আজ সকাল ৯টায় পল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তরের কর্মী তারবিয়তে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমদ এসব কথা বলেন।

নগর উত্তরের সভাপতি অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত তারবিয়তে বিশেষ অতিথি ছিলেন, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, কেন্দ্রীয় সহাকারী প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুফতী হেমায়েতুল্লাহ, কেন্দ্রীয় সদস্য মুফতী দেলোয়ার হোসাইন সাকী, আলহাজ্ব আনোয়ার হোসাইন, মুহাম্মাদ মুশাররফ হোসেন, মাওলানা আরিফুল ইসলাম, হাফেজ মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান, নুরুল ইসলাম নাঈম, মুফতী মাছউদুর রহমান, প্রকৌশলী গিয়াস উদ্দিন, হাফেজ আবু হানিফ, মুফতী ফরিদুল ইসলাম, ডাঃ মজিবুর রহমান, আলহাজ্ব ফরিদ উদ্দিন দেওয়ান, মুহাম্মাদ আবুল হোসেন, মনজুরুল ইসলাম প্রমুখ।
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মঙ্গল শোভাযাত্রা বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে। মুসলিম প্রধান দেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে অন্য ধর্মের সংস্কৃতি মঙ্গল শোভাযাত্রা কখনই বাধ্যতামূলক হতে পারে না। মুসলিম জনগোষ্ঠির চেতনাবিরোধী বিজাতীয় সংস্কৃতি চাপিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র বন্ধ করুন। সুপ্রিটকোর্ট চত্বর থেকে গ্রীকদেবীর মূর্তি অপসারণ করা না হলে আগামী ২১ মার্চ জাতীয় মহাসমাবেশের মাধ্যমে দেশব্যাপী আন্দোলনের যে দাবানল জলে উঠবে তা সরকার প্রতিহত করতে পারবে না।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যক্ষ মাসউদ বলেন, বাংলাদেশের স্কুল, কলেজের অধিকাংশ শিক্ষার্থী শুধু বাঙ্গালী নয়, মুসলমানও বটে। নতুন বছরের প্রথম দিন বাঘ-ভাল্লুক, সাপ, বিচ্ছু, কুমির ও বিভিন্ন দেব-দেবীর বড় বড় মূর্তি, ছবি নিয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রার নামে যে যাত্রা বা র্যালি বের করা হয়, তাতে কার কাছে নতুন বছরের মঙ্গল ও কল্যাণ কামনা করা হচ্ছে? ইসলামের বিশ্বাস মতে, আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন জীবজন্তু, বন্যপ্রাণী ও দেবদেবীর মূর্তির কাছে কল্যাণ ও মঙ্গল কামনা করলে ঈমান থাকবে না।
তিনি আরো বলেন, মুসলমানদের বিশ্বাস মতে ভাল-মন্দ, মঙ্গল-অমঙ্গল সব কিছুই আল্লাহর হুকুমেই সংঘটিত হয়ে থাকে। মুসলমানকে কল্যাণ ও মঙ্গল কামনা করতে হবে একমাত্র আল্লাহর কাছেই। সুতরাং মুসলমানদের জন্যে মঙ্গল শোভাযাত্রার সংস্কৃতি চর্চা অবশ্যই পরিত্যাজ্য।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন