আশরাফ আলী সোহান: সামরিক চুক্তি করে স্বাধীনতা বিকিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র সহ্য করা হবে না: অধ্যাপক এটিএম হেমায়েত উদ্দিন

সোমবার, ২৭ মার্চ, ২০১৭

সামরিক চুক্তি করে স্বাধীনতা বিকিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র সহ্য করা হবে না: অধ্যাপক এটিএম হেমায়েত উদ্দিন

আইএবি নিউজ: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মাওলানা এটিএম হেমায়েত উদ্দিন বলেছেন, স্বাধীনতার ৪৬ বছর অতিবাহিত হলেও দেশবাসী স্বাধীনতার সুফল পায়নি। ভারতের সাথে সামরিক চুক্তি করে বাংলাদেশকে পরাধীনতার শিকলে আবদ্ধ করতে চায়। এই চুক্তি হলে বাংলাদেশ আজীবনের জন্য ভারতের গোলামীতে আবদ্ধ হবে। সেনাবাহিনীর গোপন কৌশল ও পরিকল্পনা প্রকাশ পেয়ে গেলে দেশ স্বাধীন স্বকীয়তা হারাবে। তিনি বলেন, সরকারের ছত্রছায়ায় ধর্মীয় সেন্টিমন্টের ওপর বার বার আঘাত হানছে। বিরানব্বই ভাগ মুসলমানের দেশে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলে রিট হয়। সুপ্রিমকোট প্রাঙ্গণে গ্রিক দেবীর মূর্তি স্থাপন করে জনগণকে শিরকের দিকে নিয়ে যেতে চায়। এরচেয়ে দুঃখজনক বিষয় আর কি হতে পারে? তিনি বলেন, খুন, হত্যা ও নৈরাজ্যে আজ নিত্যদিনের ঘটনায় পরিণত হয়েছে। মুসলমান ইসলাম ও ধর্মের জন্য এবং বিসমিল্লাহ বলেই আমরা যুদ্ধ করেছি। প্রতিটি গুলি করার সময় আমরা আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস করে এবং বিসমিল্লাহ বলে গুলি চালাতাম। কস্মিনকালেও ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের মত মুসলমান মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করেনি।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সনে স্বাধীনতার ঘোষণায়ও ধর্মনিরপেক্ষতার উল্লেখ নেই। ১৯৭২ সালে ২৫ বছর মেয়াদী বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী চুক্তির মাধ্যমে ধর্মনিরপেক্ষতাকে রাষ্ট্রীয় মূলনীতি হিসেবে বাংলাদেশের ওপর চাপিয়ে দেয়া হয়। ভারত সেক্যুলার হওয়ার জন্যে বাংলাদেশকে প্রেসক্রিপশন দেয়ার পর থেকেই সি আর দত্তসহ একশ্রেণীর লোক উপরোক্ত দাবি জানাতে শুরু করে, যা অগণতান্ত্রিক, সংবিধান বিরোধী ও সার্বজনীন মানবধিকারের পরিপন্থী।

গতকাল (রবিবার) বিকেলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ-এর উদ্যোগে পুরানা পল্টনস্থ অফিস মিলনায়তনে “মহান স্বাধীনতার ৪৬ বছর প্রাপ্তি ও প্রত্যাশা” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন। সংগঠনের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলমের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারী মাওলানা এবিএম জাকারিয়ার পরিচালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন নগর সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুর রহমান ও আলহাজ্ব্ আলতাফ হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, ডা. শহিদুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ।

সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা ইমতিয়াজ আলম বলেন, স্বাধীনতার ৪৬ বছর পরও মুসলমানরা পরাধীন। আজ মুসলমানরা ঈমান ও আমল নিয়ে বেচে থাকা কঠিন হয়ে পরছে। জুলুম নির্যাতন বেড়ে চলছে। সর্বত্র খুন-খারাবী মহামারি আকার ধারণ করছে।

তিনি বলেন, দেশের স্বাধীনতার রক্ষার পরিবর্তে ক্ষমতাসীনরা দেশ বিক্রির ষড়যন্ত্র করছে। দেশের টাকা লুট হয়, ডিজিটাল কায়দায়, ডিজিটাল সরকার বলতে লজ্জা থাকা উচিত।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন