সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে গ্রীক দেবী মূর্তি স্থাপন এদেশের ৯২ ভাগ মুসলমানের আক্বিদা বিশ্বাস পরিপন্থী। তাই এদেশের তাওহিদী জনতা এটা আদৌ মেনে নিতে পারে না। মূর্তি স্থাপন, বিতর্কিত শিক্ষানীতিসহ ইসলামবিরোধী বিভিন্ন কার্যকলাপে মনে হচ্ছে সরকার বিশেষ এজেন্ডা বাস্তবায়নের মাধ্যমে এদেশকে ইসলাম ও মুসলমান শূন্য করার মিশনে নেমেছে। এদেশের মুসলমানদের বুকের এক বিন্দু রক্ত থাকতে তাদের মনোবাসনা বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবে না। জীবন বাজী রেখে হলেও ঈমানদার মুসলিম জনতা তা প্রতিহত করবেই। যারা ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপনের চক্রান্তে লিপ্ত, তারা মূলত দেশকে অস্থিতিশীল করে দেশকে ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে নিয়ে যেতে চায়। কারণ মূর্তি স্থাপনের মাধ্যমে সরকার ও দেশ আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত হবে। আর যারা আল্লাহর অনুগ্রহ থেকে দূরে সরে যায়, তারা টিকে থাকতে পারে না। ইতিহাস তাই প্রমাণ করে। ইতিপূর্বে বিভিন্ন দেশে যে সব শাসক মূর্তি স্থাপন করেছেন তাদের পরিণতি হয়েছে বড়ই ভয়াবহ। তাই এদেশের কোটি কোটি মানুষের ঈমানের দাবী দেশের স্বার্থে সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণসহ সারা দেশ থেকে মূর্তি অপসারণ করে সরকার শুভ বুদ্ধির পরিচয় দেবে। তা না হলে এদেশের তাওহিদী জনতা রাজপথে নেমে আসবে এবং মূর্তি অপসারণ করেই ঘরে ফিরবে।
আজ ২১ জানুয়ারী’১৭ শনিবার পল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে সকাল দশটা থেকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তর নেতৃবৃন্দ ও থানা দায়িত্বশীলদের ত্রৈমাসিক যৌথ অনুষ্ঠানে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।
নগর উত্তরের সভাপতি অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সহ সভাপতি আলহাজ আনোয়ার হোসেন, সেক্রেটারী মোহাম্মাদ মোশাররফ হোসেন, জয়েন্ট সেক্রেটারী সাবেক ছাত্র নেতা মোঃ আরিফুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল ইসলাম নাঈম, প্রচার সম্পাদক মুফতী জহির ইবনে মুসলিম, সহ প্রচার সম্পাদক মুফতী মাছউদুর রহমান, দফতর সম্পাদক প্রকৌশলী গিয়াস উদ্দিন, অর্থ সম্পাদক নাজমুল হক, প্রশিক্ষণ সম্পাদক, হাফেজ মাওলানা শফিুকল ইসলাম, সহ প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা মাহমুদুল হাসান, ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক মুফতী ফরিদুল ইসলাম, ডা, মুজিবুর রহমান, আলহাজ্ব ফরিদ উদ্দিন দেওয়ান, আলহাজ্ব মোঃ আলাউদ্দিন, মাওলানা জাকারিয়া প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মিয়ানমারে মুসলমানদের উপর চলছে অবর্ণনীয় নির্মম নির্যাতন। তাই এব্যাপারে সরকারকে আরো কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে, এটা দেশবাসীর প্রাণের দাবী। বিতর্কিত শিক্ষানীতি এখনো বাতিল করা হয়নি। এ শিক্ষানীতির মাধ্যমে আদৌ আদর্শ ও সুনাগরিক গড়ে উঠতে পারে না। এতেকরে ক্রমে এদেশ মুসলিম শূন্য হবে। তৈরী হবে দেশ ও মুসলিম বিদ্বেষী নবপ্রজন্ম, যা কখনো আমরা মেনে নিতে পারি না। তাই বিতর্কিত শিক্ষানীতি বাতিল করে আদর্শ শিক্ষা সিলেবাস প্রণয়ন করতে হবে।
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
-
অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন: বর্তমান দেশের জাতীয় রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্লাটফর্মের নাম ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। যাকে একটি উজ্বল সম্ভ...
-
আসবো আবার ফিরে ------------------------------------------------------------------------ - মুহিব খান কারবালা হতে পলাশী পেরিয়ে শাপলার পা...
-
চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক পলোগ্রান্ড ময়দানে বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি চট্টগ্রাম জেলা আয়োজিত চরমোনাইয়ের নমুনায় তিন দিনব্যাপী বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন