ড শাখা, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন, ইসলামী যুব আন্দোলন, ইশা ছাত্র আন্দোলনের দায়িত্বশীল সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন