আশরাফ আলী সোহান: ২১ এপ্রিল জাতীয় মহাসমাবেশ সফল করুন: বর্ষবরণের নামে মঙ্গল শোভাযাত্রা ইসলাম বিরোধী - ইসলামী আন্দোলন ঢা. ম. উ.

মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল, ২০১৭

২১ এপ্রিল জাতীয় মহাসমাবেশ সফল করুন: বর্ষবরণের নামে মঙ্গল শোভাযাত্রা ইসলাম বিরোধী - ইসলামী আন্দোলন ঢা. ম. উ.

আইএবি নিউজ: বর্ষবরণের নামে মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন প্রামেগঞ্জেও ছড়িয়ে দেয়ার অশুভ পরিকল্পনার তীব্র সমালোচনা করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি অধ্যক্ষ শেখ ফজলে বারী মাসউদ।

তিনি আজ বিকাল ৪টায় পল্টনস্থ নগর কার্যালয়ে আগামী ২১এপ্রিল’১৭ইং সুপ্রিমকোর্ট চত্বর থেকে গ্রীক দেবীর মূর্তি অপসারণের দাবীতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আহুত জাতীয় মহাসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তরের জরুরী সভায় সভাপতির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, বাঙালি সংস্কৃতির সার্বজনীনতার তত্ত্বের আড়ালে এসব বিধর্মীয় মূর্তির শোভাযাত্রা অনুশীলনের জন্য এ দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ তৌহীদি জনতাকে বাধ্য করার উদ্যোগ গ্রহণযোগ্য নয়। অমুসলিমদের প্রতীক ও উপমা বহন করা ইসলামে নিষিদ্ধ।

অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সেক্রেটারী মুহাম্মাদ মোশাররফ হোসেন, জয়েন্ট সেক্রেটারী মাওলানা আরিফুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মাও: সিদ্দিকুর রহমান, মুফতী মাছউদুর রহমান, প্রকৌশলী গিয়াস উদ্দিন, মুফতী ফরিদুল ইসলাম, এ্যাডভোকেট শওকত আলী হাওলাদার, ডাঃ মজিবুর রহমান, প্রমুখ।

অধ্যক্ষ মাসউদ আরো বলেন, ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় যুক্ত মঙ্গলশোভাযাত্রা সাম্প্রদায়িক। মঙ্গল  শোভাযাত্রা কোনো ক্রমেই বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জীবনধারার সঙ্গে যুক্ত নয়। কেননা মঙ্গল শোভাযাত্রার সাথে শিরক বা মহান আল্লাহর সাথে অংশীদারিত্বের বিশ্বাস জড়িত। তাই মঙ্গল শোভাযাত্রা সার্বজনীন নয়। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার উৎসবও নয়। প্রকাশ্যে মঙ্গল শোভাযাত্রা বাতিল করতে হবে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, মঙ্গল শোভাযাত্রা একটি সংখ্যালঘু হিন্দু জনগোষ্ঠীর ধর্ম ও সংস্কৃতির অংশ। মূলত দেব-দেবীকে উদ্দেশ্য করে এসব আচার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে একটি সংখ্যালঘু গোষ্ঠী কল্যাণ কামনা করে থাকে। সংখ্যালঘু হিন্দু একটি জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় বিশ্বাস মোতাবেক পেঁচা মঙ্গলের প্রতীক ও লক্ষ্মীর বাহন, ইঁদুর গণেশের বাহন, হনুমান রামের বাহন, হাঁস স্বরসতির বাহন, সিংহ দুর্গার বাহন, গাভী রামের সহযাত্রী, সূর্য দেবতার প্রতীক ও ময়ূর কার্তিকের বাহন। কেউ কেউ শরীরে দেব-দেবীর, জন্তু-জানোয়ারের প্রতিকৃতি, কালির লোহিত বরণ জিহ্বা, গণেশের মস্তক ও মনসার উল্কি এঁকে ভাড় সেজে এবং মৃদঙ্গ-মন্দিরা, খোল-করতাল বাজিয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করে। এসব প্রতীকের মাধ্যমে তারা পূজা-প্রার্থনা করেন। ইসলামে এটা হারাম।  মুসলমানের সংস্কৃতির উৎস ইসলামী জীবন দর্শনভিত্তিক মূল্যবোধ। স্থানীয় ও লোকজ ঐতিহ্যের উপাদান মুসলিম সংস্কৃতিতেও আছে। কিন্তু এর অবস্থান ইসলামী ঐতিহ্যের সীমানা অতিক্রম করে নয়। আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্য কারো কাছে মঙ্গল প্রার্থনা করা ইসলামে নিষিদ্ধ। কাজেই সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মঙ্গল শোভাযাত্রার নির্দেশ অবিলম্বে স্থগিত করতে হবে।

নেতৃবৃন্দ আগামী ২১ এপ্রিল’১৭ইং সুপ্রিমকোর্ট চত্বর থেকে গ্রীক দেবীর মূর্তি অপসারণের দাবীতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আহুত জাতীয় মহাসমাবেশ সফল করার জন্য নগরবাসীর প্রতি আহবান জানান।

 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন