আইএবি নিউজ: ধর্মনিরপেক্ষতা প্রতিষ্ঠার নামে এক দিকে দেশে দৃশ্যতঃ শিক্ষা, সংস্কৃতি ও আদর্শিকভাবে জাতিকে ধর্মহীন করার উদ্যোগ গ্রহণ করে স্কুল, কলেজ ও ইউনিভার্সিটিতে ইসলামী শিক্ষাকে সংকোচিত করা হয়েছে। অন্য দিকে সামাজিক আচার-অনুষ্ঠানসহ সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় পৌত্তলিক কালচার, বেহায়াপনা ও নগ্নপনার সংস্কৃতি চালু করে জাতীকে ধর্মহীন করার ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গল শোভাযাত্রা বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্তের মাধ্যমে আরো এক পালক যুক্ত হলো। মুসলিম প্রধান দেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে অন্য ধর্মের সংস্কৃতি মঙ্গল শোভাযাত্রা কখনই বাধ্যতামূলক হতে পারে না। অবিলম্ভে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে।
শুক্রবার (৭ এপ্রিল) বাদ জুমআ জাতীয় প্রেসক্লাব চত্তরে জাতীয় শিক্ষক ফোরাম এর দেশব্যপী কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা মহানগরের উদ্যেগে মুসলিম জনগোষ্ঠির চেতনাবিরোধী বিজাতীয় সংস্কৃতি মঙ্গল শোভাযাত্রা চাপিয়ে দেয়ার প্রতিবাদে আয়োজিত মানব বন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমদ উপরোক্ত কথা বলেন।
জাতীয় শিক্ষক ফোরাম ঢাকা মহানগর উত্তরের আহবায়ক লেকচারার মাসউদুর রহমান এর সভাপতিত্বে এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এর প্রিন্সিপাল হুমায়ন কবীর এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, আহবায়ক অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহবায়ক অধ্যাপক ফজলুল হক মৃধা, কেন্দ্রীয় সহকারী সদস্য সচিব প্রভাষক আব্দুস সবুর, ঢাকা জেলা আহবায়ক ডাঃ কামরুজ্জামান প্রমুখ।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে কেন্দ্রীয় আহবায়ক অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের স্কুল, কলেজের অধিকাংশ শিক্ষার্থী শুধু বাঙ্গালী নয়, মুসলমানও বটে। বর্ষবরণের নামে মূলতঃ মুসলমনাদের ঈমান-আক্বীদা বিরোধী ভিনদেশী হিন্দুত্ববাদি সংস্কৃতির প্রসার ঘটানোর চেষ্টা চলছে। নতুন বছরের প্রথম দিন বাঘ-ভাল্লুক, সাপ, বিচ্ছু, কুমির ও বিভিন্ন দেব-দেবীর বড় বড় মূর্তি, ছবি নিয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রার নামে যে যাত্রা বা র্যালি বের করা হয়, তাতে কার কাছে নতুন বছরের মঙ্গল ও কল্যাণ কামনা করা হচ্ছে? ইসলামের বিশ্বাস মতে, আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন জীবজন্তু, বন্যপ্রাণী ও দেবদেবীর মূর্তির কাছে কল্যাণ ও মঙ্গল কামনা করলে ঈমান থাকবে না।
নেতৃবৃন্দ বলেন, মুসলমানদের বিশ্বাস মতে ভাল-মন্দ, মঙ্গল-অমঙ্গল সব কিছুই আল্লাহর হুকুমেই সংঘটিত হয়ে থাকে। মুসলমানকে কল্যাণ ও মঙ্গল কামনা করতে হবে একমাত্র আল্লাহর কাছেই। সুতরাং মুসলমানদের জন্যে মঙ্গল শোভাযাত্রার সংস্কৃতি চর্চা অবশ্যই পরিত্যাজ্য।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ আরো কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পয়লা বৈশাখের নববর্ষ বরণ অনুষ্ঠানে নারী সমাজের উপর সংঘবদ্ধ যৌন-নির্যাতনের ঘটনার উল্লেখ করে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, নারী-পুরুষের উশৃংখল চলাচলের বহুমুখী ক্ষতিকর দিক রয়েছে। শুধু গত বছর নয়, এর আগেও বহুবার বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে নারী নির্যাতন ও নারীদের সম্ভ্রমহানীর মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাধ্যাতামূলক মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করার সিদ্ধান্ত বাতিল না করা হলে দেশবাসী দূর্বার গণ আন্দোলনে বাধ্য হবে।
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
-
আইএবি নিউজ: অদ্য ২৯ জানুয়ারি'১৭ মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় চন্দনা চৌরাস্তা সংলগ্ন ময়মনসিংহ রোডে টেকনগপাড়াস্থিত সৈকত কনভেনশন হলে ইসলামী আন্দ...
-
Ashraf Ali Sohan - Musical artist, Writer, Web Developer, and young Entrepreneur from Bangladesh Ashraf Ali Sohan Is a Bangladeshi Islamic s...
-
ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন (১৯৯১-২০১৬) প্রতিষ্ঠাতা ইসলামী আন্দোলন এর সফল রূপকার, ইসলামের মুক্তিদাতা চরিত্রকে জনমানসে প্রত...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন