কনভেনশনের প্রধান অতিথি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই) তার বক্তব্য শেষে ইসলামী যুব আন্দোলনের চলমান কমিটি (আহবায়ক) বিলুপ্ত করে ২০১৭ সেশনের জন্য সভাপতি: কে.এম আতিকুর রহমান, সহ সভাপতি: ইঞ্জিনিয়ার শরীফুল ইসলাম ও সেক্রেটারী জেনারেল: মাওলানা নেসার উদ্দীনকে মনোনীত করে কমিটি ঘোষণা করেন।

জাতীর সংকটমময় মুহুর্তে যুব সমাজকে জেগে উঠার আহবান জানিয়ে মুফতি রেজাউল করীম বলেন,
শাসক গোষ্ঠী ক্ষমতাকে লুণ্ঠনের অধিকার মনে করছে। রাজনীতিকে সেবা নয়; বরং শোষনের হাতিয়ার বানিয়েছে। জাতি ভয়াবহ ধ্বংসের দিকে ছুটে চলছে। এই ধরণের সংকট মোকাবেলার জন্য বাংলার যুব সমাজকে জেগে উঠতে হবে। জাতির হাজার বছরের মুক্তির স্বপ্ন যুবকদের কাঁধে অর্পিত হয়। যুবসমাজকে সুষ্ঠু পথে পরিচালিত করা গেলেই দেশ সুখ-সমৃদ্ধিতে ভরে উঠবে। তাই তরুণ ও যুব সমাজকে রক্ষাসহ ইসলামী শিক্ষার জ্ঞানে শিক্ষিত এবং তাদের সুষ্ঠ পথে পরিচালনার দায়িত্ব ইসলামী যুব আন্দোলনের দায়িত্বশীলদের গ্রহণ করতে হবে।
তিনি সরকারের উদ্যেশ্যে বলেন, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিস্তার রোধে অবিলম্বে ধর্মহীন শিক্ষানীতি ও প্রস্তাবিত শিক্ষা আইন ২০১৬ অবিলম্বে বাতিল করে ওলামায়ে কেরাম ও ইসলামিক স্কলারদের সাথে নিয়ে এগুলো সংস্কারের ব্যবস্থা নিতে হবে। জঙ্গিবাদ বন্ধে, জঙ্গি কার্যক্রমের উস্কানিদাতা এবং অর্থদাতাদের চিহ্নিত করে ওদের বিরুদ্ধে দ্রুত কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
তিনি বলেন, ইসলামী শিক্ষার অভাবে জঙ্গীবাদের সৃষ্টি হয়েছে, জঙ্গীবাদ রোধে সর্বত্র ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্ত্যব্যে মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, সমাজ ধ্বংসকারী দিল্লির সংস্কৃতি এদেশে চলতে দেওয়া হবে না।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন, শ্রমিক আন্দোলন, যুব আন্দোলন, ইশা ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় ও জাতীয় নেতৃবৃন্দ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন