আইএবি নিউজ: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বর্ষ বরণের নামে মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন গ্রামে-গঞ্জের স্কুল কলেজগুলোতে ছড়িয়ে দেয়ার অশুভ পরিকল্পনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন, সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে গ্রিক দেবীর মূর্তি ও ১৪ এপ্রিল সারাদেশে বিধর্মীয় মূর্তির শোভাযাত্রা অনুশীলনের জন্যে এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ তৌহিদী জনতাকে বাধ্য করার উদ্যোগ ঈমানদার মুসলমানরা মেনে নেবে না। অমুসলিমদের প্রতীক ও উপমা ব্যবহার করা ইসলামে নিষিদ্ধ।
তিনি বলেন, মঙ্গল শোভাযাত্রা একটি সংখ্যালঘু হিন্দু জনগোষ্ঠীর ধর্ম ও সংস্কৃতির অংশ। মূলতঃ দেব-দেবীকে উদ্দেশ্য করে এসব আচার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে একটি সংখ্যালঘু গোষ্ঠী কল্যাণ কামনা করে থাকে। কেননা সংখ্যালঘু হিন্দু একটি জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় বিশ্বাস মোতাবেক পেঁচা মঙ্গলের প্রতীক ও লক্ষ্মীর বাহন, ইঁদুর গণেশের বাহন, হনুমান রামের বাহন, হাঁস স্বরসতীর বাহন, সিংহ দূর্গার বাহন, গাভী রামের সহযাত্রী, সূর্য দেবতার প্রতীক ও ময়ূর কার্তিকের বাহন। মঙ্গল শোভাযাত্রা ও মূর্তি ইসলামবিরোধী কাজ। এসব প্রতীকের মাধ্যমে সংখ্যালঘুরা পূজা-প্রার্থণা করলেও মুসলমানদের জন্য এটা হারাম।
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) বিকেলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মজলিসে আমেলা (কার্যনির্বাহী পরিষদ)-এর এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
সভায় ঘোষিত ২১ এপ্রিলে মহাসমাবেশসহ অন্যান্য কর্মসূচি বাস্তবায়নে বিভিন্ন পর্যালোচনা শেষে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের রাজনৈতিক উপদেষ্টা অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব- অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান ও মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ঢাকা দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহ-সংগঠনিক সম্পাদক কেএম আতিকুর রহমান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, সহ-প্রচার সম্পাদক মাওলানা নেছার উদ্দিন, ঢাকা উত্তর সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, আলহাজ্ব হারুন অর রশিদ, মাওলানা মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, মাওলানা আতাউর রহমান আরেফী, এ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান শেখ, আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, বরকতউল্লাহ লতফি, আলহাজ্ব নাজিম উদ্দিন, অধ্যাপক ডা. শোয়াজ্জেম হোসেন, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, আলহাজ্ব কে জি মাওলা, আলহাজ্ব সেলিম মাহমুদ, এ্যাডভোকটে একেএম এরফান খান প্রমুখ।
তিনি বলেন, মুসলমানের সংস্কৃতির উৎস ইসলামী জীবন দর্শন ভিত্তিক মূল্যবোধ। স্থানীয় ও লোকজ ঐতিহ্যের উপাদান মুসলিম সংস্কৃতিতেও আছে। কিন্তু এর অবস্থান ইসলামী ঐতিহ্যের সীমানা অতিক্রম করে নয়। আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্য কারো কাছে মঙ্গল প্রার্থণা করা ইসলামে নিষিদ্ধ। ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশে মঙ্গল শোভাযাত্রা কোন ক্রমেই যুক্তিযুক্ত হতে পারে না। কেননা মঙ্গল শোভাযাত্রার সাথে শিরক বা মহান আল্লাহর সাথে অংশীদারিত্বের ধারণা জড়িত। তাই মঙ্গল শোভাযাত্রা সার্বজনীন নয়। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার উৎসবও নয়। প্রকাশ্যে মঙ্গল শোভাযাত্রা বাতিল করতে হবে।
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
-
অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন: বর্তমান দেশের জাতীয় রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্লাটফর্মের নাম ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। যাকে একটি উজ্বল সম্ভ...
-
আসবো আবার ফিরে ------------------------------------------------------------------------ - মুহিব খান কারবালা হতে পলাশী পেরিয়ে শাপলার পা...
-
চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক পলোগ্রান্ড ময়দানে বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি চট্টগ্রাম জেলা আয়োজিত চরমোনাইয়ের নমুনায় তিন দিনব্যাপী বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন