আশরাফ আলী সোহান: আন্দোলনের পাশাপাশি নির্বাচনের প্রস্তুতিতে ইসলামী আন্দোলন খুলনা

সোমবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

আন্দোলনের পাশাপাশি নির্বাচনের প্রস্তুতিতে ইসলামী আন্দোলন খুলনা

আইএবি নিউজ : রামপালের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, শিক্ষানীতি পরিবর্তন, রোহিঙ্গা ইস্যু ও পাঠ্যপুস্তকে নাস্তিকতাবাদ প্রত্যাহারের আন্দোলনের পাশাপাশি একাদশ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নেমেছে খুলনার ইসলামী আন্দোলন। জেলার ছয়টি আসনে সম্ভব্য প্রার্থীদের জনমত গঠনে গণসংযোগ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি উপজেলা ও ওয়ার্ড শাখার নিয়মিত সাংগঠনিক কার্যক্রম এবং সামাজিক অনুষ্ঠানগুলোতে অংশ নিতেও বলা হয়েছে। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত নভেম্বর থেকে রামপালের কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিল ও পাঠ্যপুস্তকে নাস্তিকতাবাদ প্রত্যাহারের দাবিতে জেলা ও নগর শাখা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে অংশ নেয়। সংবাদ সম্মেলন ছাড়াও জনসভার আযোজন করে। ডাকবাংলা চত্বরে অনুষ্ঠিত জনসভায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর ও পীর সাহেব চরমোনাই মুফতি মাওলানা সৈয়দ ফজলুল করীম আন্দোলনকে বেগবান করার জন্য দলীয় নেতা কর্মীদের আহবান জানান। তিনি গোয়ালখালীতে মুজাহিদ কমিটির মাহফিলে শিক্ষানীতি পরিবর্তনের দাবিতে জনমত গঠনের জন্য কর্মীদের ছোট ছোট বৈঠক করার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন। সামাজিক কর্মকান্ডের অংশ হিসেবে শনিবার পরিবর্তন চাই’র পরিচ্ছন্ন অভিযানে দলীয় কর্মীরা অংশ নেয়। এই সূত্র জানান, একাদশ সংসদ নির্বাচনে খুলনা-১ আসনে মাওলানা আরিফ  বিল্লাহ, খুলনা-২ আসনে নগর সভাপতি মুহাজাম্মিল হক ও নগর সহ-সভাপতি শেখ মো. নাসির উদ্দিন, খুলনা-৩ আসনে কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল আউয়াল ও নগর শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুফতী মাহবুবুর রহমান, খুলনা-৪ আসনে কেন্দ্রীয় মহাসচিব হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমেদ, খুলনা-৫ আসনে শ্রকি আন্দোলনের জেলা সভাপতি আনিসুর রহমান ও মাওলানা মুজিবুর রহমান এবং খুলনা-৬ আসনে জেলা শাখার সাবেক সভাপতি মাওলানা নূর আহমেদকে দলের প্রার্থী করা হয়েছে। এসব প্রার্থীরাও ওয়াজ মাহফিরের পাশাপাশি সামাজিক অনুষ্ঠানগুলোতে অংশ নিচ্ছে। নগর সভাপতি মাওলানা মুজাম্মির হক এ প্রতিবেদকে জানান, কেসিসি ও জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে তারা এগুচ্ছে। দলের সর্বস্তরের কর্মীরা জনমত গঠনে মাঠে নেমেছেন। কর্মী ও সমর্থকদের কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে দলীয় তহবিল গঠন করা হয়েছে। সহ-সভাপতি শেখ মো. নাসির উদ্দিন জানান, মহানগরীর ওয়ার্ডগুলোতে পূর্ণাঙ্গ কমিটি সক্রিয় রয়েছে। তিনি বলেন, সমর্থক সংখ্যা বাড়ছে। কেসিসি ও জাতীয় নির্বাচনে খুলনায় সম্মানজনক ফলাফল তাদের প্রত্যাশা।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের কেসিসি ও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ অংশ নেয়নি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন