আশরাফ আলী সোহান: মঙ্গল শোভাযাত্রার নামে সাম্প্রদায়িক কর্মসূচী বর্জন করুন: প্রিন্সিপাল মাদানী

বৃহস্পতিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০১৭

মঙ্গল শোভাযাত্রার নামে সাম্প্রদায়িক কর্মসূচী বর্জন করুন: প্রিন্সিপাল মাদানী

আইএবি নিউজ: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী দেশবাসীর প্রতি মঙ্গল শোভাযাত্রার নামে সাম্প্রদায়িক কর্মসূচী বর্জন করার আহবান জানান।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম-এর সভাপতিত্বে এবং নগর সেক্রেটারী মাওলানা এবিএম জাকারিয়ার সঞ্চালনায় আজ ১৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় পুরানা পল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে ২১ এপ্রিল জাতীয় মহাসমাবেশ সফল করার লক্ষে এক যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয় অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে সর্ব প্রথম ১৯৮৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে ১লা বৈশাখে মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রবর্তন করা হয়। মঙ্গল শোভাযাত্রায় বড় বড় পুতুল, হুতোম পেঁচা, হাতি, কুমির ও ঘোড়াসহ বিভিন্ন জীব-জন্তুর মুখোশ পরে প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষ একসঙ্গে অশালীন পোশাক পরে অশ্লীল ভঙ্গিতে ঢোল বাদ্যের তালে তালে নৃত্য করে সড়ক প্রদক্ষিণ করার রীতি চালু করা হয়েছে, যা ইসলামের দৃষ্টিতে সম্পূর্ণ হারাম। হিন্দু সমাজে শ্রী কৃষ্ণের জন্মদিনে মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। তারা তাদের বিশ্বাস অনুযায়ী মঙ্গলের প্রতীক হিসেবে পেঁচা, রামের বাহন হিসেবে হনুমান, দুর্গার বাহন হিসেবে সিংহের মুখোশ পরে ও দেবতার প্রতীক হিসেবে সূর্য এবং অন্যান্য জীব-জন্তুর মুখোশ পরে মঙ্গল শোভাযাত্রা করে থাকে। বাঙ্গালি সংস্কৃতির সাথে ইসলাম ধর্মের সাথে মঙ্গল শোভাযাত্রার কোন সম্পর্ক নাই। মুসলিম সন্তানরা এটা পালন করতে পারেনা।

এছাড়া বক্তব্য রাখেন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি জি এম রুহুল আমিন। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ৯২% মুসলমানের চিন্তা-চেতনা বিরোধী জাতীয় ঈদগাহের পাশে সুপ্রিমকোর্টে এর সামনে গ্রীক মূর্তি স্থাপন করে মুসলমানদের ঈমানে চরম আঘাত করেছে।

সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা ইমতিয়াজ আলম বলেন, বাংলাদেশের কোন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার সামনে কোন মূর্তি সহ্য করা হবে না। তিনি সরকার প্রধানকে উদ্দেশ্য করে বলেন আপনার ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ২১ এপ্রিলের পূর্বেই সুপ্রিমকোটের সামনে থেকে মূর্তি অপসারণ করতে হবে। যদি না করা হয় তাহলে আগামী ২১ এপ্রিল মহাসমাবেশে ঈমানদার তাওহিদী জনতা ক্ষেপে গেলে সরকারের শেষ রক্ষা হবে না।

আরও বক্তব্য রাখেন নগর সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, আলহাজ্ব আলতাফ হোসেন, অর্থ সম্পাদক মাওলানা নজরুল ইসলাম, সহ অর্থ সম্পাদক নুরুজ্জামান সরকার, সহ প্রচার সম্পাদক মাওলানা আব্দুল কাদের, আলহাজ্ব ফজলুল হক মৃধা, আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর আলম, আবুল হাসান, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন, ইসলামী যুব আন্দোলন ও ইশা ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা মহানগর নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন থানা দায়িত্বশীলসহ প্রমূখ নেতৃবৃন্দ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন