আশরাফ আলী সোহান: ইমাম-খতীবদের নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা কল্যাণকর হবে না : মহাসচিব, ইসলামী আন্দোলন

সোমবার, ৩ এপ্রিল, ২০১৭

ইমাম-খতীবদের নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা কল্যাণকর হবে না : মহাসচিব, ইসলামী আন্দোলন

আইএবি নিউজ: রাজীব হত্যার বিচারের রায়ে ইমামদের বয়ানের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ। এক বিবৃতিতে মহাসচিব বলেন, ইমাম-খতীবদের বয়ানের বিষয়ে বিচারিক আদালতের নিয়ন্ত্রণের চিন্তা জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের বিষয়ে ইতিবাচক হবে না। ইসলামী শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করার ব্যবস্থা নিলে দেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ থাকবে না।

মহাসচিব বলেন, ইমাম ও খতীবগণ দেশের আইন লঙ্ঘণ করে বক্তব্য দেন না। বরং ঘরে-বাইরে জঙ্গিবাদের কুফল সম্পর্কে মুসল্লিদের উদ্ধুদ্ধ করে বয়ান করে থাকেন। চলমান সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে দেশের ওলামায়ে কেরাম, পীর-মাশায়েখ ও মসজিদের ইমাম-খতীবগণ সবসময়ই সোচ্চার ভূমিকা পালন করে জাতিকে সোচ্চার করে আসছেন। ইসলাম, দেশ ও মানবতার পক্ষে দেশের সর্বস্তরের ওলামায়ে কেরাম ও খতীবগণ ঐকান্তিকভাবে কাজ করে আসছেন। জঙ্গিবাদের সাথে কোন ওলামায়ে কেরাম ও ইসলামী নেতৃবৃন্দের সম্পর্ক নেই। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের বিষয়ে কুরআন-হাদীস ভিত্তিক বয়ান জুমার খুৎবায় দিয়ে চলেছেন। চলমান পরিস্থিতি ও ইসলামের বিভিন্ন বিধি-বিধান সম্পর্কে খতীবগণ জুমআর খুৎবায় বয়ান করে থাকেন। সুদ-ঘুষ, সন্ত্রাস, দুর্নীতি, নারী অপহরণ-নারী ধর্ষণ ও ইভটিজিংসহ বিভিন্ন অপরাধের বিরুদ্ধে গণসচেতনায় মসজিদের ইমাম-খতীবগণ অত্যন্ত জোরালো ভাবে দায়িত্বশীল ভুমিকা পালন করে থাকেন।

তিনি আরো বলেন, আইন করে বা সরকার যদি ইমাম-খতীবদের নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন তাহলে এটা কল্যাণকর হবে না। ইমামদের নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা না করে শিক্ষার সকলস্তরে সন্ত্রাস ও  জঙ্গি বিরোধী কুরআন-হাদীস ভিত্তিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করলে সরলমনা মুসলমান যুবকরা জঙ্গিবাদে ধাবিত হবে না। এ যাবৎ যত জঙ্গি গ্রেফতার হয়েছে তাদের সাথে মসজিদের ইমাম খতীবগণের সম্পর্ক প্রমাণিত হয়নি।

 

 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন