আশরাফ আলী সোহান: ৪৬ বছরেও মানুষ স্বাধীনতার কাঙ্খিত সুফল পায়নি: ইশা ছাত্র আন্দোলন নোয়াখালী জেলা দক্ষিণ

রবিবার, ২৬ মার্চ, ২০১৭

৪৬ বছরেও মানুষ স্বাধীনতার কাঙ্খিত সুফল পায়নি: ইশা ছাত্র আন্দোলন নোয়াখালী জেলা দক্ষিণ

নোয়াখালী প্রতিনিধি: আজ ২৬ মার্চ রোজ রবিবার সকাল ১০টায় নোয়াখালী জেলা জামে মসজিদ চত্বরে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন নোয়াখালী জেলা দক্ষিণ এর উদ্যোগে শাখা সভাপতি মুহাম্মদ আবদুল মুকিত এর সভাপতিত্বে মহান স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভা ও বর্ণাঢ্য র‌্যালী অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নোয়াখালী জেলা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা মাহমুদুর রহমান।

উদ্বোধনী বক্তব্যে জেলা সভাপতি সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, স্বাধীনতার ৪৬ বছরেও আমরা পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ। আমাদের ব্যক্তি স্বাধীনতা নেই, আমাদের রাজনৈতিক স্বাধীনতা নেই, এখন আবার ভৌগোলিক স্বাধীনতাও হুমকির মধ্যে। ভারত সফরকালে প্রধানমন্ত্রী কি চুক্তি স্বাক্ষর করেছন তা জনগন জানে না। তবে পত্র-পত্রিকায় যা বলা হচ্ছে তা নিঃসন্দেহে পুরো জাতিকে ঊদ্বিগ্ন করে তূলছে, স্বাধীনতার কাঙ্খিত সুফল মানুষ পায়নি।



তিনি আরো বলেন, ছাত্র সংসদ নির্বাচন না থাকার কারণে শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস ও দখলদারিই কেবল বাড়েনি, শিক্ষার পরিবেশও বিঘ্নিত হচ্ছে। অবস্থা এমন দাড়িয়েছে যে, সরকার-সমর্থক ছাত্রসংগঠনটির বাইরের নেতাকর্মীদের ক্যাম্পাসে থাকাই কঠিন হয়ে পড়ছে। এই অবস্থার উত্তরণ তথা শিক্ষাঙ্গনে সুস্থ ছাত্ররাজনীতি চর্চার জন্য ছাত্র সংসদ নির্বাচনের বিকল্প নেই।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, শোষণ-বঞ্চনামুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার প্রত্যয় নিয়েই ১৯৭১-এ এদেশের মানুষ স্বাধীনতা যুদ্বে অংশ নিয়েছিলো। স্বাধীনতার পর আমাদের অগ্রযাত্রা বিভিন্নভাবে বাধাগ্রস্ত হয়েছে, জনগনের মৌলিক ও মানবিক অধিকার খর্ব হয়েছে। কিন্তু প্রতিবারই এদেশের আপমর মানুষ লড়াই-সংগ্রামের মাধ্যমে মৌলিক অধিকার পুনরুদ্ধার করেছে।

শাখা সাধারণ-সম্পাদক মুহা. দিদার হোসাইন সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন মাওলানা শহীদুল ইসলাম,মাওলানা মমিনুল হক, এইচ.এম কাউছার আহমাদ, মাওলানা শাহাদাত হোছাইন, মাওলানা ফিরোজ আলম, আল-আমিন সাইফুল্লাহসহ প্রমূখ।

নেতৃবৃন্দ সুপ্রিমকোর্ট এর সামনে থেমিসের মূর্তি স্থাপনের নিন্দা জানিয়ে আরো বলেন, মুসলমানরা স্থাপত্যকলা ও শিল্পকলার বিরুদ্ধে নয়, কিন্তু গ্রিক দেবীর মূর্তি স্থাপনপূর্বক আমাদের জাতীয় মন ও মানসে বিজাতীয় কৃষ্টির অনুপ্রবেশ আমরা বরদাশত করবো না। গ্রিকপুরাণের কল্পিত দেবী থেমিস রোমানদের কাছে ন্যায়ের প্রতিক হতে পারে, কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে আমরা তাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্য থেকে ধার করে কেন হীন ঔপনিবেশিক ধ্যানধারণা লালন করবো? আমরা ভূইফোঁড় জাতি নই যে, পরজীবিতার আশ্রয় নিতে হবে। গ্রীক দেবীর সঙ্গে এ দেশের ইতিহাস ঐতিহ্য ও ভাব-সম্পদের নূন্যতম সম্পর্ক নেই। এরপরও কিভাবে আমাদের সুপ্রিমকোর্টের সামনে এরকম অগ্রহণযোগ্য ও বিজাতীয় মূর্তিকে স্থাপন করা হলো? কারা এটি করার সুযোগ পেলো কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে দেশের মানুষের কাছে জবাবদিহী করতে হবে। 

আলোচনা সভা শেষে একটি বিশাল বর্ণাঢ্য র‌্যালী শহর প্রদক্ষিণ করে শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মুনাজাতের মাধ্যমে শেষ করা হয়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন