আশরাফ আলী সোহান: ৫ম শ্রেণীর বাংলা বইয়ে ‘শিক্ষকের মর্যাদা’ কবিতাটি পূঃর্ণবহাল করতে হবে: জাতীয় শিক্ষক ফোরাম ঢা. ম. উ.

শুক্রবার, ১৪ এপ্রিল, ২০১৭

৫ম শ্রেণীর বাংলা বইয়ে ‘শিক্ষকের মর্যাদা’ কবিতাটি পূঃর্ণবহাল করতে হবে: জাতীয় শিক্ষক ফোরাম ঢা. ম. উ.

স্টাফ রিপোর্টার : ধর্মনিরপেক্ষতা প্রতিষ্ঠার জন্য শিক্ষা, সংস্কৃতি ও আদর্শিকভাবে জাতিকে ধর্মহীন করার পূর্ব পরিকল্পনা হিসেবে ইসলামী শিক্ষাকে সংকোচিত করা হয়েছে। এ শিক্ষানীতি বাস্তাবায়িত হলে একজন সাধারণ ধারার শিক্ষার্থী শিক্ষা জীবনের সূচনা হতে প্রকৃত ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহণ করা ছাড়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রী নিয়ে বেরিয়ে যেতে পারবে। তাই দেশ ও জাতির স্বার্থে এ-শিক্ষানীতি কোন অবস্থাতেই বাস্তবায়িত হতে পারে না।

জাতীয় শিক্ষক ফোরাম ঢাকা মহানগর উত্তরের এক পরামর্শ সভা গতকাল সন্ধ্যা ৭টায় রাজধানীর উত্তরার একটি রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত হয়। উত্তরের আহবায়ক মুফতী মাছউদুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব প্রভাষক আব্দুস সবুরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন। সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, অধ্যাপক ইউনুছ আলী, শিক্ষাবিদ ও কলামিষ্ট শাহেদ হারুনী, ড. মহিব্বুল্লাহ কাসেমী, প্রিন্সিপাল আব্দুস সালাম, প্রভাষক আব্দুর রকিব, মাও: নুরে আলম সিদ্দিকী, মুফতী মহিউদ্দিন প্রমুখ।

অধ্যাপক ইউনুছ আলী বলেন, উচ্চ শিক্ষা শিক্ষাজীবনের সর্বশেষ ও গুরুত্বপূর্ণ স্তর। এ স্তর থেকেই তৈরী হয় প্রথম  শ্রেণীর নাগরিক ও জাতির কর্ণধার। যাদের নেতৃত্বে পরিচালিত হয় দেশ, জাতি, অফিস-আদালত, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, চিকিৎসালয়, সামরিক ও বেসামরিক বাহিনীসহ দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান। এদের দ্বারাই অর্জিত হয় দেশের উন্নতি-অবনতি, সুনীতি-দূর্নীতি, সুনাম-বদনাম, সম্মান-অসম্মান, কল্যাণ-অকল্যাণ। এক কথায় দেশের ভাল-মন্দ সব কিছুই নির্ভর করে এদের কর্মকান্ডের উপর। সুতরাং এ স্তরের শিক্ষার গুরুত্ব অন্যান্য স্তরের তুলনায় অনেক বেশী। কিন্তু এ স্তরে একমাত্র ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ ব্যতীত অন্য কোন বিভাগে ধর্মীয় শিক্ষার কোন বিষয় আবশ্যিক  তো দূরের কথা ঐচ্ছিক বা অতিরিক্ত হিসেবে নেওয়ারও কোন সুযোগ নেই। উচ্চ শিক্ষা স্তরে ধর্মীয় শিক্ষার ব্যবস্থা না থাকায় শিক্ষার্থীরা বস্তুবাদী ও নীতি বিবর্জিত মানুষে পরিণত হচ্ছে। তাদের মধ্যে অনাচার-অবিচার, নীতিহীনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং কর্মজীবনে দূর্নীতিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়ছে। তাদের মধ্যে ব্যক্তি কেন্দ্রিকতা, দয়া-মায়া হীনতা, নির্মমতা-নিষ্ঠুরতা ও পশুত্ববোধ বেড়েই চলছে। তাদের মধ্যে স্নেহ-মায়া-মমতা, ভালবাসা, মহত্ত্ব ইত্যাদি নৈতিক গুণাবলী নৈই বললেই চলে। বিপরীত পক্ষে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও নৈতিকতা বিবর্জিত হওয়ার কারণে শিক্ষার সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রী ও সহকর্মীর প্রতি যৌন হয়রানি, অবাধ যৌনাচার, ধর্ষণের সেঞ্চুরী এবং এ উপলক্ষে অনুষ্ঠান করে মিঠা-মন্ডা বিতরণ, যৌন ব্যবসা ও যৌনকর্মে বাধ্য করার মত অসংখ্য ঘটনা অহরহ ঘটে চলেছে। মাদকতার ভয়াল ¯্রােতে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং জনপদ আজ ভাসছে। সর্বোপরি দেশে দূর্নীতি, অনিয়ম এবং নৈরাজ্য এখন দুরারোগ্য ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। এ সমস্যা নিরসনের উপায় হিসেবে ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীর মনে ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধ জাগ্রত করার কোনই বিকল্প নেই। এ লক্ষ্য অর্জনের জন্য উচ্চশিক্ষার সকল ক্ষেত্র ও ধারায় বিশেষ করে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শ্রেণীতে ন্যূনতম ২০০ নম্বরের ধর্মীয় ও  নৈতিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে। দেশ ও জাতির শিক্ষার মান এবং জাতির চরিত্র ও নৈতিকতা সৃষ্টি করার  ক্ষেত্রে এর কোন বিকল্প নেই। মুসলিম প্রধান দেশ মালয়েশিয়ায় শিশু শ্রেণী থেকে শিক্ষার সর্বোচ্চ স্তর পর্যন্ত ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক। ফলে মালয়েশিয়া আজ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে এবং উন্নতির চরম শিখরে আরোহন করেছে। অথচ শতকরা ৯০ ভাগ মুসলিম প্রধান দেশ বাংলাদেশে ইসলামী শিক্ষা সবচেয়ে অবহেলিত। ফলে আমরা আজ সর্বক্ষেত্রে অধঃপতিত।

ড. মহিব্বুল্লাহ বলেন, শিক্ষার উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য  হলো আমরা চাই আমাদের শিক্ষাপদ্ধতি এমন হউক যা আমাদের জীবনী শক্তিকে ক্রমেই সজাগ, জীবন্ত করে তুলবে। যে শিক্ষা শিক্ষার্থীদের দেহ-মন দুটোকেই পুষ্ট করে তাই হবে আমাদের শিক্ষা। শিক্ষার দুটি শক্তি। একটি হলো প্রাণশক্তি আপরটি হলো কর্মশক্তি। এই দুই শক্তিকে একীভূত করাই যেন আমাদের শিক্ষার উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য হয়। নি:সন্দেহে যে শিক্ষার জীবনীশক্তি নেই তা মানবিকও নয়। আশাব্যঞ্জক এই যে, জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ -এ মানবিক ও নৈতিক মূল্যবোধ সংক্রান্ত্র বক্তব্য, মন্তব্য ও সুপারিশ বহুমাত্রায় পরিলক্ষিত। তবে

জাতীয় শিক্ষানীতিতে এর শিক্ষা-দর্শন থাকবে, এতে জাতির আশা আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটবে; জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে তা প্রণীত ও গৃহীত হবে। জাতির পূর্ব অভিজ্ঞতাসমূহ এখানে ব্যবহৃত হবে, উপেক্ষিত হবে না। এসকল মানদন্ডের ভিত্তিতেই শিক্ষানীতি প্রবর্তিত হয়।

শিক্ষানীতির সমালোচনা করে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও কলামিষ্ট শাহেদ হারুনী বলেন, ইতোপূর্বেকার কুদরাত-ই-খুদা ও শামসুল হক শিক্ষা কমিশনে ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা গুরুত্ব না পাওয়ায় বরাবরই এ-জাতি সে বিষয়ে আপ

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন